× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
TCB is the last hope in the market even though the capacity is low
google_news print-icon

সামর্থ্য কম তবু বাজারে শেষ ভরসা টিসিবি

সামর্থ্য-কম-তবু-বাজারে-শেষ-ভরসা-টিসিবি-
বাজারদরের চেয়ে কম দামে নিত্যপণ্য বিক্রি করায় টিসিবির ট্রাকে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ফাইল ছবি
একটা সময় ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির দাপট ছিল। ধীরে ধীরে সংস্থাটি গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে। কম মূলধন ও জনবল, অবকাঠামো দুর্বলতা, তিন-চারটি পণ্য এবং নিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা নিয়ে কোনো মতে অস্তিত্ব টিকে আছে টিসিবির।

দেশে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি বুঝতে এখন কারও সশরীরে বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। আশপাশে সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকি দামে খোলা ট্রাকে পণ্য বিক্রির তৎপরতাই বাজারের প্রকৃত চিত্র সবার কাছে স্পষ্ট করে দেয়।

টিসিবির এমন কার্যক্রম সারা বছর চলে না। বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হলেই কেবল সক্রিয় হয় এ সংস্থাটি। তখন ছোট্ট পরিসরে তিন-চারটি পণ্য নিয়ে অল্প কয়েক দিনের জন্য মাঠে তাদের তৎপরতা চলে।

তবে বাজারে টিসিবির ভূমিকা সব সময় এত নাজুক ছিল না। একটা সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ করত টিসিবিই। ব্যবসাও হতো তাতে। লক্ষ্য ছিল নির্দিষ্ট কিছু নিত্যপণ্যের আপৎকালীন মজুত গড়ে তুলে প্রয়োজনের সময় ভোক্তার কাছে তা সরবরাহ করার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা। সেই কার্যক্রমের আওতায় ভোক্তার তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে প্রচুর পণ্য আমদানি এবং সেগুলো ভোক্তাপর্যায়ে ন্যায্য দামে বিক্রির পাশাপাশি স্থানীয় অনেক ক্ষুদ্র শিল্পের জন্যও সংস্থাটি প্রয়োজনীয় কাঁচামালের জোগান দিত।

তবে সময়ের পালাবদলে টিসিবির আগের জোরদার ভূমিকায় বিরাট ছেদ পড়েছে। বাজারে সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে এটি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।

সামর্থ্য কম তবু বাজারে শেষ ভরসা টিসিবি

কেন এটা ঘটেছে, জানতে চাইলে দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্টরা জানান, নব্বই দশকে দেশ মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রবেশ করার পর সরকার ব্যবসা করা ছেড়ে দিয়েছে। এতে বাজারে টিসিবির ভূমিকাও ধীরে ধীরে ছোট হয়ে এসেছে। বাজারে সেই জায়গা দখল নিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

অভ্যন্তরীণ ভোক্তার চাহিদাযোগ্য বিভিন্ন ভোগ্য ও ব্যবহার্য্য পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, মূল্য সংযোজন, পরিশোধন এবং বাজারজাতকরণ– সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।

এর বিপরীতে কম মূলধন ও জনবল, অবকাঠামো দুর্বলতা, তিন-চারটি পণ্য এবং নিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা নিয়ে কোনো মতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে টিসিবি।

টিসিবির পরিধি ছোট হয়ে আসায় দেশে ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। পণ্যের মজুত চলে যাচ্ছে বিভিন্ন স্তরে ব্যবসায়ীদের পকেটে। নানা কারসাজিতে সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন অজুহাতে বেড়ে যাচ্ছে পণ্যের দাম। এভাবে পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি চলতে থাকায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে পড়ছে স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের।

এ পরিস্থিতিতে টিসিবির খোলা ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইনে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদেরও দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।

সামর্থ্য কম তবু বাজারে শেষ ভরসা টিসিবি

কেন অস্থির হয় বাজার

দেশে সব নিত্যপণ্যের স্থানীয় উৎপাদন হয় না। কিছু পণ্যের উৎপাদন হলেও তা দিয়ে চাহিদা মেটে না। ফলে উৎপাদন হয় না কিংবা কম উৎপাদন হয়- এমন সব পণ্য আমদানির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ভোক্তার চাহিদা পূরণ করা হয়। এদিকে আমদানি বাজার সব সময় আবর্তিত হতে থাকে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে। কখনও কমে, কখনও বাড়ে। ক্ষেত্রভেদে সকাল-বিকেলেও এই উত্থান-পতন দেখা যায়। এরই প্রভাব পড়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানিকারক দেশগুলোতে।

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্য তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, খেঁজুরসহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ৬০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করতে হয়। যার আমদানিকারক আবার গুটিকয়েক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। কিছু পণ্যের পরিশোধন কোম্পানির সংখ্যাও নগণ্য। এর বিপরীতে এসব নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে পরিবেশক, পাইকার ও খুচরা বিভিন্ন স্তরে ব্যবসায়ীর সংখ্যা লাখ লাখ। ফলে কোনো পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি কিংবা দাম বেড়ে গেলে কোন স্তরে সমস্যাটি তৈরি হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানার উপায় কম।

বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে কারা

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা শুরু হলে কেউ দায় স্বীকার করতে চায় না। তদন্তের আগে সরকারের কাছেও তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য থাকে না। এই সুযোগে চলতে থাকে একে অপরের ওপর দোষ চাপানো।

দেশে বছরের পর বছর নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিরতার পেছনে কখনও আমদানিকারক, কখনও পরিশোধন ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর সংঘবদ্ধ অপতৎপরতা দায়ী বলে চিহ্নিত হয়েছে। কখনও আবার চিহ্নিত হয়েছে পরিবেশক, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সরাসরি দায়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাজার সম্পর্কিত সব কটি গোষ্ঠীর সংঘবদ্ধ কারসাজিও চিহ্নিত হয়েছে।

কারা দায়ী, সরকার তা বুঝতে পারা এবং হস্তক্ষেপের আগেই ভোক্তার পকেট থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় হলো, সরবরাহ চেইনে আরও বড় ধরনের বিপর্যয় তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আবার বিপুল বিনিয়োগের প্রশ্ন জড়িত থাকায় গুটিকয়েক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধে বাজারে প্রতিযোগিতার ভারসাম্যও তৈরি করা যাচ্ছে না। এখানে মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণেও সরকারকে অনেক ক্ষেত্রে আপোষ করতে হচ্ছে।

সামর্থ্য কম তবু বাজারে শেষ ভরসা টিসিবি

দায়ী টিসিবির দুর্বল ভূমিকা

বাজারে কখনও সুনির্দিষ্ট কোনো পণ্যের, আবার কখনও একযোগে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। এ ঘাটতির পেছনে বাস্তব পরিস্থিতির চেয়ে কারসাজির ভূমিকাই বেশি থাকে। এতে সংশ্লিষ্ট পণ্যের দামও বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।

বাজার বিশ্লেষকরা এমন পরিস্থিতিতে টিসিবির প্রয়োজনকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন। ১৭ কোটি ভোক্তার এই দেশে সংস্থাটির বিদ্যমান কার্যক্রম যথেষ্ট বলে মনে করছেন না তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বিরাট জনগোষ্ঠীর বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে টিসিবির যে সামর্থ্য থাকা প্রয়োজন, সেটি আসলে নেই। সংস্থাটির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলে শুধু স্বল্প আয়ের মুষ্টিমেয় লোকের জন্য। সেটিও বছরব্যাপী নয়। বিক্রীত পণ্যের সংখ্যাও কম। আবার যা সরবরাহ দেয়া হয়, তাও সীমিত; রাজধানীসহ মাত্র ১২টি অঞ্চলের শুধু শহরকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে।

সারা দেশে বেশির ভাগ এলাকা টিসিবির কাভারেজের বাইরে থেকে যাচ্ছে। আবার টিসিবি থেকে পণ্য কেনার পরও সংশ্লিষ্ট ভোক্তাকে অন্যান্য নিত্যপণ্যের জন্য নিয়মিত বাজারেরই মুখাপেক্ষি হতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘এবার রমজানে ব্যতিক্রম ছাড়া বছরব্যাপী টিসিবির কাভারেজ এরিয়া বলতে গেলে খুবই কম। তা সত্ত্বেও বাজার দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে টিসিবিই এখন ভরসা হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই পণ্য কেনায় মানুষের চাপ যে হারে বাড়ছে, সে অনুযায়ী টিসিবি তো তা সরবরাহ দিতে পারছে না। ভোক্তারা তো শুধু তিন-চারটি পণ্যই কেনেন না, তারা আরও অনেক পণ্য কেনেন।

‘আবার যে পরিমাণ পণ্য দেয়া হয়, তা দিয়ে বেশির ভাগ পরিবারের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির ভূমিকা খুবই দুর্বল। সব দিক থেকে টিসিবির সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান অবশ্য টিসিবির কার্যক্রমের প্রভাব কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণ কম হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনও টিসিবি কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। বছরে বিভিন্ন সময় পরিচালিত টিসিবির স্বল্প পরিসরের এই অংশগ্রহণও যদি না থাকত, তাহলে নানামুখী ছাড় দিয়েও বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ত। টিসিবি কাজ করছে বলেই ঊর্ধ্বগতির বাজার পুনরায় স্থিতিশীলতায় ফিরে আসছে। কারসাজি বা সিন্ডিকেট কোনোটাই সুবিধা করতে পারছে না।’

বাজার চাহিদার কতটুকু টিসিবি সরবরাহ করে

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজার চাহিদা সব সময় এক রকম থাকে না। সারা বছর যে চাহিদা থাকে, রমজানে পণ্যভেদে তার দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়। এবার রমজানে টিসিবি সরবরাহকৃত প্রতিটি পণ্য বাজার চাহিদার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে।’

টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির ভূইয়া জানান, একটা সময় পণ্যভেদে বাজারে টিসিবির অংশগ্রহণ মাত্র ১ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে টিসিবি বছরজুড়ে পরিচালিত কার্যক্রমে প্রতিটি পণ্যের বাজার চাহিদার ১০-১২ শতাংশ পর্যন্ত সরবরাহ দিতে সক্ষম হচ্ছে।’

সরকারের উপলব্ধি

দেরিতে হলেও টিসিবির কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে সরকার। তাই শুধু এক মাসের (রমজান) জন্য হলেও টিসিবির পণ্য বিক্রির পরিধি সারা দেশে বিস্তৃত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১ কোটি পরিবারকে এর উপকারভোগীর আওতায় আনা হয়েছে।

বাজারে পণ্যের দামের ধারাবাহিক উত্তাপ থেকে স্বল্প আয়ের মানুষ, দরিদ্র্য ও অতিদরিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিউজবাংলাকে জানান, ‘ভবিষ্যতে টিসিবিকে আমরা ভেরি স্ট্রং পজিশনে রাখতে চাই। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী চান টিসিবিকে এমন অবস্থায় নিয়ে যেতে, যাতে যখনই প্রয়োজন পড়বে, টিসিবি যেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই রমজানে টিসিবির শক্তির পরীক্ষা হয়েছে। ১ কোটি পরিবারের কাছে মাত্র এক-দেড় মাসের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয়ার কাজটি সহজ ছিল না। কিন্তু সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও টিসিবি সেটি করে দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে টিসিবি যে শক্তি সঞ্চয় করেছে, ভবিষ্যতে প্রতিটি পদক্ষেপে তার সক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া যাবে। টিসিবি সক্রিয় থাকলে বাজারে অনেক অঘটনও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’

বর্তমানে বছরব্যাপী বিভিন্ন সময় দেশের ১২টি অঞ্চলে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে, যা নিয়ন্ত্রণ করা হয় ঢাকার কাওয়ানবাজারের প্রধান কার্যালয় থেকে। এর বাইরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, ময়নসিংহ এবং মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্প অফিস রয়েছে কুমিল্লা, মাদারীপুর, ঝিনাইদহ ও বগুড়ায় রয়েছে।

টিসিবির সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এটির কার্যক্রমকে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী করে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

সম্প্রতি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি সবসময় প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজনগুলো সারা বছর থাকেও না। মাঝে মাঝে টিসিবির প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। তখন সেটার ব্যবস্থা টিসিবিকে করতে হয়। তাই এখন থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে টিসিবিকে পূর্ণ মাত্রায় সহযোগিতা করবে সরকার। এর জন্য যখন যা করার প্রয়োজন পড়বে, তখনই টিসিবির জন্য তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টিসিবি বাজারে প্রভাব বিস্তারের সক্ষমতা অর্জন করলে সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব থাকবে না। এর ফলে বাজারে মালামাল থাকার পরেও যারা অধিক মুনাফার আশায় সিন্ডিকেট করে, তাদের সেই সুযোগ বন্ধ হবে।’

টিসিবির যতো প্রতিবন্ধকতা

প্রতিবেশী ভারতে দ্য স্টেট ট্রেডিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (এসটিসি) ও ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান (টিসিপি) তাদের অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি বছরে হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে। বিপরীতে টিসিবি ধুঁকছে অস্তিত্ব সংকটে।

বিভিন্ন সময় পরিচালিত টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে সাতটি সমস্যায় ভুগছে টিসিবি। এগুলো হলো: প্রয়োজনীয় পণ্য কেনায় মূলধনের সংকট, ভোক্তাপর্যায়ে পৌঁছাতে পর্যাপ্ত জনবল ও দাপ্তরিক কার্যালয়ের অভাব, কেনা পণ্য মজুতে অবকাঠামো দুর্বলতা, স্বতন্ত্র বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হয়েও পরিস্থিতি বুঝে তাৎক্ষণিক পণ্য ক্রয়-বিপণনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা না থাকা, টিসিবির কেনাকাটা অগ্রিম আয়কর ও ভ্যাটমুক্ত না হওয়া, ভর্তুকি বরাদ্দ কম হওয়া, কার্যক্রম পরিচালনায় দুর্নীতি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব সমস্যা সমাধানে বারবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু এর কোনোটিই আশানুরূপ বাস্তবায়ন হয়নি। যে কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবি ক্রমেই গুরুত্ব হারাতে বসেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিসিবির সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. মনজুর আলম প্রধান নিউজবাংলাকে জানান, ‘টিসিবিকে শক্তিশালী করতে জনবল, মাঠপর্যায়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম, আধুনিক গুদাম নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় অর্থ ও কেনাকাটায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়াগুলো সব সময় চলমান। তবে একদিনে তো হওয়ার কথা নয়, সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

‘তবে এটা বলতে পারি, সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের কারণে ধীরে ধীরে টিসিবি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সংস্থার কার্যক্রমেরও সম্প্রসারণ ঘটছে। চলতি বছর সারা দেশে রাজধানী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়েও পৌঁছে গেছে টিসিবির কার্যক্রম। ভবিষ্যতে বাজার নিয়ন্ত্রণে ইউনিয়ন পর্যায়েও টিসিবি সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। সরকার সে লক্ষ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে ভর্তুকি ৬৫৩ কোটি টাকা
সেই ৫ হাজার পরিবার পেল টিসিবির পণ্য
রাজনীতিতে ঝুলে আছে ৫০০০ কার্ড
টিসিবির পণ্যে আর্থিক লাভ, সময়ের ক্ষতি
টিসিবির কার্ডে ‘টাকা আদায়’, তদন্তে কমিটি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
ACCs mass hearing was held in Sirajganj

ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘দ্য ওয়ে’ ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রত্যয় তরুণ শিক্ষার্থীদের

ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘দ্য ওয়ে’ ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রত্যয় তরুণ শিক্ষার্থীদের

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্য ওয়ে’ বা ‘আগামীর পথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল অংশগ্রহণমূলক বক্তৃতা, প্যানেল আলোচনা, বিতর্ক, তরুণদের উদ্ভাবিত উদ্যোগের পাশাপাশি ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির প্রদর্শন, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, মিউজিক থেরাপিসহ নানা অনুষ্ঠান। ২৪শে আগস্ট ২০২৫, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও অ্যাডভোকেসির মতো নানা কাজে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা এবং তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ব্র্যাক ইয়ুথ প্রোগ্রামের সদস্য, তরুণ পেশাজীবী, উন্নয়ন সহযোগী, গণমাধ্যম এবং ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেন।

দিনের শুরুতে ‘দ্য সায়েন্স অফ ফাইন্ডিং আ ওয়ে’ শীর্ষক সেশনে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, সমাজ যা বলছে সেই গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে তরুণরা যে যেই পেশাতেই থাকুক না কেন, তারা পরিবর্তনের পথ দেখাতে পারেন।

তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লক্ষ্য অনুসরণ করতে হবে কারণ পরিবর্তনের উদ্যোগগুলো নিয়ে কাজ শুরু হলে তা স্বাভাবিকভাবেই অংশীদার এবং রিসোর্সকে আকৃষ্ট করে। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের যাত্রা এবং ব্র্যাকের ‘সল্যুশন ইকোসিস্টেম’ বা সমাধান কাঠামো, যেখানে উন্নয়ন কর্মসূচি এবং সামাজিক উদ্যোগগুলো একসাথে কাজ করছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আসিফ সালেহ্ বলেন, উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকাটা খুবই জরুরি। সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে তার জন্য দীর্ঘ অধ্যবসায় প্রয়োজন এবং দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে একই সাথে অ্যাকটিভিজম, পলিসি, উন্নয়ন এবং এর বাণিজ্যিক দিকগুলোকেও সন্নিবেশিত করতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এই অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দানেই প্রকৃত পরিতৃপ্তি। আমরা যখন নিজেদের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করতে পারি এবং সেগুলো পূরণের জন্য সৃজনশীল সমাধান খুঁজে পাই, তখনই এটি সম্ভব হয়। নিজের, সমাজের এবং দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে প্রায়ই হতাশা জন্ম নেয়। তবে অন্যদের সঙ্গে তুলনায় না গিয়ে নিজের ভেতরের স্বকীয়তাকে খুঁজে বের করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ অন্যের মঙ্গলে অবদান রাখার মাধ্যমেই নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের পিপল, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর ঊর্ধ্বতন পরিচালক মৌটুসী কবীর এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, লার্নিং অ্যান্ড টিচিং ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার, অপারেশনস ডিরেক্টর সাজেদুল করিম, স্টুডেন্ট লাইফ-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর তাহসিনা রহমান।

‘স্পার্কটক’ পর্বে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়ন থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐতি রায় তুলে ধরেন তার জীবন ও সংগ্রামের গল্প। এ ছাড়া ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহিনুর সাইফ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সংসদীয় ব্যবস্থার আদলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। পরে ‘বিয়ন্ড ওয়ান ওয়ে’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দ্য ডেইলি স্টারের চিফ বিজনেস অফিসার তাজদীন হাসান, মাম্মিকিডস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম পলকা এবং ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাশিরা হারুন এতে অংশ নেন। ‘দ্য ওয়ে অফ হারমনি’ শীর্ষক সেশনে ছিল আরমিন মুসা ও তাঁর দলের সম্মিলিত মিউজিক থেরাপি পরিবেশনা। এ ছাড়া ‘ডিজাইন কোয়েস্ট: সলভ ফর সোসাইটি’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করে শিশুদের জন্য খেলাভিত্তিক শিক্ষার সোশ্যাল স্টার্ট ‘মেকা টিম’।

এ ছাড়াও ছিল তরুণ উদ্ভাবকদের পাশাপাশি ব্র্যাকের নানা উদ্যোগের প্রদর্শন। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ওয়াটার হ্যাকাথন এবং আমরা নতুন নেটওয়ার্কের অংশগ্রহণকারীরা উপস্থাপন করেন তিনটি প্রকল্প—যত্নের দোকান, ইকো কেয়ার এবং উজ্জীবন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স ক্লাব এবং এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে প্রদর্শিত হয় প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে পাঁচটি প্রকল্প।

ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি (সিসিপি); নগর উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউডিপি), ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপন্ট (বিআইইডি), ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি (আইডিপি) ও আল্ট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন (ইউপিজি) কর্মসূচি, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনগত সুরক্ষা কর্মসূচি (সেলপ) এবং ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারের (বিএলবিসি) নানা উদ্যোগ ও সেবাগুলো এখানে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তার জন্য ‘মনের যত্ন’ এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে তাদের বৈশ্বিক কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

‘অলওয়েজ অ্যা ওয়ে-দ্য হিউম্যান লাইব্রেরি’ শীর্ষক আয়োজনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং ব্র্যাক ইয়াং প্রফেশনাল প্রোগ্রাম ও আমরা নতুন নেটওয়ার্কের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা ও জীবনের গল্পগুলো তুলে ধরেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাব দেশি ও আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবের উদ্যোগে স্থাপিত গ্রাফিতি ওয়ালে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইচ্ছেমতো রং দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাগুলো তুলে ধরেন। অন্যদিকে ‘ব্র্যাক-ইউ এক্সপ্রেস’-এর পক্ষ থেকে তরুণদের মতামতগুলো ভিডিও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ধারণ করা হয়, যেখানে তরুণরা খোলামেলাভাবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।

অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত ‘দ্য ওয়ে’ বুথগুলো তরুণদের ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও সৃজনশীল উদ্ভাবনের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তরুণদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রস্তুত করার জন্য ব্র্যাকের প্রতিশ্রুতিকেই পুনর্ব্যক্ত করে ‘দ্য ওয়ে’।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Padma Banks 120th Council Meeting held

পদ্মা ব্যাংকের ১২৯তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত

পদ্মা ব্যাংকের ১২৯তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত

পদ্মা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ১২৯ তম সভা ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোঃ শওকত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদ্মা ব্যাংকের পর্ষদ সভায় অন্যান্য পরিচালকবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, তামিম মারজান হুদা, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ রুকুনুজ্জামান, ব্যারিস্টার-এট-‘ল এবং এএইচএম আরিফুল ইসলাম এফসিএ। সভা পরিচালনা করেন পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোঃ তালহা (চলতি দায়িত্বে)।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Walton DG Techs nationwide dealer meat

ওয়ালটন ডিজি-টেকের দেশব্যাপী ডিলার মিট

ওয়ালটন ডিজি-টেকের দেশব্যাপী ডিলার মিট

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডিলার মিট আয়োজন করেছে। নলেজ শেয়ারিং সেশনের মাধ্যমে বিশ্বের নতুন নতুন টেকনোলজি, ওয়ালটনের নতুন ও আপকামিং প্রযুক্তিপণ্য, ব্যবসায়িক সুবিধা এবং আকর্ষণীয় অফারসহ কিভাবে ক্রেতাদের আরো বেশি সেবা দেয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়ে প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে অবহিত করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও কুমিল্লায় এসব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ডিলাররা ওয়ালটনের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মনিটর, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন আইটি পণ্যের বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি বিশেষ ছাড়, প্রোমোশনাল সুবিধা ও ডিলারশিপের সুযোগ সম্পর্কেও তাঁদের অবহিত করা হচ্ছে। রিফারব্রিশড পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এই আয়োজন ডিলারদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের আইটি ব্যবসার গতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানগুলোতে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ছাড়াও আইটি ব্যবসায়ী সমিতির সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকছেন। তাঁরা মনে করেন, ওয়ালটনের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, "গ্রাহকদের সর্বোচ্চমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদানের পাশাপাশি তাদের কাঙিক্ষত সেবা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের সেতুবন্ধন হিসেবে ডিলারগণ কাজ করেন। ক্রেতাদের চাহিদা আরো ভালো করে বুঝতে এবং তাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি রিফারব্রিশড পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সারা বছরব্যাপী আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamuna Bank is the third time in the list of top 5 sustainable banks of the central bank

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের তালিকায় পরপর তৃতীয় বার যমুনা ব্যাংক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের তালিকায় পরপর তৃতীয় বার যমুনা ব্যাংক

যমুনা ব্যাংক টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব অর্থায়ন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি, সেবার বিস্তৃতি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত বহুমুখী সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের তালিকায় পরপর ৩ বার স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত সাসটেইনেবিলিটি রেটিং রিকগনিশন অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মির্জা ইলিয়াস উদ্দীন আহম্মদ -এর হাতে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন্নাহার, সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের (এসএফডি) পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী, যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ প্রসান্ত সামিরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মির্জা ইলিয়াস বলেন: “যমুনা ব্যাংকের গৃহীত টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলো শুধু সামাজিক দায়বদ্ধতার নিদর্শন নয়; বরং এগুলো আমাদের ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় করার দিকেও একটি সুপরিকল্পিত কৌশল। যমুনা ব্যাংক মনে করে, এই রেটিং শুধু একটি স্বীকৃতি নয়; বরং আমাদের দায়িত্বশীল ও ভবিষ্যৎমুখী ব্যাংকিংয়ের প্রতিফলন”।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BRAC Bank gained recognition of one of the top sustainable banks in the country of Bloomberg and the rating of Bangladesh Bank at the ESG rating of Bloomberg

ব্লুমবার্গের ইএসজি রেটিংয়ে দেশসেরা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রেটিংয়ে অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংকের স্বীকৃতি অর্জন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

ব্লুমবার্গের ইএসজি রেটিংয়ে দেশসেরা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রেটিংয়ে অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংকের স্বীকৃতি অর্জন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে টেকসই ব্যাংকিং-যাত্রায় আরও নিজের অবস্থান শক্তিশালী করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছর শীর্ষ দশে থাকার গৌরব অর্জন করেছে ব্যাংকটি। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও পঞ্চমবারের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ব্লুমবার্গ ইএসজি স্বীকৃতি

ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ ব্র্যাক ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩.৮ সামগ্রিক স্কোর অর্জন করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ (১.৭৬), সামাজিক (৫.৮৩) এবং সুশাসন (৩.০৭)-এর স্কোর। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স (৩.৫১) ও সিটি ব্যাংক (২.৬৪)-কে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পরিচালিত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।

এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছরের মতো ব্লুমবার্গের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জায়গা করে নিতে সমর্থ্য হয়েছে।

ব্লুমবার্গের এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি এসেছে ব্র্যাক ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ কার্বন নিঃসরণ রিপোর্ট, সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট ২০২৪, আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট এবং অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০২৪ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাংকটি সুশাসনে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছে। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের টেকসই অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০,২১৫ কোটি টাকায়, যা ব্যাংকটির মোট অ্যাসেট পোর্টফোলিওর ৮২%।

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বাজার মূলধন (১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারহোল্ডিং (৩২%) আর্থিক খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বস্থানের প্রতিফলন। এছাড়াও, তিন ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ তথ্য (জিএইচজি স্কোপ ১, ২, ৩) প্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই ব্যাংক রেটিং ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক পঞ্চম বছরের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ‘এক্সেলেন্ট’ রেটিং অর্জন করেছে, যা দেশে মাত্র আরও দুটি ব্যাংক অর্জন করতে পেরেছে।

সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ইনডেক্স, সিএসআর অ্যাক্টিভিটিস, গ্রিন রিফাইন্যান্স, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি ইনডেক্স এবং ব্যাংকিং সার্ভিসেস কাভারেজ— এই পাচটি পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে রেটিং করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্র্যাক ব্যাংকই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক, যারা পার্টনারশিপ ফর কার্বন অ্যাকাউন্টিং ফাইন্যান্সিয়ালস (পিসিএএফ) ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে স্কোপ ১, ২, ৩ কার্বন নিঃসরণ তথ্য প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড (আইএসএসবি) মানদণ্ড অনুযায়ী স্বতন্ত্র আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকটি ১,০০০ কোটি টাকার সোশ্যাল বন্ড ইস্যুরও প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএমএ) প্রিন্সিপালস অনুযায়ী।

টেকসই অর্থায়নকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে ব্র্যাক ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০টি সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স হেল্পডেস্ক স্থাপন করেছে, যাতে গ্রাহকদের জন্য গ্রিন ফাইন্যান্স ও পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা আরও সহজলভ্য হয়। ব্যাংকিংয়ের বাইরেও ব্র্যাক ব্যাংকের সিএসআর উদ্যোগগুলো সমাজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। শুধু ২০২৪ সালেই ব্যাংকটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির আওতায় ৫০,০০০ মানুষকে সেবা, জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রকল্পের আওতায় ৪৬,০০০ কৃষককে সহায়তা এবং শিক্ষা খাতের আওতায় ৭০০ সুবিধাবঞ্চিত নারীকে উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি দিয়েছে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমন মর্যাদাপূর্ণ অর্জন সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “সাসটেইনেবিলিটি এখন আর কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং এটি এখন দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তি। ব্লুমবার্গ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এই স্বীকৃতি আমাদের দায়িত্বশীল ব্যাংকিং, স্বচ্ছতা ও ইমপ্যাক্ট তৈরির প্রতিশ্রুতিকে আরও সুদৃঢ় করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা বিশ্বাস করি, ইএসজি শুধু পরিবেশ রক্ষা বা সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ই নয়, বরং এটি একটি ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রক্রিয়া, যেখানে বিনিয়োগকারী, রেগুলেটর, সহকর্মী ও গ্রাহকেরা আস্থা রাখতে পারেন। আমরা সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন আরও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে জাতীয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারি।”

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২৩টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Visit the Commerce Advisor and Pakistans Commerce Minister Chittagong Port

বাণিজ্য উপদেষ্টা ও পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন

বাণিজ্য উপদেষ্টা ও পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতি ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

গত শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বাণিজ্য উপিদেষ্টা ও পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীকে বন্দরের সার্বিক অবস্থা, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং, শ্রম ব্যবস্থাপনা, বিদেশি বিনিয়োগ ও অটোমেশনসহ নানা বিষয়ে অবহিত করেন।

বন্দর চেয়ারম্যান তাদের সাম্প্রতিক অগ্রগতি তুলে ধরে জানান, গত বছর রেকর্ডসংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। জাহাজের ওয়েটিং টাইম শূন্য থেকে দুই দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি জাহাজের গড় অবস্থানকাল (টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম) কমে এসেছে এবং অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতি ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, করাচি পোর্ট ট্রাস্টে হাচিসন পোর্ট গ্রুপ একটি কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করছে, আবুধাবি পোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি বাল্ক টার্মিনাল চালাচ্ছে এবং পোর্ট কাশিমে ডিপি ওয়ার্ল্ড দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ-পাকিস্তান আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি, সরাসরি জাহাজ চলাচলসহ পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের আশ্বাস দেন।

এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

পরিদর্শনকালে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান দূতাবাসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দূত জেইন আজিজ, বাণিজ্যিক সহযোগী ওয়াকাস ইয়াসিন, বাংলাদেশের অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও অনুবিভাগ) ড. নাজনিন কাউসার চৌধুরী, বে টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক কমডোর মো. মাহফুজুর রহমানসহ বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Trump Intel Declaration of the United States to give the United States a 5 percent share

যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ শতাংশ শেয়ার দিতে ট্রাম্প-ইন্টেল চুক্তির ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ শতাংশ শেয়ার দিতে ট্রাম্প-ইন্টেল চুক্তির ঘোষণা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ব্যবসায় ১০ শতাংশ শেয়ার দিতে সম্মত হয়েছে চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনটেল। গত শুক্রবার ইন্টেল ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তির ঘোষণা দেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি। বাইডেন প্রশাসনের সময় ঘোষিত বিশাল অঙ্কের অনুদানের বিনিময়ে ওয়াশিংটনের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের পর এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইনটেলের ৪৩৩.৩ মিলিয়ন সাধারণ শেয়ার পাবে, যা কোম্পানির ৯.৯ শতাংশ অংশীদারিত্বের সমান।

ইনটেল জানায়, এ বিনিয়োগের মোট অঙ্ক দাঁড়াবে ৮.৯ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার আসবে বাইডেন আমলে পাস হওয়া ‘চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট’ থেকে ঘোষিত অনুদান থেকে। যা এখনো প্রদান করা হয়নি। বাকি ৩.২ বিলিয়ন ডলার আসবে ‘সিকিউর এনক্লেভ প্রোগ্রামের আওতায় প্রদত্ত পুরস্কার থেকে।

ইনটেল আরও জানায়, এই ৮.৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের সঙ্গে কোম্পানি পূর্বে পাওয়া ২.২ বিলিয়ন ডলারের অনুদান যোগ হলে মোট অঙ্ক দাঁড়াবে ১১.১ বিলিয়ন ডলার।

ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইন্টেলের ১০ শতাংশের পূর্ণ মালিক ও নিয়ন্ত্রণকারী। তিনি দাবি করেছেন যে ইন্টেলের সিইও লিপ-বু ট্যানের সঙ্গে আলোচনার পর দেশটি এই শেয়ারের জন্য কিছুই পরিশোধ করেনি।

ইন্টেল অবশ্য জানিয়েছে, সরকারের মালিকানা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হবে, তাদের কোনো বোর্ড প্রতিনিধি বা শাসন সংক্রান্ত অধিকার থাকবে না।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অংশীদার হিসেবে পাওয়া তাদের জন্যও ভালো। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার মনে হয় কোম্পানির ১০ শতাংশ আমাদের দেওয়া উচিত।

বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এক্সে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাকটর খাতের নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ: সিলিকন ভ্যালির অন্যতম কোম্পানি ইনটেল এশীয় জায়ান্ট টিএসএমসি ও স্যামসাংয়ের কাছে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। বাইডেন আমলে পাস হওয়া ‘চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্টের লক্ষ্য ছিল মার্কিন সেমিকন্ডাকটর শিল্পকে শক্তিশালী করা, যার আওতায় বিলিয়ন ডলারের অনুদান দেওয়া হয়।

তবে স্বাধীন প্রযুক্তি বিশ্লেষক রব এন্ডারলে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইন্টেলের শেয়ার নেওয়া এক ধরনের বিপজ্জনক পদক্ষেপ, যা বেসরকারি ব্যবসাকে জাতীয়করণের পথে নিয়ে যেতে পারে।’

ওয়াশিংটনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কেটো ইনস্টিটিউটের স্কট লিনসিকোমও বলেন, এই সিদ্ধান্ত ‘প্রায় সবার জন্য খারাপ’। ইন্টেলের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ, এখানে বাণিজ্যিক সিদ্ধান্তের চেয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বেশি পড়বে।

ইন্টেল সিইও লিপ-বু ট্যান এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি নিশ্চিত করাই আমাদের অঙ্গীকার। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সাইট সম্প্রসারণে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ট্যানের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।

সম্প্রতি জাপানভিত্তিক সফটব্যাংক গ্রুপও ইন্টেলে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে