× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Extortion in the name of community police
google_news print-icon

কমিউনিটি পুলিশের নামে ‘চাঁদাবাজি’

কমিউনিটি-পুলিশের-নামে-চাঁদাবাজি
গাজীপুরের টঙ্গী বাজার। ছবি: নিউজবাংলা
বকশিশ তোলার বিষয়টি টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জানেন বলেও দাবি করেছেন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির মজিবর। তিনি বলেন, ‘আমরা থানায় জানিয়েই এই টাকা তুলছি। এটা কোনো চাঁদা নয়। ঈদ উপলক্ষে বকশিশ।’

গাজীপুরের টঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ীরা কমিউনিটি পুলিশের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন বাজারের নেতাদের বিরুদ্ধে। বাজারে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি এই চাঁদা তুলছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কমিউনিটি পুলিশের কোনো কমিটি নেই, তাদের চাঁদা তোলার কোনো নিয়ম নেই।

সাপ্তাহিক হাট উপলক্ষে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার, ব্যবসায়ীরা এই টঙ্গী বাজারে আসেন।

সেখানে মিতালি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে শুরু করে হাজী মার্কেট, ভাওয়াল বিপণি মার্কেট, নোয়াখালী মসলা পট্টি, বস্তা পট্টি, তুরাগ নদীর পাড় রোড, বৌ- বাজার রোড, সিরাজউদ্দীন সরকার বিদ্যানিকেতন রোড, গরুর হাট রোডসহ বিভিন্ন অলিগলিতে বিট ভাড়া নিয়ে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার দোকান বসানো হয়।

বাজারের যান চলাচল ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’- এই স্লোগানে ২০১৪ সালে চালু হয় কমিউনিটি পুলিশিং সেবা।

তবে বাজার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কমিউনিটি পুলিশের জন্য তাদের মাসে মাসে গুনতে হচ্ছে চাঁদা।

নরসিংদী থেকে আসা কাপড় ব্যবসায়ী সোহরাব মিয়া বলেন, ‘বাজারের নির্ধারিত খাজনা পরিশোধের পরও নানা অজুহাতে টাকা নেয়া হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে কমিউনিটি পুলিশের নামে প্রত্যেক দোকান ও বিট থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এই বাজারে আমাদের সঙ্গে রীতিমতো জুলুম করা হচ্ছে।’

আরেক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সপ্তাহে এক দিন হাটে আসি। এখানে কাউকে চিনিও না। যে যার মতো এসে চাঁদা দাবি করে। বাজারের খাজনার টাকা ছাড়াও বিটপ্রতি সপ্তাহে ৫০০ টাকা দিতে হয়। বিট ভাড়া নিতে অগ্রিম দিতে হয় ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

‘এ ছাড়া বিদ্যুতের লাইটপ্রতি ১০০ টাকা, হিজড়া বাবদ ২০ টাকা, এখন নতুন করে যোগ হয়েছে কমিউনিটি পুলিশের চাঁদা। চাঁদা আদায় করছে বাজারের প্রভাবশালীরা, তাই বাজারের টহল পুলিশও তাদের কিছু বলে না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মাসে মাসেও ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলা হয়। বলা হয় কমিউনিটি পুলিশদের বেতন দেয়ার জন্য এই টাকা।

সরেজমিনে রোববার মধ্যরাতে ওই বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে চাঁদা তুলছেন দুজন। আলাপ করে জানা যায় তাদের নাম মো. ফজলু ও মো. কবির।

কী কাজের জন্য টাকা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ফজুল জানান, চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের নির্দেশে তারা কমিউনিটি পুলিশের জন্য ২০ টাকা করে তুলছেন। করোনার সময় টাকা নেয়া বন্ধ ছিল, গেল দুই সপ্তাহ ধরে আবার চালু হয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই তারা দোকান ঘুরে ঘুরে টাকা নেন।

ফজলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে মোট ১০ হাজার টাকা তুলেছি। ভোররাত পর্যন্ত টাকা উঠানোর পর সব টাকা জমা দেয়া হয় বাজার কমিটির নেতা মজিবুর রহমানের কাছে। তিনি আমাদের হাজিরা হিসেবে ১ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা বুঝে নেন।’

চাঁদা তোলা আরেক যুবক কবির বলেন, ‘বাজারের যানজট নিরসনে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা কাজ করে। তাদের জন্য দোকানপ্রতি ২০ টাকা তোলা হয়। বাজার কমিটির নেতারা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই এই টাকা তোলার নির্দেশ দিয়েছেন।’

চাঁদা নয়, কমিউনিটি পুলিশের জন্য ঈদের বকশিশ তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও টঙ্গী বাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘টঙ্গী বাজারের যানজট নিরসনে কমিউনিটি পুলিশের ৮ সদস্য কাজ করে। তাদের জন্য ঈদের বকশিশ হিসেবে দোকানপ্রতি ২০ টাকা তোলা হচ্ছে।’

বকশিশ তোলার বিষয়টি টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জানেন বলেও দাবি করেছেন মজিবর। তিনি বলেন, ‘আমরা থানায় জানিয়েই এই টাকা তুলছি। এটা কোনো চাঁদা নয়। ঈদ উপলক্ষে বকশিশ।’

তবে মাসে মাসে টাকা তোলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশের নামে চাঁদা তোলার কোনো নিয়ম নেই। চাঁদা তোলার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

টাকা তোলার বিষয়টি ওসি জানেন বলে মজিবরের যে দাবি, তা সত্য নয় বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশের কোনো কমিটিই নেই। টাকা তোলার বিষয়ে আমি জানি না।’

আরও পড়ুন:
নারীর সুরক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে ‘জয়ীর দল’
চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে মেলায় চাঁদাবাজি!
টিপ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচিত পুলিশ কর্তা
এজলাসে গলায় ছুরি চালিয়ে যুবকের আত্মহননের চেষ্টা
ভাঙ্গার সেই ওসিকে বদলি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The shot youth wanted to know the identity of the terrorists

সন্ত্রাসীদের পরিচয় জানতে চেয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক

সন্ত্রাসীদের পরিচয় জানতে চেয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক প্রতীকী ছবি
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা জানান, ‘ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা হাসপাতালে থাকায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি তারা। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রুজু হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’

ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারে গভীর রাতে নিজ বাড়িতে বাইসাইকেল চালিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আজিজুল খান।

শনিবার রাত একটার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল পূর্ব পাড়া রূপায়ন মাঠ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার বিকেলে ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই এসব তথ্য জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘শনিবার গভীর রাতে সাইকেল চালিয়ে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন আজিজুল। এ সময় বাড়ি থেকে কিছু দূরে সামনে অন্ধকারে চারজনকে বসে থাকতে দেখে আজিজুল সেখানে সাইকেল থামিয়ে দাড়ায়ে পরেন। এতো রাতে তারা কারা এবং সেখানে কী করছেন এটা জিজ্ঞেস করেন আজিজুল। তখন তারা আজিজুলকে বলেন- তুই বাসায় যা।

‘এর জবাবে আজিজুল জিজ্ঞাসা তাদের পাল্টা প্রশ্ন করেন তার বাড়ির ওখানে তারা কারা? এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী বাপ্পী আজিজুলের বাম পায়ে গুলি করে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আমার ভাইকে প্রথমে আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।’

রোববার আজিজুলের পায়ে অস্ত্রপচার শেষে হাসপাতালে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আজিজুল বাপ্পীকে চিনতে পেরেছে। বাপ্পী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এর আগেও অস্ত্র ও মাদকসহ সে গ্রেপ্তার হয়েছিল। আমরা পরিবারের সবাই আতঙ্কিত। কারণ বাড়ির পাশে গভীর রাতে কারা আড্ডা দিচ্ছে সামান্য এই প্রশ্ন করে আমার ভাইকে গুলি খেতে হয়েছে। আল্লাহর রহমতে সে প্রাণে বেঁচে গেছে। তবে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমাদের পক্ষে স্বস্তিতে বসবাস করা সম্ভব হবে না।’

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই সোহেল মোল্লা বলেন, ‘শনিবার অনেক রাতে ভাদাইল এলাকায় গুলির ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সামান্য বিষয়েই ওই যুবককে গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা হাসপাতালে থাকায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি তারা। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রুজু হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No other power will survive where Sheikh Hasina is Home Minister

যেখানে শেখ হাসিনা, সেখানে অন্য শক্তি টিকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যেখানে শেখ হাসিনা, সেখানে অন্য শক্তি টিকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনসভায় বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ছবি: নিউজবাংলা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমা শক্তি কত রকমের সবক দিচ্ছে, নিজেদের দেশে কী করছেন তার খবর নেই। আমাদের সবক দিয়ে লাভ নেই। যেখানে শেখ হাসিনা আছেন সেখানে কোনো পেশি শক্তি টিকবে না।’

যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন সেখানে কোনো পেশি শক্তি টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার বিকেলে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় উপজেলার শহীদ মিনার চত্ত্বরে আয়োজিত ১৪ দলের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমা শক্তি কত রকমের সবক দিচ্ছে, নিজেদের দেশে কী করছেন তার খবর নেই। আমাদের সবক দিয়ে লাভ নেই। যেখানে শেখ হাসিনা আছেন সেখানে কোনো পেশি শক্তি টিকবে না।’

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও শান্তির ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা এই বাংলার অপরাজেয় শক্তি। তাকে কোনো অপশক্তি দমাতে পারবে না। ১৪ দলের সকলে মিলে দেশবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করবে।’

জনসভায় অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপিফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাসদ সভাপতি রেজাউর রশীদ, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কামরুল আহসান।

এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

আরও পড়ুন:
খালেদাকে বিদেশ নেয়ার বিষয়ে আইন মেনে পরবর্তী ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভিসা নীতি নিয়ে মন্তব্যের এখতিয়ার নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কে এলো কে গেলো দেখার বিষয় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The lover was hacked to death for rejecting the marriage proposal

বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা প্রেমিকাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি তর্রিকুল। ছবি: নিউজবাংলা
কিছুদিন আগে তরিকুল জয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এক সন্তানের জননী জয়া তার সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ক্ষোভে তিনি ধারালো দা দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

দিনাজপুরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষোভে ২০০ টাকা দিয়ে একটি ধারাল দা কিনে সেটি দিয়ে প্রকাশ্যে জয়া বর্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তরিকুল ইসলাম চালু।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম চালুর স্বীকারোক্তির বরাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মাসুম। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জিন্নাহ আল মামুন ও কোতয়ালী থানার ওসি ফরিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘গত প্রায় ৬ মাস ধরে হোটেল শ্রমিক জয়া বর্মন ও তরিকুল ইসলাম চালুর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক চলে আসছিল। ভালোবাসা চলাকালে তরিকুলের কাছ থেকে বহু টাকা ধার নিয়েছেন জয়া বর্মন। কিছুদিন আগে জয়া বর্মনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তরিকুল। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন জয়া বর্মন। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার ক্ষোভে ২০০ টাকা দিয়ে একটি ধারালো দা কিনে সেটি দিয়ে জয়াকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন তরিকুল।’

শনিবার সকাল ৬টার দিকে জেলার খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে মাহিন সুইট হোটেলের ভেতর থেকে কোতয়ালী থানা পুলিশ আসামি তরিকুলকে গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করে পুলিশ। তরিকুল দিনাজপুর সদর উপজেলার মুরাদপুর নামপুকুর এলাকার মৃত আশরাফ আলীর পালক ছেলে।

জয়া ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বনডাঙ্গা গ্রামের সপাল রায়ের স্ত্রী। সপাল রায় দিনাজপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ট্রাক্টর শো-রুমের নৈশ প্রহরী হিসেবে কাজ করেন। সপাল রায় ও জয়া বর্মন ফকিরপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জয়া বর্মন ও তরিকুল ইসলাম চালু বাস টার্মিনাল প্রাঙ্গণে সাউদিয়া হোটেলে কাজ করতেন। দীর্ঘদিন এক সঙ্গে কাজ করায় এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী সপাল রায় নৈশ প্রহরীর চাকরী করার সুযোগে জয়া তরিকুলকে নিয়ে প্রায় তার বাসায় আসতেন।

কিছুদিন আগে তিনিজয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এক সন্তানের জননী জয়া তার সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। দীর্ঘদিনের ভালোবাসার পর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় তরিকুলের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সেই ক্ষোভ থেকে প্রেমিকাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন তিনি। পরিকল্পনা মোতাবেক শহরের মহারাজার মোড়ের কামারের দোকান থেকে ২০০ টাকা দিয়ে একটি ধারালো দা কেনেন তরিকুল।

বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

গত শুক্রবার দুপুরের পর হোটেল থেকে ছুটি নেন তরিকুল। প্রতিদিনের মতো হোটেলের কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছিলেন জয়া। মির্জাপুর বাস টার্মিনাল বিসমিল্লাহ হোটেলের সামনে পৌঁছালে তার ওপর হামলা করেন তরিকুল। ধারালো দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন তিনি।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে নিহত জয়ার স্বামী সপাল রায় বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন।

আরও পড়ুন:
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঘাড়ে ‘মানুষখেকো’ গুজবের খড়্‌গ
টিবিএস সাংবাদিকের মায়ের গলা কাটা মরদেহ: দুজন গ্রেপ্তার
উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
প্রেমের বিয়ে কেড়ে নিল বাবার প্রাণ!
বাবা-মা কর্মস্থলে, বাসায় ছোট্ট তানহার বিবস্ত্র মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sale and purchase closed at Naogaon Municipal Fish Market

বাড়তি ফায়দা নিতে ডিজিটাল মিটারে পাইকারদের ‘না’

বাড়তি ফায়দা নিতে ডিজিটাল মিটারে পাইকারদের ‘না’ নওগাঁ পৌর মাছ-বাজারের আড়তগুলোতে চিরচেনা ভীড় থাকলেও নেই মাছ কেনাবেচার কার্যক্রম। ছবি: নিউজবাংলা
বাইরে থেকে আসা পাইকারদেরও মাছ কিনতে নিষেধ করছেন তারা। এমনকি হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাছ বিক্রি বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁর পৌর মাছ বাজার।

৪০ কেজিতে মণ হলেও মাছ চাষীদের কাছ থেকে ৪২ কেজিতে মণ হিসাবে মাছ কিনে থাকেন পাইকাররা। তারপরও তাদের পোষাচ্ছে না। প্রশাসনের নির্দেশে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি শুরু করার পরপরই বেঁকে বসেছেন পাইকররা। আড়ত থেকে তারা মাছ কিনবে না, আর কিনতে হলে প্রতি মণে আরও এক কেজি বেশি দাবি তাদের।

বাইরে থেকে আসা পাইকারদেরও মাছ কিনতে নিষেধ করছেন তারা। এমনকি হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাছ বিক্রি বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁর পৌর মাছ বাজার।

প্রায় ৫০ বছর ধরে এ মাছ বাজারে প্রতিদিন মাছ বিক্রি হয়ে আসছে। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২২টি আড়তে বেচাকেনা হয় মাছ। ফলে নওগাঁসহ আশপাশের জেলার মাছ চাষীদেরও গন্তব্য এ বাজারটি। সাধারণত ৪২ কেজিতে মণ ধরে আড়তে মাছ দিয়ে থাকে মাছ চাষীরা। পরে খুচরা বিক্রেতারা অল্প পরিমাণে মাছ কিনে নিজেদের সুবিধামতো সন্ধ্যা পর্যন্ত তা বিক্রি করে থাকে।

সাধারণত মাছ চাষী ও পুকুর চাষীদের কাছ থেকে প্রচলিত কাঁটার দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে মাছ কিনে পরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তা ডিজিটাল মিটারে বিক্রি করতেন পাইকাররা। তবে সম্প্রতি আড়তেও ডিজিটাল মিটারে মাছ কেনাবেচার জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

সরকারি নির্দেশনা পেয়ে রোববার থেকে নওগাঁ পৌর মাছ বাজারে চালু হয়েছে ডিজিটাল মিটারে পরিমাপ করে মাছ কেনাবেচা। এ নিয়ে পাইকার-আড়তদারদের মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।

ডিজিটাল মিটারে পাইকাররা মাছ কিনতে নারাজ। ফলে একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু করে দুপক্ষ। একপর্যায় পাইকাররা সংঘবদ্ধ হয়ে আড়ত থেকে মাছ কেনা বন্ধ করে দেন। ফলে আজ দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ রয়েছে পৌর বাজারের মাছ কেনাবেচা। এতে ভুগতে হচ্ছে মাছচাষী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের। এদিকে আড়তে মাছের কেনাবেচা বন্ধ থাকায় আড়তদারদেরও উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে মাছ বাজারটিতে।

সংশ্লিষ্টরা কী বলছেন

এর আগে ওই বাজারটিতে ডিজিটাল মিটার চালু করতে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে জানান পৌর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গৌতম হাওলাদার ভুট্টু। তখন থেকে একেক করে সবাই ডিজিটাল মিটারের ব্যবহার শুরু করলেও আড়তে প্রচলিত কাঁটার দাঁড়িপাল্লাই ধরে রাখেন পাইকাররা।

এ বিষয়ে গৌতম হাওলাদার বলেন, ‘ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি করা নিয়ে কয়েকদিন আগেও পাইকারদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। অক্টোবরের ১ তারিখের মধ্যে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রির জন্য প্রশাসন থেকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নে আজ থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্ত পাইকাররা এ প্রক্রিয়া মানতে নারাজ।

‘এখানে ২২টি আড়তে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। নিজেদের সুবিধার্থে পাইকাররা এখন সিন্ডিকেট তৈরি করছে। বাইরে থেকে যেসব পাইকার মাছ কিনতে আসছেন, তাদেরও মাছ না কিনতে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে জেনেছি। এভাবে চলতে থাকলে মাছ চাষীরা এখানে মাছ বিক্রি করতে আসবেন না। ফলে সবার জন্যই সমস্যা তৈরি হবে।’

নওগাঁ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘আড়তদাররা ডিজিটাল মিটার চালু করার জন্য কয়েকদিন আগেই আমাকে অবগত করেছিলেন। সেসময় তাদের বলা হয়েছিল, জনগণ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়- সেদিকে নজর রেখে তাদের কাজ করতে হবে। ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করা হলে পরিমাপে স্বচ্ছতা থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে শুনছি, ডিজিটাল মিটার ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ নিয়ে নানা বিড়ম্বনা শুরু করেছেন তারা। তাই দুই পক্ষকে (আড়তদার ও পাইকার) নিয়ে বসে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে সবার জন্য মিটার চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।’

বাড়তি ফায়দা নিতে ডিজিটাল মিটারে পাইকারদের ‘না’
রোববার সকালে বিরোধ হওয়ার পর স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁ পৌর মাছ বাজার। ছবি: নিউজবাংলা

আড়তদারদের বক্তব্য

মামুন মৎস্য আড়তের স্বত্ত্বাধিকারী মোস্তফা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুজ্জামান মামুন জানান, দিনে গড়ে প্রায় এক লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা করা হয় একেকটি আড়তে। সে হিসাবে একেকটি আড়তে মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকা মতো মাছ বিক্রি হয়। আশপাশের প্রায় ৫০টি বাজারের ব্যবসায়ীরা এই বাজারে মাছ কিনতে আসেন।

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রির জন্য পাইকারদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করি। আলোচনার পর পাইকরারা সিদ্ধান্ত নেয়, আমাদের কাছ থেকে তারা মাছ কিনবেন না। এমনকি বাইরে থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা আসেন, পাইকাররা তাদেরও মাছ না কিনতে উল্টো হুমকি দেন।’

নওগাঁ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার ও আড়তদার সমিতির উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি শুরু করেছি। কিন্তু গুটিকয়েক পাইকারের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। চাষীরা মাছ বিক্রি করতে আসলে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে বলে শুনতে পারছি।

‘তারা একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। পাইকাররা যদি ডিজিটাল মিটারে মাছ বিক্রি করতে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না? এসব সমস্যা সমাধান না হলে ব্যবসা বন্ধ রাখতে হবে।’

যা বলছেন পাইকাররা

পাইকারদের দাবি, ডিজিটাল মিটারে মাছ পরিমাপ করা হলে ওজনে ঠিকঠাক পাওয়া যাবে না। তারা বলছেন, ডিজিটাল মিটারে পরিমাপের কিছুক্ষণ পর ওই মাছ আবার পরিমাপ করলে ওজন কমে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌর মাছ বাজারের পাইকার ফেরদৌস প্রামানিক বলেন, ‘আগে কাঁটাতে ৪২ কেজিতে মণ হিসাবে মাছ কেনা হতো। হঠাৎ করে আজ আড়তে ডিজিটালে মিটারে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।

‘আগে কাঁটাতে মাছ পরিমাপের সময় ঝুড়িতে পরিমাপ করা হতো। এতে ঝুড়িতে ওঠানোর পর থেকেই মাছের সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত পানি ঝরে যেত, তাই ওজন ঠিক থাকত। এখন ক্যারেটে পানিসহ ওজন করা হলে আমাদের জন্য লোকসান হবে। এতে ওজনে ঠিক পাব নাকি, সেটিও জানি না।’

এই সমস্যা দূর করতে ৪২-এর জায়গায় ৪৩ কেজিতে মাছের মণ পরিমাপের কথা জানালেন আরেক পাইকার আফাজ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগে কাঁটার ওজনে মাছ কিনে ডিজিটাল মিটারে বিক্রি করতাম। কোনো সমস্যা হতো না। এখন যেহেতু ডিজিটাল মিটারে মাছ কেনা শুরু হয়েছে, ৪২ কেজিতে মণের বদলে আরেক কেজি বাড়িয়ে দিলে আমাদের জন্য মাপ ঠিক রাখতে সুবিধা হবে।’

পৌর মাছ বাজারের পাইকার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম তোতা বলেন, ‘নিয়ম সবার জন্যই সমান, কোনো সমস্য নাই। আমরা ডিজিটাল মিটারে মাছ কিনছি। আর এখানে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট নেই। বরং আড়ৎদাররা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন।’

নওগাঁ শহরের পলিটেকনিক কলেজপাড়া এলাকার মাছ চাষী সাগর হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল মিটার চালু হওয়াতে আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। পরিমাপ ডিজিটাল হলে দামে ঘাটতি যাবে না। মিটারে ওজন দেখা যায়, কিন্তু কাঁটার পল্লা হলে আমরা বুঝতে পারি না অনেক সময়। সামনের দিকে একটু হেলে যাওয়া মানে কয়েক কেজি বেশি চলে যাওয়া। হিসাব ডিজিটাল মিটারে হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। আগে কাঁটার ওজনে যেহেতু ৪২ কেজিতে মণ ছিল। ডিজিটাল মিটারে ৪৩ কেজিতে মণ হলেও আমাদের সমস্যা নাই।’

তিনি জানান, আড়তদাররা মাছ বিক্রি করতে আসা চাষীদের কাছ থেকে দামের চার শতাংশ ও মাছবাহী গাড়ির জন্য ৫০ টাকা খাজনা নিয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন:
ভরা মৌসুমেও দেশি মাছের আকাল কমলগঞ্জে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Missing rickshaw puller who jumped from Padma bridge is alive

পদ্মা সেতু থেকে ঝাঁপ দেয়া নিখোঁজ রিকশাচালক বেঁচে আছেন

পদ্মা সেতু থেকে ঝাঁপ দেয়া নিখোঁজ রিকশাচালক বেঁচে আছেন অটোরিকশাচালক শরিফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, থানা এলাকায় সকাল বেলা গিয়ে অটোরিকশাটি তার বলে দাবি করেন। তার পরিচয় ও যাচাই-বাছাই চলছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। 

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠে রিকশাচালকের নদীতে ঝাঁপ দেয়ার ঘটনা ঘটে চলতি বছর ১৯ জুনে।

এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরে উদ্ধার চললেও ওই সময় খোঁজ মেলেনি তার।

প্রায় তিনমাস পর শরিফুল ইসলাম নামের ওই রিকশাচালকের খোঁজ মিলেছে। বেঁচেও আছেন তিনি।

পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তার বাড়ি বাগেরহাটে, তবে তিনি ঢাকার হাজারীবাগে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘটনার দিন রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি। তার উদ্দেশ্য ছিল, ঢাকা থেকে বাগেরহাটে চলে যাবেন।

‘মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত হয়ে রিকশা চালিয়ে পদ্মা সেতুর ওপরে উঠেন তিনি। একপর্যায়ে একটি যানে ধাক্কা লাগলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ধাওয়া করেন। তখন ভয়ে সে রিকশা রেখেই সেতু থেকে ঝাঁপিয়ে নদীতে পড়েন।’

শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাতভর নদীতে ভেঁসেছিলাম। নদীতে অনেক ঢেউ ছিল তাই কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পাই নাই। নিজের মতো করে সাঁতরাচ্ছিলাম।

‘সকালে মাওয়া প্রান্ত থেকে দূরের একটি এলাকায় উঠি। পরে বাসে উঠে বাড়িতে গেলেও পরিবারের কেউ আমার এ ঘটনা বিশ্বাস করে নাই। সবাই বলছিল অটোরিকশাটি আমি চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিস্তির টাকা দিয়ে রিকশাটি কিনেছিলাম, পরে জানতে পারি এটি থানায় আছে। এ জন্য পদ্মা সেতু উত্তর থানায় আসি।

এ বিষয়ে শরিফুল ইসলামের শ্বশুর মোহাম্মদ দাউদ মোল্লাহ বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের কাছে বলার পর আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি, কারণ পদ্মা নীতিতে পড়ে কেউ জীবিত ফিরতে পারে এটা বিশ্বাস করার মতো না। থানায় এসে দেখলাম তার অটোরিকশাটি। এখন বিশ্বাস হচ্ছে।’

পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, থানা এলাকায় সকাল বেলা গিয়ে অটোরিকশাটি তার বলে দাবি করেন। তার পরিচয় ও যাচাই-বাছাই চলছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।

আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটে ভাঙ্গায় ট্রেন
ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রীর পাশে থাকতে পদ্মা ব্যাংক এমডির পদত্যাগের আবেদন
পদ্মা ব্যাংক ও প্লাটিনাম হোটেলের মধ্যে গ্রাহক সুবিধা চুক্তি
ঢাকা-মাওয়া পরীক্ষামূলক রেল ট্রাক চলাচল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Villagers have raised the eyes of two people for robbery in Madaripur

মাদারীপুরে ডাকাতির অভিযোগে দুজনের চোখ তুলে নিল গ্রামবাসী

মাদারীপুরে ডাকাতির অভিযোগে দুজনের চোখ তুলে নিল গ্রামবাসী কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: নিউজবাংলা
কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান বলেন, ‘৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিল। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগে দুজনের চোখ তুলে নিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ডাকাতি করে পালানোর সময় দুজনকে আটক করে সংঘবদ্ধ পিটুনি দিয়ে চোখ উঠিয়ে নিয়েছে গ্রামবাসী।

উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামে শনিবার রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন বরিশালের মুলাদী উপজেলার টুমচর বাটামারা এলাকার ৪৫ বছর বয়সী দাদন হাওলাদার ও একই এলাকার ৫০ বছর বয়সী সোহরাব হাওলাদার।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মৃধাকান্দি এলাকার সেকান্দার হাওলাদারের বাড়িতে ১০ থেকে ১৫ জনের একদল মুখোশ পরা ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে। তারা ঘরের লোকদের জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে ডাকাত সন্দেহে দাদন হাওলাদার ও সোহরাব হাওলাদারকে আটক করেন। ওই সময় উত্তেজিত জনতা তাদের পিটুনি দিয়ে চোখ তুলে ফেলেন।

পরে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের দুজনের চোখেই গভীর ক্ষত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান বলেন, ‘৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিল।

‘তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
গাইবান্ধায় ২৫ লাখ টাকার প্রকল্পে অর্থ লুটের অভিযোগ
ইবি ছাত্রকে র‍্যাগিং নিয়ে ইমেইলে বাবার অভিযোগ
বরিশালে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ, ববি ছাত্রলীগের ৩ কর্মী আটক
বড়াইগ্রামে উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অনিয়মিত, ঢাবির ছাত্রকে হলছাড়া করার অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
College student Hriday murder Two more arrested

রাউজানে কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: আরও দুজন গ্রেপ্তার

রাউজানে কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: আরও দুজন গ্রেপ্তার চট্টগ্রামের রাউজানে কলেজছাত্রকে অপহরণ ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় শনিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: নিউজবাংলা
র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম জানান, অপহরণের ঘটনায় দুই দিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের পরিবারের কাছে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যরা দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। কয়েক দিন পর অপহৃত শিবলীর বাবা শফি বান্দরবান এলাকায় ডুলাপাড়ায় গিয়ে এজনের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন, কিন্তু তারা শিবলীকে মুক্তি দেননি।

চট্টগ্রামের রাউজানে কলেজছাত্র শিবলী সাদি হৃদয়কে অপহরণের পর গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

কর্ণফুলী থানার নতুনব্রিজ এলাকা থেকে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উচিংথোয়াই মারমা ও তার সহযোগী ক্যাসাই অং মারমা। এদের মধ্যে উচিংথোয়াই মারমা শিবলীর গলা কেটেছেন বলে জানায় র‌্যাব।

র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রাউজানে কলেজছাত্র খুনের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গলা কেটে হত্যাকারীও রয়েছে।

‘ভুক্তভোগী শিবলী সাদিক রাউজানের কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি এলাকার একটি মুরগির খামার দেখাশোনা করতেন। সেই খামারে কাজ করা কয়েকজনের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৮ আগস্ট শিবলী সাদিককে অপহরণ করা হয়।’

তিনি আরও জানান, অপহরণের ঘটনার দুই দিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের পরিবারের কাছে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যরা দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। কয়েক দিন পর অপহৃত শিবলীর বাবা শফি বান্দরবান এলাকার ডুলাপাড়ায় গিয়ে একজনের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন, কিন্তু তারা শিবলীকে মুক্তি দেননি।

এরপর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রাউজান থানায় মামলা করেন।

এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে শিবলীকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুইচিংমং মারমা, অংথুইমং মারমা ও উমংচিং মারমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে পরের দিন (১১ সেপ্টেম্বর) উমংচিং মারমাকে নিয়ে শিবলীর মরদেহ উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। ওই দিন কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দলুছড়ি পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে অপহৃত যুবকের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সেখান থেকে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। ওই সময় উত্তেজিত জনতা গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে।

আরও পড়ুন:
টিবিএস সাংবাদিকের মায়ের গলা কাটা মরদেহ: দুজন গ্রেপ্তার
উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
প্রেমের বিয়ে কেড়ে নিল বাবার প্রাণ!
বাবা-মা কর্মস্থলে, বাসায় ছোট্ট তানহার বিবস্ত্র মরদেহ
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

মন্তব্য

p
উপরে