× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
What will happen to the investor who cancels the bonus after adjusting the price
google_news print-icon

দাম সমন্বয়ের পর বোনাস বাতিল, বিনিয়োগকারীর কী হবে

দাম-সমন্বয়ের-পর-বোনাস-বাতিল-বিনিয়োগকারীর-কী-হবে
প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নগদ লভ্যাংশ আর বোনাস লভ্যাংশের জন্য পৃথক রেকর্ড ডেট কেন? এজিএমে যদি পাস হয়ে যায়, তাহলে বিএসইসি অনুমোদন দেবে না- এমন কোনো বিধান দুনিয়ার কোথাও আছে? একই রেকর্ড ডেট থাকবে। একবারই দর সমন্বয় হবে।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি এসএস স্টিল ২০২১ সালের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে গত ২৫ নভেম্বর। এর মধ্যে ২ শতাংশ নগদ আর ৮ শতাংশ বোনাস।

কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট ছিল ১৫ ডিসেম্বর। পরের কর্মদিবসে দাম সমন্বয়ও হয়।

রেকর্ড ডেটে শেয়ারদর ছিল ২১ টাকা ৪০ পয়সা। ৮ শতাংশ সমন্বয়ে দাম দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে ২০ পয়সা কমে লেনদেন শেষ হয় ১৯ টাকা ৬০ পয়সায়।

২০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার ঘোষণার কারণে বিনিয়োগকারীদের আসলে সেভাবে লোকসান হয়নি। তবে রেকর্ড ডেটের সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় পর গত ৫ এপ্রিল সেই বোনাস শেয়ার বাতিল করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

এই সিদ্ধান্ত নেয়ার দিন শেয়ারটির দর ছিল ১৯ টাকা। এরপর তিন দিন পরপর দর পতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়ে এখন দর ১৮ টাকা ১০ পয়সা।

নগদ লভ্যাংশ আর বোনাস লভ্যাংশের জন্য পৃথক রেকর্ড ডেট কেন? বিশ্বের আর কোথাও এমন নিয়ম আছে কি না আমার জানা নেই। একবারেই দুটির অনুমোদন হতে হবে। একই রেকর্ড ডেট থাকবে। একবারই দর সমন্বয় হবে।

এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এখন ২ শতাংশ নির্ধারণ থাকায় এক দিনে শেয়ারটির দর কমার সুযোগ আছে ৩০ পয়সা। এই পরিমাণই কমেছে দর।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, দাম সমন্বয়ের পর সেই বোনাস শেয়ার বাতিলে বিনিয়োগকারীর যে আর্থিক লোকসান হলো, তার দায় কে নেবে?

দাম সমন্বয়ের পর বোনাস বাতিল, বিনিয়োগকারীর কী হবে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসএস স্টিলের কারখানা, যেটির বোনাস শেয়ারের প্রস্তাব এজিএমে পাস করার কয়েক মাস পর বাতিল করেছে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ দেয় দুই ভাবে। প্রথমত. নগদ, দ্বিতীয়ত. বোনাস শেয়ার।

কোনো কোম্পানি তার আয় বিনিয়োগকারীর মধ্যে বিতরণ না করে তা পুনর্বিনিয়োগ করে বোনাস শেয়ার দিতে পারে। বছরের পর বছর ধরেই এভাবে বোনাস দেয়ার কারণে পরিশোধিত মূলধন তথা শেয়ারসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় কমে যেতে পারে এবং একপর্যায়ে কোম্পানির লভ্যাংশ বিতরণের সক্ষমতা কমে যেতে পারে।

এ কারণে বছর দুয়েক ধরে বিএসইসি নগদ লভ্যাংশ বিতরণে কোম্পানিগুলোকে উৎসাহী করে আসছে, পাশাপাশি বোনাস শেয়ারের যৌক্তিকতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।

কিন্তু এই যৌক্তিকতা যাচাই করতে মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে। আর বোনাস শেয়ার অনুমোদন হলে নতুন আরেকটা রেকর্ড ডেট দেয়া হচ্ছে।

স্টক ডিভিডেন্ড যদি বাতিল করতে হয়, তাহলে সেটা ঘোষণার দু-এক দিনের মধ্যেই করতে হবে। তার ওপর বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেবেন, ওই শেয়ারটি তারা রাখবেন কি না। লভ্যাংশ ঘোষণার এতদিন পর এসে তা বাতিল করা হলে যারা শেয়ারটি ধরে রেখেছিলেন তারা কী করবেন?

এ কারণে এসএস স্টিলের বিনিয়োকারীদের মতোই অন্যদেরও লোকসানের একটি প্রক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এর কারণ বিনিয়োগকারীরা সেভাবে সচেতন নয়, প্রথম রেকর্ড ডেটেই দাম সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে।

আবার প্রথম রেকর্ড ডেটের পর দাম সমন্বয় হলে পরে বোনাস লভ্যাংশ বাতিলের পর আবার দাম কমছে। এতে দুবার ক্ষতির মুখে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।

প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নগদ লভ্যাংশ আর বোনাস লভ্যাংশের জন্য পৃথক রেকর্ড ডেট কেন? বিশ্বের আর কোথাও এমন নিয়ম আছে কি না আমার জানা নেই। একবারেই দুটির অনুমোদন হতে হবে। একই রেকর্ড ডেট থাকবে। একবারই দর সমন্বয় হবে।’

তিনি বলেন, ‘এজিএমে যদি পাস হয়ে যায়, তাহলে বিএসইসি অনুমোদন দেবে না- এমন কোনো বিধান দুনিয়ার কোথাও আছে? এখন বিএসইসির আইনে কী আছে তা তো জানি না। তারা একেকবার একেক কাজ করছে।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘লভ্যাংশের বিষয়ে একটা রেকর্ড ডেট হলেই তো ভালো হয়।’

তিনি বলেন, বোর্ড মিটিংয়ের পরেই তো পরিচালকরা বিএসইসির অনুমতি চাইতে পারেন। এরপর এজিএম হোক। সে ক্ষেত্রে রেকর্ড ডেট একটা থাকবে। তা না হলে তো বিনিয়োগকারীর লোকসান হবে।

শাকিল রিজভী মনে করেন, দুবার রেকর্ড ডেটের কারণে কারসাজিও হতে পারে। কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘ধরুন, কোনো কোম্পানির পরিচালকরা জানেন বোনাস শেয়ার দেয়ার সক্ষমতা নেই তাদের। কিন্তু তারা ২৫ শতাংশ ঘোষণা করলেন। শেয়ারের দর বাড়ল। এরপর এসে সেটা বাতিল হয়ে গেল। লভ্যাংশ ঘোষণার পর পরিচালক বা অন্য কেউ বাড়তি দামে শেয়ার বিক্রি করে দিল। পরে বিএসইসি সেই প্রস্তাব বাতিল করল। আবার শেয়ারদর কমে গেল।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কী পরিমাণ লভ্যাংশ দেবে তা আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোষিত লভ্যাংশের বিষয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানায়।

লভ্যাংশ ঘোষণার ওপর ভিত্তি করেই বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, শেয়ারটি বিক্রি করবেন নাকি ধরে রাখবেন। ঘোষিত লভ্যাংশ মনঃপুত হলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি রেকর্ড ডেট পর্যন্ত ধরে রাখেন। কারণ রেকর্ড ডেট পর্যন্ত যার পোর্টফোলিওতে ওই শেয়ার থাকবে, তিনিই লভ্যাংশের দাবিদার হবেন।

রেকর্ড ডেটের পর শেয়ারহোল্ডারদের অংশগ্রহণে হয় বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম। সেখানেই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হয়।

শাকিল রিজভী মনে করেন, দুবার রেকর্ড ডেটের কারণে কারসাজিও হতে পারে। কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘ধরুন, কোনো কোম্পানির পরিচালকরা জানেন বোনাস শেয়ার দেয়ার সক্ষমতা নেই তাদের। কিন্তু তারা ২৫ শতাংশ ঘোষণা করলেন। শেয়ারের দর বাড়ল। এরপর এসে সেটা বাতিল হয়ে গেল। লভ্যাংশ ঘোষণার পর পরিচালক বা অন্য কেউ বাড়তি দামে শেয়ার বিক্রি করে দিল। পরে বিএসইসি সেই প্রস্তাব বাতিল করল। আবার শেয়ারদর কমে গেল।’

বিএসইসির মুখমাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলছেন, এজিএমে অনুমোদনের পর তাদের কাছে লভ্যাংশ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কোনো কোম্পানি বোনাস শেয়ার দিতে পারবে কি না, সেটি লভ্যাংশ ঘোষণার আগে বা রেকর্ড ডেটের আগে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেই পারে বিএসইসি।

মেট্রো স্পিনিংয়ের বোনাস বাতিলেও দুই দফা ক্ষতি

এসএস স্টিলের আগে মেট্রো স্পিনিং ঘোষিত ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে বিএসইসি।

গত বছরের ১০ অক্টোবর লভ্যাংশ ঘোষিত হয়। এই ঘোষণা পছন্দ হয়নি বিনিয়োগকারীদের।

পর্ষদ সভার দিন শেয়ারদর ছিল ৩০ টাকা ২০ পয়সা। এর পর থেকে দর কমতে থাকে। ৮ নভেম্বর রেকর্ড ডেটে দর ছিল ২৩ টাকা ৭০ পয়সা।

৩ ফেব্রুয়ারি বোনাস লভ্যাংশ বাতিলের আগে শেয়ারদর ছিল ২৫ টাকা ৫০ পয়সা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিদ্ধান্ত জানানোর পর ধারাবাহিকভাবে কমে ৭ মার্চ সেটি দাঁড়ায় ২০ টাকা ৯০ পয়সায়। বর্তমান দর ২১ টাকা ২০ পয়সা।

দাম সমন্বয়ের পর বোনাস বাতিল, বিনিয়োগকারীর কী হবে
এসএস স্টিলের আগে মেট্রো স্পিনিংয়ের বোনাস শেয়ারের প্রস্তাবও বাতিল করেছে বিএসইসি। এতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা

কেন অনুমোদন, কেন বাতিল, কারণ জানানো হয় না

এসএস স্টিল ও মেট্রো স্পিনিংয়ের বোনাস লভ্যাংশ কেন বাতিল করা হলো, তার কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে।

তবে গত ১০ ফেব্রুয়ারি জেনেক্স ইনফোসিসের এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ১০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার অনুমোদন করা হয়।

২২ ফেব্রুয়ারি সাইফ পাওয়ারটেকের প্রস্তাবিত ৬ শতাংশ ও ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৮ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করে।

এরপর ৭ মার্চ আরডি ফুডের ৩ শতাংশ এবং প্যাসিফিক ডেনিমের ১ শতাংশ বোনাস শেয়ার অনুমোদন করে।

এসব লভ্যাংশ অনুমোদন কোন বিবেচনায় অনুমোদন করা হলো, তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

লভ্যাংশ ঘোষণার এতদিন পর বাতিল কেন?

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্টক ডিভিডেন্ড যদি বাতিল করতে হয়, তাহলে সেটা ঘোষণার দু-এক দিনের মধ্যেই করতে হবে। তার ওপর বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেবেন, ওই শেয়ারটি তারা রাখবেন কি না। লভ্যাংশ ঘোষণার এতদিন পর এসে তা বাতিল করা হলে যারা শেয়ারটি ধরে রেখেছিলেন তারা কী করবেন?

‘তারা তো লসে পড়বেন। একে তো লভ্যাংশ বাতিল করা হচ্ছে। তার ওপর লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে তখনই প্রাইস অ্যাডজাস্ট হয়ে শেয়ারের দাম কমে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ রকম ভুক্তভোগী এক বিনিয়োগকারী টাঙ্গাইল থেকে আমাকে ফোন করেছিলেন। অনুনয় করে বলেছেন, যে আমরা কিছু করি।’

কী বলছে বিএসইসি

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো কোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে বোনাস অনুমোদন করা হয় না। কারণ দেখা গেছে, কোম্পানি শুধু বোনাসই দিয়ে গেছে। পেইডআপ বাড়াচ্ছে। ডাইলুটেড হয়ে হয়ে ইপিএস কমবে। এই সময়ে বোনাস বিক্রি করে করে টাকা নিয়ে যাবে। একসময় গিয়ে লস দেখাবে। এতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতে পারবেন না।’

বোনাস দিতে পারবে না এমন কোম্পানিকে কেন আগেই সতর্ক করা হয় না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা আগে বলা যায় কীভাবে, ডিভিডেন্ড কত দেবে না দেবে সেটা আগেই জেনে গেলে ইনসাইডারের ঝামেলা হবে না?’

তিনি বলেন, ‘কমিশন লভ্যাংশ অনুমোদন না করলে আবারও রেকর্ড ডেট দিতে হবে। স্টকের ক্ষেত্রে রেকর্ড ডেট সেকেন্ড টাইম দিতে হয়। ভবিষ্যতে অ্যাক্টে কোনো পরিবর্তন আসে তাহলে সেভাবে হবে।’

আরও পড়ুন:
বড় পতন থেকে ঘুরলেও কমল বেশিরভাগ শেয়ারের দর
পুঁজিবাজার থেকে বিডি পেইন্টস তুলবে ১২ কোটি টাকা
বাধাহীন পতনে দর হারাল ৩৩৭ কোম্পানি
আয় বাড়লেও লভ্যাংশ কমাল লংকাবাংলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Transaction is going on in the capital market of Dhaka Chittagong

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
At the end of the holidays the capital market starts with the big ups

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the first hour of the capital market the rise in the index has risen to most companies

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে