পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে এক পর্যায়ে সূচক আগের দিনের চেয়ে অনেকটা কমে গিয়েও শেষ পর্যন্ত কিছুটা বাড়ল। তবে এদিনও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর, যে কারণে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতি আরও বেড়েছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সূচক কিছুটা বাড়লেও পরের দুই দিনে ৮৮ পয়েন্ট পতন, বিপুল সংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা না থাকা, শেয়ার বিক্রি করতে না পারার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে বুধবার লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা ২০ মিনিটে সূচক পড়ে যায় আরও ৫৯ পয়েন্ট।
আবার বড় দরপতন হয় কি না, এমন কথা বলাবলি হতে থাকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তবে শেষ পর্যন্ত আর সেটি হয়নি। বড় মূলধনি কিছু কোম্পানি দর ফিরে পেতে থাকলে শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ১০.৯০ পয়েন্ট বেড়ে শেষ করে লেনদেন।
এ নিয়ে রোজার ৯ কর্মদিবসে সূচক কমল ১৮৬.৯৪ পয়েন্ট।
বড় পতন থেকে ঘুরে দাঁড়ালেও বেশিরভাগ কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি নেই। কারণ ১৩০টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৮৫টির দর। এছাড়া ৬৫টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পেরেছে।
আবারও বিপুল সংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে পতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশ পর্যন্ত। আবার এই সীমাতেও বিপুল সংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা ছিল না।
যেসব কোম্পানির লেনদেন মঙ্গলবার বন্ধ ছিল রেকর্ড ডেটের জন্য, সেগুলোর দরও কমেছে সমন্বয়ের পর ২ শতাংশ। এই দরপতনের আসলে কোনো ব্যাখ্যা নেই।
এমনকি ভালো নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পর রেকর্ড ডেট শেষে পরপর পাঁচ দিন ৩০ পয়সা করে কমেছে মার্কেন্টাইলে ব্যাংকের শেয়ারদর। ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর পাঁচ দিনে আরও দেড় টাকা দর কমায় বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ নিয়ে আসলে লোকসানে পড়েছে। কারণ তারা লভ্যাংশ পাবেন ১ টাকা ২৫ পয়সা, এখান থেকে আবার কর কাটবে ন্যূনতম ১২.৫ পয়সা (যাদের টিআইএন সার্টিফিকেট নেই, তাদের কাটবে ১৮.৭৫ পয়সা)।
লেনদেন আগের দিনের চেয়েও কমেছে। দিনশেষে হাতবদল হয়েছে ৫২৯ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন ছিল ৫৩২ কোটি ৯৫ লাখ ৮ হাজার টাকা। ২০২০ ও ২০২১ সালে পুঁজিবাজার চাঙাথাকাকালে এই পরিমাণ লেনদেন হতো এক ঘণ্টাতেই।
বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখের সাধারণ ছুটিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে।
সূচক বাড়িয়েছে যারা
সূচকের বৃদ্ধিতে বেশি ভূমিকা রাখা শীর্ষ ১০টি কোম্পানির প্রথম দুটিই ওষুধ ও রসায়ন খাতের। সূচকে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস। কোম্পানিরটির ৪.৬১ শতাংশ দর বেড়েছে। আর এতে সূচক বেড়েছে ৩.৭৭ পয়েন্ট।
এরপরেই সূচক বাড়িয়েছে ওষুধ খাতের বড় মূলধনি কোম্পানি স্কয়ার ফার্মা। কোম্পানিটি সূচক বাড়িয়েছে ২.৯২ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১.১২ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের দর ০.৫১ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ২.২৩ পয়েন্ট।
এরপরেই ১.৬ পয়েন্ট বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ।
প্রাইম ব্যাংকের ৪.৫৯ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে ১.৪৯ পয়েন্ট, ইবিএল ও বার্জার পেইন্ট ১ পয়েন্ট করে যোগ বাড়িয়েছে।
এছাড়া বিএসআরএম লিমিটেডের ১.৯৩ শতাংশ দরবৃদ্ধিতে ০.৮৩ পয়েন্ট, জেএমআই হসপিটালের ৯.৮৩ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে ০.৭৬ পয়েন্ট এবং এনসিসি ব্যাংকের ২.৭৬ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ০.৫৪ পয়েন্ট।
এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৬.১৪ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ১.৩৮ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবি। কোম্পানিটির ১.২৮ শতাংশ দরপতনে এই পয়েন্ট কমেছে।
একই সমান সূচক পড়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি রবির দরপতনে। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ০.৬৩ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১.৩৪ পয়েন্ট কমেছে আইএফআইসি ব্যাংকের কারণে। দিন শেষে কোম্পানির দর কমেছে ৪.৬২ শতাংশ।
দর কমেছে বেক্সিমকো গ্রুপের দুটি কোম্পানির। বেক্সিমকো ফার্মার ০.৯ শতাংশ দরপতনে ০.৮৮ পয়েন্ট এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের ০.৪৮ শতাংশ দর পতনে সূচক কমেছে ০.৮১ পয়েন্ট।
এছাড়া তিতাস গ্যাসের ১.০১ শতাংশ দরপতনে ০.৫২ শতাংশ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ০.৯৪ শতাংশ দর কমায় ০.৫ পয়েন্ট, ব্যাংক এশিয়ার দর ১.৫৬ শতাংশ হ্রাসে ০.৪৬ পয়েন্ট, ডেল্টা লাইফের ১.৬৯ শতাংশ দর হ্রাসে ০.৪১ পয়েন্ট এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১.৯৯ শতাংশ দর পতনে সূচক হ্রাস পেয়েছে ০.৪১ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৮.০৯ পয়েন্ট ।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
টানা দর বেড়ে চলেছে জেএমআই হসপিটালের দর। লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়ে ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা ৪০ পয়সায়।
এই কোম্পানিটি ছাড়া অন্য কোনোটির দর সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ ছুঁতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫.৮৬ শতাংশ বেড়েছে এইচআর টেক্সটাইলের দর। আগের দিন ৭৫ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৭৯ টাকা ৪০ পয়সায়।
দর বৃদ্ধির তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। ৫.৪৭ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিন সেটি হাতবদল হয়েছিল ৭ টাকা ৫০ পয়সায়।
এছাড়া বিকন ফার্মার ৪.৬ শতাংশ, সালভো সিমেন্ট ৩.৯১ শতাংশ, এমবি ফার্মা ৩.২৯ শতাংশ, রেনউইক জগেশ্বররের ৩.০৯ শতাংশ, ফার্স্ট প্রাইম ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.০১, এবি ব্যাংকের ২.৮৩ শতাংশ এবং এনসিসি ব্যাংকের দর বেড়েছে ২.৭৫ শতাংশ।
দর পতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৪.৯৭ শতাংশ দর পতন হয়েছে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানির পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২১ সালের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানির করপোরেট ঘোষণার কারণে আজ দরপতন বা উত্থানে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। এ কারণে ২ শতাংশের বেশি দাম কমার সুযোগ ছিল।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। ২০ মার্চে কোম্পানির পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণার পরে দর সমন্বয় হয়েছে। রেকর্ড ডেটে দাম ছিল ১৩ টাকা। সমন্বয়ের পর দাম দাঁড়ায় ১২ টাকা ৪০ পয়সা। এই দামেই হাতবদল হয়েছে শেয়ার।
ন্যাশনাল ফিডের দম কমেছে ২.৩১ শতাংশ। এই কোম্পানিটির এক শতাংশ লভ্যাংশ সমন্বয়ের পর এই পরিমাণ দাম কমেছে। আগের দিন দর ছিল ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। সমন্বয়ের পর হয় ১৭ টাকা ১০ পয়সা। সেখান থেকে ২০ পয়সা কমে হয়েছে ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়।
পিপলস ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ২ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারদর টানা পঞ্চম দিন দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিন দর ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। আজকে ১.৯৮ শতাংশ দর কমেছে লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সায়।
এছাড়া বিডিকম, হাওয়েল টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, সমরিতা হসপিটাল ও আমরা টেকনোলজির দর কমেছে সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ ও এর আশেপাশে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য