× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Mango Jilapi What is behind the fines for Rasgolla?
google_news print-icon

আমের জিলাপি: ‘রসগোল্লা’কে জরিমানার পেছনে আসলে কী

আমের-জিলাপি-রসগোল্লাকে-জরিমানার-পেছনে-আসলে-কী
প্রথমে অভিযানে যাওয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটির রং ব্যবহারের অনুমোদনপত্র দেখে এসে বলেছে, তারা এটা ব্যবহার করতে পারবে। দ্বিতীয়বার অভিযানে যাওয়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে ভেজালের দায়ে, যদিও মুখে বলছে অবৈধ রং ব্যবহারের কথা। তবে তারা বৈধতার নথিপত্রই দেখতে চায়নি বলে অভিযোগ করছেন আমের জিলাপি নিয়ে আসা রসগোল্লার স্বত্বাধিকারী। জিলাপিতে আম ছিল- বলছে দুই পক্ষই। তবে বলছে পরিমাণে কম। যদিও কী পরিমাণে থাকা উচিত, সে বিষয়ে ধারণা নেই কারও।

রাজশাহীতে অভিনব মিষ্টি তৈরি করে আলোড়ন তোলা প্রতিষ্ঠান ‘রসগোল্লা’য় অভিযান চালিয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের জরিমানার ঘটনায় কাঁচা আমের জিলাপি তৈরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে প্রথমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও পরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায় প্রতিষ্ঠানটিতে। প্রথম সংস্থা জরিমানা করে ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান জরিমানা করে ৩০ হাজার টাকা।

একই প্রতিষ্ঠানে দুটি সংস্থার অভিযান নজিরবিহীন। পাশাপাশি জরিমানা ঠিক কী কারণে, সে বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারছেন না সাজা ঘোষণা করা দুই কর্মকর্তা।

তবে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দাবি করেছেন, এখানে আইনের ব্যত্যয় হয়নি।

প্রথমে অভিযানে যাওয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটির রং ব্যবহারের অনুমোদনপত্র দেখে এসে বলেছে, তারা এটা ব্যবহার করতে পারবে। দ্বিতীয়বার অভিযানে যাওয়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে ভেজালের দায়ে, যদিও মুখে বলছে অবৈধ রং ব্যবহারের কথা। তবে তারা বৈধতার নথিপত্রই দেখতে চায়নি বলে অভিযোগ করছেন আমের জিলাপি নিয়ে আসা রসগোল্লার স্বত্বাধিকারী।

জরিমানার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, জিলাপির খামিরে আমের পরিমাণ কম। তবে কী আম ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই জরিমানা আদেশ দেয়া দুই পক্ষের কারও মধ্যেই।

পরে জানা গেছে পাঁচ কেজি খামিরে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম আম দেয়া ছিল।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট এ ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে আসার কথা বলেছেন। যদিও মান নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাটির কাছে জিলাপির মান নিয়ে কোনো নির্ধারিত শর্তই নেই। যেসব পণ্য বাজারে আনতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন লাগে, তার মধ্যে জিলাপি নেই।

এই পরিস্থিতিতে রসগোল্লার পরিচালক আরাফাত রুবেল জানিয়েছেন, তিনি জিলাপিটি আর বানাচ্ছেনই না। তিনি বলেন, ‘খুলনাসহ দেশের অন্য জায়গাতেও কাঁচা আমের জিলাপি হচ্ছে অথচ আমরা আমের শহরে, আমের জিলাপি বন্ধ।’


আমের জিলাপি: ‘রসগোল্লা’কে জরিমানার পেছনে আসলে কী


গত বছরের শেষ দিকে ‘রসগোল্লা’নানা স্বাদের মিষ্টি নিয়ে এসে তুমুল আলোচিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচার পায় খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা। আরও আছে পাকা আমের, কমলার মিষ্টি, কাঁচা মরিচের রসগোল্লা।

এবার রোজায় তারা নিয়ে আসে কাঁচা আমের জিলাপি। আগের সবগুলো পণ্যের মতো এটিও আলোড়ন তোলে। দেশের প্রধান গণমাধ্যমগুলোতেও এটি প্রতিবেদন আকারে উঠে আসে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এটি আলোচিত হয়। কাঁচা আমের জিলাপির পক্ষে-বিপক্ষে দুই ধরনের মতামতই আসতে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন কোথায় পাবে

দোকানটিতে দ্বিতীয় অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় দাসের মন্তব্য জানতে পারেনি নিউজবাংলা। পরে কথা হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানার সঙ্গে।

তিনি জানান, অভিযানে দেখা গেছে পাঁচ কেজি খামিরে ৫০০ গ্রাম আম দেয়া হয়। এ কারণে তারা একে আমের জিলাপি বলতে রাজি নন।

তিনি নিজেই উদাহরণ টানেন বাজারে চলা লিচি জেলির কথা। বলেন, ‘লিচুর মতো টেস্ট কিন্তু ওইটার মধ্যে তো লিচুর কিছুই নেই।’

এই পণ্য তো বাজারে চলছে... কেউ তো বন্ধের আদেশ দেয়নি- এ বিষয়টি স্মরণ করালে তিনি বলেন, ‘সে কোম্পানিগুলো বিএসটিআইয়ের অনুমতি নিয়ে করছে। তিনিও যদি এমন কোনো অনুমোদন নিয়ে আসেন তখন আমরা কিছু বলব না।’

তবে জিলাপির বিএসটিআইয়ের অনুমোদন আনা সম্ভবই না। এর কারণ মান নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাটির রাজশাহীর সহকারী পরিচালক দেবব্রত বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জিলাপির অনুমোদন দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।’

দ্বিতীয়বার জরিমানা কোন অপরাধে

জেলা প্রশাসনের যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়, তারা জরিমানা করে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন ফুড কালার ব্যবহারের কারণে। কিন্তু ফুড কালার বিএসটিআই দেখে না। এটা দেখে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ সায়েন্স ল্যাবরেটরি।

‘রসগোল্লা’র পরিচালক আরাফাত রুবেল নিউজবাংলাকে জানান, প্রথম যারা এসেছিলেন তারা দেখে বলেছেন, এটা ওকে আছে, এটা (রং) ব্যবহার করতে পারেন, কোনো সমস্যা নেই।

তাহলে জরিমানা কেন করল- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা জরিমানা করল আম পরিমাণে কম হয়েছে বলে।’


আমের জিলাপি: ‘রসগোল্লা’কে জরিমানার পেছনে আসলে কী


কতটুকু আম দিতে হবে- সেটা বলেছে কি?- এমন প্রশ্নে বলে, ‘না, তারা সেটা বলেনি। বলে এ বিষয়ে আইন নেই। বলেছে, এটায় যেহেতু পুরোটা আম নেই, তাহলে বলতে হবে ম্যাঙ্গো ফ্লেভারড জিলাপি।’

অথচ দ্বিতীয়বার যখন অভিযান চালানো হয়েছে, তখন জরিমানা করা হয়েছে কোন অপরাধে সেটিই স্পষ্ট নয়।

‘রসগোল্লা’কে যে জরিমানার স্লিপ দেয়া হয়, তাতে আইনের ধারা কাটাকাটি করা হয়েছে। প্রথমে লেখা হয়, ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮-এর ২৪(১) ধারার কথা। সেটি কেটে পরে লেখা হয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪১ ধারার কথা।

এই ধারায় বলা আছে, ‘কোন ব্যক্তি জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করিলে বা করিতে প্রস্তাব করিলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

রসগোল্লায় কী ভেজাল মেশানো হয়েছে, সেটি বুঝতে পারছেন না এর মালিক আরাফাত রুবেল।

তিনি জানান, দ্বিতীয় আদালত এসে বলেছে, তারা যে রং ব্যবহার করেন, সেটির বিএসটিআই অনুমোদন নেই।

রুবেল জানান, তিনি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, রঙের বিষয়টি বিএসটিআই দেখে না, এটা সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিষয়। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট সেটা শোনেননি।

তিনি বলেন, ‘তারা তো আমার কথা শোনেনি। কাটাকাটি করেছে স্লিপে। কত ধারায় জরিমানা করবে, সেটাও স্পষ্ট করতে পারেনি।’

রুবেল যে রং ব্যবহার করেন, সেটির অনুমোদনপত্র সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নিয়েছেন রুবেল। সেই নথিও নিউজবাংলাকে দিয়েছেন তিনি।

তবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা দাবি করেছেন, রং ব্যবহারের কোনো অনুমাদনপত্র দেখাতে পারেনি রসগোল্লা। বলেন, ‘দেখাতে পারলে জরিমানা করা হতো না।’

যে ধারাটি কেটে দেয়া হয়েছে, সেটি মূলত মোড়কজাত পণ্যের বিষয়ে। এই ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি মোড়কজাত কোনো পণ্য-

ক. তৈরি, উৎপাদন, মোড়কজাত বা বিক্রয় করিবেন না, বা মোড়কজাত বা বিক্রির ব্যবস্থা করবেন না;

(খ) পরিবেশন বা সরবরাহ করবেন না অথবা পরিবেশন বা সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন না; বা

(গ) বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রদর্শন বা অধিকারে রাখবেন না;

যদি না পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণের নিবন্ধন সনদপত্র থাকে।

এসব মোড়কের উপরিভাগে প্যানেলে বাংলা ভাষায় (বাংলা ভাষার অক্ষরের আকৃতিকে অধিক প্রাধান্য দিয়া) বেশ কিছু তথ্য দেয়ার শর্তও দেয়া আছে।

‘এক দিনে দুবার জরিমানা কখনও শুনেছেন?’

পরপর ‍দুবার জরিমানা, এর পেছনের কারণও অস্পষ্ট। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে আরাফাত রুবেলের মধ্যে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হয় এটার পেছনে অন্য কিছু আছে। নইলে কখনও দেখেছেন এক দিনে একই অভিযোগে একটি প্রতিষ্ঠানে দুবার অভিযান চালানো হয়?

তিনি বলেন, ‘এটা মনে হয় খ্যাতির বিড়ম্বনা। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক প্রচার হয়েছে। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনাও হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনে হয় নেগেটিভ আলোচনাটিকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’


আমের জিলাপি: ‘রসগোল্লা’কে জরিমানার পেছনে আসলে কী


এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কি না জানতে চাইলে ‍রুবেল বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না জানি না। তারা কি আমার আবেদন নেবে?’

কেন নেবে না- এমন মন্তব্য করার পর তিনি বলেন, ‘তাহলে আমি বিষয়টি ভেবে দেখব।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটা নিয়ে অভিযান চলেছে, কথা উঠেছে, এ কারণে আজ থেকে জিলাপি বানানো বন্ধ রেখেছি।’

একই প্রতিষ্ঠানকে একই অপরাধে একই দিন আবার জরিমানা করা যায় কি না- এমন প্রশ্নে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা বলেন, ‘এটা আইনসম্মতই হয়েছে।’

তবে দুই অভিযানের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা ছিল, সেটি স্বীকার করেছেন তিনি। বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার আমাদের ইনফর্ম করে যায়নি। তারা যে অভিযান চালিয়েছেন তারা জানাননি। এ ক্ষেত্রে একটু গ্যাপ হয়েছিল।

‘ডিসি স্যারের কাছে কিছু খবর ছিল ওইখানকার বিষয়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাজিস্টেট পাঠিয়েছিলাম। পরে আমরা জানতে পারি যে ভোক্তা অধিকারের অভিযান হয়েছে। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছিলাম, অভিযানের পর তারা যদি সেভাবে জিলাপি তৈরি আর না করে তাহলে দরকার নেই। কিন্তু অভিযানের পরও দেখা গেছে তারা একইভাবে জিলাপি বানাচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জরিমানা করা হয়েছে।’

আম আছে স্বীকার করে নিয়েছে দুই পক্ষই

প্রথম জরিমানার আদেশ দেয়া অধিদপ্তরের রাজশাহী শাখার উপপরিচালক হাসান আল মারুফ বলেন, ‘কাঁচা আমের জিলাপি বলে প্রচার করা হচ্ছে, আসলে এটা কাঁচা আমের না, কাঁচা আমের ফ্লেভারযুক্ত জিলাপি; যা এক ধরনের প্রতারণা।’

তিনি বলেন, ‘জিলাপির রং কখনও সবুজ হয় না। ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার করে কাঁচা আমের জিলাপি বলা হচ্ছে। এই প্রতারণা বন্ধ করার জন্য ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

আম কি একেবারেই পাননি?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আম ছিল, তবে তা ৫ শতাংশেরও কম হবে।’

জিলাপিতে আম কত শতাংশ থাকার কথা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, শতাংশ ওভাবে না। একেবারেই পরিমাণটা খুবই সামান্য। আবার এখন যে আমটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা খুবই ছোট। এখনও কোনো স্বাদ হয়নি। তারা যদি বলত, কাঁচা আমের ফ্লেভারের জিলাপি, তাহলে হতো।’

এক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে হাজির হন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় দাস। তিনি জরিমানা করেছেন ৩০ হাজার টাকা।

তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, তারা পাঁচ কেজি খামিরে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম আম পেয়েছেন।

তাহলে জরিমানা কেন?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাঁচা আমের যে জিলাপি বিক্রি করছে, তার সঙ্গে কৃত্রিমভাবে সবুজ রং মেশানো হচ্ছে যার কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। এ জন্য ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।’

তবে নথিপত্র বলছে, ব্যবহার করা রংটি খাদ্যে দেয়ার সরকারি অনুমোদন ছিল রসগোল্লার।

পাঁচ কেজির মধ্যে আধা কেজি আম দিলে কীভাবে হবে, বলছেন এডিএম

জিলাপিতে আমের পরিমাণ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা বলেন, ‘পাঁচ কেজি জিলাপির মধ্যে যদি আধা কেজি আমের রস দেয়, তবে কী সেটি আমের জিলাপি হবে? সেটি তো প্রতারণা। সেটায় তো আরও বেশি জরিমানা হবে।’

তাহলে পাঁচ কেজি ময়দার সঙ্গে কতটা আমের মিশ্রণ থাকলে মানসম্পন্ন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি কী করে বলব? তবে আপনি বলেন, যদি পাঁচ কেজির ভেতর হাফ কেজি আম ব্যবহার করে। বাজারে সেভাবে আমও আসেনি। ওইখানে যদি রং দিয়ে ফ্লেভার দিয়ে চালিয়ে দেয় তাহলে কী করে হবে?’

আরও পড়ুন:
কাঁচা আমের পর এবার তরমুজের জিলাপি
কাঁচা আমের জিলাপি: জরিমানা নিয়ে প্রশ্ন
এবার কাঁচা আমের জিলাপি
এক কেজি জিলাপির দাম কেন ২৭০০ টাকা
সংকটকালে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দুই অর্থনীতিবিদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
During the illegal infiltration the Bangladeshi detained with the smugglers on the Garo Hill border

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।

বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police Super Ujjal Kumar Roy inaugurated the Loto Showroom in Jhalakathi

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।

এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।

পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।

কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র‌্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।

মন্তব্য

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।

এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।

গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।

বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।

আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।

গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।

আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

p
উপরে