রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিক সমিতির প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক ইমাম ইমুর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতে এ নিন্দা জানান সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলতে থাকে। সংঘর্ষের খবর সংগ্রহের সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ১০জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায় সন্ত্রাসীরা। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
আরও বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো সন্ত্রাসীরা দেশ, জাতি ও সরকারের শত্রু। এ ধরনের অপকর্মকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।
তাদের বিবৃতিতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান চবিসাস নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনারও জোর দাবি জানান তারা।
নওগাঁ শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পিত্তথলির পাথর সরাতে গিয়ে ভুল করে নাড়ি কাটায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বজনরা।
মারা যাওয়া ৪৮ বছর বয়সী নারীর নাম মিলি বেগম। বলাকা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে তার অস্ত্রোপচার করেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক আবদুল বারী খন্দকার।
স্বজনরা জানান, এক মাস আগে মিলি বেগমের পিত্তথলিতে পাথর আছে বলে জানান চিকিৎসক। সে পাথর অপসারণে বলাকা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ২০৩ নম্বর শয্যায় সোমবার বিকেলে ভর্তি হন।
ওই দিন সাড়ে ৫টার দিকে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় ভুল করে চিকিৎসক ওই নারীর বেশ কয়েকটি নাড়ি কেটে ফেলেন। এতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসক আবদুল বারী খন্দকার পালিয়ে যান।
মিলি বেগমের ছোট ছেলে তায়েব হাসান বলেন, ‘অপারেশনের পর বেডে নেয়ার ৫০ মিনিটের মধ্যে মা মারা যান। ওরা ভুল করে পেটের নাড়ি কেটে মাকে মেরে ফেলেছে।
ভাতিজা আশফাকুর রহমান বলেন, ‘ওই ক্লিনিকে এর আগেও অনেক মানুষকে ভুল অপারেশনে মরতে দেখেছি। এরপরেও ক্লিনিক বন্ধ হচ্ছে না।’
বড় ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, ‘মাকে দাফনের পর আমরা শোকে কাতর। এটা হত্যাকাণ্ড। ডা. বারী এবং ক্লিনিক মালিক এনামুলের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা করব। মোটা অংকের টাকায় সমঝোতার লোভ দেখিয়েছিল। আমার মায়ের মতো আর কোনো মা যেন ভুল অপারেশনে মারা না যান, সে জন্য আমরা লড়াই করে যাব।’
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল বারী খন্দকার বলেন, ‘অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগে রোগীর সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। অপারেশন শুরুর পর সব প্রক্রিয়া ডিসপ্লেতে দেখানো হয়। এরপর তাকে শয্যায় নেয়া হলে সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ভুল অপারেশনে মৃত্যুর অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলাকা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘মিলি বেগমের অপারেশন অভিজ্ঞ সার্জন দিয়েই করানো হয়। সেটা ঠিক না ভুল আমি বলতে পারব না। রোগীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল। মৃত্যুর পর সমঝোতার চেষ্টার অভিযোগটি সঠিক নয়।’
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘বলাকা ক্লিনিকে রাতে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নওগাঁর সিভিল সার্জন আবু হেনা রায়হানুজ্জামান সরকার বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখব।’
আরও পড়ুন:নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মূল দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বুধবার দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
র্যাবপ্রধান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারি ও বিরোধী দল থাকে এবং নির্ধারিত সময় শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমাদের মূল দায়িত্ব হবে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়।’
র্যাবপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। র্যাব সাতটি বাহিনী নিয়ে কাজ করে এবং কিছু এজেন্ডা রয়েছে। মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর যে জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে, এটা আমাদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ দেশ আমাদের, এ দেশের মানুষ আমাদের।’
এর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা জানান র্যাব মহাপরিচালক। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এরপর বঙ্গবন্ধুর ভবনে রক্ষিত মন্তব্য বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ, সংশয়ের কথা তুলে ধরেন। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা। তাদের কেউ কেউ সংশয় জানান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়েও।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল তার বক্তব্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন আচরণবিধি মেনে চলার ওপর। জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আহ্বানও জানান তিনি। আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনাও দেন।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রার্থীদের মেনে চলতে হবে। কারও বিরুদ্ধে গুরুতর আচরণবিধি ভঙ্গ করার প্রমাণ পেলে প্রার্থিতা বাতিল করতে বিন্দুমাত্র দেরি করব না।’
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভিএমটা পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড চ্যাপ্টার। অসংখ্য নির্বাচন হয়েছে ইভিএমে। ইভিএমে তারপরও যদি সন্দেহ, সংশয় থাকে, তাহলে বিষয়টা আদালতে নিয়ে যান। আমাদের কাছে এই জিনিসটা আর করবেন না। কারণ আমরা এই বিষয়ে আর শুনতে চাই না।
‘আমরা এর ভিতরে কোনো অনিয়ম, ম্যানিপুলেশান, ভূত-পেত্নী বা কোনো কিছুই দেখতে পাইনি এই পর্যন্ত…এর মধ্যে যদি আমরা ভূত বা পেত্নী দেখতে পেতাম, তাহলে আমরাও অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। আমরা অসৎ নই। আমরাও সততায় বিশ্বাস করি।’
নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কিন্তু কারও প্রতিনিধিত্ব করে না। সরকারি প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরা নিরপেক্ষ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
‘সরকার নির্বাচিত হয়। আপনারা যারা স্থানীয় সরকারে আছেন আপনারাও নির্বাচিত হবেন। আমরা কোনো সরকারের প্রতিনিধি নই। আমরা একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা। আমাদের ওপর যে দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে, আমরা নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচকমণ্ডলী যারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যাতে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্বই আমাদের জন্য প্রধান।
‘গণতন্ত্রের কথা যদি বলেন, নির্বাচনের যদি কথা বলেন, আমরা সবসময় অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রকে যদি বিকশিত করতে হয়, গণতন্ত্রকে যদি চর্চা করতে হয় এবং গণতন্ত্রকে যদি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হয়, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে একসময় একটা সুস্থ ধারা দাঁড়িয়ে যাবে।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার উৎকণ্ঠা, আমার প্রত্যাশা একটাই, ভোটের দিন ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন, নির্ভয়ে আসবেন, নির্বিঘ্নে আসবেন। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সেখানে কেউ বাধা প্রদান করতে পারবেন না। সেখানে যদি কোনো অনিয়ম হয়, আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতায় কোনো চাপ অনুভব করছে না নির্বাচন কমিশন। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনগুলো এগিয়ে নেয়া।
‘আমরা সেই কাজ করছি। এগুলো যদি কোনো বিষয় হয়ে থাকে সরকারের জন্য বিষয় হতে পারে, আমাদের জন্য নয়।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর সুবল-আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থদের মধ্যে চারজন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বুধবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ছিল। ওই সময় বিভিন্ন কক্ষের শিক্ষার্থীরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তাদেরকে দ্রুত দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, চারজন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যরাও ভয় ও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবাইকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী সুমনসহ অনেকে।
মঙ্গলবার একই স্কুলের শিক্ষার্থী হাবিবা অসুস্থ হয়ে মারা যায়। তার চোখ মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। যে কারণে অনেকেই ধারণা করেছেন হিট স্ট্রোকে হাবিবার মৃত্যু হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, ময়নাতদন্তের পর হাবিবার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন:খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়ায় নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) প্রত্যাহার দাবিতে পূর্বঘোষিত মানববন্ধন স্থগিত করেছেন সাংবাদিকরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের মুক্তির মোড়ে কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন করার কথা ছিল সাংবাদিকদের, তবে নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের আশ্বাস দেয়ায় মানববন্ধন স্থগিত করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ, ‘সরকারি স্বার্থ’ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশে বাধা সৃষ্টি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ডিসি খালিদ মেহেদী হাসানের প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছিল সম্মিলিত সাংবাদিক সংগ্রাম কমিটি, নওগাঁ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্মিলিত সাংবাদিক সংগ্রাম কমিটি নওগাঁর আহ্বায়ক কায়েস উদ্দিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবকে অবজ্ঞা করে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করছেন। তার খামখেয়ালি আচরণে সরকারি স্বার্থ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশে ব্যাঘাত হচ্ছে। এতে সরকার ও নওগাঁবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় জেলার সকল সাংবাদিকের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
‘জেলার একাধিক পেশাজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও তিনি এমন আচরণ করছেন। তার কর্মকাণ্ডে জেলাবাসী ক্ষুব্ধ। সমন্বয়হীনতায় তিনি জেলা প্রশাসন চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাকে (খালিদ মেহেদী হাসান) প্রত্যাহারে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছিল। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের আশ্বাস দেয়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী যেহেতু উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন, সে কারণে আমরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি সমস্যাটির সঠিক সুরাহা হবে। আর যদি সমাধান না হয়, তবে আগামীতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:দিনাজপুর সদরে দম্পতির ঝগড়া মীমাংসা করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আবদুস সোবহান (৪২) নামের এক ব্যক্তি।
এ ঘটনায় হত্যাকারী নূর মোহাম্মদকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুনের ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে নূর মোহাম্মদকে আটক করা হয়।
খুন হওয়া আবদুস সোবহান আস্করপুর ইউনিয়নের সুন্দরা মাঝাপাড়া এলাকার আমিনুদ্দিন ইসলামের ছেলে। নূর মোহাম্মদ কুড়িগ্রাম জেলার প্রয়াত আবদুল গণির ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নূর মোহাম্মদ সুন্দরা মাঝাপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। এক বছর আগে স্ত্রীকে নিয়ে মুকুন্দপুর গ্রামে গিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকত তার।
মঙ্গলবার নূর মোহাম্মদের শ্বশুর জয়নাল আবেদীন ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোতাহারের পাশাপাশি শাহাজান, হামিদুলকে নিয়ে তাদের বিবাদ মীমাংসা করার জন্য। একপর্যায়ে নূর মোহাম্মদকে বাড়ি থেকে ডাকার জন্য সোবহানকে পাঠানো হয়। তিনি বাড়িতে ডাকতে গেলে নূর মোহাম্মদ দা দিয়ে সোবহানের ঘাড়ের ওপর কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আবদুস সোবহান।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, নুর মোহাম্মদকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন:প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার নামের নামাজ আদায় করেছেন ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার চার শতাধিক মুসল্লি।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শরিফবাগ কামিল মাদ্রসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে নামাজ হয়। বিশেষ এ নামাজে ৪ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।
নামাজের আগে সব নিয়মকানুন শিখিয়ে দেন শরিফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মোহাম্মদ ফাইজুল আমীন সরকার। পরে নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন তিনি।
নামাজ পড়তে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. আশরাফুল বলেন, ‘গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি।
‘যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রথমেই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি। এ নামাজ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে সেই কাজ করা হলো। সৃষ্টিকর্তা রহমত বর্ষণ করবেন বলে আশা করছি।’
প্রিন্সিপাল ড. মোহাম্মদ ফাইজুল আমীন সরকার বলেন, ‘ধামরাইয়ের কয়েকটি গ্রাম একত্রিত হয়ে আজ সালাতুল ইসতিসকার অর্থাৎ বৃষ্টির জন্য আমরা সালাত আদায় করেছি। আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, ভিক্ষা চেয়েছি তিনি যেন আমাদের সকলের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে আমাদের মাঝে বৃষ্টি প্রদান করেন।
‘এই প্রার্থনাই আমরা আল্লাহর দরবারে করেছি এবং সারা দেশবাসী বৃষ্টি জন্য যে কষ্ট করছেন, সেটি যেন বৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ লাঘব করে দেন, এই দোয়া করেছি। ইনশাল্লাহ আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করে বৃষ্টি দিয়ে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দেবেন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য