ভারতে সরকারি কর্মকর্তারা নানামুখী কারণে গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভয়ের মধ্যে রাখেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠান মালিকদের চাপ দেয়া, স্পনসরদের টার্গেট করা, সাজানো মামলা করা এবং কিছু ক্ষেত্রে মোবাইল, টেলিফোন ও ইন্টারনেটের মতো যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে। কংগ্রেস অনুমোদিত ‘মানবাধিকার অনুশীলন ২০২১ সংক্রান্ত প্রতিবেদন’টি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিক এবং এনজিওগুলোর কাছ থেকে রিপোর্ট এসেছে যে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন উপায়ে বড় মিডিয়া সংস্থাগুলোকে ভয় দেখানোর সঙ্গে জড়িত।’
এনজিওগুলো অভিযোগ করেছে, সরকারের সমালোচক সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে ফৌজদারি বিচার ও তদন্ত কার্যক্রমকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘কিছু সরকার, পুলিশ ও কারাগারের কর্মকর্তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্রমবর্ধমান ঘটনাসহ ভারতের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাক্রমের ওপর আমরা নজর রাখছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাত্র ৭০০ টাকা পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আবির মিয়া (২৬) নামে এক অটোরিকশাচালকের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে তাকে 'চোর' অপবাদ দিয়ে জোরপূর্বক মাথা নেড়া করে দেওয়া হয়। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
আহত আবির মিয়া নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামের আরফাত আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি গুরুতর অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
আবির মিয়া জানান, নবীনগরের আলিয়াবাদ গ্রামের অটোরিকশাচালক ওবায়দুল মিয়ার কাছে তার ৭০০ টাকা পাওনা ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখা হলে তিনি টাকা চাইলে ওবায়দুল তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির একপর্যায়ে ওবায়দুল তার গায়ে অটোরিকশার ব্যাটারির অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। পরে আরও কয়েকজন মিলে তাকে 'চোর' অপবাদ দিয়ে মাথা কামিয়ে হেনস্তা করে।
স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম বলেন, "এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
রংপুর অঞ্চলে কৃষকদের কাছে লাভজনক হয়ে উঠছে চীনাবাদাম চাষ। রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলার কৃষকরা এ বছরের রবি ও সদ্য সমাপ্ত খরিফ-১ মৌসুমে রেকর্ড ২৩ হাজার ১২ টন চীনাবাদাম উৎপাদন করেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত চীনাবাদাম পাইকারদের কাছে মানভেদে মণ প্রতি (প্রতি ৪০ কেজি) ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি করতে পারছে। চীনাবাদাম চাষে উচ্চ মুনাফা পাওয়ায় আনন্দিত এ অঞ্চলের কৃষকরা।
রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত রবি মৌসুমে এই অঞ্চলে ৫ হাজার ৭৬১ হেক্টর জমি থেকে ১২ হাজার ৩৮০ টন চীনাবাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু কৃষকরা শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৭৯ হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম চাষ করেছে এবং গত রবি মৌসুমে ১১ হাজার ৯২৮ টন উৎপাদন করেছে।’
একইভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খরিফ-১ মৌসুমে এই অঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলার জন্য ৫ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমি থেকে ১১ হাজার ৪৭০ টন চীনাবাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সদ্য শেষ হওয়া খরিফ-১ মৌসুমে কৃষকরা ৫ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম চাষ করেছে এবং ১১ হাজার ৮৪ টন ফসল উৎপাদিত হয়েছে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত উচ্চ-ফলনশীল জাতের চীনাবাদাম চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য খাতে চীনাবাদামের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় চাষের মূল জমি এবং বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চীনাবাদামের চাষের হার বাড়িয়েছে।’
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পিএইচডি ফেলো মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রতি একর জমিতে ২২ থেকে ২৮ মণ চীনাবাদাম উৎপাদন করে কৃষকরা ৮০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে চরের সাধারণ কৃষক এবং সাধারণ মানুষ চীনাবাদাম চাষকে লাভজনক অর্থকরী ফসল হিসেবে বিবেচনা করে এর প্রতি ঝুঁকছে। চীনাবাদাম চাষ তাদের জীবিকা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটিয়েছে।’
এছাড়াও খাদ্য ও কৃষি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ভালো দামের কারণে চাষের জমি এবং নদী তীরবর্তী বিশাল বালুকাময় চরাঞ্চলে প্রতি বছর চীনাবাদাম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রংপুর সিটি মার্কেটের চীনাবাদাম ব্যবসায়ী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ গত খরিফ-১ মৌসুমে জাত ও মান ভেদে কৃষকরা প্রতি মণ চীনাবাদাম ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রংপুরের পাঁচটি জেলার গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে চীনাবাদাম কিনে আমরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে মণ প্রতি ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করি।’
রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, ইয়াসিন আলী, সাইদুল ইসলাম, নুরুল হক এবং মোহাম্মদ আলী বলেন, গত রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে তারা চীনাবাদামের বাম্পার ফলন পেয়েছেন এবং দামও ভালো ছিল।
ক্যাম্পাসের ৮টি কেন্দ্রে এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ করা হবে কার্জন হল কেন্দ্রে। শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভোট দেবেন জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ভোট দেবেন কেবল রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাংলাদেশ–কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা ভোট দেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে।
এতে আরও বলা হয়, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের জন্য। সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে ভোট দেবেন কবি সুফিয়া কামাল হল এবং ইউল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন শামসুন নাহার হলের শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, গতকাল শুক্রবার দেওয়া আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের উদ্দেশে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারণামূলক বিলবোর্ড/ব্যানার টানানো রয়েছে কিংবা ইতোমধ্যে টানানো হয়েছে, সেগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রচারণা শুরুর নির্ধারিত দিন থেকে আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচারকাজ চালানো যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারণামূলক বিলবোর্ড/ব্যানার টানানো রয়েছে কিংবা ইতোমধ্যে টানানো হয়েছে, সেগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে।
প্রচারণা শুরুর নির্ধারিত দিন থেকে আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচার কাজ চালানো যাবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আলাদা আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা ২১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত কেউ হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। ২৬ আগস্ট থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে প্রচারণা চালালে সেটি ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, ডাকসুতে ২৮ পদে ৪৬২ জন আর হল সংসদে ১ হাজার ১০৮ জন বৈধ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ডাকসুতে ৪৭ জন এবং হল সংসদে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা ২৩ আগস্টের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, এবার ডাকসুতে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে চূড়ান্ত তালিকায় এই সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ আগস্ট দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ আগস্ট বিকেল ৪টায়। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা থেকে জামালপুরের তারাকান্দি পর্যন্ত চলাচলকারী আন্তনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে প্রবেশের মুখে লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকামুখী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। লাইনচ্যুত বগি সরিয়ে নিতে কাজ চলছে।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর কমলাপুর থেকে রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়েছে। এতে ঢাকার বাইরে থেকে আসা ট্রেনগুলো বিমানবন্দর স্টেশনে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। তবে ঢাকার ভেতর থেকে ট্রেন বের হওয়ার লাইন সচল আছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কামরুলাপুর থেকে দেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল— এমন কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে নাও পারে। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রত্যাশিত সময়ে ট্রেন না ছাড়ায় কামরুলাপুরে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নিখোঁজের পরদিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদী থেকে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গজারিয়ার কলাগাছিয়া এলাকার চর বলাকিয়ায় তার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে নৌপুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার (৭১) দৈনিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুর একটার দিকে গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীর চর বলাকী এলাকায় একজন পুরুষের লাশ ভেসে থাকতে দেখেন তারা। বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে তারা এসে লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার জুমার দিন, আমি বাসা থেকে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। যাবার পথে দেখলাম মেঘনা নদী থেকে আমাদের বাজারের দিকে যাবার খালে এক ব্যক্তির লাশ ভাসছে। লাশটি উল্টা হয়ে ছিল তবে এটি কিভাবে এখানে আসল তা আমার জানা নেই। নামাজ পড়ে এসে দেখি উৎসুখ জনতার ভিড় জমে গেছে। পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই’।
নৌপুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, মৃতদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে একদিন আগে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ কিছুটা বিকৃত হতে শুরু করেছে। দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মেলেনি। এ বিষয়ে রাজধানীর রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কর্মস্থল বনশ্রীর ‘আজকের পত্রিকা’ কার্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে তিনি বাসা থেকে বের হন। যদিও পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তিনি সেখানে যাননি। তিনি মোবাইল ফোনটিও বাসায় ফেলে যান। ‘আজকের পত্রিকা’ সূত্রে জানা যায়, ১৬ আগস্ট থেকে সাত দিনের ছুটিতে ছিলেন বিভুরঞ্জন।
বিভুরঞ্জন সরকারের ভাই চিররঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে লেখেন, আমার দাদা সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অন্যান্য দিনের মতো অফিস (আজকের পত্রিকা) যাবেন বলে বাসা থেকে বের হন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি অফিসে যাননি। পরিচিত পরিমণ্ডলের কোথাও যাননি। আজ কেউ তাকে দেখেননি। রাত ১টা পর্যন্ত বাসায় ফেরেননি।
গাজা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলো এখন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করল জাতিসংঘ-সমর্থিত বৈশ্বিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)।
বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার মাত্রা চিহ্নিত করার জন্য সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আইপিসির মানদণ্ড ব্যবহার করে থাকে। সংস্থাটি খাদ্য সংকটের মানদণ্ডে গাজা শহরকে তাদের শ্রেণীবিভাগে ‘পঞ্চম পর্যায়ে’ উন্নীত করেছে। অর্থাৎ গাজায় খাদ্য সংকট সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আইপিসি জানিয়েছে, ২২ মাসের সংঘাতের পর পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে। অনাহার, তীব্র অপুষ্টি এবং মৃত্যুহার - এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি। আরও ১১ লাখের মতো মানুষ জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে (আইপিসি-চতুর্থ পর্যায়ে আছেন তারা)। সেই সঙ্গে ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ সংকটে রয়েছে (আইপিসি পর্যায় তিন-এ)।
জাতিসংঘের সংস্থা, এনজিও, কারিগরি সংস্থা এবং আঞ্চলিক সংস্থাসহ ২১টি সংস্থা নিয়ে গঠিত ‘আইপিসি’ গাজা উপত্যকায় তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং তীব্র অপুষ্টি বিশ্লেষণ শুরু করার পর থেকে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুতর অবনতি লক্ষ্য করা গেছে।
আইপিসি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের জুন নাগাদ তীব্র অপুষ্টির কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সি কমপক্ষে ১ লাখ ৩২ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে। ২০২৫ সালের মে মাসে প্রকাশিত আইপিসির আগের অনুমানের তুলনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
সেই সঙ্গে অঞ্চলটিতে কমপক্ষে ৪১ হাজার গুরুতর রোগী রয়েছে, যাদের মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়েছে। আইপিসি বলেছে, প্রায় ৫৫ হাজার ৫০০ অপুষ্টিতে ভোগা গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো নারীর জরুরি পুষ্টি সহায়তার প্রয়োজন।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার দুর্ভিক্ষ একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, একটি নৈতিক অবক্ষয় এবং মানবতারই ব্যর্থতা।
তিনি বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ কেবল খাদ্যের জন্য নয়; এটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার ইচ্ছাকৃত পতন। মানুষ অনাহারে আছে। শিশুরা মারা যাচ্ছে। যাদের দায়িত্ব আছে তারা ব্যর্থ হচ্ছে।’
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, আমরা এই পরিস্থিতিকে দায়মুক্তি দিয়ে চলতে দিতে পারি না। আর কোনো অজুহাত নেই। পদক্ষেপ নেওয়ার সময় আগামীকাল নয় - এখনই।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে দেড় লাখের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
আইপিসির এই প্রতিবেদন দেওয়ার পর মানবিক দাতব্য সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ বলেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে আইপিসির নিশ্চিতকরণ ‘সমগ্র বিশ্বের জন্য লজ্জাজনক ব্যর্থতা’।
দাতব্য সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রতিদিন আমাদের দল সেখানে আরও বেশি মানুষকে অনাহারে মারা যেতে দেখছে। শিশুরা আমাদের চোখের সামনে জীবন্ত কঙ্কাল হয়ে উঠছে। বিশ্ব এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক মানুষ মারা যাবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই দুর্ভিক্ষ কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে মনুষ্যসৃষ্ট। ইসরায়েলের নিষ্ঠুর-অবৈধ অবরোধ এবং প্রতিদিন চলমান যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করতে ব্যর্থ বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতার কারণে এটি ঘটেছে। ব্যাপকভাবে দুর্ভিক্ষের ভবিষ্যদ্বাণী করা হলেও বারবার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাহায্য সংস্থা ‘মার্সি কর্পস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তজাদা ডিওয়েন ম্যাককেনা, গাজা শহরে দুর্ভিক্ষের জাতিসংঘের ঘোষণাকে ‘একেবারে ভয়াবহ, তবুও অবাক করার মতো নয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সাহায্যের ওপর মাসের পর মাস ইচ্ছাকৃত নিষেধাজ্ঞা, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পানি ব্যবস্থা ধ্বংস এবং অবিরাম বোমাবর্ষণের প্রত্যক্ষ ফলাফল এটি। এটি একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য এবং সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক।’
ম্যাককেনা বলেন, মার্সি কর্পসের কর্মীরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। আমরা আমাদের নিজস্ব দলের সদস্যদের না খেয়ে থাকতে দেখছি। তারা খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও খাবার এড়িয়ে যাচ্ছে, যাতে তাদের বাচ্চারা খেতে পারে। প্রতিদিন রুটি ও পানি খুঁজে পেতে তারা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে।
ম্যাককেনা আরও বলেন, ‘গাজায় আমরা যা দেখছি, তা হলো সর্বোচ্চ নৈতিক ব্যর্থতা। বিশ্ব জানে কীভাবে দুর্ভিক্ষ থামাতে হয় - আমাদের কেবল পদক্ষেপ নেওয়ার ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন।’
গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে বিশ্ব ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। তারা বলেছে, দাতব্য সংস্থাগুলো কয়েক মাস ধরে গাজায় যা প্রত্যক্ষ করছে, আইপিসির দুর্ভিক্ষ ঘোষণা সেটিই নিশ্চিত করেছে।
অক্সফামের নীতি প্রধান হেলেন স্টওস্কি বলেন, এই দুর্ভিক্ষ সম্পূর্ণরূপে খাদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যের ওপর ইসরায়েলের অবরোধ, ইসরায়েলের সহিংসতার ভয়াবহ পরিণতি এবং যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহার ব্যবহারের কারণেই ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘জুলাই মাসে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে সতর্ক করা সত্ত্বেও ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের খাদ্য থেকে বঞ্চিত করে চলেছে। দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংস্থাগুলোর প্রায় প্রতিটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ক্ষুধা, অপুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ করতে পারে - এমন গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং সাহায্য সরবরাহ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের ওপর অর্থবহ চাপ প্রয়োগে যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যর্থতা, শিশুসহ মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার সময় অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকা - এগুলো যতটা বিভ্রান্তিকর, ঠিক ততটাই নিন্দনীয়। এটা বন্ধ করতে হবে।’
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তিন কিশোরকে চোর সন্দেহে বেঁধে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই এক কিশোর নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চেইঙ্গার সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, পূর্বের বিরোধ থেকে চোর সন্দেহের নাটক সাজিয়ে পেটানো হয়েছে।
নিহত কিশোরের নাম মো. রিহান মহিন (১৫)। সে একই গ্রামের সাগর আলী তালুকদার বাড়ির মুদিদোকানি মুহাম্মদ লোকমানের ছেলে। পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই কিশোর তিন বন্ধুসহ এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। পরে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ করে পেটানো হয়েছে। এ ঘটনায় রিহানের দুই সমবয়সী বন্ধু মুহাম্মদ মানিক ও মুহাম্মদ রাহাত গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, নিহত রিহান বাবার মুদি দোকানে সহযোগী হিসেবে কাজ করত। গত বৃহস্পতিবার তারা চট্টগ্রাম নগরে বেড়াতে যায়। রাতে তারা বাড়ি ফিরছিল। তিনটার দিকে বাড়ির কাছে এলে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা সাত থেকে আটজন যুবক তাদের চোর আখ্যা দিয়ে ধাওয়া দেন। এরপর এ তিনজন দৌড়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে যুবকেরা ধরে এনে সেতুর ওপর আনেন। এরপর তিন কিশোরকে রশি দিয়ে বেঁধে ‘মব’ করে বেধড়ক মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই রিহানের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা গুরুতর আহত মানিক ও রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আর দুপুরে রিহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ওই তিন কিশোর নগরে বেড়াতে গিয়ে মধ্য রাতে বাড়ি ফিরছিল। কেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছে। পুলিশ মূল হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
ওসি নুর আহমদ বলেন, ‘একই গ্রামের যুবকেরা হামলা করায় এটিকে গণপিটুনি বা চোর সন্দেহ মনে হচ্ছে না। তাদের মধ্যে হয়তো কোনো বিরোধ বা শত্রুতা থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে।’
মন্তব্য