সোমবার মধ্যরাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সে রেশে রাতভর উত্তেজনা ছিল রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায়।
মঙ্গলবার সকাল ছিল একেবারে থমথমে। এরপর আবারও পথে নেমে আসেন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রড ও লাঠি-সোটা হাতে দল বেঁধে নিউ মার্কেট এলাকায় আসতে থাকেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। শুরু হয় ভাঙচুর। হাতে লাঠি-সোটা নিয়ে বেরিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরাও। বেঁধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। দুপুর হলেও সে সংঘর্ষ চলছেই।
নিউমার্কেট এলাকার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নিউজবাংলা টোয়েন্টফোরের লাইভ আপডেট।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ৬৮ কোটি ডলারের বেশি কিনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ মঙ্গলবার ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ৪৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকেই ডলার কিনছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ডলার কেনা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এক ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কেনে। ১৩ জুলাই ১৮ ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়। এরপর ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া- দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অভিজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগের মাধ্যমে একটি ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করা এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।
তিনি বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতায় বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও দেশে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি, বিনিয়োগ ও মেধাস্বত্ত্ববিষয়ক বিরোধ ক্রমাগত বাড়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থার আলোকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতি আনতে একটি আলাদা কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপন এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ব্যবসায় বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তি প্রয়োগ কার্যক্রমের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ও ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, জনবহুল এদেশে আদালতে মামলার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টিকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে। যার ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে আরবিট্রেশন আইন করা হলেও, বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যায়নি। বাণিজ্য বিষয়ক বিরোধসমূহ যদি প্রথাগত আদলতের বাইরে গিয়ে মেটানো যায়, তাহলে একদিকে যেমন আদলতের উপর চাপ কমবে, সেই সঙ্গে বাণিজ্যের পরিবেশেরও উন্নয়ন হবে।
তিনি আরও বলেন, কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এটার খসড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বাণিজ্যবিষয়ক আদালতসমূহে বিশেষজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংষ্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় সংস্কারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউ নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এ ধরনের সংস্কার দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম খান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শুধু যে এফডিআই আকর্ষন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়। বরং বিষয়টি আমাদের রপ্তানি সম্প্রসারণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং সার্বিকভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিকট ব্যবসায়িক চুক্তির প্রয়োগের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, যেখানে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আরিফুল হক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর উপ আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দা রত্নে, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এ এম মাজেদুর রহমান, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রাজাহ অ্যান্ড থান-এর কো-হেড ভিকনা রাজা, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের স্পেশাল অফিসার বিচারপতি তারেক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড এসোসিয়েটস-এর পার্টনার ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন অংশগ্রহণ করেন।
মুক্ত আলোনায় ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সরকারের আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের বেশ অভাব রয়েছে এবং এ অবস্থার উন্নয়ন না হলে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। বাণিজ্যিক বিরোধগুলো সমাধানে আদালতে না গিয়ে, আরবিট্রেশন সেন্টারের মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতের স্টেকহোল্ডাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে ৩ টাকা। নতুন মূল্য অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৭০ টাকা, যা গত মাসে ছিল ১ হাজার ২৭৩ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন। নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে ।
এছাড়া, গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও লিটারে ১৩ পয়সা কমিয়ে ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি খাতে ভ্যাটসহ প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০৫ টাকা ৮৭ পয়সা। সেখান থেকে বিভিন্ন ওজনের সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারিত হবে।
তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহকৃত সাড়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সৌদি আরামকোর প্রপেন ও বিউটেনের আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এ দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এই মূল্য নির্ধারণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে টমেটো আমদানি শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামের বড় বাজারের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভারত থেকে টমেটো বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে টমেটো আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন ২৮ টন টমেটো আমদানি করা হয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো আমদানি করতে শুল্কসহ খরচ গুণতে হচ্ছে ৬১ টাকা।
আমদানিকারক এনামুল হক বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করা হচ্ছে। বন্দরে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা থাকলে আরও বেশি পরিমাণ টমেটো আমদানি করা হবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার হিলি বন্দর দিয়ে এক ট্রাকে ২৮ টন টমেটো আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব টমেটো ৫০০ ডলারে শুল্কায়ণ করা হচ্ছে। যেহেতু টমেটো কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের তথ্যমতে, গত ২০২২ সালের ৬ আগস্ট সবশেষ এই বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি করা হয়েছিল।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজতে থাকায় মঙ্গলবার প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ ডলারের উপরে পৌঁছেছে।
এশিয়ায় প্রাথমিক লেনদেনের সময় মূল্যবান ধাতুটি প্রতি আউন্স ৩,৫০১ দশমিক ৫৯ ডলারে পৌঁছেছে, যা এপ্রিলে এর আগের রেকর্ড ৩,৫০০ দশমিক ১০ ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে।
হংকং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বিনিয়োগকারীরা দুর্বল মার্কিন ডলার ও ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নেওয়ায় সোনার দামের এই দরপতন ঘটেছে।
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির একটি মূল্য সূচক দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট রেকর্ড সর্বোচ্চ থেকে পিছিয়ে এসেছে। একই সময়ে, ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
শ্রম দিবসের জন্য সোমবার ওয়াল স্ট্রিট বন্ধ ছিল, তখন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ডলার মিশ্র লেনদেন করেছে।
বন্ধকী জালিয়াতির অভিযোগে ফেডের গভর্নরকে তিরস্কার করার পর ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক পদত্যাগ না করলে, তিনি তাকে বরখাস্ত করবেন।
মার্কিন আপিল আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক শুল্ক, যা বিশ্ব বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সেগুলো অবৈধ বলে রায় দেওয়ার পরও এই রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে।
তবে আদালত আপাতত এই ব্যবস্থাগুলো বহাল রাখার অনুমতি দেওয়ায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করার জন্য সময় পেয়েছেন।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কমিউনিটি ব্যাংকের স্টার্টআপ রিফাইন্যান্স স্কিমের অধীনে অংশীদারত্বমূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখার উপস্থিতিতে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এসএমইএসপিডি বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত পারস্পরিক অংশীদারত্বমূলক এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে- বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক হাফিয়া তাজরিয়ান, যুগ্ম পরিচালক মো. নুরুল কাওসার সাঈফ এবং কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম, হেড অব এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার শরিফ হাসান মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে দেশের রপ্তানি আয় ১০.৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আজ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয় ছিল ৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
তবে, সামগ্রিক এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পরও ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
২০২৫ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের আগস্টে অর্জিত ৪ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে সামান্য কম।
স্বাভাবিকভাবেই তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
মন্তব্য