× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Where rich and poor meet in mass iftar
google_news print-icon

যেখানে ইফতারে একাকার ধনী-গরিব

যেখানে-ইফতারে-একাকার-ধনী-গরিব
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে এক সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিবছর রমজানেই এই মসজিদে চলে ইফতার তৈরির এমন মহাযজ্ঞ। যেখানে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবকের আন্তরিক সেবায় ইফতার করেন ২ থেকে ৩ হাজার রোযাদার। প্রথম রমজান থেকে শুরু হয় গণইফতারের এমন আয়োজন।

আসর নামাজ শেষেই ব্যস্ততা স্বেচ্ছাসেবকদের। ইফতারের থালায় কেউ দিচ্ছেন ছোলা, কেউ বা দিচ্ছেন খেজুর ও জিলাপিসহ আট রকমের খাবার। আরেকদিকে একদল ব্যস্ত লেবু আর রুহ আফজার শরবত বানাতে। নেই কোনো বিশৃঙ্খলা। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসতেই একে একে হাজির হাজারো রোযাদার।

এমন চিত্র চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে। ২০০১ সাল থেকেই এভাবেই ইফতারের আয়োজন চলে আসছে সেখানে। তবে বড় আকারে মক্কা-মদিনার আদলে গণইফতারের শুরুটা ২০০৮ সালে। যার মূল উদ্যোক্তা এই মসজিদের খতিব হযরত ছাইয়্যেদ মুহাম্মদ আনোয়ার হসাইন তাহের আল জাবেরী আল মাদানী।

প্রতিবছর রমজানেই এই মসজিদে চলে ইফতার তৈরির এমন মহাযজ্ঞ। যেখানে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবকের আন্তরিক সেবায় ইফতার করেন ২ থেকে ৩ হাজার রোযাদার। প্রথম রমজান থেকে শুরু হয় গণইফতারের এমন আয়োজন।

মাঝে করোনার কারণে গত দুই বছর এই আয়োজন বন্ধ ছিল। তবে এই বছর ফের শুরু হয়েছে এই ইফতার আয়োজন। যা রূপ নিয়েছে ঐতিহ্যে।

ধনী-গরিব এক কাতারে শামিল হয়ে অংশ নেন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের ঐতিহ্যবাহী এই ইফতারে। নানা শ্রেণি পেশার লোক আসর নামাজের পর থেকে ইফতারে শরিক হতে হাজির হন মসজিদে। গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি একই কাতারে শামিল হন সামর্থবানরাও। যা তাদের মনে এনে দেয় পরম শান্তি।

গত ৬ এপ্রিল বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব আকাশে সূর্য যখন ডুবি ডুবি, মসজিদের বারান্দায় তখন সারিবদ্ধভাবে ইফতারের অপেক্ষায় প্রায় দুই হাজার রোযাদার। কাতারে কাতারে ইফতারে শামিল হতে এসেছেন ছাত্র, ব্যবসায়ী,দিনমজুর, ভিক্ষুক, চাকরিজীবী সহ সমাজের প্রায় সব শ্রেণি পেশার মানুষ। তাদের সামনে থরে থরে সাজানো ইফতারের থালা। এক ছাদের নিচে,মেঝেতে বসে এমন ইফতার যেন বৈষম্যহীন সমাজের প্রতিচ্ছবি।

বছরের পর বছর এমন ইফতারের আয়োজনের বিষয়ে জানতে কথা হয় মসজিদের খতিবের ব্যক্তিগত সহযোগী মো হাসান মুরাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘২০০১ সাল থেকেই মূলত এই আয়োজনের সূত্রপাত। যা বড় আকারে শুরু হয় ২০০৮ সালে। আমাদের খতীব সাহেব মক্কা-মদিনার আদলে চট্টগ্রামেও এমন ইফতারের উদ্যোগ নিয়েছেন।

‘রমজানের প্রথম ১৫ দিন পর্যন্ত এখানে ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। শেষ ১৫ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষের ইফতারের বন্দোবস্ত করা হয়। এমন বিশাল আয়োজনে আমাদের এক টাকাও খরচ হয় না। মূলত বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইফতারের খরচ নির্বাহ করে থাকেন। প্রতিদিন রোযাদারদের শরবতসহ ৯ ধরনের ইফতারি পরিবেশন করা হয়।পুরো কাজ সহায়তা করে ২০ জনের একদল স্বেচ্ছাসেবক।’

২০০৮ সাল থেকেই আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে বাবুর্চি হিসেবে ইফতার তৈরি করে আসছেন মোহাম্মদ ইয়াছিন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খতীব হুজুরের নির্দেশে আমরা মিলেমিশে সকাল থেকে ইফতার তৈরি করি। পারিশ্রমিক হিসেবে নির্ধারিত কিছু টাকা পেলেও এ কাজ করতে শান্তি লাগে। তাই রমজান এলেই সব কাজ বাদ দিয়ে এখানে চলে আসি। অচেনা অজানা রোযাদারদের ইফতার করাতে শান্তি লাগে। এ কাজ করতে গিয়ে ক্ষণিকের জন্যও ক্লান্তি লাগে না।’

রমজান এলেই মসজিদে ইফতার আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে হাজির হয়ে যান ৪৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ শহীদ আলম । পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হলেও ৮ বছর ধরে এ কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি।

ইফতারের আগ মুহূর্তে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় তার। তিনি বলেন, ‘এখানে কাজ করতে কোনো কষ্ট আর ক্লান্তি নেই। খতীব সাহেবের নির্দেশেই দোয়ার জন্য কাজ করতেছি। রোযাদারদের সেবা করতে পেরে আনন্দ লাগে।’

ব্যবসায়িক কাজে আন্দরকিল্লা এসে মসজিদে গণইফতারে শরিক হন পঞ্চাশোর্ধ্ব কিসমত আলী। মসজিদের অদূরেই দেওয়ানবাজার এলাকায় বাসা তার। তবুও বরকত লাভের আশায় শামিল হয়েছেন এখানে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এতো লোক এক সঙ্গে ইফতার করছি, এটা ভাল লাগে। ঘরে তো দুই একজন ছাড়া ইফতার করা হয়না। বেশি মানুষের সঙ্গে ইফতার করলে বরকত আর রহমত বেশি। আমরা সবসময় সব জায়গায় ইফতার করতে পারি। কিন্তু মসজিদে ইফতার করার মধ্যে আলাদা একটা বরকত আছে।’

এই মসজিদে প্রথমবার ইফতার করতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জরুরিরী একটা কাজে আন্দরকিল্লায় আসি। কিন্তু ট্রেন মিস করায় ইফতার করতে এখানে চলে আসি। সব শ্রেণি পেশার মানুষ একসাথে ইফতার করতেছি এটা ভালো একটা মুহূর্ত কাটছে।’

আরও পড়ুন:
৮০০ ইমামকে রমজানের উপহার এমপি হাবিবে মিল্লাতের
হাসপাতালে বিনা মূল্যে ইফতার-সেহরি
চবিতে রোজাহীন সবার খাবার একটি হলে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In Rajshahi Ashad Shravan flowed in Ashwin

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে রাজশাহী নগরীতে রোববার বিকেলের বর্ষণে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি। ছবি: নিউজবাংলা
রাজশাহী নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ড্রেন উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে প্রধান প্রধান সড়কে। নগরীর সাহেব বাজার, বর্ণালী মোড়, লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ছোট বনগ্রাম, দড়িখড়বোনা, রেলগেট এলাকার সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।

আষাঢ়-শ্রাবণে যে বৃষ্টির অপেক্ষা করেছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ তার মিললো আশ্বিনে এসে। প্রতি বছর আষাঢ় কিংবা শ্রাবণ মাসে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বছর গত কয়েক মাস ধরেই প্রত্যাশিত বৃষ্টি হয়নি রাজশাহীতে। অবশেষে সেই বৃষ্টির দেখা মিলেছে।

রোববার বিকেলের ঝুম বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে। মাঝারি মাত্রার এই বর্ষণে শহরের বেশিরভাগ ড্রেন উপচে পানি চলে আসে রাস্তায়। শহরের নিচু এলাকাগুলোতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। অবশ্য সন্ধ্যার পর বেশিরভাগ এলাকার জলাবদ্ধতা কমে আসে।

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, রোববার রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সকালে হয়েছে ৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার। বাকিটা হয়েছে বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে। চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

সন্ধ্যার পর বৃষ্টি কমে গেলেও আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, রাজশাহীতে সোমবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে বৃষ্টির পানিতে রোববার বিকেলে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বিশেষ করে যেসব এলাকায় ছোট ড্রেন রয়েছে সেগুলো উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে প্রধান প্রধান সড়কে। নগরীর সাহেব বাজার, বর্ণালী মোড়, লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ছোট বনগ্রাম, দড়িখড়বোনা, রেলগেট এলাকার সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যায়।

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে

এছাড়া নগরীজুড়ে প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা দেখা যায়। বিশেষ করে নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতায় দেখা দেয় জনদুর্ভোগ।

আরও পড়ুন:
এখনও থইথই নিউ মার্কেট এলাকা
ঢাকায় জলমগ্ন সড়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু
রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি
ঢাকাসহ ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
সাগরে লঘুচাপ, দেশজুড়ে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Wife poisoned with pride with her husband three children died in the hospital

সুনামগঞ্জে ‘বিষ পানে’ তিনজনের মৃত্যু, একজন হাসপাতালে

সুনামগঞ্জে ‘বিষ পানে’ তিনজনের মৃত্যু, একজন হাসপাতালে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল। ফাইল ছবি
স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে যমুনা বেগম সন্তানদের নিয়ে বিষপান করেন বলে জানান স্বজনরা।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ এলাকায় বিষ পানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

এ ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন একজন।

উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে রোববার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো তিনজন হলো ১৫ বছরের কিশোরী সাকিবা বেগম, ১৩ বছরের কিশোর তামবির হোসেন ও পাঁচ বছরের শিশু সাহেদ মিয়া।

তিন শিশুর মা ৩৫ বছর বয়সী যমুনা বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যমুনা বেগম ফেনারবাঁক ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী। যমুনা বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেঁচে থাকলেও তিন সন্তানই মারা গেছে।’

যমুনা বেগমের একাধিক স্বজন জানান, স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে বিষ পান করেন যমুনা। মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তিন সন্তানকে খাইয়ে দেন তিনি। পরবর্তী সময়ে মা ও সন্তানসহ সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদের জামালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে তাদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান। সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিন ছেলে-মেয়েকে মৃত বলে জানান। তাদের মা যমুনা বেগম গুরুতর অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গিয়ে যা জানতে পারলাম, তা খুবই মর্মান্তিক। মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে।’

আরও পড়ুন:
জুলাই মাসে সড়কে প্রাণহানি ৫৭৩, আহত ১২৫৬
সোনারগাঁয়ে বাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু
বজ্রপাতে কৃষিশ্রমিক নিহত, কিশোর আহত
আগুনে পুড়ে দুই ভাইবোনের মৃত্যু
৭ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ থামল প্রাণ ঝরিয়ে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Student fined for broadcasting RAB campaign live

র‍্যাবের অভিযান লাইভ প্রচার করা ছাত্রের জরিমানা

র‍্যাবের অভিযান লাইভ প্রচার করা ছাত্রের জরিমানা বরিশাল আদালত। ফাইল ছবি
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন বলেন, ‘আসামি মারুফ তার দোষ স্বীকার করেছে। তাই বিচারক তাকে জরিমানা ও প্রবেশনে জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

বরিশালে র‌্যাবের অভিযান ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে মাধ্যমে লাইভ (সরাসরি) প্রচার করায় এক ছাত্রকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। ওই ছাত্রকে সামাজিক ও জনকল্যানমূলক কর্মকাণ্ড করতে নির্দেশ দিয়ে প্রবেশন কর্মকর্তার জিম্মায় জামিন দেয়া হয়েছে।

রোববার বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন।

অর্থদণ্ডে দণ্ডিত কিন্তু প্রবেশন জামিন পাওয়া ২০ বছর বয়সী মারুফ মুন্সী ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা এবং বরিশাল নগরীর বেসরকারী ইনফ্রা পলিটেকনিকের ছাত্র।

মামলার বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী কাকন বলেন, ‘২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি র‌্যাব-৮ এর একটি দল জিয়া সড়ক মসজিদ গলিতে অভিযান করে। মারুফ তার ফেইসবুক পেজ ডিপ্রেশন ও চ্যানেল টিভি নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে তা সরাসরি প্রচার করে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানতে পেরে র‌্যাব মারুফকে আটক করে।

‘এ ঘটনায় ২২ জানুয়ারি কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে র‌্যাবের ডিএডি জিএম আনসার আলী। একই বছরের ৩০ জুন একমাত্র মারুফকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সাইদুর রহমান।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসামি মারুফ তার দোষ স্বীকার করেছে। তাই বিচারক তাকে জরিমানা ও প্রবেশনে জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on Prothom Alo representative in Chabi for publishing the news

সংবাদ প্রকাশের জেরে চবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

সংবাদ প্রকাশের জেরে চবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা মারধরে আহত প্রথম আলোর চবি প্রতিনিধি মোশাররফ শাহ। ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘মোশাররফের কপালে চার সেলাই দিতে হয়েছে। তার হাতেও আঘাত আছে। এক্সরে করাতে হবে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।’

সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধির ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

চবির দ্বিতীয় কলা অনুষদের সামনে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ওই সাংবাদিকের নাম মোশাররফ শাহ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য।

মারধরকারীরা চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ও সিএফসি গ্রুপের কর্মী বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ শাহ।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মোশাররফ শাহ বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমি উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম বক্তব্য নেওয়ার জন্য। এ সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী আমাকে আটকায়। আমাকে লাঠিসোটা দিয়ে উপর্যুপরি মারধর করে আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখান থেকে রব হলে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফা মারধর করে।’

তিনি বলেন, “মারধরের সময় নেতা–কর্মীরা আমাকে পরবর্তী সময়ে আর ছাত্রলীগ নিয়ে প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তাঁরা বলেন, ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।’”

আহত মোশাররফকে শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বুক ও হাতে আঘাত থাকায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘মোশাররফের কপালে চার সেলাই দিতে হয়েছে। তার হাতেও আঘাত আছে। এক্সরে করাতে হবে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘আমি এই ঘটনা শুনেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি৷ যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমি ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়েছি। তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬
নেত্রকোনায় চোরাকারবারির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী সাংবাদিক নিহত
এডিসি হারুনকাণ্ড: তদন্তের সময় বাড়ল আরও ৩ দিন
এডিসি হারুনকাণ্ড: আরও ৭ দিন সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি
এডিসি হারুনকাণ্ডে সব পক্ষেরই দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A section of Awami League protested against the Minister of State for Foreign Affairs in Rajshahi

রাজশাহীতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ একাংশের বিক্ষোভ

রাজশাহীতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ একাংশের বিক্ষোভ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীতে রোববার বাঘা ও চারঘাট আওয়ামী লীগের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল করে। ছবি: নিউজবাংলা
বিক্ষোভ সমাবেশে বাঘা পৌরসভার মেয়র ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাছ আলী বলেন, ‘শাহরিয়ার আলমের নির্দেশে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের নামে মামলা করছে। আওয়ামী লীগের নেতারা যখন আমাদের নামে মামলা করেন তবে বুঝেন কেননে থাকি। আমরা চাই এই ধরনের লোককে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে নেতৃত্বে দেয়া হোক।’

রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট এলাকার সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। রোববার দুপুরে রাজশাহী আদালত চত্বরে এই বিক্ষোভ ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচির ব্যানারে লেখা ছিলো “বাঘা-চারঘাটের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কর্তৃক আর কত নির্যাতন সইব?’ আয়োজনে: নির্যাতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।”

কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বাঘা পৌরসভার মেয়র ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাছ আলী। নেতাকর্মীরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে শাহরিয়ার আলমের বিকল্প প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে আক্কাছ আলী বলেন, ‘রাজশাহী-৬ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নির্দেশে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের নামে মামলা করছে। বর্তমানে এক শ’ নেতাকর্মী বিনা দোষে মামলার আসামি। অজ্ঞাত আরও তিন শ’ আসামী রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা যখন আমাদের নামে মামলা করেন তবে বুঝেন কেননে থাকি। আমরা চাই এই ধরনের লোককে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে নেতৃত্বে দেয়া হোক।’

আক্কাছ আরও বলেন, ‘শাহরিয়ার আলম বাঘা ও চারঘাট এলাকার সব স্থানীয় নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। তিনি অন্য মতাদর্শীদের নির্বাচনে বিজয়ী হতে সহযোগিতা করেছেন। উপরন্তু বাঘা ও চারঘাট এলাকার ত্যাগী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এলাকার জনগণ শাহরিয়ার আলমের ওপর ব্যাপকভাবে ক্ষিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় তাকে এই আসনে মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে না।’

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাঘা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সানোয়ার হোসেন সুরুজসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা রাজশাহী আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The streets of Dinajpur are under water due to continuous rain

টানা বৃষ্টিতে দিনাজপুরের রাস্তাঘাট পানির নিচে

টানা বৃষ্টিতে দিনাজপুরের রাস্তাঘাট পানির নিচে দিনাজপুরে টানা বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট। ছবি: নিউজবাংলা
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, এ রকম বৃষ্টিপাত বুধবার পর্যন্ত থাকতে পারে, তবে এখনও পর্যন্ত বন্যার পূর্বাভাস দেয়া হয়নি।

উত্তরের জেলা দিনাজপুরে কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে দিনাজপুরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। সেই জমিতে রোপা আমনের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এদিকে জেলার প্রধান তিনটি নদী পুনর্ভবা, আত্রাই ও ইছামতীর পানি সমতল বাড়ছে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

এদিকে টানা বর্ষণে অন্যান্য দিনের তুলনায় রোববার অনেক কম যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, শুক্রবার দিনাজপুরে ২০ মিলিমিটার, শনিবার ২৩ মিলিমিটার ও রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এ রকম বৃষ্টিপাত বুধবার পর্যন্ত থাকতে পারে, তবে এখনও পর্যন্ত বন্যার পূর্বাভাস দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরের তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে।

জেলার পুনর্ভবা নদীর বিপৎসীমা ৩৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার, যেখানে বর্তমান এ নদীর পানি সমতল ৩১ দশমিক ৯৬ সেন্টিমিটার। আত্রাই নদীর বিপৎসীমা ৩৯ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। আর রোববার সকালে এ নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার।

জেলার আরেক নদী ইছামতীর বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। সেখানে রোববার সকালে পানি সমতল ২৮ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়।

এসব নদীর পানি রোববার সন্ধ্যার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:
যমুনায় ফের ভাঙন, দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ
ফের বাড়ছে যমুনার পানি, দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা
দিল্লির ব্যস্ততম সড়ক প্লাবিত, সেনা সাহায্য চাইলেন কেজরিওয়াল  
পদ্মার ভাঙনে ৪ গ্রামের শত একর জমি বিলীন
যমুনার স্পার বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Aziz arrested for chaining the farmer for non payment

‘টাকা পরিশোধ না করায়’ কৃষককে শিকলবন্দি করা আজিজকে আটক

‘টাকা পরিশোধ না করায়’ কৃষককে শিকলবন্দি করা আজিজকে আটক নাটোরের গুরুদাসপুরে কৃষককে শিকল দিয়ে বাঁধার ঘটনায় আবদুল আজিজ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
নাটোরের এসপি তারিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আবদুল আজিজকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আসাদ আলীর স্ত্রী শাহানারা খাতুন বাদী হয়ে আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

নাটোরের গুরুদাসপুরে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ৫৫ বছর বয়সী আসাদ আলী নামের এক কৃষককে শিকলবন্দি করার ঘটনায় মুল অভিযুক্ত আবদুল আজিজকে আটক করেছে পুলিশ।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শনিবার রাতব্যাপী অভিযানের একপর্যায়ে তাকে আটক করা হয়।

আবদুল আজিজ বলেন, ‘অনেক দিন হলো পাওনা টাকা ফেরত চেয়েও সেই টাকা আসাদ আলী দিতে পারেনি। তাই তাকে নিয়ে এসে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে, যেন সে পালিয়ে যেতে না পারে।’

পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আবদুল আজিজকে আটক করা হয়।

এসপি আরও জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আসাদ আলীর স্ত্রী শাহানারা খাতুন বাদী হয়ে আবদুল আজিজের নামে থানায় মামলা করেছেন।

তিন বছর আগে নাটোরের গুরুদাসপুরের বাহাদুরপাড়া গ্রামের আবদুল আজিজের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নেন আসাদ আলী। এরপর দুই বছরে ২০ হাজার টাকা সুদ ও আসলসহ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। বাকি ৫০ হাজার টাকা চলতি বছরের শুরুতে দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু হঠাৎ অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়ায় বাকি টাকা আজিজকে দিতে পারেননি তিনি।

এরই জেরে শনিবার সকালে আবদুল আজিজ ও তার বাবা আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন ব্যক্তি আসাদকে তার বাড়ি থেকে তুলে আনেন। পরে আজিজের বাড়ির বারান্দায় কোমরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। টাকা পরিশোধ করতে না পারলে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়া হয় তাকে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোনায়ারুজ্জামান বলেন, ‘সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে পুলিশ পাঠালে ঘটনাস্থলে কাউকেই পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
‘টাকা পরিশোধ না করায়’ কৃষককে শিকলবন্দি

মন্তব্য

p
উপরে