সোমবার মধ্যরাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সে রেশে রাতভর উত্তেজনা ছিল রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায়।
মঙ্গলবার সকাল ছিল একেবারে থমথমে। এরপর আবারও পথে নেমে আসেন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রড ও লাঠি-সোটা হাতে দল বেঁধে নিউ মার্কেট এলাকায় আসতে থাকেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। শুরু হয় ভাঙচুর। হাতে লাঠি-সোটা নিয়ে বেরিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরাও। বেঁধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। দুপুর হলেও সে সংঘর্ষ চলছেই।
নিউমার্কেট এলাকার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নিউজবাংলা টোয়েন্টফোরের লাইভ আপডেট।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন ফারুক আহমেদ।
ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৬তম সভায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফারুক আহমেদ ২৭ এপ্রিল থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ফারুক আহমেদের উন্নয়ন খাতে রয়েছে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা।
তিনি এক সময় ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন এবং ঢাকায় বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেনেভাভিত্তিক গ্যাভি, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (এঅঠও)-এর বোর্ড সদস্য ছিলেন, এছাড়া তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ফারুক আহমেদ সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) এন্টারপ্রাইজের পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ওয়ার্কিং গ্রুপেরও একজন সদস্য।
ফারুক আহমেদ ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে আরডিআরএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আরডিআরএস বিশ্বাস করে, ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে সংস্থাটি দেশজুড়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে এবং এ সম্পর্কিত কার্যক্রমকে বেগবান করতে সক্ষম হবে। প্রেস রিলিজ
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
দেশের বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে স্বর্ণের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হবে।
বাজুস এর আগে চলতি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ভালো মানের স্বর্ণের ভরিতে ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। মাঝে ২০ এপ্রিল ভরিতে ৮৪০ টাকা দাম কমানোর পরদিন ২১ এপ্রিল আবার ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।
এবার শুরু হয় দাম কমানোর পালা। সবশেষ দাম বাড়ানোর দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে তিন হাজার ১৩৮ টাকা ও ২৪ এপ্রিল দু’হাজার ৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। আর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টানা তিন দিনে স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।
সোনার দামে এমন উত্থান-পতনের কারণ জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নতুন পদ্ধতি বা পলিসি অনুসরণ করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করি। সেটি হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল পলিসি।
‘এতদিন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করতাম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে যখন স্বর্ণের দাম কমত তখন আমরা কমাতাম। আর যখন বাড়ত তখন বাড়াতাম।’
তিরি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের স্বর্ণের সবচেয়ে বড় বাজার তাঁতীবাজারের বুলিয়ান মার্কেট ফলো করে দর নির্ধারণ করি। এই বাজারে স্বর্ণের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় উঠা-নামা করে। সেটা অনুসরণ করে আমরা নতুন দর নির্ধারণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে দিনে দু’বারও গোল্ডের দাম বাড়ানো-কমানো হতে পারে।’
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে।
ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৫ জুন ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৬ মে।
সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সঙ্গে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সমগ্র বিশ্ব যখন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
যদিও একটি শ্রেণি বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে বরাবরই সক্রিয় ছিল। তবে দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে বিনিয়োগকারীদের অর্থের সুরক্ষা দিতে বারবার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেননি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এ পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজারকে স্থিতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে গতকাল ফ্লোর প্রাইসমুক্ত সব শেয়ারে একদিনের দর কমার নিম্নসীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৩ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সময়োপযোগী এমন পদক্ষেপ বাজারকে আবারও টেনে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেহভাজন বেশকিছু লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে বাজারে। এতে বিশেষ একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে। কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও এতে জড়িত রয়েছে। বাজারে অবাঞ্ছিত বিক্রির আদেশ দিয়ে তারা অস্থিরতা তৈরি করছে। তাছাড়া বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে বাজারে একটা শ্রেণি স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে বাজার কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু ট্রেডার নিজেদের মধ্যে যোগশাজসের মাধ্যমে প্রথমে কম দরে শেয়ার বিক্রি করত। পরে তাদের দেখাদেখি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করত তখন তারা আবার কম দরে শেয়ারগুলো কিনে নিত। এভাবে তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার লেনদেন করে প্যানিক সৃষ্টির মাধ্যমে ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমাত। এই কাজে তাদের বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও সহযোগিতা করত।’
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ারের দর কমার কথা নয়। গুটি কয়েক অসাধু ট্রেডারের কারসাজিতে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু বিনিয়োগকারী চাচ্ছেন বর্তমান কমিশন বিদায় হয়ে নতুন কেউ দায়িত্বে আসুক, যাতে তারা নতুন করে আরও সুযোগ নিতে পারেন। তারাই বিভিন্ন দুর্বল শেয়ারে কারসাজি করে সুবিধা নিচ্ছেন।
‘ফোর্সড সেলের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার তারা কম দরে কিনে নিচ্ছেন। কমিশনের উচিত হবে কারসাজিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, যাতে তারা বারবার বাজারকে ম্যানিপুলেট করার সাহস না পায়।’
এদিকে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
ওই আদেশে বলা হয়, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। বর্তমানে দরভেদে কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।
দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর করতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের এই সার্কিট ব্রেকার আরোপ বাজারে কারসাজি রোধ করবে। এটি সন্দেহভাজন লেনদেন বন্ধ করবে। আর এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো শেয়ার বর্তমানে আন্ডারভ্যালুতে আছে। এখানে তারা বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
সার্কিট ব্রেকার বাজারের দরপতন ফেরাতে ব্যর্থ হলে আবারও ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশা করছি, আমাদের বাজারে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস দিতে হবে না। শিগগিরই বাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরবে।’
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ারের দরপতনের গতি কমিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগের দিনের শেষ হওয়া দরের ভিত্তিতে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না।
শেয়ারের দাম কমার ক্ষেত্রে আগে মূল্যসীমা ছিল ১০ শতাংশ। তবে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, যেসব শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের আওতায় আছে সেসব শেয়ারের ক্ষেত্রে নতুন আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বাজার সূচকের অবাধ পতন ঠেকাতে এর আগে ২০২২ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।
বর্তমানে বেক্সিমকো, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানির ক্ষেত্রে ওই ফ্লোর প্রাইস কার্যকর রয়েছে।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম একদিনের ব্যবধানে আরেক দফা কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে দু’হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বলা হয়েছে,
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।
বাজুস এর আগের দিন মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।
নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৯৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ হাজার ৭১৪ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।
অবশ্য স্বর্ণালঙ্কার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৮ টাকা।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার ভরি ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
বাংলাদেশের বাজারে গত বছর প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ নিয়ে আসে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী ও এক্সিকিউটিভদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এ ল্যাপটপ।
দেখে নেওয়া যাক কী আছে ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস ল্যাপটপটিতে। এর ফিচার, পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন।
ডিজাইন ও গঠন
স্লিক ও হালকা ডিজাইনের ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যস্ত এক্সিকিউটিভদের জন্য এ ল্যাপটপ যথার্থ। এর পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক মেটালিক ডিজাইন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। স্লিক প্রোফাইল ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত সরু বেজেল ল্যাপটপটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাজারের একই ধরনের দামি ল্যাপটপের সমকক্ষ হয়ে ওঠে ওয়াইটু প্লাস।
তা ছাড়া এর মসৃণ এজি গ্লাস টাচ প্যানেলের কারণে সিল্কি-স্মুথ ও স্থায়ী টাচের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ১.৫ মিলিমিটার কি ট্র্যাভেল এবং ব্যাকলাইটিংযুক্ত রেসপনসিভ কি-বোর্ড টাইপিংকে করে তোলে সহজ ও আরামদায়ক। তাই কম আলোতেও টাইপ করতে কোনো সমস্যা হয় না।
পারফরম্যান্স ও প্রোডাক্টিভিটি
১১তম প্রজন্মের কোর আই৫ প্রসেসর ও ৮ জিবি র্যাম রয়েছে ইনফিনিক্স ওয়াইটু প্লাসে। স্টোরেজের প্রয়োজন মেটাতে এতে আছে ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই এসএসডি। প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজ করা কিংবা কনটেন্ট স্ট্রিম করাসহ সব ধরনের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় খুব সহজেই। এর ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস সাধারণ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এডিটিংয়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রাফিকস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের অপারেটিং সিস্টেম সবার পরিচিত ও ব্যবহার করা সহজ।
ডিসপ্লে ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা
উজ্জ্বল রং ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেয় ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লেযুক্ত ইনবুক ওয়াইটু প্লাস। ৮৫ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিওর সঙ্গে চমৎকার মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতার জন্য ডিসপ্লেটি দারুণ। কাজেই আপনার প্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ দেখা কিংবা ফটো এডিট করা— সবই হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।
ল্যাপটপটিতে আছে ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ও এআই নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তিযুক্ত ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি+ ক্যামেরা। এর ফলে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত।
ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং
ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের ৫০ ওয়াট-আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কোনো চার্জ ছাড়াই প্রতিদিনের কাজে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর ৪৫ ওয়াট টাইপ-সি পোর্টযুক্ত চার্জারে ডিভাইসটি দ্রুত ও সহজেই চার্জ করা যায়। ফলে ভারী চার্জার বহনের প্রয়োজন হয় না।
দাম
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তদন্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দু'পক্ষকে আলাদা রাখা গেলে হয়তো প্রাণহানি এড়ানো যেত: শিক্ষামন্ত্রী
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মো. নাহিদ। তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় ৩ শতাধিক ছাত্র অবস্থান করেছেন। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রধান গেট খুলে রাস্তায় নেমেছেন। তারা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আবারও রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তারা আবারও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভার ব্রিজের নিচে ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
ইফতারের পর সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট রোডে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৫টার পর থেকে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। ছাত্র ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই সড়ক থেকে সরে যায়।
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একমুখী আচরণের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের উপরই শুধু কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের পক্ষে নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করেছে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। তারা ছাত্রদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ার প্রতিবাদ জানান।
সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি ভ্যানগাড়ি।
ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তা পথচারীদের জন্য পুলিশ খুলে দিয়েছিল। তবে দুই পক্ষ কিছু সময় শান্ত থাকার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা। বিষয়টির সুরাহা করতে অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
কলেজ ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন।
নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত পথচারীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে দোকান খুলতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা নিউ মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ড. দেওয়ান শাহীন।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুলিশ চন্দিমা সুপার মার্কেটের সামনে ও তার আশাপাশ থেকে ঢাকা কলেজের গেইট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে।
সেগুলোতে পড়ে থাকা ইট পাথর নিয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরে যেতে না চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোাগান দিতে থাকেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকা কলেজে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও গিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনে থেকে কর্মচারীদের সরিয়ে দিলে পুলিশের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারপরও কর্মচারীরা না সরে পুলিশের সামনে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। এ সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে গুলতি দিয়ে মার্বেল ছুড়ছেন নিউ মার্কেট এলাকার এক কর্মচারী (লাল হেলমেট পরা)।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
ঢাকা কলেজের ছাত্র ও নিউম মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় ২৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা পুলিশের কথা মানছেন না। পুলিশের সামনে গিয়েই তারা ছাত্রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘটনাস্থলে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। টেকনিক্যাল কারণেই পুলিশ ছাত্রদের প্রতি সফট আচরণ করছে। এখানে গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখামুখি হতে হবে।’
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছেন।
পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল বলেন, ‘গতকাল রাতেও পুলিশ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের দিকে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারশেল মেরেছে। আজকেও তারা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মারছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে টিয়ারশেল মারতেছে।’
পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কর্মচারীদের ইট পাটকেলের জবাবে ছাত্ররা ঢাকা কলেজের ভেতর থেকে, ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের একটি ভ্যানগাড়ি উল্টে দিয়ে আগুন দিয়েছেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এগোচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিউ মার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরাও ইট পাটকেল ছুড়ছেন।
ঢাকা কলেজের ভেতরে ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডও ছুড়েছে পুলিশ।
অ্যাকশনে পুলিশ। চদ্রিমা সুপার মার্কেটে ছাত্ররা পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশ্বাস দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অবশ্য ঈদবাজারের এই সময় নিউমার্কেটকেন্দ্রীক ২০টি মাকের্টে অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন হেলাল উদ্দিন।
সংঘর্ষ থামাতে এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছেন।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শতাধিক সহপাঠী আহত হয়েছেন।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকা কলেজের দিকে এগুলেও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের কর্মচারীরা পুলিশের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ কর্মচারীদের পিছনে অবস্থান করছে।
আহত সহকর্মীকে আঘাতের প্রতিশোধ নিতে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তবে তাদের পথ অবরুদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই লোহার রড নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগুতে থাকেন তারা।
পরিকল্পনা করে সংঘর্ষ থামাতে চাইছে পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ বৈঠকে বসেছে। রমনা ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অ্যাকশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পেলেই তারা অ্যাকশনে যাবেন বলে বলছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বেলা পৌনে ১টায় জলকামান ও টিয়ারশ্যায়ার গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর তারা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাজকের লোহার বেষ্টনি ভেঙে লোহার রড সংগ্রহ করে হামলায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক জানান, ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটের দোকান খুলতে ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে মার্কেটে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে ময়লা ফেলে রাখে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।
মন্তব্য