× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Golapganj principal without area for 3 weeks on niqab issue
google_news print-icon

নেকাব ইস্যুতে ৩ সপ্তাহ এলাকাছাড়া গোলাপগঞ্জের অধ্যক্ষ

নেকাব-ইস্যুতে-৩-সপ্তাহ-এলাকাছাড়া-গোলাপগঞ্জের-অধ্যক্ষ
নেকাব ইস্যুতে ক্ষোভের মুখে এলাকাছাড়া গোলাপগঞ্জের এক শিক্ষক। প্রতীকী ছবি।
সুনীলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে স্কুলের গভর্নিং বডি ও উপজেলা প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি করে। এর মধ্যে গভর্নিং বডির কমিটি রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেদিনই কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসনের কমিটি।

সিলেটে গোলাপগঞ্জে গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে এক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্লাসে এক ছাত্রীকে নেকাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি পরে ‘ভুল-বোঝাবুঝি’ বলে ওই ছাত্রীর বাবা জানালেও স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পরিবার নিয়ে এলাকাছাড়া হন ওই শিক্ষক। এখনও তিনি ফিরতে পারেননি এলাকায়।

গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে গত ১৫ মার্চ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে কথিত নেকাব অবমাননার অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি গোলাপগঞ্জের ভেতরে এতদিন সীমাবদ্ধ থাকলেও মুন্সীগঞ্জের বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের ঘটনার পর সিলেটজুড়ে আলোচিত হচ্ছে সুনীলের এলাকা ছাড়ার ঘটনা।

সুনীলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে স্কুলের গভর্নিং বডি ও উপজেলা প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি করে। এর মধ্যে গভর্নিং বডির কমিটি রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেদিনই কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসনের কমিটি।

ঘটনার শুরু যেভাবে

ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ১৯৯৫ সাল থেকে শিক্ষকতা করছেন সুনীল চন্দ্র দাস। ২০০৯ সালে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান। ২০১৫ সালে বিদ্যালয়ে কলেজ শাখা চালুর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে আছেন তিনি।

করোনার ছুটি শেষে গত ১৫ মার্চ নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস শুরু হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ক্ষতি পোষাতে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। ১৫ মার্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক আমিন উদ্দিন অনুপস্থিত থাকায় ক্লাস নিতে যান অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাস।

ওই ক্লাসেরই এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে নেকাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ তোলে।

ওই ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রোববার কথা বলেছে নিউজবাংলা।

নেকাব ইস্যুতে ৩ সপ্তাহ এলাকাছাড়া গোলাপগঞ্জের অধ্যক্ষ

তারা জানায়, সেদিন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অক্সিজেনের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য বুকভরে শ্বাস নিতে বলেন সুনীল চন্দ্র দাস। তবে নেকাব খুলতে ওই ছাত্রী আপত্তি জানায়। সুনীল তাকে কয়েকবার অনুরোধ করলে ওই ছাত্রী নেকাব খোলে।

পরে বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে মা-বাবাকে জানায় মেয়েটি। মা মোবাইল ফোনে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতিকে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে তার বাবা আব্দুল হালিম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মেয়ের সঙ্গে শিক্ষকের এই আচরণের বিচার চান।

ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ

ওই ছাত্রীর বাবার ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর এলাকার অনেকে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লিখতে থাকেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বোরকা ও হিজাব নিয়ে কটূক্তি এবং ইসলাম ধর্মের অবমাননার অভিযোগ তোলা হয় বিভিন্ন স্ট্যাটাসে। ফেসবুকের মাধ্যমে এলাকায় ছড়ায় ক্ষোভ।

সে রাতেই ওই ছাত্রীর বাসায় যান অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাস। আরও কয়েকজন শিক্ষক এবং গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্যও তার সঙ্গে যান। মেয়ের বাবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি মিটমাট করে নেন।

এরপর স্কুলছাত্রীর বাবা ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ফেসবুকে আমার মেয়ে ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নিয়ে সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভ্রান্ত কিছু লেখালেখি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। শ্রেণিকক্ষে সব ছাত্রছাত্রীর করোনার মাস্ক ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়। এখানে আমার মেয়ের হিজাব খোলার বিষয়টি আদৌ সত্য নয়। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাই।’

নেকাব ইস্যুতে ৩ সপ্তাহ এলাকাছাড়া গোলাপগঞ্জের অধ্যক্ষ
অভিযোগকারী ছাত্রীর বাবার দেয়া দ্বিতীয় ফেসবুক স্ট্যাটাস

এর মধ্যে বোরকা ও হিজাবে মুখ ঢাকা আরেকটি মেয়ের ভিডিওবার্তা স্থানীয় কিছু ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি নিজেকে ওই ছাত্রীর সহপাঠী দাবি করে। সে জানায়, ওই ক্লাসে সেদিন সুনীল তার বান্ধবীকে নেকাব খুলতে বাধ্য করে।

ওই ভিডিওর পর এলাকায় ক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ২০ মার্চ এলাকাবাসীকে নিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে সভা ডাকেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম আহমদ। সেখানে বিষয়টি সমাধানের আলোচনা হলেও এলাকাবাসী সুনীল চন্দ্রের শাস্তি দাবি করেন। ওই দিনই আতঙ্কে পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়েন অধ্যক্ষ সুনীল। বিদ্যালয় থেকে ১৫ দিনের ছুটি নেন তিনি। তবে তিন সপ্তাহ পরেও তিনি এলাকায় ফেরেননি।

‘স্যার শ্বাস নেয়ার জন্য নেকাব খুলতে বলেন’

ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এই শিক্ষার্থীদের (ওল্ড টেন) তিনটি শাখায় ভাগ করে ক্লাস নেয়া হয়। নেকাব নিয়ে সুনীল চন্দ্র দাসের আলাপের ঘটনাটি ঘটে এ শাখায়। ওই ক্লাসে উপস্থিত ছিল অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

রোববার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ১০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

ওই ক্লাসের ছাত্রী নুজহাত আহমদ কনিকা নিউজবাংলাকে বলে, ‘ক্লাসে করোনা ও অক্সিজেন নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে স্যার সবাইকে জোরে শ্বাস নিতে বলেন। এ জন্য সবাইকে মাস্ক ও নেকাব খুলতে বলেন। ওই ছাত্রী খুলতে রাজি না হওয়ায় স্যার বলেন, আমরা শিক্ষকরা তোমাদের মা-বাবার মতো। তোমরা আমাকে বাবার মতো মনে করে নেকাব খুলতে পারো।

‘স্যার কয়েকবার বলার পর সে নেকাব খোলে। তবে এ সময় সে স্যারকে বলে, আমাদের ইসলামিক বিধানে বাইরের পুরুষের সামনে হিজাব ও নেকাব খোলা নিষেধ।’

আরেক শিক্ষার্থী আদিত্য দাস দীপও প্রায় একই ধরনের বর্ণনা দিয়েছে। সে বলে, ‘স্যার তিনবার বলার পর ওই ছাত্রী নিজ থেকেই নেকাব খোলে। এরপর স্যার বোরকা পরে ভালো কাজ ও খারাপ কাজের উদাহরণ দেন এবং কীভাবে সুন্দর করে সালাম দেয়া যায় সেটা নিয়ে বলেন।’

নেকাব ইস্যুতে ৩ সপ্তাহ এলাকাছাড়া গোলাপগঞ্জের অধ্যক্ষ
গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাস

মিনহাজ হোসেন নামে আরেক ছাত্র বলে, ‘ওই ছাত্রী শুরুতে নেকাব খুলতে রাজি না হওয়ায় স্যার বলেন, বিজ্ঞান তো প্রমাণ করতে হয়। তুমি যদি নিজে প্রমাণ না করো (গভীর শ্বাস নেয়ার উপকারিতা) তাহলে এটা যে সত্য তা বুঝবে কী করে।’

এ বিষয়ে অভিযোগকারী মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। তবে সে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ভিডিওর মেয়েটি কে?

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির মেয়ের মুখ ও মাথা ঢাকা ছিল হিজাব ও নেকাবে। ফলে তার পরিচয় জানা যায়নি। ভিডিওবার্তায় মেয়েটি দাবি করেছে, সে ওই স্কুলের ছাত্রী ও এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

ওই প্রতিষ্ঠানের একাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীর কাছে এই মেয়ের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানায় সে আমেনা বেগম হতে পারে। আমেনা বেগমও এসএসসি পরীক্ষার্থী ও পুরোনো দশম শ্রেণির (ওল্ড টেন) সি গ্রুপের ছাত্রী। আর সুনীল চন্দ্রের ঘটনাটি ঘটেছিল এ গ্রুপে।

তবে আমেনা বেগম নিউজবাংলাকে জানায়, এই ভিডিওটি তার নয়। ভিডিওর মেয়েকে সে চেনেও না।

‘তিলকে তাল বানানো হয়েছে’

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহের উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিলকে তাল বানানো হয়েছে। স্যার কোনো কটূক্তি করেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন স্কুলে ছিলাম। পরে অধ্যক্ষের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বাসায়ও গিয়েছি। যেভাবে ছড়ানো হয়েছে সে রকম ঘটনা না।’‌

তাহের উদ্দিন আরও বলেন, ‘প্রিন্সিপাল স্যার ওই মেয়ের বাসায় যাওয়ার পর ওই মেয়ে ও তার পরিবার সব মন থেকে বাদ দিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে আপসও হয়, কিন্তু এরপরেও একটি গোষ্ঠী ইন্ধন দিয়ে ঘটনাটিকে বড় করেছে। এর সঙ্গে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কিছু লোকও জড়িত আছে।’

সহকারী শিক্ষিকা নুরুন্নাহার ঝুমুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ঘটনা শোনার পর ওই ক্লাসের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, স্যার খোলা বাতাসে শ্বাস নেয়ার জন্য মাস্ক খুলতে বলেছেন। একজন না খোলায় স্যার তাকে কয়েকবার অনুরোধ করেছেন। স্যার বারবার বলার পর রাগ করে সে খুলছে।

‘এরপর স্যারকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু হইছে। তার সঙ্গে অভদ্রতা করা হচ্ছে।’

নেকাব ইস্যুতে ৩ সপ্তাহ এলাকাছাড়া গোলাপগঞ্জের অধ্যক্ষ

ঝুমুর বলেন, ‘স্যার প্রায় ২৭ বছর ধরে এখানে আছেন। কখনও কোনো কথা ওঠেনি। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। বরং সবাই যাতে নামাজ পড়ে সে জন্য স্যার এই প্রতিষ্ঠানে নোটিশ জারি করেছেন। এখন বুড়ো বয়সে এসে কেন স্যার এসব করতে যাবেন?’

বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক আমিন উদ্দিনের সেদিন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার কথা ছিল। তিনি না আসায় ওই ক্লাসে যান সুনীল। আমিন অভিযোগকারী ছাত্রীর গৃহশিক্ষকও।

আমিন উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি স্কুলে সেদিন যাইনি বলে ঘটনা সম্পর্কে জানি না। আমি বাসায় পড়াতে গেলে ওই ছাত্রী আমাকে অভিযোগ করে। আমি বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতিকে জানাতে বলি।’

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ সেলিমুজ্জামান। সুনীল চন্দ্রের অনুপস্থিতিতে তিনিই প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে আছেন।

তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না জানিয়ে সেলিমুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনীল স্যার ভালো লোক। আমাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক। বাকিটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

‘আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে।’

অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাস ছুটিতে আছেন বলেও জানান তিনি।

সুনীল চন্দ্রের অভিযোগ, ষড়যন্ত্র

পুরো ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাস।

মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাসে করোনা বিষয়ে আলোচনা শুরু করি। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আলোচনা করি। অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড নিয়ে কথা বলি। করোনায় অক্সিজেন কতটুকু উপকারী এ নিয়ে বলি। সবাইকে মাস্ক খুলে শ্বাস নিতে বলি।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অনেকের মাস্ক পরা ছিল। আর কয়েকজন ছাত্রীর মুখে নেকাব ছিল। আমি তাদের মাস্ক ও নেকাব খুলে শ্বাস নিতে বলি। হিজাব নিয়ে কোনো কথাই বলিনি।’

সুনীলের দাবি, বিষয়টি পরে বড় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘১৭/১৮ তারিখে আমি প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি জানতে পারি। আলোচনা শুরু হওয়ার পর ১৮ মার্চ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে মীমাংসাও করে দেন। অভিযোগকারী ছাত্রীর বাবা তার অভিযোগ তুলে নেন। এরপর একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীকে উসকে দেয়। তারা এলাকায় বিক্ষোভ করে। ফেসবুকে নানান বাজে কথা লিখতে থাকে। বেশির ভাগ জামায়াতের লোক এতে জড়িত। আমার প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষকেরও ইন্ধন রয়েছে। পদপদবির জন্য তারা এমনটি করছেন।’

নিজের অবস্থান জানাতে অস্বীকার করে সুনীল বলেন, ‘ভয়ে ২০ মার্চ থেকে আমি এলাকা ছাড়া। পরিবারের নিরাপত্তা ও মানসম্মানের কথা ভেবে আমি ছুটি নিয়ে চলে এসেছি।’

নেকাব ইস্যুতে ৩ সপ্তাহ এলাকাছাড়া গোলাপগঞ্জের অধ্যক্ষ

যা মিলল তদন্তে

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ৫ সদস্যের একটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৩ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

গভর্নিং বডির তদন্ত কমিটি রোববার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এই কমিটির প্রধান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমদ। তিনি রোববার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফেসবুকে হাছা-মিছা (সত্য-মিথ্যা) মিলিয়ে পোস্ট করে ঘটনাকে বড় করা হয়েছে। যেগুলো ছড়াইছে তার বেশির ভাগই ভুয়া।’

তবে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কিছু বলতে চাননি চেয়ারম্যান। তিনি জানান, তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে, গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে বলবেন।

তবে এই তদন্ত কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘স্যার ক্লাসে যা বলেছেন তা একজন শিক্ষক হিসেবেই বলেছেন। ইসলামবিদ্বেষী কিছু বলেননি। পরবর্তীতে তা বিকৃত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবেই তিনি ছাত্রদের বোঝাতে চেষ্টা করেছেন। তাতে ধর্ম অবমাননার কিছু আমরা পাইনি।’

তদন্ত কমিটির ওই সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা ওইদিন শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত থাকা দশম শ্রেণির ১০ জন শিক্ষার্থীর বক্তব্য নিয়েছি। সবাই একই ধরনের কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, স্যার ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর কিছু বলেননি। কথা প্রসঙ্গে বিভিন্ন উদাহরণ দিয়েছেন। বোরকা পরেও যে কেউ অপরাধে জড়াতে পারে আর না পরেও ভালো মানুষ হতে পারে এমনটি বলেছেন।’

গভর্নিং বডির সভাপতি মাসুম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনীল চন্দ্রকে ভালো মানুষ হিসেবেই জানি। একজন সৎ শিক্ষক। ওনার নামে কখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। ফলে এখনকার অভিযোগ কতটুকু সত্য তা বলা কঠিন।

‘আমি ঢাকায় আছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এখনও পাইনি। দু-এক দিনের মধ্যে পাব। এরপর আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব। তবে সরকারি যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে, আমাদের এই রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে।’

নেকাব ইস্যুতে ৩ সপ্তাহ এলাকাছাড়া গোলাপগঞ্জের অধ্যক্ষ

এই ঘটনা তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবিরের গঠন করা কমিটির প্রধান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম।

তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। তদন্ত চলমান আছে। এখন কিছু বলার সুযোগ নাই। তদন্ত শেষ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।’

সুনীলের এলাকা ছাড়ার প্রসঙ্গে গভর্নিং বডির সভাপতি বলেন, ‘উনি একজন ভদ্রলোক। তিনি যদি মনে করেন তার নিরাপত্তা হুমকিতে, তাইলে এলাকা ছেড়ে চলে যেতেই পারেন।’

সুনীলের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত। এখন আর কোনো ঝামেলা নেই। কিছু লোক গুজব ছড়াচ্ছে। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।’

আরও পড়ুন:
শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেসবুকে নজর দেবে সরকার
হিজাব বিতর্ক: হামলার ৩ দিন পর ধরণী কান্তের জিডি
খোদার কাছে প্রার্থনা ওরা স্বাভাবিক মানুষ হোক: হৃদয় মণ্ডল
এবার চট্টগ্রামের স্কুলে হিজাব নিয়ে ভুয়া অভিযোগ
ধরণী কান্তের ছকে ‘হিজাব বিতর্কে’ আমোদিনী পাল?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
288 members of Myanmar Army BGP are going back

ফেরত যাচ্ছেন মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির ২৮৮ সদস্য

ফেরত যাচ্ছেন মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির ২৮৮ সদস্য মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য ঘাটে রাখা হয় ২৮৮ জনকে। ছবি: নিউজবাংলা
গত ১১ মার্চ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি ও আশারতলী সীমান্তে দিয়ে প্রথম দফায় ১৭৯ জন মিয়ানমারের বিজিপির সদস্য আশ্রয় নেন। পরে কয়েক দফায় ঘুমধুম, তুমর্রু ও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে দিয়ে মোট ২৮৮ জন মিয়ারমারের সেনা ও বিজিপির সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে কক্সবজার ইনানী নৌবাহিনী জেটি ঘাটে নেয়া হয় তাদের। সেখানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গত ১১ মার্চ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি ও আশারতলী সীমান্তে দিয়ে প্রথম দফায় ১৭৯ জন মিয়ানমারের বিজিপির সদস্য আশ্রয় নেন। পরে কয়েক দফায় ঘুমধুম, তুমর্রু ও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে দিয়ে মোট ২৮৮ জন মিয়ারমারের সেনা ও বিজিপির সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনা সদস্যদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছিল। তাদের সে দেশের নৌবাহিনীর জাহাজে করে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার উখিয়ার ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে তাদের মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Water is not rising in the tubewell in Meherpur amid the fire

দাবদাহের মধ্যে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না মেহেরপুরে

দাবদাহের মধ্যে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না মেহেরপুরে ১৫ থেকে ১৬ বার টিউবওয়েল চাপার পরেও মিলছে না এক গ্লাস পানি। ছবি: নিউজবাংলা
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির স্তর প্রতি বছর ১০ থেকে ১১ ফুট নিচে নামছে। ১০ বছর আগেও এই এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ ফুটের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর পাওয়া যেত। অথচ এখন পানির জন্য যেতে হয় ৩০০ ফুটেরও বেশি গভীরে।

ছিয়াত্তর বছর বয়সী আবদুর রহিম স্ত্রীকে হারিয়েছেন দেড় যুগ আগে। পরিবারের সদস্য বলতে এক ছেলে, তাও থাকেন প্রবাসে। ছেলে প্রবাসে যাওয়ার পর অন্য ঘরে চলে গেছেন ছেলের বৌও। তাই রান্না-বান্না থেকে শুরু করে সব কিছুই করতে হয় নিজেকে।

জীবন যুদ্ধে তিনি কখনও দমে যাননি, তবে এবার হার মেনেছেন টিউবওয়েলের পানির কাছে। ১৫ থেকে ১৬ বার টিউবওয়েল চাপার পরেও মিলছে না এক গ্লাস পানি। তাই পানি সংকটের কারণে গোসল থেকে শুরু করে গৃহস্থালির সব কাজ হচ্ছে ব্যাহত।

তাই অধিকাংশ সময় বাড়ির পাশে থাকা মসজিদে গিয়ে পানির চাহিদা পূরণ করছেন আবদুর রহিম।

এদিকে গৃহবধূ ছানোয়ারা খাতুন গৃহস্থালির সব কাজ করেন একাই। বাড়িতে রয়েছে তিনটি গাভি ও চারটি ছাগল। এর মধ্যেই আজ সপ্তাহ দুয়েক ধরে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। খাওয়া থেকে ওজু, গোসল সব কিছুতেই বেগ পেতে হচ্ছে পানি সংকটের কারণে।

ছানোয়ারা খাতুন জানান, তীব্র তাপদাহের মধ্যে আজ সপ্তাহখানেক ধরে বাড়িতে থাকা গরুর গোসল করাতে পারেননি তিনি, তবে নিজে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে গোসল করে আসেন।

মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের হস্তচালিত টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে পানির সংকট এখন চরমে পৌঁছেছে। একদিকে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে বোরো চাষে পানির সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে তারা সুপেয় পানির সংকটের কথা জানান। বিশেষ করে মুজিবনগর উপজেলার, জয়পুর, আমদহ, তারানগর, বিশ্বনাথপুর; সদর উপজেলার শালিকা, আশরাফপুর, আমদাহ, বুড়িপোতা, আলমপুর এবং গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের আমতৈল, মানিকদিয়া, কেশবনগর, শিমুলতলা, রইয়েরকান্দি, সহড়াবাড়িয়া, মিনাপাড়া, ভোলাডাঙ্গা, কুমারীডাঙ্গা কাথুলি ইউনিয়নের গাঁড়াবাড়িয়া, ধলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চলতি শুষ্ক মৌসুম শুরু থেকেই সুপেয় পানির সংকট প্রকট হচ্ছে।

দীর্ঘ সময় ধরে অনাবৃষ্টি, ভূ-গর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার, অপরিকল্পিতভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা, এবং পুকুর-খাল-বিল ভরাটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচে নামছে। আগামীতে বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে বলেও জানান তারা।

গ্রামবাসীরা বলছেন, গ্রীষ্মকাল শুরু না হতেই এবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। অথচ গ্রামে সুপেয় পানির জন্য নলকূপই শেষ ভরসা।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির স্তর প্রতি বছর ১০ থেকে ১১ ফুট নিচে নামছে। ১০ বছর আগেও এই এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ ফুটের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর পাওয়া যেত। অথচ এখন পানির জন্য যেতে হয় ৩০০ ফুটেরও বেশি গভীরে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক বছরে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর ১০ থেকে ১৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে হস্তচালিত অনেক টিউবওয়েল। যেখানে আগে ভূগর্ভের ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীরতা থেকেই পাওয়া যেত সুপেয় পানি। গত এক দশকে ক্রমেই পানির স্তর নিচে নেমে গেছে।

জেলায় গভীর-অগভীর মিলিয়ে ৯ হাজার ৯১৩টি নলকূপ আছে। এর মধ্যে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ২ হাজার ২৩৯টি।

গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মতিন বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা দিয়ে বেড়াই। আজ ১০ দিন ধরে আমার বাড়ির নলকূপে পানি উঠছে না। রোদের মধ‍্যে সারা দিন গ্রাম গ্রাম ঘুরে বাড়ি এসে যদি পানি না পাই তাহলে কেমন লাগে? আমি তাই মসজিদের নলকূপে গিয়ে গোসল সেরে আসি।’

একই এলাকার দিনমজুর সিরাজ বলেন, ‘আমি সারা দিন মাঠে কাজ করি। বাড়িতে দুটি গরুও পালন করি অথচ গরু দুটি আজ কয়দিন গা ধোয়াতে পারিনি। আবার মাঠে এক বিঘা ধানের আবাদ আছে, তাতে সেচ দিতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে। যেখানে দুই ঘণ্টা মেশিনে পানি দিলে হয়ে যেতো। সেখানে এখন চারটা ঘণ্টা পানি দিয়েও হচ্ছে না।’

এ অঞ্চলের আবহাওয়া নির্ণয়কারী চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গাসহ এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এখানে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে আপাতত আজকে বৃষ্টির সম্ভবনা নেই।’

মেহেরপুরের জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন জানান, সুপেয় পানির সমস্যা নিরূপণে যেসব এলাকায় সংকট সেখানে ১০টি বাড়িকে কেন্দ্র করে একটি ৯০০ ফুট গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এসব এলাকায় ৫০০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে, তবে অতিবৃষ্টি ও পানির অপচয় রোধ করা না গেলে পানি সংকটের সমাধান মিলবে না।

আরও পড়ুন:
লিচুর গায়ে তাপের ক্ষত
তীব্র তাপদাহে নওগাঁয় আমের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা
তীব্র তাপদাহে ইউরোপ
নলকূপে পানি নেই, বরিশাল নগরীতে হাহাকার
রানী পেলেন নলকূপ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Naogaon madrasa girl teacher in jail in attempted rape case

নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক কারাগারে

নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
এদিন আসামির উপস্থিতিতে তাকে দেয়া সাজার রায় পড়ে শোনানো হয় এবং শেষে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরীয়া গ্রামের এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে।

নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার বুধবার এ রায় দেন। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক।

দণ্ডাদেশ পাওয়া ওই শিক্ষকের নাম আবুল হাসান। ২৫ বছর বয়সী আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরীয়া গ্রামের বাসিন্দা ও একটি মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের শিক্ষক।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ছয়টার সময় নয় বছর বয়সী ওই মেয়েটি একই গ্রামের আরবি শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা না আসায় তাকে একা পেয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর মা বদলগাছী থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা মেলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

এদিন আসামির উপস্থিতিতে তাকে দেয়া সাজার রায় পড়ে শোনানো হয় এবং শেষে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আজিজুল হক ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলা পরিচালনা করেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে এবং আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tribute to memorial on 11th anniversary of Rana Plaza tragedy

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তিতে বুধবার প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হতাহত শ্রমিক, তাদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ সদস্যরা।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক শ্রমিক।

ট্র্যাজেডির বার্ষিকীতে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সদস্যরা।

সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।

একে একে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ওঠে বেদি। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, র‌্যালি ও মানববন্ধন করা হয়।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের অনেক স্বজন প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

একই সঙ্গে ভবনের মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুন:
সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ
সাভারে গোডাউন খুলতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ তিন
টেইলার্সে এসি বিস্ফোরণে আটজন আহত
ধামরাইয়ে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরোহীর মৃত্যু
সাভার থেকে চুরি হওয়া শিশু নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 killed 4 injured in truck trolley collision in Panchgarh

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পঞ্চগড়ের বোদা-দেবীগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কে ট্রাক ও ট্রলির (ট্রাক্টর) মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পথচারী নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চার জন।

বুধবার সকালে বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের কলাপাড়া নামক স্থানে মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন- বোদা পৌরসভার সদ্দারপাড়া গ্রামের সাফিরের স্ত্রী ৬০ বছর বয়সী নুরজাহান ও একই উপজেলার মাজগ্রাম এলাকার মানিক ইসলামের ছেলে ২৫ বছর বয়সী জাহিদ ইসলাম।

বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক দুজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেবীগঞ্জ থেকে পঞ্চগড়গামী একটি দ্রুতগামী ট্রাক ও বিপরীতমুখী একটি ট্রলির সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা এক পথচারী নারীকে গাড়িদুটি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। দুর্ঘটনায় ট্রলির চালক জাহিদও ঘটনাস্থলে নিহত হন। এছাড়া স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Myanmar bullets fell in Teknaf

মিয়ানমারের গুলির খোসা পড়ল টেকনাফে

মিয়ানমারের গুলির খোসা পড়ল টেকনাফে ফাইল ছবি
হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, রাতে মিয়ানমারের ওপারে চলা গোলাগুলির শব্দে ভয়ে লবণচাষিরা ঘরে ফিরে আসতে বাধ্য হন। গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘরে থাকতে পারিনি। রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে।

মিয়ানমারে জান্তাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর চলমান সংঘাতের মধ্যে এবার কক্সবাজারের টেকনাফে একটি গুলির খোসা এসে পড়েছে।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার জাদিমুড়া সিআইসি অফিসের জানালায় এসে পড়ে ওই গুলির খোসা। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি আহমদ বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি থেকে এপারের ক্যাম্প-২৭ সিআইসি অফিসের জানালায় একটি গুলির খোসা এসে পড়ে ছিদ্র হয়ে যায়।

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, রাতে মিয়ানমারের ওপারে চলা গোলাগুলির শব্দে ভয়ে লবণচাষিরা ঘরে ফিরে আসতে বাধ্য হন। গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘরে থাকতে পারিনি। রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তার সংঘাত চলছে। এরই মধ্যে ঘুমধুম-উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এসে পড়ে মর্টারশেল ও গুলি। এ নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে।

বেশ কিছুদিন মিয়ানমার থেকে কোনো গুলি বা মর্টারশেল দেশে না এসে পড়লেও ওপারের শব্দ আসছে এপারে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে আশ্রয় নেন বাংলাদেশে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Singra Upazila Volunteer League President and Secretary released

সিংড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে অব্যাহতি

সিংড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে অব্যাহতি সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সম্পাদকে অব্যাহতি হয়েছে। ফাইল ছবি
বিএমএম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসান ইমাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোহন আলীকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

একই বিজ্ঞপ্তিতে বিএমএম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন জানান, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল এবং দেলোয়ার হোসেন পাশা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এরপর গত ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ থেকে দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ করে নির্যাতন করে তার সমর্থকরা। এই ঘটনায় দেশব্যাপি সমালোচনা শুরু হলে পলকের নির্দেশে তার শ্যালক রুবেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।

তিনি বলেন, ফলে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার পাশাকে মঙ্গলবার একমাত্র পার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ। এই ঘটনায় বিভিন্ন মিডিয়ার খবর ও পুলিশের তদন্তে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসান ইমাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোহন আলী সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। ফলে তাদের দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

মন্তব্য

p
উপরে