পটুয়াখালীর গলাচিপার আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ব্যবসায়ী শিবু লাল দাসকে অপহরণ ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। দীর্ঘদিন ধরেই তাকে অনুসরণ করছিল অপরহণকারীরা।
পটুয়াখালী শহরে শিবুর বাসা থেকে শুরু করে প্রতিটি সড়ক-মহাসড়ক, গলাচিপার হরিদেবপুর খেয়াঘাট এবং এর পাশেই শিবুর আবাসিক হোটেল, গাড়ি রাখার গুদাম, গ্যারেজসহ সম্ভাব্য সব স্থান দফায় দফায় নজরদারি করেছে অপহরণকারীরা। এমনকি শিবুকে অপহরণ করার পর সম্ভাব্য তিনটি নিরাপদ স্থানও তারা আগে থেকে চিহ্নিত করে রেখেছিল।
ঘটনার সপ্তাহখানেক আগেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য পাঁচটি নতুন মোবাইল ফোন কেনা ছাড়াও ঘটনার প্রায় ২৫ দিন আগে ঢাকা থেকে অন্তত পাঁচজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে পটুয়াখালী আনা হয়েছিল। আর এই পুরো কাজটি পরিচালনা করেছেন ঢাকার এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের সহযোগী মামুন ওরফে ল্যাংড়া মামুন নিজেই।
ব্যবসায়ী শিবু অপহরণ ও উদ্ধারের পাঁচদিনের মাথায় ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জসিম মৃধা ওরফে বিআরটিসি জসিমের স্বীকারোক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।
তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে ১৭ এপ্রিল রাতে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী নিয়ে আসা হয়। পরে বিকালে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ক-অঞ্চলের বিচারক আশিকুর রহমান ১৬৪ ধরায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে আদালতের নির্দেশে জসিমকে পটুয়াখালী কারাগারে পাঠানো হয়।
জসিমের স্বীকারোক্তির বরাতে সোমবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলাটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র। তথ্য দিয়েছেন অপহৃত ব্যবসায়ী শিবু লাল দাসও।
একই আদালতে শিবুর গাড়িচালক মিরাজ হোসেন হাওলাদারের বক্তব্য রেকর্ড করার কথা থাকলেও ইফতারের সময় হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে আগামীকাল একই আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে বলে জানান ব্যবসায়ী শিবু।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার জসিমকে পটুয়াখালী সদর থানায় নিয়ে আসলে সেখানে থাকা ব্যবসায়ী শিবুকে দেখেই অপহরণের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিতে শুরু করেন তিনি। শিবুর সামনেই পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন জসিম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার জসিম পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড গলাচিপা এলাকার মৃত সেকান্দার মৃধার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার আবদুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন রুটে সরকারি বিআরটিসি পরিবহনের চালক হিসাবে কাজ করছিলেন। আর গাড়ি চালকের আড়ালে তিনি পেশাদার সন্ত্রাসী এবং ভাড়ায় বিভিন্ন স্থানে অপরাধমূলক কাজ করতেন।
জসিমের বরাতে ব্যবসায়ী শিবু জানান, ১১ এপ্রিল তাকে অপরহরণ করা হলেও ৪ এপ্রিল নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য পাঁচটি মোবাইল কিনেন অপহরণকারীরা। ফোনগুলো কেনার দায়িত্ব ছিল জসিমের। এ ছাড়া জসিমসহ ঢাকা থেকে আরও পাঁচজনকে আনুমানিক ২০/২৫ দিন আগেই পটুয়াখালী নিয়ে এসেছিলেন ল্যাংড়া মামুন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার নামই অকপটে বলে দিয়েছেন গ্রেপ্তার জসিম। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, পটুয়াখালী শহরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর ভাই (‘র’ আদ্যক্ষরের) এই ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং তিনি পুরো ঘটনার মাস্টার মাইন্ড ল্যাংড়া মামুনের খুব কাছের লোক। ঘটনার পর দুইদিন জসিম আর ওই শীর্ষ সন্ত্রাসীর ভাই একসঙ্গে ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার অবস্থান কোথায় তা জসিমসহ তদন্ত সংশ্লিষ্টরাও জানেন না।
চালক হওয়ায় অপহরণ মিশনে মূলত গাড়ি চালানোর দায়িত্ব ছিল জসিমের। শিবু ও তার চালক মিরাজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি ঘটনার পরপর ঢাকায় ফেরার পথে পটুয়াখালীর লাউকাঠি বা শিয়ালি নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
ব্যবসায়ী শিবু বলেন, ‘অপরহণকারীরা যখন টাকার জন্য আমাকে মারধর করছে তখন আমি বারবার বলেছি- এতগুলো টাকা পাব কই? আমার কাছে এত টাকা নাই।
‘কিন্তু একথা শোনার পর তারা আমার ও আমার পরিবারের স্থাবর অস্থাবর সবকিছুর কথা উল্লেখ করতে থাকলে আমি ভিমড়ি খাই। প্রথমে কয়েকজনের কথায় ঢাকা বা খুলনার আঞ্চলিকতার সুর পেলেও যখন আমার সম্পদের কথা বলছিল তখন আমাদের বরিশালের ভাষা শুনতে পাই।’
শিবু জানান, এরপর ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘঁষেছে অপহরণকারীরা। যেভাবে দা-বটি ধার দেয়া হয়, অনেকটা সেভাবে।
২০ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়ে শিবু বলেন, ‘আমি ভয় পেয়ে তখন তাদের বলেছি, লাখ বিশেক টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করতেছি আমাকে ছেড়ে দাও।
‘এ কথা বলার পর আমার ওপর টর্চার আরও বেড়ে যায়। তখন তারা বলেছে- টাকা দিবি ২০ কোটি। এক টাকাও কম নয়।’
শিবুর গাড়িচালক মিরাজ বলেন, ‘হাত পা মুখ যখন বাঁধছে তখন চালাকি করে মুখমণ্ডল শক্ত করে রাখি যাতে মোটামোটি শ্বাস নেয়া যায় এবং বাঁধনটি যেন ঢিলা থাকে। যখন হাত বেঁধেছে তখনও হাতটাকে বাঁকা করে রেখেছি যেন রশি ঢিল থাকে। কারণ আমাদের বস্তায় ভরা হবে সেটি বারবার তারা বলছিল। মনে করছিলাম, বস্তায় ভরলে তো মারা যেতে পারি। যদি পারি শেষ চেষ্টা করে নড়াচড়া করার চেষ্টা করবো। সেজন্য এই চালাকি করেছি।’
মিরাজ বলেন, ‘অটোবাইক থেকে নামানোর পর কোনো এক জায়গায় ফেলে রেখে বস্তার মুখ খুলে মাথাটা বের করে রেখেছিল। কিছুক্ষণ পর লোকজনের সাড়া-শব্দ না পেয়ে আমি আমার হাত দুটি বস্তা থেকে বের করি। তাতেও অনেক সময় লেগেছে। এরপর ধীরে ধীরে হাতের আঙ্গুল দিয়ে নাকের উপর থেকে স্কচটেপ ছুটানোর চেষ্টা করেছি। অনেক শক্ত ছিল এবং কপালের সাথে লেগে ছিল এটি। আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা মারতে গিয়ে আমার নাকের চামড়াও অনেকখানি উঠে গেছে। স্কচটেপ সরানোর পর চোখ খুলে তাকানোর পরও কয়েক মিনিট অন্ধকার দেখছি।’
মিরাজ জানান, এক পর্যায়ে ওই অবস্থায় গজ জাতীয় যে কাপড় দিয়ে হাত বাঁধা ছিল তা দুই হাতের দুই আঙ্গুল ও দাঁত দিয়ে একটু একটু করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। পরে ব্যাঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে চিৎকার করে মানুষের সাহায্য চাইতে শুরু করেন।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, অপহরণকারীরা সম্ভাব্য তিনটি স্থানকে নিরাপদ মনে করে চিহ্নিত করে রেখেছিল। যেগুলো ১২ তারিখ দিনভর আমরা র্যাকি করেছি। এর মধ্যে একটি স্থান (এসপি কমপ্লেক্স) থেকেই আমরা ব্যবসায়ীসহ চালককে জীবিত উদ্ধার করেছি।’
তিনি জানান, পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই প্রকৃত ঘটনার আরও বিস্তারিত জানা যাবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরো চক্রকে গ্রেপ্তারের বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে গত ১৬ এপ্রিল পটুয়াখালী ও আমতলীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনের মধ্যে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান পারভেজ থাকায় দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ এবং জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সুপারিশের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রের ৩৪ অনুচ্ছেদের গ উপধারা অনুযায়ী আতিকুর রহমান পারভেজকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।
বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।
এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।
পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।
কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে
নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।
এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।
বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।
আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।
গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।
আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।
জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।
আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।
রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন
র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।
ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য