পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে এক পর্যায়ে সূচক আগের দিনের চেয়ে অনেকটা কমে গিয়েও শেষ পর্যন্ত কিছুটা বাড়ল। তবে এদিনও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর, যে কারণে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতি আরও বেড়েছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সূচক কিছুটা বাড়লেও পরের দুই দিনে ৮৮ পয়েন্ট পতন, বিপুল সংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা না থাকা, শেয়ার বিক্রি করতে না পারার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে বুধবার লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা ২০ মিনিটে সূচক পড়ে যায় আরও ৫৯ পয়েন্ট।
আবার বড় দরপতন হয় কি না, এমন কথা বলাবলি হতে থাকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তবে শেষ পর্যন্ত আর সেটি হয়নি। বড় মূলধনি কিছু কোম্পানি দর ফিরে পেতে থাকলে শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ১০.৯০ পয়েন্ট বেড়ে শেষ করে লেনদেন।
এ নিয়ে রোজার ৯ কর্মদিবসে সূচক কমল ১৮৬.৯৪ পয়েন্ট।
বড় পতন থেকে ঘুরে দাঁড়ালেও বেশিরভাগ কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি নেই। কারণ ১৩০টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৮৫টির দর। এছাড়া ৬৫টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পেরেছে।
আবারও বিপুল সংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে পতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশ পর্যন্ত। আবার এই সীমাতেও বিপুল সংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা ছিল না।
যেসব কোম্পানির লেনদেন মঙ্গলবার বন্ধ ছিল রেকর্ড ডেটের জন্য, সেগুলোর দরও কমেছে সমন্বয়ের পর ২ শতাংশ। এই দরপতনের আসলে কোনো ব্যাখ্যা নেই।
এমনকি ভালো নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পর রেকর্ড ডেট শেষে পরপর পাঁচ দিন ৩০ পয়সা করে কমেছে মার্কেন্টাইলে ব্যাংকের শেয়ারদর। ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর পাঁচ দিনে আরও দেড় টাকা দর কমায় বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ নিয়ে আসলে লোকসানে পড়েছে। কারণ তারা লভ্যাংশ পাবেন ১ টাকা ২৫ পয়সা, এখান থেকে আবার কর কাটবে ন্যূনতম ১২.৫ পয়সা (যাদের টিআইএন সার্টিফিকেট নেই, তাদের কাটবে ১৮.৭৫ পয়সা)।
লেনদেন আগের দিনের চেয়েও কমেছে। দিনশেষে হাতবদল হয়েছে ৫২৯ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন ছিল ৫৩২ কোটি ৯৫ লাখ ৮ হাজার টাকা। ২০২০ ও ২০২১ সালে পুঁজিবাজার চাঙাথাকাকালে এই পরিমাণ লেনদেন হতো এক ঘণ্টাতেই।
বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখের সাধারণ ছুটিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে।
সূচক বাড়িয়েছে যারা
সূচকের বৃদ্ধিতে বেশি ভূমিকা রাখা শীর্ষ ১০টি কোম্পানির প্রথম দুটিই ওষুধ ও রসায়ন খাতের। সূচকে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস। কোম্পানিরটির ৪.৬১ শতাংশ দর বেড়েছে। আর এতে সূচক বেড়েছে ৩.৭৭ পয়েন্ট।
এরপরেই সূচক বাড়িয়েছে ওষুধ খাতের বড় মূলধনি কোম্পানি স্কয়ার ফার্মা। কোম্পানিটি সূচক বাড়িয়েছে ২.৯২ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১.১২ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের দর ০.৫১ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ২.২৩ পয়েন্ট।
এরপরেই ১.৬ পয়েন্ট বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ।
প্রাইম ব্যাংকের ৪.৫৯ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে ১.৪৯ পয়েন্ট, ইবিএল ও বার্জার পেইন্ট ১ পয়েন্ট করে যোগ বাড়িয়েছে।
এছাড়া বিএসআরএম লিমিটেডের ১.৯৩ শতাংশ দরবৃদ্ধিতে ০.৮৩ পয়েন্ট, জেএমআই হসপিটালের ৯.৮৩ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে ০.৭৬ পয়েন্ট এবং এনসিসি ব্যাংকের ২.৭৬ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ০.৫৪ পয়েন্ট।
এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৬.১৪ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ১.৩৮ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবি। কোম্পানিটির ১.২৮ শতাংশ দরপতনে এই পয়েন্ট কমেছে।
একই সমান সূচক পড়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি রবির দরপতনে। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ০.৬৩ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১.৩৪ পয়েন্ট কমেছে আইএফআইসি ব্যাংকের কারণে। দিন শেষে কোম্পানির দর কমেছে ৪.৬২ শতাংশ।
দর কমেছে বেক্সিমকো গ্রুপের দুটি কোম্পানির। বেক্সিমকো ফার্মার ০.৯ শতাংশ দরপতনে ০.৮৮ পয়েন্ট এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের ০.৪৮ শতাংশ দর পতনে সূচক কমেছে ০.৮১ পয়েন্ট।
এছাড়া তিতাস গ্যাসের ১.০১ শতাংশ দরপতনে ০.৫২ শতাংশ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ০.৯৪ শতাংশ দর কমায় ০.৫ পয়েন্ট, ব্যাংক এশিয়ার দর ১.৫৬ শতাংশ হ্রাসে ০.৪৬ পয়েন্ট, ডেল্টা লাইফের ১.৬৯ শতাংশ দর হ্রাসে ০.৪১ পয়েন্ট এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১.৯৯ শতাংশ দর পতনে সূচক হ্রাস পেয়েছে ০.৪১ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৮.০৯ পয়েন্ট ।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
টানা দর বেড়ে চলেছে জেএমআই হসপিটালের দর। লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়ে ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা ৪০ পয়সায়।
এই কোম্পানিটি ছাড়া অন্য কোনোটির দর সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ ছুঁতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫.৮৬ শতাংশ বেড়েছে এইচআর টেক্সটাইলের দর। আগের দিন ৭৫ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৭৯ টাকা ৪০ পয়সায়।
দর বৃদ্ধির তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। ৫.৪৭ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিন সেটি হাতবদল হয়েছিল ৭ টাকা ৫০ পয়সায়।
এছাড়া বিকন ফার্মার ৪.৬ শতাংশ, সালভো সিমেন্ট ৩.৯১ শতাংশ, এমবি ফার্মা ৩.২৯ শতাংশ, রেনউইক জগেশ্বররের ৩.০৯ শতাংশ, ফার্স্ট প্রাইম ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.০১, এবি ব্যাংকের ২.৮৩ শতাংশ এবং এনসিসি ব্যাংকের দর বেড়েছে ২.৭৫ শতাংশ।
দর পতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৪.৯৭ শতাংশ দর পতন হয়েছে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানির পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২১ সালের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানির করপোরেট ঘোষণার কারণে আজ দরপতন বা উত্থানে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। এ কারণে ২ শতাংশের বেশি দাম কমার সুযোগ ছিল।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। ২০ মার্চে কোম্পানির পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণার পরে দর সমন্বয় হয়েছে। রেকর্ড ডেটে দাম ছিল ১৩ টাকা। সমন্বয়ের পর দাম দাঁড়ায় ১২ টাকা ৪০ পয়সা। এই দামেই হাতবদল হয়েছে শেয়ার।
ন্যাশনাল ফিডের দম কমেছে ২.৩১ শতাংশ। এই কোম্পানিটির এক শতাংশ লভ্যাংশ সমন্বয়ের পর এই পরিমাণ দাম কমেছে। আগের দিন দর ছিল ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। সমন্বয়ের পর হয় ১৭ টাকা ১০ পয়সা। সেখান থেকে ২০ পয়সা কমে হয়েছে ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়।
পিপলস ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ২ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারদর টানা পঞ্চম দিন দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিন দর ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। আজকে ১.৯৮ শতাংশ দর কমেছে লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সায়।
এছাড়া বিডিকম, হাওয়েল টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, সমরিতা হসপিটাল ও আমরা টেকনোলজির দর কমেছে সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ ও এর আশেপাশে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য