ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ঢাকার রামপুরা শাখা স্থানান্তর করে নেয়া হয়েছে এমজি টাওয়ারে।
রোবাবর ৩৮৯/বি, ডিআইটি রোডের এমজি টাওয়ারের নতুন ভবনে শাখার উদ্বোধন ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এতে ‘সর্বজনীন কল্যাণে মাহে রমজান’ শীর্ষক আলোচনা উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এনামুল করিম।
ব্যাংকের ঢাকা নর্থ জোনপ্রধান মুহাম্মদ সাঈদ উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জামাল উদ্দিন মজুমদার ও মিজানুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন রামপুরা শাখাপ্রধান দিদার হোসেন। এ সময় পল্টন শাখাপ্রধান আবদুল কাদেরসহ রামপুরা শাখার কর্মকর্তা, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যাশা করা হয়েছিল, রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদের আগের মাস জুনেও বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে। কিন্তু তেমনটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
এই মাসের ২৩ দিনের তথ্য রোববার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনের ১ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ১২৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ হিসাবে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। মাসের বাকি ৭ দিনে এই হারে রেমিট্যান্স আসলে দাঁড়াবে ১৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। যা হবে গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
গত ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। মার্চ মাসে আসে ১৮৬ কোটি ডলার।
গত ৩ মে মাসে দেশে রোজার ঈদ উদযাপিত হয়। ঈদ সামনে রেখে এপ্রিলে ২০১ কোটি (২.০১ বিলিয়ন) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, একক মাসের হিসাবে যা ছিল ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
ঈদের পরের মাসেও মোটামুটি ভালোই এসেছিল। মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ (১.৮৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন তারা।
প্রতি বছরই দুই ঈদ সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। কিন্তু দুই ঈদের পরের এক-দুই মাস রেমিট্যান্স বেশ কম আসে। কিন্তু রোজার ঈদের পর মে মাসে তেমনটি হয়নি।
৯ অথবা ১০ জুলাই দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে জুন মাসে এপ্রিল মাসের মত ২ বিলিয়নন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করা হচ্ছিল। ১৬ দিনের (১ থেকে ১৬ জুন) তথ্যে তেমন আভাসও পাওয়া যাচ্ছিল; ৯৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। কিন্তু পরের সপ্তাহে অর্থাৎ ১৭ থেকে ২৩ জুন এসেছে ৩২ কোটি ৬ লাখ ডলার। এই ৭ দিনে গড়ে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
জুনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসতে হলে মাসের বাকি ৭ দিনে (২৪ থেকে ৩০ জুন) প্রতি দিন ১০ কোটি ডলারের বেশি আসতে হবে; সেটা কখনই আসেনি দেশে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছর বা বছরে আসা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে আসে ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসেছিল ১৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাস ২৩ দিনে (২০২১ সালের ১ জুলাই-থেকে ২০২২ সালের ২৩ জুন) মোট ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশের মতো কম।
বিদায়ী অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে চাইলে অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিটান্সে হঠাৎ যে উল্লম্ফন হয়েছিল, তার একটি ভিন্ন পেক্ষাপট ছিল। ওই বছরের পুরোটা সময় কোভিডের কারণে গোটা পৃথিবী বন্ধই ছিল বলা চলে। সে কারণে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোও বন্ধ ছিল। প্রবাসীরা সব টাকা পাঠিয়েছিলেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে। সে কারণেই রেমিট্যান্স বেড়েছিল।’
‘আমার বিবেচনায় বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আসলে ১৬ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে এর চেয়ে বেশি যে রেমিট্যান্স এসেছিল সেটা আসলে হুন্ডি বন্ধ থাকার কারণেই এসেছিল। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবং কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি থাকায় এখন আগের মতো অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।
‘এর পরও বিদায়ী অর্থবছরের ৭ দিন বাকি থাকতেই সাড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্সকে আমি খুবই ইতিবাচক মনে করছি।’
টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মার্চে এসেছিল ১৮৬ কোটি ডলার।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিন হওয়ায় ওই মাসে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমেছিল বলে জানায় ব্যাংকগুলো।
তবে মার্চে এই সূচকে ফের গতি ফেরে; ১৮৮ কোটি ডলার পাঠান প্রবাসীরা। ওই মাসে ফেব্রুয়ারির চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, জুন মাসের ২৩ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন:বেসরকারি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক লিমিটেড (এক্সিম) ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডাদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
সভায় ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের আর্থিক বিররণী অনুমোদন দেয়া হয় বলে ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মো. নুরুল আমিন ফারুক, অঞ্জন কুমার সাহা ও মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফিরোজ হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির ও শাহ মো. আব্দুল বারি, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদা খানম এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মনিরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া, টোল প্লাজা, নদীশাসনসহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। স্বপ্নের এই সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছে বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ এই প্রতিষ্ঠানটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলসভাবে যুক্ত ছিল একমাত্র দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। ঐতিহাসিক এই যাত্রায় জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের গর্বিত অংশীদার প্রতিষ্ঠানটি। পুরো প্রকল্পে সেতুর গুনগত মান ঠিক রাখতে প্রায় এক কোটি আমেরিকান ডলার খরচ করে জার্মানি থেকে দুটি মেশিন নিয়ে আসার পাশাপাশি অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতেও আব্দুল মোনেম লিমিটেড বিনিয়োগ করেছে।’
আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন মোনেম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছি আমরা। এই প্রকল্পে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে গিয়ে আমরা আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরও একবার নিশ্চিত হয়েছি। ভবিষ্যতে দেশের আরও যেকোনো বড় প্রকল্পে আরও দক্ষতার সাথে অবদান রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করে।’
আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জনের গর্বিত অংশীদার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছর দেশে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি পরিপালনের দুই দশক পূর্তি হচ্ছে। পাশাপাশি বছরটি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর গৌরবোজ্জ্বল দুই দশক পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে পদ্মা ব্যাংকের কর্মী ও গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রোববার পদ্মা ব্যাংকের মিরপুর ট্রেনিং ইনিস্টিউটে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সচেতনতা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান।
ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সপ্তাহব্যাপী গ্রাহকদের এএমএল অ্যান্ড সিএফটি বিষয়ক বিশেষ বার্তা, ব্যাংকের ৫৯ শাখায় এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সচেতনতা বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শন, মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা, পদ্মা ব্যাংকের বিভিন্ন লোকেশনে ব্যানার ও ড্যাঙ্গলারের মাধ্যমে সচেতনতা বিষয়ক বার্তা প্রদর্শন করা হবে।
এ ছাড়া শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগগুলোতে সপ্তাহব্যাপী ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম ও এএমএল অ্যান্ড সিএফটি ডিভিশনের কর্মকর্তাদের পরিদর্শন ও অবস্থানসহ আরও নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার জাবেদ আমিন, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এসইভিপি এম আহসান উল্লাহ খান, এসইভিপি ও আরএমডি অ্যান্ড ল হেড ফিরোজ আলম, এসইভিপি ও হেড অব করপোরেট লায়াবিলিটি মার্কেটিং সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম, ডেপুটি চিফ অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার ও ভিপি রাশেদুল করিম-সহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ব্যাংকের ঢাকার শাখাগুলোর ব্যামেলকোরা স্বশরীরে ও বাইরের শাখার ব্যামেলকো ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন:ইসলামী ফাইন্যান্স উইং খোলার অনুমোদন পেয়েছে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড-এসএফআইএল।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের পরিচালক জুলকার নায়েন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
এসএফআইএলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লেখা চিঠিতে বলা হয়, “এসএফআইএলর আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে 'ইসলামী ফাইন্যান্স উইং' খোলার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হলো।”
স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্সের এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতেজা আহমেদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রাহকরা এখন ইসলামী ধারার লেনদেন বেশি পছন্দ করছে। মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের অনেক মানুষ সুদের সঙ্গে যুক্ত হতে চান না, ইসলামী লেনদেনে আস্থা পান তারা। এজন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামী ফাইন্যান্স উইং খোলার আবেদন করি।’
তিনি জানান, তাদের ৯৮ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার প্রাতিষ্ঠানিক। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ কানাডা ও আমেরিকার সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) রয়েছে। আর বাকি ২ শতাংশ ব্যক্তিকেন্দ্রিক। ফলে সুশাসন ও ব্যবস্থাপনা পরিধি নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়। এটা আমাদের শক্তি। আমানতকারীদের আস্থা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটা একটা ভালো উদাহরণ।
দেশে আর্থিক খাতের বয়স বিবেচনায় এসএফআইএল নবীন। ‘স্বচ্ছতার বন্ধন’– এই স্লোগান সামনে রেখে করোনার মধ্যে যাত্রা শুরু করে এসএফআইএল। তবে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তার পরিচালন দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও মিলেছে কাঙিক্ষত সাফল্য।
অতি সতর্কভাবে ঋণ বিতরণ করায় প্রতিষ্ঠার দেড় বছর পরেও প্রতিষ্ঠানটির বিতরণকৃত ঋণের এক টাকাও খেলাপি হয়নি।
অনুমোদন পেতে যেসব কাজ করতে হবে
ইসলামী ফাইন্যান্স উইং খোলার জন্য এসএফআইএলকে কিছু কার্যক্রম নিতে হবে বলে চিঠিতে বলা হয়।
এগুলো হলো:
>> এসএফআইএলকে নিবন্ধিত সংঘ-স্মারক সংশোধনপূর্বক ইসলামী শরীয়াহভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনাকে কোম্পানির অন্যতম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য হিসেবে সংযুক্ত করতে হবে;
>>কোম্পানির সংঘ-বিধি সংশোধন করে একটি স্বতন্ত্র শরীয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটি গঠন করতে হবে;
>> ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে একটি পৃথক ইসলামী অর্থায়ন বিভাগ গঠন করতে হবে;
>>কী কী আমানত, ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ, ফাইন্যান্সিং সুবিধা প্রদান করা হবে তা সংবলিত প্রোডাক্ট পলিসি গাইডলাইন প্রণয়ন;
>>বিদ্যমান তহবিল থেকে প্রস্তাবিত ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবসার পৃথক তহবিল গঠন;
>> শরীয়াহ ভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি অপারেশনাল ম্যানুয়াল প্রণয়ন;
>>আমানত ও বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফার হার নির্ধারণ বা হিসাবায়নের নীতিমালা প্রণয়ন;
>>ইসলামী শরীয়ারভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবসার জন্য পৃথক হিসাবরক্ষণ নীতি ও পদ্ধতি গ্রহণপূর্বক পৃথক আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত;
>> বাংলাদেশ ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং নীতিমালার আলোকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে;
>> ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনার জন্য পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুতি করা হয়েছে মর্মে স্বতন্ত্র শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটি কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র দাখিল;
এবং
>>নীতিগত অনুমোদন পা্ওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এসব নির্দেশনা পরিপালনপূর্বক 'ইসলামী ফাইন্যান্স উইং’ এর মাধ্যমে ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখি হওয়ার পর দেশেও কমানো হলো দাম। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যতটা কমেছে, সেই তুলনায় দেশে দাম কমেছে অনেকটাই কম।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৮০ টাকা।
৫ লিটারের বোতলের দাম ঠিক করা হয়েছে ৯৮০ টাকা। অর্থাৎ ৫ লিটারের বোতলে প্রতি লিটারে দাম পড়ে ১৯৬ টাকা।
সোমবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
রোববার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানায়।
অর্থাৎ তেলের দাম লিটারে কমেছে ৩ শতাংশেরও কম। কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম ২৬ শতাংশের মতো কমেছে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব।
গত ৯ জুন বাজেট ঘোষণার দিন সব শেষ তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেদিন লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয় লিটারে ২০৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৮৫ টাকা।
এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি।
এরপর সরকার ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিক্রির ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি আর আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। পরে গত ২০ মার্চ লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৬০ টাকা।
সেদিন পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এরপর ৫ মে তেলের দাম লিটারে এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ১৯৮ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ক্রমেই বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে দাম অনেকটাই পড়তির দিকে।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি জানায়। তারা জানায়, বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দাম ২৬ শতাংশ কমেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল ১ হাজার ৩৮৫ ডলার।
চলতি বছরের মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১ হাজার ৯৫৬ ডলার। এপ্রিলে তা কমে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১ হাজার ৯৪৭ ডলার। আর বর্তমানে টনপ্রতি ১ হাজার ৪৬৪ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থাৎ এক মাসে তেলের দাম কমেছে ২৬ শতাংশ।
তবে যে হারে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে কমানোর ক্ষেত্রে এতো কমহারে সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা। এ বিষয়ে ভোক্তাদের জন্য সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান কিছুটা নাখোশ বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘হ্রাসকৃত হারটি আরও বাড়তে পারতো। আশা করি সরকার দাম কমানোর এই হারটি পুনর্বিবেচনা করবেন। একইভাবে ডলারের দাম উঠা-নামায় যাতে তেলের মূল্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে সে জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।’
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমেছে ২৬ শতাংশের মতো। এর বিপরীতে দেশে সয়াবিনের দাম কমেছে মাত্র ৩ শতাংশ।
তেলের দাম কমানোর এই হারে সন্তুষ্ট নন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, ‘আশা করি সরকার দাম কমানোর এই হারটি পুনর্বিবেচনা করবে। একইভাবে ডলারের দাম উঠামা যাতে তেলের মুল্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেরতে না পারে সে জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।’
দাম এত কম কমল কেন- জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সয়াবিন আমদানি হয়ে থাকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো দূরপ্রপাচ্যের দেশগুলো থেকে। ওই সব বাজার থেকে তেল আনতে ৪০ থেকে ৫০ দিন সময় লাগে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশে তার প্রভাব পড়তে দেরি হয়। আবার দেশে যখন কমে আসে তার সুফল পেতে না পেতেই দেখা যায় আন্তর্জাতিকবাজার আবারও বেড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার দাম কম হারে কমানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে ডলারের দামে অস্থিরতা। আগে এক ডলারে যে টাকা পাওয়া যেত, এখন তার চাইতে আরও বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর প্রভাব এই তেলের মূল্যে পড়েছে। ফলে দাম আশানুরূপ হারে কমানো সম্ভব হয়নি।’
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামীতেও তেলের দাম হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার নজর রাখবে বলেও জানান সচিব।
আরও পড়ুন:দেশের পুঁজিবাজারে এক্সচেঞ্জ ট্রেডিং ফান্ড-ইটিএফ প্রডাক্ট চালুর লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডন গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রোববার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা-সিইও মরিস পটের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, মিজানুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত এক ধরনের কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা সমন্বিত বিনিয়োগ তহবিলকে বলা হচ্ছে ইটিএফ। এ ধরনের তহবিল থেকে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার বা নির্দিষ্ট সূচক অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়।
মিউচুয়াল ফান্ডের মতো এ তহবিল ব্যবস্থাপনারও দায়িত্বে থাকে সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান। ওই সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান তহবিলের অর্থ আইন অনুযায়ী নির্ধারিত শেয়ারে বিনিয়োগ করে। ইটিএফ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তহবিলটির ইউনিট কেনাবেচার সুযোগ পাবেন।
এটি মেয়াদি বা বেমেয়াদি উভয় ধরনেরই হতে পারে। তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে এ ধরনের তহবিলে। কোথাও কোথাও এটির বিনিয়োগকে নির্দিষ্ট সূচক বা ইনডেক্সভিত্তিক করা হয়।
বৈঠকে মরিস পট বাংলাদেশে ইটিএফ চালুকরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান, নলেজ ট্রান্সফার বা জ্ঞান স্থানান্তরে প্রশিক্ষণ এবং ইটিএফে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বিএসইসি জানায়, ইটিএফ চালুর ক্ষেত্রে বাজার সৃষ্টিকারী বা মার্কেট মেকার প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বনামধন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাজার সৃষ্টিকারী সনদপ্রাপ্তির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা সভায় আলোচনা হয়েছে। বাজার সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের বিষয়েও মরিস পট আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিনিয়োগকারীরা যেন সর্বোচ্চ মুনাফা পান, সে জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে ইটিএফ গঠনের ক্ষেত্রে পরিচালন ব্যয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার বিষয়ে সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বৈঠকে বলেন, ‘ইটিএফে বিনিয়োগ তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ইটিএফ খুবই জনপ্রিয় একটি বিনিয়োগ পণ্য হিসেবে বিনিয়োগকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান মনে করেন, নতুন এ বিনিয়োগ পণ্যটি এলে তা বাজারের স্থিতিশীলতা, বৈচিত্র্য সৃষ্টি ও তারল্যপ্রবাহ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘ইটিএফ গঠন ও বাজার সৃষ্টিকারী সনদ প্রদানে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে কমিশনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতাসহ ফাস্ট ট্র্যাক সেবা প্রদান করা হবে বলে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য