× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Domestic airlines under pressure from rising oil prices
google_news print-icon

তেলের বাড়তি দরে চাপে দেশি এয়ারলাইনস

তেলের-বাড়তি-দরে-চাপে-দেশি-এয়ারলাইনস
তিন-চার বছরে উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে ১০০ শতাংশের বেশি। ফাইল ছবি
এয়ারলাইনসগুলো বলছে, তেলের দাম বাড়ার কারণে তাদের পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। ভাড়া বাড়িয়ে তা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে আরেক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। এর কারণ, ভাড়া বাড়ার সঙ্গে ক্রমেই কমছে আকাশপথে যাত্রী।

বিশ্বে করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৮-১৯ সালের দিকে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরের ফ্লাইটে জনপ্রতি ভাড়া ছিল সর্বনিম্ন ২ হাজার ৭০০ টাকা। এই তিন-চার বছরে এই ভাড়া এখন ৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে আকাশপথে এই রুটটিতে ভাড়া হয়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ।

এয়ারলাইনসগুলো বলছে, এই সময়ে উড়োজাহাজের জ্বালানি এভিয়েশন ফুয়েল বা জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে ১০০ শতাংশের বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যেখানে এক লিটার জেট ফুয়েল কিনতে এয়ারলাইনসগুলোকে খরচ করতে হতো ৪০ টাকা, সেখানে এখন গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা।

একটি ফ্লাইটের পরিচালনা ব্যয়ের অন্তত ৪০ শতাংশ নির্ভর করে জেট ফুয়েলের দামের ওপর। তাই জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে সরাসরি প্রভাব পড়ে ভাড়ায়।

জ্বালানির বাড়তি মূল্য সমন্বয় করতে ধাপে ধাপে বেড়েছে টিকিটের দাম। কোভিড-পূর্ববর্তী সময়ে প্রতি বছর প্রায় ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল আকাশপথের যাত্রীসংখ্যা।

এয়ারলাইনসগুলো বলছে, তারা ভাড়া বাড়ানোর পর উল্টো ক্ষতি হয়েছে। এর কারণ, ভাড়া বাড়ার সঙ্গে ক্রমেই কমছে আকাশপথে যাত্রী।

জেট ফুয়েলের দাম যেভাবে বাড়ছে

জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েলের তথ্য বলছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের জন্য জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৫৫ টাকা, মার্চে তা বেড়ে হয় ৬০ টাকা। এপ্রিলে তা ছিল ৬১ টাকা।

মে মাসে এক টাকা কমে দাম। এরপর আবার দাম বাড়ে। জুনে তা হয় ৬৩ টাকা, জুলাইয়ে ৬৬, আগস্টে ৬৭, অক্টোবরে ৭০, নভেম্বরে ৭৭ টাকায় পৌঁছে দাম।

এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ২ টাকা করে কমলেও ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ৭ টাকা করে বেড়ে হয় ৮৭ টাকা। এপ্রিলে বাড়ানো হয় ১৩ টাকা। এখন প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্যও বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম। এখন থেকে প্রতি লিটার জেট ফুয়েল কিনতে হবে ১ দশমিক শূন্য ২ ডলার বা ৮৮ টাকায়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৫০ সেন্ট (৪২ টাকা), মার্চে ৫৫ সেন্ট (৪৬ দশমিক ৭৫ টাকা), মে মাসে ৫৬ সেন্ট (৪৭ দশমিক ৬ টাকা), জুনে ৫৯ সেন্ট (৫০ দশমিক ১৬ টাকা), জুলাইয়ে ৬২ সেন্ট (৫২ দশমিক ৭ টাকা), আগস্টে ৬৩ সেন্ট (৫৩ দশমিক ৫৫ টাকা), অক্টোবরে ৬৫ সেন্ট (৫৫ দশমিক ২৫ টাকা) এবং নভেম্বরে ৭৩ সেন্ট (৬২ দশমিক ০৫ টাকা)।

এ বছরের জানুয়ারিতে পদ্মা অয়েল প্রতি লিটার জেট ফুয়েল ৬৭ সেন্ট বা ৫৭ টাকায় সরবরাহ করেছে এয়ারলাইনসগুলোকে। আর ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭৫ সেন্ট বা ৬৪ টাকা।

যাত্রী কমে অর্ধেক

দেশি এয়ারলাইনসগুলোর সংগঠন এভিয়েশন অপারেটস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তেলের দাম বাড়লেই ভাড়া বাড়ে আর ভাড়া বাড়লেই যাত্রী কমে যায়। এটা আমরা এখনই বুঝতে পারছি। কারণ তেলের দাম সমন্বয় করতে গিয়ে আমাদের ভাড়া বাড়াতে হয়েছে। যাত্রী এরই মধ্যে অর্ধেকের মতো কমে গেছে। প্রভাব এরই মধ্যে ফেলেছে এবং আরও ফেলবে।’

পরিস্থিতি এখন শাঁখের করাতের মতো। কাটছে দুই দিকেই। এর সমাধান কীভাবে হবে, সেটি জানা নেই মফিজুরের।

এর আগে ২০০৮-০৯ সালে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দায় জেট ফুয়েলের দাম লিটারপ্রতি এক ডলার ছাড়িয়ে যায়। সে বছর দেশের আকাশে পাখা মেলে দুটি বেসরকারি এয়ারলাইনস বেস্ট এয়ার এবং এভিয়ানা এয়ারওয়েজ। জেট ফুয়েলের বাড়তি দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে না পেরে খুব কম সময়ের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় এয়ারলাইনস দুটো।

সে সময় জেট ফুয়েলের দাম উঠেছিল ১ দশমিক শূন্য ৭ ডলারে। এত বছর পর আবারও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে দেশি এয়ারলাইনসগুলো।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেট ফুয়েলের দামের সরাসরি একটি প্রভাব পড়বে। এখন ঈদের সময় দেখে বিষয়টি অতটা বোঝা যাচ্ছে না। এর কারণ ঈদের সময় এমনিতেই একটি বাড়তি চাপ থাকে। স্বাভাবিক সময়ে বা দীর্ঘমেয়াদে এটার প্রভাব বোঝা যাবে। যাত্রী প্রবৃদ্ধির ওপর এর সরাসরি একটি প্রভাব পড়ার কথা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর জন্যও কিন্তু জ্বালানিতে বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে। এটি যদি চলমান থাকে তাহলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে আমাদের যে প্রতিযোগিতা, তাতে আমরা পিছিয়ে যাব। আমাদের যে বাজার আমরা এতদিন ধরে তৈরি করেছি, সেটি আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।’

গত ২৫ বছরে দেশে ১০টি বেসরকারি এয়ারলাইনস যাত্রা শুরু করলেও এখন টিকে আছে কেবল দুটি। এ সময়ের মধ্যে একে একে পাখা গুটিয়েছে অ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবত, রয়্যাল বেঙ্গল, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইনস, বেস্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ার।

করোনার মধ্যে ২০২০-এর মার্চ থেকে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে রিজেন্ট এয়ার। কয়েক দফা চালুর কথা বললেও আর ফ্লাইটে ফেরেনি তারা। বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে জিএমজি, রিজেন্ট ও ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও চালাত।

দেশে বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়া ফ্লাইটে রয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার।

তেলের দাম ইস্যুতে দেশি এয়ারলাইসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মত এভিয়েশেন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলমের। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটি ফ্লাইটের অপারেটিং কস্টের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশই জ্বালানি খরচ। এই জায়গায় যদি তারতম্য হয়, তাহলে তো স্বাভাবিকভাবেই ভাড়া বাড়বে। এটা একটা চেইন রিঅ্যাকশনের মতো। যখন এয়ারলাইনসের ওপর চাপ পড়বে, সে সেটা যাত্রীদের কাছ থেকেই আদায় করবে।

‘ভাড়া বাড়লে দেখা যাবে কিছু যাত্রী হয়তো সেটা মেনে নেবে। কিন্তু অনেক যাত্রী আবার সেটার সঙ্গে সমন্বয় করতে পারবে না। এখন আকাশপথে ভ্রমণের যে কমফোর্ট, সেটা অনেকেই বুঝে গেছে। কিন্তু যখন সাধ্যের বাইরে চলে যাবে, তখন তো আর এফোর্ট করতে পারবে না।

‘এতে যাত্রীর লোড যেটা আছে, সেটা ড্রপ করবে। এতে শেষ পর্যন্ত এয়ারলাইনসগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

জ্বালানির দাম বাড়লেও এখনই ভাড়া না বাড়াতে এয়ারলাইনসগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের সময় ভাড়া বাড়লে মানুষের জন্য কষ্ট হবে। জেট ফুয়েলের দাম বাড়ছে এটাও ঠিক, কিন্তু ভাড়াটাও সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে। এখন ফুয়েলের দাম বেড়েছে, হয়তো একসময় কমে যাবে। এগুলো কনসিডারেশনে রাখতে হবে।’

বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোর হিসাব বলছে, প্রতি বছর দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন গন্তব্যে আকাশপথে ভ্রমণ করেন অন্তত ১৮-২০ লাখ যাত্রী। প্রতি বছর যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে ৭ শতাংশ হারে।

অবশ্য ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর নানা বিধিনিষেধের কারণে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে যাত্রী হারিয়েছে দেশি এয়ারলাইনসগুলো।

আরও পড়ুন:
বৈদেশিক মুদ্রায় তেল কিনতে পারবে বিদেশি এয়ারলাইনস
আসছে আরও দুই বেসরকারি এয়ারলাইনস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Govt committed to bring back stolen money CA Press Wing

চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিএ প্রেস উইং

চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিএ প্রেস উইং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ থেকে চুরি করা তহবিল তার জনগণের। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব।’

চুরি হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিসের মঙ্গলবার রাতের এক বিবৃতিতে সরকারের এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং চুরি হওয়া অর্থ বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত আনতে বিশ্বজুড়ে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করব।’

অর্থ পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ন্যায়বিচার দাবি করে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জনগণের অর্থ ও সম্পদ চুরির ঘটনা এবং বিগত সরকারের লোকজন যারা এ সম্পদ চুরির সঙ্গে জড়িত, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আওতায় আনা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘যদি আত্মসাৎ থেকে লাভবান হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা আশা করি সেই সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত দেওয়া হবে, যেখানে জনগণ এর ন্যায্য মালিক।’

লন্ডনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে বলেন, তিনি হয়তো লন্ডনে সুনির্দিষ্ট অর্থ ও সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না, তবে এখন তিনি তা জানেন। তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সরকার কাজ করছে, যাতে জনগণের অর্থ চুরি হওয়ার ঘটনা চিহ্নিত ও তা উদ্ধার করা যায়।

এ ধরনের সহযোগিতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অপরাধের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা আশা করি এবং বিশ্বাস করি, যুক্তরাজ্যসহ সব বন্ধুপ্রতিম সরকার এই অপরাধগুলোর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে। দুর্নীতি, যারা এটি করে, তারা এবং তাদের কিছু প্রিয় আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব ছাড়া বাকি সকলকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে।

‘‌রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৫ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির তদন্ত পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির মাত্রা কেমন ছিল, তা চিহ্নিত করেছে। এ ধরনের প্রকল্পে জনগণের সম্পদের অপব্যবহার শুধু বাংলাদেশের জনগণকে বঞ্চিত করেনি, বরং দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার পথেও বাধা সৃষ্টি করেছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোটি কোটি ডলারের সরকারি তহবিল চুরি বাংলাদেশকে একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক ঘাটতির মধ্যে ফেলেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ থেকে চুরি করা তহবিল তার জনগণের। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব।’

আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটলে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর ও ভাতের হোটেল থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ডিবি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকে কাজ করছে: প্রধান উপদেষ্টা
সমাজসেবা প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব: প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government warning on illegal aliens

অবৈধ বিদেশিদের বিষয়ে সরকারের সতর্কবার্তা

অবৈধ বিদেশিদের বিষয়ে সরকারের সতর্কবার্তা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনেক বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন/কর্মরত আছেন। এমতাবস্থায় অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত/কর্মরত ভিনদেশি নাগরিক যারা ইতোপূর্বে সতর্কীকরণে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জন করবেন না তাদের বিরুদ্ধে The foreigners Act, 1946 অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বাংলাদেশে অবস্থানরত অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

৩১ জানুয়ারির মধ্যে বৈধ কাগজপত্র করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর স্বাক্ষর করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনেক বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন/কর্মরত আছেন। এমতাবস্থায় অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত/কর্মরত ভিনদেশি নাগরিক যারা ইতোপূর্বে সতর্কীকরণে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জন করবেন না তাদের বিরুদ্ধে The foreigners Act, 1946 অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
অবৈধ বিদেশিদের বৈধতা অর্জনে সময় বেঁধে দিল সরকার
অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি
অবৈধ বিদেশিদের যোগাযোগের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু বুধবার
অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে ইতালির ‘নিরাপদ’ তালিকায় বাংলাদেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sacked SIs on hunger strike wrapped in shrouds

কাফনের কাপড় জড়িয়ে অনশনে চাকরিচ্যুত এসআইরা

কাফনের কাপড় জড়িয়ে অনশনে চাকরিচ্যুত এসআইরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের একটি গেট। ফাইল ছবি
সুবীর নামে অব্যাহতি পাওয়া আরেক ক্যাডেট এসআই বলেন, ‘একটা চাকরির জন্য আজ আমরা রাস্তায়। আমাদের কী দোষে এত বড় শাস্তি দিচ্ছে, জানি না। আমাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।’

গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ব্যাচ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা।

সচিবালয়ে ১ নম্বর গেটের বিপরীতে উসমানী উদ্যান সংলগ্ন রাস্তায় মঙ্গলবার অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সংবাদ সম্মেলনে তারা আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।

অব্যাহতি পাওয়া ক্যাডেট এসআই নিশিকান্ত বলেন, ‌‘মনে হচ্ছে আমাদের কোনো অভিভাবক নেই। রাষ্ট্র আমাদের নাগরিক মনে করে কি না, জানি না। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলতে থাকবে।

‘৪৩তম বিসিএসে যারা বঞ্চিত তাদের দাবিগুলো পুলিশের মাধ্যমে ভেতরে পৌঁছাচ্ছে, কিন্তু আমাদের মেসেজগুলো সেভাবে পৌঁছাচ্ছে কি না, জানি না।’

সুবীর নামে অব্যাহতি পাওয়া আরেক ক্যাডেট এসআই বলেন, ‘একটা চাকরির জন্য আজ আমরা রাস্তায়। আমাদের কী দোষে এত বড় শাস্তি দিচ্ছে, জানি না। আমাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

‘আমরা এখনও অনশন করছি। দাবি পূর্ণ না হওয়া অবধি এটা চলবে। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি এখনও নির্ধারিত হয়নি।’

রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৩১০ এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অব্যাহতি দিয়ে ক্যাডেট এসআইদের যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, ‘আপনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট এসআই/২০২৩ ব্যাচে গত ২০২৩ সালে ৫ মে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণরত আছেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্যারেড মাঠে গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিট থেকে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রফেশনালস ব্যাচ-২০২৩-এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন প্যারেড কার্যক্রম চলমান ছিল।

‘এ সময়ে পুলিশ একাডেমি কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত মেন্যু অনুযায়ী প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সব প্রশিক্ষণার্থীকে প্যারেড বিরতিতে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়। কিন্তু আপনি (প্রশিক্ষণার্থী এসআই) ওই সরবরাহ করা নাশতা না খেয়ে হইচই করে মাঠে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেন।

‘আপনি অন্য প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের পরস্পর সংগঠিত করে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন। এ ছাড়াও আপনি অন্যদের সঙ্গে হইচই করতে করতে নিজের খেয়াল খুশিমতো প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান।’

আরও পড়ুন:
আবার সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইরা
সচিবালয়ের সামনে অবস্থান অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইদের
এস আলম-সংশ্লিষ্টতা: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৯৪ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
সারদায় এএসপিদের সমাপনী কুচকাওয়াজ ফের স্থগিত, আটকালেন এসআইরাও
শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আরও ৫৮ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants national elections by August

আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি

আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরের দিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ইউএনবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‌‘আমরা মনে করি এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।’

দেশের বৃহত্তর স্বার্থে চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‌‘আমরা মনে করি এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।’

দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরের দিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবির কথা জানান।

এর আগে সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেন নেতারা।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন আয়োজনে পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং প্রশাসনে আপেক্ষিক স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে, তাই নির্বাচন পেছানোর কোনো কারণ নেই।’

বিএনপির বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, সরকার গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনও বুধবার তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।

ফখরুল বলেন, ‘তাই নির্বাচন পেছানোর কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমরা মনে করি না। যত বিলম্ব হবে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত গভীর হবে।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন যে, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এটি গণতন্ত্রের ভিত্তি।

আরও পড়ুন:
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আলোচনা জাতীয় ভোটের সময়ক্ষেপণ, মত বিএনপি নেতাদের
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকবে কি না, বলে দেবে সময়: সিইসি
ট্রাইব্যুনালে ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযোগ বিএনপির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Again the exempted SIs in front of the Secretariat

আবার সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইরা

আবার সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের একটি গেট। ফাইল ছবি
অব্যাহতি পাওয়া এসআই অম্লান মিত্র বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফলাফল হওয়ার কথা না।’

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শকরা (এসআই)।

আব্দুল গনি রোডে সচিবালয়ের ১ ও ২ নম্বর গেটের বিপরীত পাশে সোমবার সকাল থেকে অবস্থান নেন তারা।

বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না পেলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানান।

অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আমরা ৩২১ জন সাব-ইন্সপেক্টর গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আমাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব দেখা করে আমাদের দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।‌

‘এখন পর্যন্ত আমাদের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায় আমরা সবাই (৩২১ জন) আজ আবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

অব্যাহতি পাওয়া এসআই অম্লান মিত্র বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফলাফল হওয়ার কথা না।’

কর্মসূচিতে আসা আরেকজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমরা এক বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রায় বিনা বেতনে ট্রেনিং করেছি। যখন চাকরিতে নিয়মিত হব, তখনই আমাদের বাদ দেওয়া হলো। এর থেকে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না।’

৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন ছিলেন। তারা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

তাদের মধ্যে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে শোকজ করে একাডেমি। এরই মধ্যে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সচিবালয়ের সামনে অবস্থান অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইদের
বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: স্বরাষ্ট্র সচিব
সচিবালয়ে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০ কক্ষ
সচিবালয়ে প্রবেশে ‘অস্থায়ী পাস’ সংক্রান্ত বিশেষ সেল গঠন
আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত নয়নের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Appointment of six new members to PSC cancelled

পিএসসিতে নতুন ছয় সদস্যের নিয়োগ বাতিল

পিএসসিতে নতুন ছয় সদস্যের নিয়োগ বাতিল পিএসসি ভবন। ফাইল ছবি
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মকমিশনে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত নিম্ন বর্ণিত ছয় সদস্যের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হলো।

সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) সদ্য নিয়োগ পাওয়া ছয় সদস্যের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল হায়াত মো. রফিকের সই করা প্রজ্ঞাপনে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মকমিশনে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত নিম্ন বর্ণিত ছয় সদস্যের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হলো।

নিয়োগ বাতিল করা ছয় সদস্য হলেন অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার, মো. মুনির হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এ এফ জগলুল আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, সাব্বির আহমেদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহিনা সোবহান।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

আরও পড়ুন:
স্থানীয় সরকার বিভাগের নতুন সচিব নিজাম উদ্দিন
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হলেন নাসিমুল গনি
৪২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের দ্রুত নিয়োগের দাবি
পুলিশে ১৫ বছরে ৯০ হাজার নিয়োগ রাজনৈতিক পরিচয়ে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Directorate of Health Guidelines for Control of HMPV

এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোগো। ছবি: ইউএনবি
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোববার জানান, বাংলাদেশের এক নারী এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এইচএমপিভি না, নিউমোনিয়ার কারণে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।

দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এক বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানায়, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটি উদ্বেগজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে এ সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সেই সাথে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন: হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।’

পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা গেছে। কিন্তু রোগটি যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা

১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে

২. হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন

৩. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন

৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন

৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুইতে হবে(অন্তত ২০ সেকেন্ড)

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না

৭. আপনি জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজনে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোববার জানান, বাংলাদেশের এক নারী এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এইচএমপিভি না, নিউমোনিয়ার কারণে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।

চীনের উত্তরাঞ্চলে রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে এতে আরেকটি মহামারির ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নাগরিকদের পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (সিডিসি)।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিয়াং জানান, শীত মৌসুমে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগটির সংক্রমণ বেশি ঘটে। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কমই ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:
দেশে পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
কুড়িয়ে পাওয়া বরই খেয়ে দুই বোনের মৃত্যু, নিপাহ’র সন্দেহ
নিপাহ ভাইরাসে মানিকগঞ্জে ১২ দিনে দুই মৃত্যু
‘নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যু হার করোনার তুলনায় বেশি’
কেরালায় ‘বাংলাদেশি নিপাহ’, বলছে ভারত

মন্তব্য

p
উপরে