সূচক উঠানামা করে দরপতন নয়। শুরু থেকেই নিম্নমুখি সূচক লেনদেন শেষ হওয়ার আগে নামল আরও নিচে।
আগের সপ্তাহের মতোই প্রথম দিন সূচক বাড়ার পর টানা পতনের স্মৃতি আবার ফিরে এসেছে। পর পর দুই দিন দরপতন দেখল পুঁজিবাজার। সোমবার ২৩ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার কমল তার প্রায় তিন গুণ-৬৪ পয়েন্ট।
এক দিনে ৩৩৭টি শেয়ারের দরপতনের বিরল সাক্ষী হলো বিনিয়োগকারীরা। বিপরীতে বেড়েছে কেবল ১৮টির দর।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশ না থাকলে পরিস্থিতি কী হতো, তা নিয়ে বলাবলি হচ্ছে পুঁজিবাজারে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে পুঁজিবাজার চাঙা হয়ে উঠার পর বাজারে এই পরিস্থিতি কখনও হয়নি।
শেয়ার কেনায় আগ্রহ নেই। বরং হাতে থাকা শেয়ার দিনের সর্বনিম্ন মূল্যে বসিয়ে রেখে বিনিয়োগকারীরা বেচে দিতে চাইছে আরও লোকসানের আশঙ্কায়। এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
অথচ রোজায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের বড় বিনিয়োগের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ছিল। তার আগে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনাকারী সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোও একই কথা দিয়েছিল।
অথচ রোজার ১০ দিনে আট কর্মদিবসে সূচক কমল ১৯৭ পয়েন্ট। আর এর মাধ্যমে সূচকের অবস্থান নেমে গেল গত ৮ মার্চের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে। দিন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৭৪ পয়েন্ট, আর ৮ মার্চ ছিল ৬ হাজার ৪৭৪ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার দর হারিয়েছে ৩৩৭টি কোম্পানি। যার দুই শতাধিক দর হারিয়েছে পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ ও এর কাছাকাছি। ক্রেতা ছিল না বিপুল সংখ্যক শেয়ারের।
আগের দিনের চেয়ে আরও কমে লেনদেন নেমেছে ৫৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়, যা গত এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। গত ৬ এপ্রিল পাঁচ শ কোটির ঘরের নিচে নেমে আসে। সেদিন হাতবদল হয় ৪৯০ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৫৭ কোটি টাকা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, টেলিকমিউনিকেশন, ভ্রমণ ও অবকাশ এবং সেবা ও আবাসন খাতের সব কটি কোম্পানি দর হারিয়েছে।
সাধারণ বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, কাগজ ও পাট খাতে একটি করে, জীবন বিমা, ব্যাংক, বস্ত্র, বিবিধ ও প্রকৌশল খাতে দুটি করে, ওষুধ ও রসায়ন এবং আর্থিক খাতে কেবল তিনটি করে কোম্পানির দর বেড়েছে।
কোনো রকমে দর ধরে রাখতে পেরেছে ২৩টি কোম্পানি।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছে না কেউ। যে কারণে লেনদেন তলানিতে নেমেছে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘অনেক বিনিয়োগকারী আগেই শেয়ার বিক্রি করে বসে আছেন। বাজার মন্দার কারণে তারা আস্থা পাচ্ছেন না নতুন বিনিয়োগে। বাজার পর্যবেক্ষণে রাখছেন। যার কারণে লেনদেন বাড়ছে না।’
তবে এটাই বিনিয়োগের প্রকৃত সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের বুঝাতে হবে যে, এখন শেয়ার বিক্রয় নয়, কেনার সময়। তাদেরকে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অন্যদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
দর পতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৪.১২ শতাংশ দর কমেছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের। আগের দিন ১০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগের বছর লভ্যাংশ ছিল ১২ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা ২০ পয়সা। লভ্যাংশ কমালেও এবার শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৫৭ পয়সা বা ৩১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে শেয়ারটির কোনো মূল্যসীমা ছিল না। এ কারণেই দুই শতাংশের বেশি দাম কমতে পেরেছে কোম্পানিটির।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ শতাংশ দর কমেছে এশিয়ান ইন্স্যুরেন্সের। আগের দিন ৭৫ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
এশিয়ান টাইগার সন্ধানী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ২ শতাংশ। শেয়ারটির দর নেমে এসেছে অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে। হাতবদল হয়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সায়।
এছাড়া বিবিএস ক্যাবলস, বিডি থাই ফুড, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ই-জেনারেশন, সোনালী পেপার, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ও অ্যাপেক্স ফুডসের দর কমেছে সর্বোচ্চ সীমায়।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
টানা তিনদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটাল। দর বেড়েছে ৯.৮ শতাংশ। আগের দিনে বেড়েছিল ৯.৭৯ শতাংশ এবং রোববার বেড়েছিল ৯.৯১ শতাংশ। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪২ টাকা ৬০ পয়সা। আজ সেটা দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮০ পয়সা।
এরপরেই হাইডেলবার্গ সিমেন্টের দর বেড়েছে ২.১২ শতাংশ। ২৮৩ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ২৮৯ টাকায়।
দর বৃদ্ধির তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ১.৬৪ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিন সেটি হাতবদল হয়েছিল ১৮ টাকা ২০ পয়সায়।
এছাড়া এক শতাংশ করে দর বেড়েছে ফার্মা এইডস, ইস্টার্ন কেবলস, এমবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বিকন ফার্মার। আর এক শতাংশের নিচে দর বেড়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক, এইচ আর টেক্সটাইলস ও আজিজ পাইপসের।
লেনদেনের শীর্ষ পাঁচে যেসব খাত
আগের দিনের মতোই শীর্ষস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। লেনদেন হয়েছে ৭৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ১৯টি কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে কোনো কোম্পানির দর বাড়েনি। অপরিবর্তিত ছিল তিনটির দর।
গতকাল চতুর্থ অবস্থানে থাকা ওষুধ রসায়ন খাতে আবারও দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। হাতবদল হয়েছে ৫৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। গতকাল ১৯টির কোম্পানির দরপতন হয়েছিল, আজকে পড়েছে ২৭টির দর। তিনটির দর বেড়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার। দর বেড়েছে মাত্র দুটির। কমেছে ৩৯টির। অপরিবর্তিত ছিল েএকটির দর।
পঞ্চম স্থান থেকে এক ধাপ ওপরে উঠে আসা বিবিধ খাতের লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার। আগের লেনদেন কিছুটা বেশি হয়েছি। হাতবদল হয়েছিল ৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। ১১টির কোম্পানির মূল্য হ্রাসের বিপরীতে বেড়েছে দুটির।
সর্বোচ্চ ৫২টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে বস্ত্র খাতে। সোমবার লেনদেন হয় ৪৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আজকে হাতবদল হয়েছে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। দর বেড়েছে মাত্র দুটির। অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য