কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিনসহ ১৫ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জেলা আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আতাবুল্লাহ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী আ হ ম তাইফুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুইটি মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।’
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কাইয়ুম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান, ভিপি জসিম উদ্দিন, কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল্লাহ শিপন, সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল, মহানগর যুবদলের সভাপতি উৎবাতুল বারী, সহসভাপতি তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সালুর রহমান পাভেলসহ ১৭ জন।
আইনজীবী আ হ ম তাইফুর রহমান জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুইটি মামলায় আজ দুপুরে ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির মোট ১৬ জন আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয় ও একজনকে জামিন দেয়া হয়।
তবে এ মামলা দুটিকে সাজানো ও মিথ্যা দাবি করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। তারা এই আদেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতাকর্মীদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি চান।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের পৌর এলাকার ঝালমুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার সন্ধ্যায় এবং সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াগাও ও বেপারীপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বেশকিছু বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫/৬ জন আহত হয়েছেন।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. অলিউল্লাহ ও বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের লোকজনের মধ্যে ঝালমুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আজকে (সোমবার) দুপুরে আবারও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পদ্মা সেতুর নাট খুলে টিকটক করা যুবক বাইজীদকে সাত দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সালেহুজ্জামান সোমবার বিকেলে তাকে রিমান্ডে পাঠান।
আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর দিন রোববার রেলিংয়ের নাট খোলার ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে সন্ধ্যায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন এক যুবক। পরে জানা যায়, তিনি বায়েজিদ তালহা নামে পরিচিত, তবে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম মো. বাইজীদ। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
আইনটির যে ধারায় তার নামে মামলা হয়েছে, সে ধারায় এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মনে করছে, সেতুর ওপরের রেলিংয়ের ইস্পাতের পাতের সংযোগস্থলের নাট খোলা নিছক খেয়ালের ছলে হয়নি; এটা পরিকল্পিত।
কী আছে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারায়
বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারায় ‘অন্তর্ঘাতমূলক’ (স্যাবোটাজ) কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা ও শাস্তির উল্লেখ রয়েছে।
এই আইনের ১৫(খ) ধারায় বলা হয়, কোনো রেলপথ, রোপওয়ে, রাস্তা, খাল, সেতু, কালভার্ট, বন্দর, ডকইয়ার্ড, লাইটহাউস, বিমানবন্দর, টেলিগ্রাফ বা টেলিফোনের লাইন অথবা টেলিভিশন বা বেতার স্থাপনার দক্ষতা বিনষ্ট বা ক্ষতিসাধনের মতো কাজ করা যাবে না।
এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ ছাড়া যাবজ্জীবন বা ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুতে নাট খোলা বাইজীদ পটুয়াখালীর, করতেন ছাত্রদল
বাইজীদ তালহার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামে। একসময়ের ছাত্রদলকর্মী বাইজীদ বর্তমানে ঢাকায় ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও পটুয়াখালী বিএনপিসংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, বাইজীদ অতীতে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লবের সময়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের মিছিল-মিটিংয়ে নিয়মিত অংশ নিতেন তিনি।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল-হেলাল নয়ন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাইজীদ আগে পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে তিনি অনেক দিন ধরে এলাকায় নেই। এখন ঢাকায় রাজনীতি করেন কি না তা জানি না। ব্যক্তির অন্যায় অপরাধ দল কখনই দায় নেবে না।’
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নদীর সিএন্ডবি ঘাট এলাকা থেকে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
মৃত মাসুদ রানা রাজশাহী মহানগরের তেরখাদিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রোনিকস বিভাগে পড়তেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে মাসুদ রানা তার দুই বন্ধুকে নিয়ে নদীর সিএন্ডবি ঘাটে গোসল করতে নামে। রাকিব হোসেন ও আবু তালিব নামে দুই শিক্ষার্থী সাঁতার কেটে নদী থেকে উঠতে পারলেও মাসুদ রানা উঠে না আসায় ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফরিদ উদ্দিন জানান, রাজশাহী থেকে আসা ডুবরি দলের চেষ্টায় কিছুক্ষণ আগে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
পাড়ি দেয়ার সময় পদ্মা সেতুতে গাড়ি পার্কিং, হাঁটাহাঁটি কিংবা ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না অতি উৎসাহীরা। একের পর এক কাণ্ড ঘটিয়েই চলছেন তারা।
সেতুটির নাট-বোল্ট খুলে এক যুবকের গ্রেপ্তারের পর এবার সেতুতে অবৈধভাবে পার্কিং করার অপরাধে এক প্রাইভেট কারচালককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে সোমবার দুপুরে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল কবীর।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে পাঁচ যুবক একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে পদ্মা সেতুতে ঘুরতে আসেন। মাওয়া টোলপ্লাজায় টোল আদায় করে সেতুতে ওঠেন তারা।
মাঝ সেতুতে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে তারা সেলফি তুলছিলেন। অবৈধভাবে পার্কিং করার দায়ে চালককে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়।’
শনিবার সেতুর নামফলক উন্মোচনের আগেই সেতুতে কী কী করা যাবে না- সে বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। যদিও সেতু উদ্বোধনের পর সে নির্দেশনা মানতে প্রবল অনীহা দেখা যায় মানুষের।
এদিন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর পরই বিপুলসংখ্যক মানুষ উঠে পড়েন মূল সেতুতে। তাদের নামাতে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
ঘোষণা অনুযায়ী রোববার ভোরে সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার পরও একই চিত্র দেখা যায়। যে যার মতো করে সেতুতে হাঁটাহাঁটি করছেন; তুলছেন ছবি। কেউ আবার এক ধাপ এগিয়ে সেতুর রেলিংয়ে বসে দিচ্ছেন পোজ।
সবকিছু ছাপিয়ে সেতুর ওপর সবচে অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম দেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামের যুবক বাইজীদ তালহা।
সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পর দিনের বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। এরই ফাঁকে আলোচিত ভিডিওটি করেন বাইজীদ।
৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক সেতুর রেলিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দুটি বল্টুর নাট খুলছেন। যিনি ভিডিও করছিলেন তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এই লুজ দেহি, লুজ নাট, আমি একটা ভিডিও করতেছি, দেহ।'
নাট হাতে নিয়ে জবাবে বাইজীদ বলেন, ‘এই হলো পদ্মা সেতু আমাদের... পদ্মা সেতু। দেখো আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু। এই নাট খুইলা এহন আমার হাতে।’
ভিডিওটি বাইজীদের টিকটক অ্যাকাউন্টে আপলোড করার পর ফেসবুকেও সেটি ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় বাইজীদকে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে রোববার সন্ধ্যার দিকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। তার বিরুদ্ধে বিশেষ নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনে গুলি করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায় শনিবার রাতে অভিযানে পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পাবনা জেলা গোয়েন্দা অফিস থেকে সোমবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়৷ এ সময় পিন্টুর সমর্থক নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে ভিড় করেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে ঈশ্বরদী স্টেশন পার হওয়ার সময় গুলি করেন জাকারিয়া পিন্টুসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
ওই ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় হওয়া মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু।
জাকারিয়া পিন্টু ওই মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানার অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এ ছাড়া আরও আটটি মামলার পলাতক আসামি পিন্টু।
আরও পড়ুন:চার বছর আগে নাতনি তাসকিয়া আক্তারের জন্ম। বাড়িতে আসা বন্ধু-স্বজনরা তাকে দেখে খুশি হয়ে ৩০ হাজার টাকা দেয়। দেড় বছর আগে নানার হাতে সেই টাকা তুলে দেয় ছোট্ট তাসকিয়া। সে টাকায় নাতনিকে একটি ষাঁড় উপহার দেন নানা সেলিম দেওয়ান। ষাঁড়টির নাম রাখা হয় ‘নানা ভাই’।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের গরু ব্যবসায়ী ও খামারি সেলিম দেওয়ান এভাবেই জানান কোরবানির পশু নানা ভাইয়ের শুরুর দিকের গল্প।
উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশের দেড় শ গজ দূরে সেলিম ডেইরি ফার্মে প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়টি মোটাতাজা করা হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ষাঁড়ের পেছনে ব্যস্ততা কাটছে পরিবারের সদস্যদের।
খামারি সেলিম দেওয়ান জানান, তিন বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি থেকে প্রজননের মাধ্যমে ষাঁড়টির জন্ম হয়। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ষাঁড়টি মোটাতাজা করা হয়েছে। ১২০০ কেজির ওজনের ষাঁড়টি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে।
কীভাবে নেয়া হচ্ছে নানা ভাইয়ের যত্ন
সেলিম দেওয়ানের স্ত্রী হাজেরা বেগম বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে গোয়ালঘর পরিষ্কার করা হয়। খাবার খাওয়ানোর পর গোসল করানো হয় পশুটিকে। কারেন্ট না থাকলে পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। গরম বেশি পড়লে গোসল করাতে হয় কয়েকবার।’
তিনি আরও জানান, সকাল ও বিকেলে গমের ভুসি, ভুট্টা ও বিচি কলা খাওয়াতে হয়। রাতে শুধু ঘাস খাওয়ানো হয়। আগে প্রতিদিন ৫০০ টাকার খাবার লাগত। কিন্তু খাবারের দাম বাড়ায় এখন ১০০০ টাকা লাগে।
মেয়ে শিউলী বেগম বলেন, ‘বাবা তার নাতিনকে ষাঁড়টা দিছে। ঈদে ভালো বিক্রি করতে পারলে বড় করে খামার করতে পারব। আশা করছি গরুটি বিক্রি হলে আমাদের জীবন ঘুরে যাবে। দুঃখ বিদায় নেবে।’
সিঙ্গাইর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, তিন বছর বয়সী অস্ট্রিলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লম্বায় ৮ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট। ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১২০০ কেজি অর্থাৎ ৩০ মণ। দেশীয় খাদ্য এবং প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়টি মোটাতাজা করা হয়েছে।
তিনি জানান, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে উপজেলায় এবার ৯০০৯টি ষাঁড়, ৭০৮৪টি ছাগল, ১১৫টি গাভি, ২৪টি মহিষ ও ৯৩টি ভেড়াসহ মোট ১৬ হাজার ৭১৮টি পশু প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে হত্যা মামলায় দুই সহোদরসহ চারজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রায়ে খালাস দেয়া হয়েছে ১১ আসামিকে। দণ্ডিত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোরশেদ আলম।
তিনি জানান, দণ্ডিতরা হলেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের সেজনু মিয়া ও তার ভাই মিজানুর রহমান, একই গ্রামের মনছুর আলী এবং গঙ্গাবর গ্রামের জামাল ফকির। দণ্ডিতদের মধ্যে আসামি সেজনু মিয়া পলাতক।
এজাহারে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জেলার ধনবাড়ীর রামজীবনপুর গ্রামের একটি জমির দখল নেয়ার চেষ্টা করে আসামিরা। এ সময় আব্দুর রহিম বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তার ছেলে ও এলাকাবাসী রহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে মধুপুর হাসপাতালে, পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে নিয়ে যায়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রহিম মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সুলতান বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০০৫ সালের জুলাইয়ের ২৫ তারিখ এ মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য