× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Mango Jilapi What is behind the fines for Rasgolla?
google_news print-icon

আমের জিলাপি: ‘রসগোল্লা’কে জরিমানার পেছনে আসলে কী

আমের-জিলাপি-রসগোল্লাকে-জরিমানার-পেছনে-আসলে-কী
প্রথমে অভিযানে যাওয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটির রং ব্যবহারের অনুমোদনপত্র দেখে এসে বলেছে, তারা এটা ব্যবহার করতে পারবে। দ্বিতীয়বার অভিযানে যাওয়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে ভেজালের দায়ে, যদিও মুখে বলছে অবৈধ রং ব্যবহারের কথা। তবে তারা বৈধতার নথিপত্রই দেখতে চায়নি বলে অভিযোগ করছেন আমের জিলাপি নিয়ে আসা রসগোল্লার স্বত্বাধিকারী। জিলাপিতে আম ছিল- বলছে দুই পক্ষই। তবে বলছে পরিমাণে কম। যদিও কী পরিমাণে থাকা উচিত, সে বিষয়ে ধারণা নেই কারও।

রাজশাহীতে অভিনব মিষ্টি তৈরি করে আলোড়ন তোলা প্রতিষ্ঠান ‘রসগোল্লা’য় অভিযান চালিয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের জরিমানার ঘটনায় কাঁচা আমের জিলাপি তৈরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে প্রথমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও পরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায় প্রতিষ্ঠানটিতে। প্রথম সংস্থা জরিমানা করে ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান জরিমানা করে ৩০ হাজার টাকা।

একই প্রতিষ্ঠানে দুটি সংস্থার অভিযান নজিরবিহীন। পাশাপাশি জরিমানা ঠিক কী কারণে, সে বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারছেন না সাজা ঘোষণা করা দুই কর্মকর্তা।

তবে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দাবি করেছেন, এখানে আইনের ব্যত্যয় হয়নি।

প্রথমে অভিযানে যাওয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটির রং ব্যবহারের অনুমোদনপত্র দেখে এসে বলেছে, তারা এটা ব্যবহার করতে পারবে। দ্বিতীয়বার অভিযানে যাওয়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে ভেজালের দায়ে, যদিও মুখে বলছে অবৈধ রং ব্যবহারের কথা। তবে তারা বৈধতার নথিপত্রই দেখতে চায়নি বলে অভিযোগ করছেন আমের জিলাপি নিয়ে আসা রসগোল্লার স্বত্বাধিকারী।

জরিমানার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, জিলাপির খামিরে আমের পরিমাণ কম। তবে কী আম ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই জরিমানা আদেশ দেয়া দুই পক্ষের কারও মধ্যেই।

পরে জানা গেছে পাঁচ কেজি খামিরে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম আম দেয়া ছিল।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট এ ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে আসার কথা বলেছেন। যদিও মান নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাটির কাছে জিলাপির মান নিয়ে কোনো নির্ধারিত শর্তই নেই। যেসব পণ্য বাজারে আনতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন লাগে, তার মধ্যে জিলাপি নেই।

এই পরিস্থিতিতে রসগোল্লার পরিচালক আরাফাত রুবেল জানিয়েছেন, তিনি জিলাপিটি আর বানাচ্ছেনই না। তিনি বলেন, ‘খুলনাসহ দেশের অন্য জায়গাতেও কাঁচা আমের জিলাপি হচ্ছে অথচ আমরা আমের শহরে, আমের জিলাপি বন্ধ।’


আমের জিলাপি: ‘রসগোল্লা’কে জরিমানার পেছনে আসলে কী


গত বছরের শেষ দিকে ‘রসগোল্লা’নানা স্বাদের মিষ্টি নিয়ে এসে তুমুল আলোচিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচার পায় খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা। আরও আছে পাকা আমের, কমলার মিষ্টি, কাঁচা মরিচের রসগোল্লা।

এবার রোজায় তারা নিয়ে আসে কাঁচা আমের জিলাপি। আগের সবগুলো পণ্যের মতো এটিও আলোড়ন তোলে। দেশের প্রধান গণমাধ্যমগুলোতেও এটি প্রতিবেদন আকারে উঠে আসে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এটি আলোচিত হয়। কাঁচা আমের জিলাপির পক্ষে-বিপক্ষে দুই ধরনের মতামতই আসতে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন কোথায় পাবে

দোকানটিতে দ্বিতীয় অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় দাসের মন্তব্য জানতে পারেনি নিউজবাংলা। পরে কথা হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানার সঙ্গে।

তিনি জানান, অভিযানে দেখা গেছে পাঁচ কেজি খামিরে ৫০০ গ্রাম আম দেয়া হয়। এ কারণে তারা একে আমের জিলাপি বলতে রাজি নন।

তিনি নিজেই উদাহরণ টানেন বাজারে চলা লিচি জেলির কথা। বলেন, ‘লিচুর মতো টেস্ট কিন্তু ওইটার মধ্যে তো লিচুর কিছুই নেই।’

এই পণ্য তো বাজারে চলছে... কেউ তো বন্ধের আদেশ দেয়নি- এ বিষয়টি স্মরণ করালে তিনি বলেন, ‘সে কোম্পানিগুলো বিএসটিআইয়ের অনুমতি নিয়ে করছে। তিনিও যদি এমন কোনো অনুমোদন নিয়ে আসেন তখন আমরা কিছু বলব না।’

তবে জিলাপির বিএসটিআইয়ের অনুমোদন আনা সম্ভবই না। এর কারণ মান নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাটির রাজশাহীর সহকারী পরিচালক দেবব্রত বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জিলাপির অনুমোদন দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।’

দ্বিতীয়বার জরিমানা কোন অপরাধে

জেলা প্রশাসনের যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়, তারা জরিমানা করে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন ফুড কালার ব্যবহারের কারণে। কিন্তু ফুড কালার বিএসটিআই দেখে না। এটা দেখে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ সায়েন্স ল্যাবরেটরি।

‘রসগোল্লা’র পরিচালক আরাফাত রুবেল নিউজবাংলাকে জানান, প্রথম যারা এসেছিলেন তারা দেখে বলেছেন, এটা ওকে আছে, এটা (রং) ব্যবহার করতে পারেন, কোনো সমস্যা নেই।

তাহলে জরিমানা কেন করল- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা জরিমানা করল আম পরিমাণে কম হয়েছে বলে।’


আমের জিলাপি: ‘রসগোল্লা’কে জরিমানার পেছনে আসলে কী


কতটুকু আম দিতে হবে- সেটা বলেছে কি?- এমন প্রশ্নে বলে, ‘না, তারা সেটা বলেনি। বলে এ বিষয়ে আইন নেই। বলেছে, এটায় যেহেতু পুরোটা আম নেই, তাহলে বলতে হবে ম্যাঙ্গো ফ্লেভারড জিলাপি।’

অথচ দ্বিতীয়বার যখন অভিযান চালানো হয়েছে, তখন জরিমানা করা হয়েছে কোন অপরাধে সেটিই স্পষ্ট নয়।

‘রসগোল্লা’কে যে জরিমানার স্লিপ দেয়া হয়, তাতে আইনের ধারা কাটাকাটি করা হয়েছে। প্রথমে লেখা হয়, ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮-এর ২৪(১) ধারার কথা। সেটি কেটে পরে লেখা হয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪১ ধারার কথা।

এই ধারায় বলা আছে, ‘কোন ব্যক্তি জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করিলে বা করিতে প্রস্তাব করিলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

রসগোল্লায় কী ভেজাল মেশানো হয়েছে, সেটি বুঝতে পারছেন না এর মালিক আরাফাত রুবেল।

তিনি জানান, দ্বিতীয় আদালত এসে বলেছে, তারা যে রং ব্যবহার করেন, সেটির বিএসটিআই অনুমোদন নেই।

রুবেল জানান, তিনি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, রঙের বিষয়টি বিএসটিআই দেখে না, এটা সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিষয়। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট সেটা শোনেননি।

তিনি বলেন, ‘তারা তো আমার কথা শোনেনি। কাটাকাটি করেছে স্লিপে। কত ধারায় জরিমানা করবে, সেটাও স্পষ্ট করতে পারেনি।’

রুবেল যে রং ব্যবহার করেন, সেটির অনুমোদনপত্র সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নিয়েছেন রুবেল। সেই নথিও নিউজবাংলাকে দিয়েছেন তিনি।

তবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা দাবি করেছেন, রং ব্যবহারের কোনো অনুমাদনপত্র দেখাতে পারেনি রসগোল্লা। বলেন, ‘দেখাতে পারলে জরিমানা করা হতো না।’

যে ধারাটি কেটে দেয়া হয়েছে, সেটি মূলত মোড়কজাত পণ্যের বিষয়ে। এই ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি মোড়কজাত কোনো পণ্য-

ক. তৈরি, উৎপাদন, মোড়কজাত বা বিক্রয় করিবেন না, বা মোড়কজাত বা বিক্রির ব্যবস্থা করবেন না;

(খ) পরিবেশন বা সরবরাহ করবেন না অথবা পরিবেশন বা সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন না; বা

(গ) বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রদর্শন বা অধিকারে রাখবেন না;

যদি না পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণের নিবন্ধন সনদপত্র থাকে।

এসব মোড়কের উপরিভাগে প্যানেলে বাংলা ভাষায় (বাংলা ভাষার অক্ষরের আকৃতিকে অধিক প্রাধান্য দিয়া) বেশ কিছু তথ্য দেয়ার শর্তও দেয়া আছে।

‘এক দিনে দুবার জরিমানা কখনও শুনেছেন?’

পরপর ‍দুবার জরিমানা, এর পেছনের কারণও অস্পষ্ট। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে আরাফাত রুবেলের মধ্যে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হয় এটার পেছনে অন্য কিছু আছে। নইলে কখনও দেখেছেন এক দিনে একই অভিযোগে একটি প্রতিষ্ঠানে দুবার অভিযান চালানো হয়?

তিনি বলেন, ‘এটা মনে হয় খ্যাতির বিড়ম্বনা। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক প্রচার হয়েছে। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনাও হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনে হয় নেগেটিভ আলোচনাটিকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’


আমের জিলাপি: ‘রসগোল্লা’কে জরিমানার পেছনে আসলে কী


এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কি না জানতে চাইলে ‍রুবেল বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না জানি না। তারা কি আমার আবেদন নেবে?’

কেন নেবে না- এমন মন্তব্য করার পর তিনি বলেন, ‘তাহলে আমি বিষয়টি ভেবে দেখব।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটা নিয়ে অভিযান চলেছে, কথা উঠেছে, এ কারণে আজ থেকে জিলাপি বানানো বন্ধ রেখেছি।’

একই প্রতিষ্ঠানকে একই অপরাধে একই দিন আবার জরিমানা করা যায় কি না- এমন প্রশ্নে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা বলেন, ‘এটা আইনসম্মতই হয়েছে।’

তবে দুই অভিযানের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা ছিল, সেটি স্বীকার করেছেন তিনি। বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার আমাদের ইনফর্ম করে যায়নি। তারা যে অভিযান চালিয়েছেন তারা জানাননি। এ ক্ষেত্রে একটু গ্যাপ হয়েছিল।

‘ডিসি স্যারের কাছে কিছু খবর ছিল ওইখানকার বিষয়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাজিস্টেট পাঠিয়েছিলাম। পরে আমরা জানতে পারি যে ভোক্তা অধিকারের অভিযান হয়েছে। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছিলাম, অভিযানের পর তারা যদি সেভাবে জিলাপি তৈরি আর না করে তাহলে দরকার নেই। কিন্তু অভিযানের পরও দেখা গেছে তারা একইভাবে জিলাপি বানাচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জরিমানা করা হয়েছে।’

আম আছে স্বীকার করে নিয়েছে দুই পক্ষই

প্রথম জরিমানার আদেশ দেয়া অধিদপ্তরের রাজশাহী শাখার উপপরিচালক হাসান আল মারুফ বলেন, ‘কাঁচা আমের জিলাপি বলে প্রচার করা হচ্ছে, আসলে এটা কাঁচা আমের না, কাঁচা আমের ফ্লেভারযুক্ত জিলাপি; যা এক ধরনের প্রতারণা।’

তিনি বলেন, ‘জিলাপির রং কখনও সবুজ হয় না। ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার করে কাঁচা আমের জিলাপি বলা হচ্ছে। এই প্রতারণা বন্ধ করার জন্য ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

আম কি একেবারেই পাননি?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আম ছিল, তবে তা ৫ শতাংশেরও কম হবে।’

জিলাপিতে আম কত শতাংশ থাকার কথা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, শতাংশ ওভাবে না। একেবারেই পরিমাণটা খুবই সামান্য। আবার এখন যে আমটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা খুবই ছোট। এখনও কোনো স্বাদ হয়নি। তারা যদি বলত, কাঁচা আমের ফ্লেভারের জিলাপি, তাহলে হতো।’

এক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে হাজির হন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় দাস। তিনি জরিমানা করেছেন ৩০ হাজার টাকা।

তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, তারা পাঁচ কেজি খামিরে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম আম পেয়েছেন।

তাহলে জরিমানা কেন?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাঁচা আমের যে জিলাপি বিক্রি করছে, তার সঙ্গে কৃত্রিমভাবে সবুজ রং মেশানো হচ্ছে যার কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। এ জন্য ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।’

তবে নথিপত্র বলছে, ব্যবহার করা রংটি খাদ্যে দেয়ার সরকারি অনুমোদন ছিল রসগোল্লার।

পাঁচ কেজির মধ্যে আধা কেজি আম দিলে কীভাবে হবে, বলছেন এডিএম

জিলাপিতে আমের পরিমাণ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা বলেন, ‘পাঁচ কেজি জিলাপির মধ্যে যদি আধা কেজি আমের রস দেয়, তবে কী সেটি আমের জিলাপি হবে? সেটি তো প্রতারণা। সেটায় তো আরও বেশি জরিমানা হবে।’

তাহলে পাঁচ কেজি ময়দার সঙ্গে কতটা আমের মিশ্রণ থাকলে মানসম্পন্ন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি কী করে বলব? তবে আপনি বলেন, যদি পাঁচ কেজির ভেতর হাফ কেজি আম ব্যবহার করে। বাজারে সেভাবে আমও আসেনি। ওইখানে যদি রং দিয়ে ফ্লেভার দিয়ে চালিয়ে দেয় তাহলে কী করে হবে?’

আরও পড়ুন:
কাঁচা আমের পর এবার তরমুজের জিলাপি
কাঁচা আমের জিলাপি: জরিমানা নিয়ে প্রশ্ন
এবার কাঁচা আমের জিলাপি
এক কেজি জিলাপির দাম কেন ২৭০০ টাকা
সংকটকালে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দুই অর্থনীতিবিদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on my newspaper representative in Daulatpur

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh Air Force Chief inaugurated the next development program in Feni

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী এলাকায় গত '২৪ এর ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক, সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল ১১ টায় ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুরে হাবিব উল্যাহ খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি।

বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী এলাকায় বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ ও পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় ছাগলনাইয়া উপজেলার হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় এর নবনির্মিত শাহীন ভবন উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর সিংহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী জেলার বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, বন্যা দুর্গতদের জন্য মেডিকেল সেবা পরিচালনা ও চিকিৎসা সেবা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী জেলায় ২০২৪ সালের আকস্মিক বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিমান বাহিনীর ভুমিকার ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সকল প্রতিষ্ঠান আর্থিক, ত্রাণ ও বিভিন্নভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিমান বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও বিমান বাহিনী দেশ ও জনগণের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, বন্যার সাথে তৎকালীন বৈরী আবহাওয়া ও বিছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পেশাদারিত্বের সাথে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, যা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা দিকনির্দেশনায় এবং বিমান বাহিনী প্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভয়াবহ এ বন্যাদুর্গত কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং বিশেষ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী জেলায় হেলিকপ্টার ও ইউএভি এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে এরিয়াল রেকোনাইসেন্স মিশন পরিচালনা করে বন্যা দুর্গত মানুষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বিমান বাহিনীর সূত্র জানায়, সামগ্রিকভাবে বিমান বাহিনী বন্যা পরবর্তী এ পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, ধর্মীয় উপাসনালয় ও রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং সংস্কার কার্যক্রম ইতিমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, দূর্গাপুর, ছাগলনাইয়্যা-এ অবস্থিত হাবিব উল্যাহ্ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা বিবেচনা করতঃ শাহীন ভবন নামে একটি চারতলা ভিত বিশিষ্ট দুইতলা ভবন আসবাবপত্রসহ নির্মাণ করা হয়েছে, যেটি দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। এ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকাস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি একে খন্দকার।

অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক, বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, ফেনী জেলা প্রশাসক, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে