রাজবাড়ীতে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১২ ঘণ্টায় সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। জায়গার সঙ্কুলান না হওয়ায় ওয়ার্ডের বাইরে হাসপাতালের বারান্দাতেও বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা।
কী কারণে জেলায় হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে তা জানতে মঙ্গলবার ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, ‘আজ দুপুরেই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে।’
তিনি জানান, সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শামিম আহসানকে প্রধান করে টিমটি গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন, আরএমও ডা. আব্দুর রহমান, ডা.কানিজ ফাতেমা, ডা.আবু হানিফ ও ডা. সেলিম মিয়া।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এস এম এ হান্নান জানান, কী কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে তা বলা সম্ভব নয়, তবে পানি থেকে হতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সিট মাত্র ১২টি। এই সিট পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর ফ্লোরে ১০ জনকে রাখার মতো ব্যবস্থা আছে। গত চার-পাঁচ দিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১৫ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছে ৪৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬৫ জন। বেশির ভাগ রোগী ডায়রিয়া ও বমি নিয়ে হাসপাতালে এসেছে।
সদর উপজেলার বিনোদপুর থেকে ফরিদা বেগম এসেছেন তার ১০ বছরের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে। তিনি জানান, ৪ দিন ধরে ছোট মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। আজ বড় মেয়েকে ভর্তি করেছেন। এই কয়েক দিন হাসপাতালে থেকে তিনি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
শ্রীপুর থেকে আজ সকালে হাসপাতালে এসেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সকালে এসে সিট পাইনি। বাহিরেই স্যালাইন নিয়েছি। ঘণ্টাখানেক পর সিট পেয়েছি। এ ছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ওয়াশরুম সংকট থাকায় সবার অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্মরত সিরিয়র স্টাফ নার্স মিনতি রায় চৌধুরী জানান, রোগীর চাপে তারা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সিভিল সার্জন ইব্রাহিম টিটন বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো সবাইকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে অতিরিক্ত নার্স দেয়া হয়েছে। ডায়রিয়া আগের থেকে ৭-৮ গুণ বেড়েছে।’
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রোববার ও সোমবার দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখা। বলা হয়েছে, এই দুদিন চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিসও করবেন না।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। সূত্র: ইউএনবি
বিএমএ চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা প্রকাশ পরিষদ, চট্টগ্রাম প্রকাশ সমিতিসহ ৯টি সংগঠন অংশ নেয়।
বিএমএ নেতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চিকিৎসকরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। চিকিৎসকরা তাদের কর্মস্থলে খুবই অনিরাপদ।
চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান তারা।
মুজিবুল হক বলেন, ‘হামলার বিচার পাওয়ার জন্য আমরা পাঁচদিন অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।’
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগীর চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হামলায় গুরুতর আহত হন চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রক্তিম দাস।
পরে ১৪ এপ্রিল ভুল চিকিৎসায় এক বছরের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে রোগীর স্বজনদের হামলায় রিয়াজ উদ্দিন শিবলু নামে আরেক চিকিৎসক আহত হন।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ‘কোনো চিকিৎসকের ওপর হামলা যেমন মেনে নেব না, তেমনই চিকিৎসায় কোন ধরনের অবহেলা হলে সেটাও মেনে নিতে পারব না।’
বুধবার বিকেলে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে চিকিৎসদের নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামের পটিয়ায় চিকিৎসদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে চিকিৎসা কাজে চিকিৎসকদের আরও বেশি মনোযোগী ও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের যেমন সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব আমার, রোগীদের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বও আমার। কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সম্প্রতি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভুটান রাজার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার ভুটানে বার্ন হাসপাতাল করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত করোনার টিকা নেয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চর্ম রোগ দেখা দেয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো ড্রাগেই এলার্জি প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তবে এ বিষয়টি আমি এখনও শুনিনি।’
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনার প্রধান মুখপাত্র প্রফেসর ফলস-এর গবেষণায় এখনও এমন কোনো তথ্য উঠে আসেনি। তবে এমনও হতে পারে যে করোনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো এখন দেখা দিচ্ছে।’
এর আগে চান্দিনার মাধাইয়া ইউনিয়নের সোনাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব কমল কুমার ঘোষ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার, চান্দিনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মো. সোয়াইব, পৌর মেয়র শওকত হোসেন ভূইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন:পাবনায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক তদন্ত করে হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছেন সিভিল সার্জন। একইসঙ্গে অভিযোগ তদন্তে ডেপুটি সিভিল সার্জনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গা-ঢাকা দিয়েছে।
সোমবার ঘটনাটি জানাজানি হলে জেলা সিভিল সার্জন সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টির প্রাথমিক তদন্ত করে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেন।
পাবনা সদর পৌর এলাকার শালগাড়িয়া হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত বেসরকারি আইডিয়াল হাসপাতালে রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে পৃথক চিকিৎসক দ্বারা সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এর আগে দুপুরে রোগীদের সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ এলাকার মাহবুব বিশ্বাসের স্ত্রী ইনসানা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে রোববার দুপুরে তাকে পাবনা আইডিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় জাহিদা জহুরা লীজা নামক এক চিকিৎসক অপারেশন করতে গেলে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়।
অপর ঘটনায় একই সময়ে পাবনার আটঘরিয়ার স্বপ্না খাতুন নামক এক রোগী কাজী নাহিদা আক্তার লিপির কাছে সিজারিয়ান অপারেশন করতে আসেন। ভুল চিকিৎসায় তারও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে কর্তৃপক্ষ রাতেই রোগীসহ স্বজনদের হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে তা ধামাচাপা দিতে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মরদেহসহ স্বজনদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত শেষে হাসপাতাল-সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করার সময়ে যেসব উপকরণ ও মেডিসিন ব্যবহার হয়েছে সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লা দেওয়ান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন বা ওষুধ সেবনের ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি ক্লিনিকটি যেহেতু স্বাস্থ্য বিভাগের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত, তাই নিয়ম মেনে সব কার্যক্রম চলছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখনও কোনো পরিবার থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
আরও পড়ুন:‘দাদির মৃত্যুর সময় গ্রামের বাড়িতে আপনজন কেউ ছিলেন না। এ অবস্থায় তাকে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পাননি তিনি।
‘এই মনঃকষ্ট থেকেই করিমগঞ্জবাসীর জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করার চিন্তা করে আমাদের পরিবার। ভবিষ্যতে বেকারদের চাকরির সংস্থান করার ক্ষেত্রেও আমাদের পরিবার ভূমিকা রাখবে।’
কথাগুলো বলছিলেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের ব্যবসায়ী শফিউল আলম জনি। উপজেলার বাসিন্দাদের জন্য বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছেন ঢাকাকেন্দ্রিক এ ব্যবসায়ী।
শফিউল আলম জনির বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের হাইধনখালী গ্রামে। জনসেবামূলক উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শনিবার বিকেলে বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু।
করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে অ্যাম্বুলেন্সদাতা শফিউল আলম জনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ শাহেদ রনি ও ব্যবসায়ী রফিকুর রহমান।
এতে জনি জানান, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থাপনায় থাকবে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। দাতা হিসেবে তিনিও ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকবেন।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান। তাই দল-মত নির্বিশেষে এখানে উপস্থিত হয়েছি। জনির মতো সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ।’
আরও পড়ুন:ঈদের দিন আকস্মিকভাবে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালগুলোতে পরিদর্শনে যান। ঈদ ছুটিতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই মূলত তিনি হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে এটা আমার প্রথম ঈদ। আশা করছি, দেশের মানুষ খুব সুন্দরভাবে ঈদ পালন করছেন। ঈদে লম্বা ছুটি। এর মধ্যেও দেশের কোনো হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার ব্যাঘাত ঘটেনি।”
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি বুধবার কয়েকটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আজকে আরও কয়েকটি হাসপাতালে যাব। গতকাল দুটি হাসপাতালে গিয়েছি, দুই জায়গায়ই আমি পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স পেয়েছি। আমি সন্তুষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘রোগীদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। সকালে দেশের সকল হাসপাতালের পরিচালকদের মেসেজ পাঠিয়েছি৷ আমি এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, সব জায়গায় চিকিৎসা চলছে। কোথাও ব্যত্যয় ঘটেনি।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এই আকস্মিক পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে ।
তবে রোগীদের সুবিধার্থে ১৩ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগ খোলা থাকবে। তাছাড়া প্রতিদিনই হাসপাতালের ইনডোর ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। হাসপাতালের জরুরি ল্যাব সেবাও চালু থাকবে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, অফিস, বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনসালটেশন সার্ভিস, পিসিআর ল্যাব, কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম বুধবার থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারী এবং শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির দিনগুলোতে যাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য। রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা হচ্ছে কি না, তা দেখতে বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার নিজ দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যাদের ডিউটি থাকবে, সেটা যাতে ব্যাহত না হয়, সেটা আমি নিজে মনিটর করব। আমি কখন, কোথায়, কোন হাসপাতালে যাব, সেটা বলব না।’
ওই বক্তব্যের এক দিন পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি সেবা বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কিচেন এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) পরিদর্শন করেন।
দুটি হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। কোনো অভিযোগ থাকলে নিঃসংকোচে জানাতে বলেন তাদের।
হাসপাতাল দুটি পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানকার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
ওই সময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি ঈদের ছুটিতে এই অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়, হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স থাকেন না। সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা পায় না। এবার এটা হতে দেয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য