নীলফামারীর কুন্দপুকুর মাজারের কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল চুরির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী।
কুন্দপুকুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে আমার বাবা আব্দুর রশিদ মারা যান। আজ সকালে কবরস্থানের একটি কবর খোঁড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। একটু ভেতরে গিয়ে দেখি কয়েকটি খোঁড়ার দৃশ্য। আমার বাবার কবরটিও খোঁড়া হয়েছে। পরে স্থানীয়দের জানানো হলে অন্তত ১৫টি কবর খোঁড়ার দৃশ্য দেখতে পান সবাই।’
স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার শাশুড়ি দেড় বছর আগে মারা যান। খবর পেয়ে এসে দেখি কবরের মাঝ বরাবর খোঁড়ার দৃশ্য। সেখানে কঙ্কাল ছিল না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।’
আনোয়ারুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘একসঙ্গে আমার পরিবারের পাঁচজনের কবর ছিল। এখান থেকে দুজনের কবর খুঁড়ে কঙ্কাল নিয়ে যাওয়া হয়। আমার বাবা ও ফুফুর কবর খোঁড়া হয়েছিল।’
সোহরাব হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বাবা আজাহার আলী ও বোন জিন্নাহ খাতুন দুই বছরের মধ্যে মারা গেছেন। এখানে দাফন করা হয়। আজ সকালে কবর দুটি খোঁড়া দেখে আমরা পরে মাটি দিয়ে ঢেকে দিই।
‘কবরে শুধু সাদা কাপড় দেখা গেছে, কিন্তু কোনো হাড় বা কঙ্কালের দেখা মেলেনি।’
কুন্দপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত রাতে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছিল। এই সুযোগে একটি দুষ্কৃতিকারী মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যেসব কবর খোঁড়া হয়েছে, সেগুলোর প্রতিটির বুক বরাবর খোঁড়া হয়েছে।
‘একটি কবরের ওপর দাড়ি ও হাড় পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চক্রটি দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে এ কাজ করেছে বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কন্দুপুকর মাজার কমিটির সভাপতি শাহিদ মাহমুদ বলেন, ‘কবর খুঁড়ে আবার তারা মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়ে গেছে। কয়েকটি খোলা ছিল। খোলার কারণে বিষয়টি জানা যায়।
‘বিষয়টি সুদূরপ্রসারী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নীলফামারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মো. হানিফ নামে এক ব্যক্তির ওই ভবন থেকে মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সেগুলো উদ্ধার করা হয় বলে ঘটনাস্থল থেকে জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, ভবনের নির্মাণকাজের সময় শ্রমিকরা মাটি খুঁড়লে অস্ত্র দেখতে পান। তারাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র পায়। আরও অস্ত্র আছে কি না তা বের করতে পুলিশ কাজ করছে।
এসপি বলেন, ‘ভবনের মালিককে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি পঞ্চগড়ে থাকায় আসতে দেরি হচ্ছে। আমরা তার জন্য অপেক্ষা করছি।
‘অস্ত্রগুলো পরিত্যক্ত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল।’
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বহু বছরের পুরোনো ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। নাজির হাওলাদার নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ছিল সেটি। তার উত্তরসূরিদের কাছ থেকে পুরোনো ভবন কিনে সেখানে নতুন করে বাড়ি বানাচ্ছেন হানিফ।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহযোগী সংগঠন যুবজোট নেতা মাহাবুব খান সালাম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
কুষ্টিয়া পৌর বিজয় উল্লাস চত্বরে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা যুবজোট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন নেতা-কর্মীরা।
কুষ্টিয়া জেলা যুবজোট সভাপতি মাহবুব হাসানের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, কুষ্টিয়া জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিনসহ অন্যান্যরা।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন বলেন, ‘যুবজোট নেতা সালামকে যারা হত্যা করেছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সবাই তাদের চেনে। পুলিশও তাদের চেনে। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেন। সালাম ছিল সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ নেতা। সব সময় অপরাধের প্রতিবাদ করায় তাকে ভয় পেয়ে প্রতিপক্ষ মনে করে হত্যা করেছে।’
আব্দুল আলীম স্বপন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘একটি হত্যার সঠিক বিচার না পেলে ১০টি হত্যার জন্ম দেয়। আইনের প্রতি জাসদের নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা রয়েছে। আসামিদের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে রক্ষার চেষ্টা করলে জাসদ তা মেনে নেবে না। যুবজোট নেতা সালাম হত্যার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করে গেছে জাসদ কোনও কাপুরুষের দল নয়।
এসময় বিচার না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলা যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবকে কুপিয়ে জখম করা হয়। রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন খান ওরফে এনামুল হক শুক্রবার মামলা করেন। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর শুক্রবার অভিযান চালিয়ে উপজেলার আল্লারদর্গা ও সোনাইকুন্ডি থেকে সোহান, নজিবুল ও মেহেদী নামে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই দৌলতপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও হোগলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, দৌলতপুর যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরীসহ একই পরিবারের ৬ জন।
আরও পড়ুন:২০১৩ সালে ৬৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় চট্টগ্রামে দুই আসামিকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি ৩৫ বছরের মোহাম্মদ শফি ও ৩৩ বছরের আবছার উদ্দিন জামিনে আছেন। তাদের দুইজনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফের কুতুবুনিয়া এলাকায়।
মঙ্গলবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞার আদালত এ রায় দেয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোতোয়ালি থানায় মাদক মামলায় পলাতক দুই আসামিকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে।
তবে রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন আসামিরা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নগরের কোতোয়ালি থানাধীন স্টেশন রোডের ঢাকা হোটেল থেকে ৬৯৫ পিস ইয়াবাসহ শফি ও আবছারকে আটক করা হয়। পরে কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি করে পুলিশ।
সিলেট সদরে ঝড়ের কবলে পড়ে বিলে ডু্বে যাওয়া নৌকার আরেক আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জালালাবাদ থানার লালপুর গ্রামের লোকজন মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে মরদেহ দেখে জানালে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
মৃত ব্যক্তির নাম রেজাখ আলী, তার বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার রায়েরগাঁও গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ আছকন্দর আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আছকন্দরের বাড়ি একই উপজেলার পুটামারা গ্রামে।
জালালাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ ইসহাকের বরাত দিয়ে ওসি জানান, বন্যায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রোববার রাতে নৌকায় করে খারইল বিলের ওপর দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আছকন্দর, রেজাখসহ কয়েকজন। ঝড়ের কবলে পড়ে বিলের মাঝামাঝি জায়গায় নৌকাটি ডুবে যায়। অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন ওই দুজন।
আরও পড়ুন:আমের ওজনের ক্ষেত্রে একই নিয়ম চালুর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার সকালে মতবিনিময় সভায় এই আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে সভাটি।
জেলার বিভিন্ন বাজারে আমের ওজনের ক্ষেত্রে একেক নিয়ম চালু আছে। কোনো বাজারে ৪৫ কেজিতে এক মণ ধরা হয়, কোনো বাজারে ৪৭ কেজিতে, আবার কোনো বাজারে ৫০ কেজিতে হিসাব করা হয় প্রতি মণ আমের ওজন।
এ অবস্থায় ৪০ কেজিতে মণ ধরে আম বিক্রির দাবি জানিয়ে আসছেন চাষিরা। তাদের দাবি বাস্তবায়নে কয়েক দফা উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। তবে ব্যবসায়ীদের কারণে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সভায় বাগান মালিক, চাষি, আম ব্যবসায়ী, কৃষি বিভাগের লোকজনসহ আরও অনেকে অংশ নেন।
আমের ওজনের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি অংশগ্রহণকারীরা। ওজনের বিষয়টি সমাধানে আমনির্ভর তিন জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁর ঐক্যমত প্রয়োজন বলে মত দেন সবাই।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ। সভায় আম পাড়ার সময় নির্ধারণের বিষয়ও আলোচনায় হয়। সিদ্ধান্ত হয়, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও আম পাড়ার কোনো তারিখ ঠিক করা হবে না। সেই সঙ্গে অপরিপক্ক আম না নামানার ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকবে বলেও জানানো হয় সভায়।
এ বিষয়ে চাঁপাইনাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আম পাড়ার কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সভায় আমের ওজন নিয়েও কথা হয়। সেটি ৪০ কেজিতে নির্ধারণ করতে গেলে অবশ্যই আম নির্ভর তিন জেলার সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রোহিঙ্গা বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তারা মারা যান।
তারা হলেন ৫৯ বছরের নুরুল আলম ও তার ছেলে ১২ বছরের আনোয়ার কামাল।
বিকেলে বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।
তিনি জানান, গেল ১২মে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ডি/৪ ব্লকে নুরুল আলমের ঘরে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। তার স্ত্রী চুলায় রান্না বসাতে গেলে চুলার পাইপে আগুন ধরে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। তাতে ঘরে ও আশপাশে থাকা ছয়জন দগ্ধ হন।
তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পাটক্ষেত থেকে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামের পাটক্ষেত থেকে মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহটি একটি বস্তায় পাওয়া যায়।
বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে কৃষকরা পাটক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বস্তায় মরদেহটি দেখে পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে দেখে, মরদেহটির মাথা নেই। খোঁজাখুঁজি করে পাশের আরেক পাটক্ষেতে পাওয়া যায় মাথা।
তিনি আরও জানান, মরদেহটি নারীর বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও তার পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ৮ থেকে ১০ দিন আগে তাকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য