ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে একাধিক জেলায়।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে একই পরিবারের দুজন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে চার জন এবং মানিকগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় তিন জন মারা গেছেন।
সবশেষ পাওয়া গেছে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের ঝড়ের খবরটি।
উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নের গাগুরিয়া গ্রামে বুধবার বিকেলে ঝড়ে বসতঘর ধসে মারা গেছেন এক বৃদ্ধ ও তার পুত্রবধূ।
মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন ৭৫ বছরের রুস্তম আলী হাওলাদার ও তার পুত্রবধূ ৩৫ বছরের জয়নব বিবি।
শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামদু বেপারী জানান, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হঠাৎ করে ঝড় শুরু হলে গাগুরিয়া গ্রামের ১৫ থেকে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়। নিজ ঘরেই চাপা পরেন রুস্তম ও জয়নব। ঝড় থামলে স্থানীয়রা গিয়ে তাদের পল্লী চিকিৎসকের কাছে নেয়। পল্লি চিকিৎসক হুমায়ন কবির তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রামের সন্দীপ চ্যানেলে স্পিডবোট ডুবে ১৪ বছরের কিশোরী নুসরাত জাহানের মৃত্যু হয়েছে।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দীপের মাইটভাঙ্গা ঘাটে যাওয়ার পথে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার পর এ ঘটনা ঘটে বলে নিউজবাংলাকে জানান নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘২০ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি সন্দীপের মাইটভাঙ্গা ঘাটে যাচ্ছিল। ঘাটে পৌঁছানোর একটু আগে কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাস ও প্রবল ঢেউয়ে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। নৌপুলিশ পরে সন্দীপের মগধরা এলাকার নুসরাত জাহানের মরদেহ উদ্ধার করে। ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ আছে এক শিশু।’
রাঙ্গুনিয়ায় ঝড়ের কবলে পড়ে পিকআপভ্যান উল্টে নিহত হয়েছেন ২ শ্রমিক।
উপজেলার চন্দ্রঘোনার সেগুনবাগান এলাকায় বুধবার সকালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ৭০ বছর বয়সী মো. বশির এবং ৪৫ বছরের মো. আমজাদ হোসেন। এই ঘটনায় আহতদের স্থানীয় খ্রিস্টান মিশনারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে চট্টগ্রাম শহর থেকে শ্রমিকদের বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান কাপ্তাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। পিকআপটি রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনায় এলে ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায়। এতে চালকসহ ১২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনার খ্রিস্টান মিশনারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে বশির এবং আমজাদকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের চাপায় ফটিকছড়িতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ঝরঝরি এলাকায় বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. এনামুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মৃত ৪০ বছর বয়সী রিনা আক্তার ওই এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী। বুধবার সকালে বৃষ্টি আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির আঙিনা থেকে গরু আনতে বের হন। এ সময় হঠাৎ ঝড়ো বাতাস শুরু হলে একটি শুকনো গাছ তার ওপর উপড়ে পড়লে আহত হন তিনি। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাসুদ হতাহতের কোনো খবর না পেলেও খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গাছে চাপা পড়ে প্রাণহানি হয়েছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরেও।
উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের মধ্য কেরোয়া এলাকায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে ঝড়ে নারকেলগাছ উপড়ে মারা যান ৬২ বছর বয়সী রুহুল আমিন।
রুহুল আমিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, সকাল পৌনে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে দোকানে যান তার বাবা। ঝড়ো বাতাস শুরু হলে বাড়ির দিকে ফিরতে থাকেন তিনি। বাড়ির কাছে পাঞ্জেগানা মসজিদের সামনে এলে একটি নারকেলগাছ উপড়ে পড়লে এতে চাপা পড়েন তার বাবা। গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইসমত জেরিন বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বুকের ওপর অতিরিক্ত চাপে তার মৃত্যু হয়েছে।’
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
এদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে ঝড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর গাছ উপড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাঙ্গরাবাজার থানার শ্রীকাইল ইউনিয়নের শলফা গ্রামে বুধবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশু মিয়ার বাড়ি বাঙ্গরা থানার খোশঘর গ্রামে। আহতরা হলেন অটোরিকশাচালক সবুজ এবং যাত্রী নার্গিস আক্তার, ফাতেমা বেগম ও হাসান। চালকের বাড়ি পাশের রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সরেরপাড়ে। আহত অন্যদের বাড়ি কোম্পানিগঞ্জ ও নবীনগর এলাকায়।
নিউজবাংলাকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সকাল ৭টার দিকে অটোরিকশায় করে রামচন্দ্রপুর থেকে শ্রীকাইল যাচ্ছিলেন ওই পাঁচজন। এ সময় শলফা এলাকায় পৌঁছালে ঝড়ের মধ্যে একটি গাছ অটোরিকশার ওপর উপড়ে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক শিশু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন ও গুরুতর তিনজনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। আহত অন্যজন সেখানেই ভর্তি আছেন।
বাঙ্গরাবাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। আমাদের ফোর্স সেখানে গেছে। হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত হয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
এ ছাড়া ঝড়ের সময় বজ্রপাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ বছরের ফিরোজা বেগম।
উপজেলার খলশী এলাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখে ভুট্টা আনতে ক্ষেতে যান ফিরোজা বেগম। এ সময় বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যে হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের শিবালয়ে স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু হয়েছে । উক্ত খেলা উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য , জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবির ।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪ টায় শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয় ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: লোকমান হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রহমত আলী লাভলু, সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ,জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ফেরদৌস রহমান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: হোসেন আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো: শহিদুল ইসলাম ।
এছাড়া উপস্থিত ঘিওর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো: রাজা মিয়া মেম্বার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসিফ ইকবাল রনি, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামিনুল ইসলাম মমিন, জেলা যুবদলের সদস্য মোসলেম উদ্দিন,জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়ন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জিহাদ প্রমূখ । সভাপতিত্ব করেন,মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মহিদুর রহমান কাজল ।
প্রধান অতিথি এসএ জিন্নাহ কবির বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এদেশে প্রথম ফুটবল খেলাকে আন্তর্জার্তিক পর্যায়ে নিয়ে যান। তাদের চেষ্টায় সার্ফ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করার সম্ভব হয়। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে যুব সমাজকে খেলার মাঠে আনতে হবে । মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার বিকল্প নাই ।
স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাব আয়োজিত টুর্ণামেন্টে নক-আউট পদ্ধতিতে আটটি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় টাইব্রেকারে মানিকগঞ্জ কৈট্রা ফিউচার ফুটবল একাডেমী ৫-৪ গোলে পাবনার নবযুগ মিলন সমিতিকে হারায়। রেফারি ছিলেন আবুল কালাম।
শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী সীমান্তের বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও একটি একটি বন্যহাতি নিহত হয়েছে। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।
খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।
মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতিটির শুড়ে পোড়া ক্ষতের দাগ রয়েছে। এটির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হবে। এটি একটি মাদি হাতি। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে ফসল না থাকায় হাতির দল বাড়িঘরেও হানা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যেখানে বন্যহাতির দেহটি পড়ে ছিল, সেখানে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না থাকলেও হাতিপাগাড় ক্যাম্পের আশপাশে অনেক বসতি ও বাড়িঘর রয়েছে।
এ নিয়ে চার মাসের কম সময়ের ব্যবধানে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকায় তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করল বনবিভাগ।
এর আগে গত ২০ মার্চ পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগড় এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর গত ২৯ মে দাওধারা পাহাড় থেকে সদ্যোজাত একটি হাতিশাবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘন ঘন হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
নিধারঞ্জন কোচ নামে এক অধিকারকর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে শনিবার নিহত হাতির মরদেহের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আবারো বন্যহাতির মৃত্যু। এর শেষ কোথায়? হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিসনে সরকারি উদ্যোগ কী? ক্ষতিপূরণ প্রদানই কি যথেষ্ট? হাতি-মানুষের সহাবস্থানের পথ খুঁজতে খুঁজতে এশিয়ান হাতি নাই হয়ে যাবে!’
সিলেটের ওসমানীনগরে এনা ও ইউনিক পরিবহনের দুটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুরুয়া বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু মিয়ার (২৬) বাড়ি ফরিদপুর জেলার তারাকান্দা থানায়। তিনি ইউনিক বাসের হেলপার ছিলেন।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউনিকের হেলপার রাজু মিয়ার নিহত হন। বেপরোয়া গতিতে ভুল পাশ থেকে এসে এনা পরিবহনের ওই কোচটি এ দুর্ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিস, ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ এসে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
দুর্ঘটনার পর কুরুয়া বাজারের দুই পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে যানজট নিরসন করে পুলিশ।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, দুই গাড়ির সংঘর্ষ হলে বিকট শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাতে যোগ দেন।
তিনি আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ রাজুর লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বাস দুটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।
সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।
এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।
এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মন্তব্য