× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Debate over the case against Hriday Mandal
google_news print-icon

হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলার ধারা নিয়ে বিতর্ক

হৃদয় মণ্ডল
কারাগার থেকে মুক্তির পর হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল (বাঁয়ে) এবং তার বিরুদ্ধে মামলার এজাহার। ছবি: নিউজবাংলা
দণ্ডবিধির ২৯৫ ধারায় ‘উপাসনালয়ের ক্ষতিসাধন করা বা অপবিত্র করা’ সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়টি থাকলেও শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে বাদীর অভিযোগে এ-সংক্রান্ত কোনো দাবি নেই। এ ছাড়া ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা গ্রহণের আগে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া হয়নি।

বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ফৌজদারি দণ্ডবিধির দুটি ধারায় মামলা নিয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা। তবে এর মধ্যে প্রথম ধারাটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটি ওই ধারায় পড়ে কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। ধর্ম অবমাননার মামলা নেয়ার আগে পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

মুন্সীগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ মার্চ দশম শ্রেণির ক্লাসে বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করেন হৃদয় মণ্ডল। তিনি ধর্মকে একটি ‘বিশ্বাস’ এবং বিজ্ঞানকে ‘প্রমাণভিত্তিক জ্ঞান’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। গোপনে তার অডিও ধারণ করে এক শিক্ষার্থী।

ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহমেদের কাছে ওই শিক্ষকের নামে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ দেয়। প্রধান শিক্ষক কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে জবাব দিতে বলেন। তবে এর আগেই ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা জোটবদ্ধ হয়ে হৃদয় মণ্ডলের শাস্তির দাবিতে স্কুলে মিছিল বের করে।

বিদ্যালয় চত্বরের পাশের রিকাবীবাজার এলাকাতেও মিছিল হয়। প্রধান শিক্ষক পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের খবর দেন। স্কুলে গিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। তবে ভেস্তে যায় সেই আলোচনা। একপর্যায়ে হৃদয় মণ্ডলকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর রাতেই হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্কুল সহকারী মো. আসাদ।

আসাদের মামলাটি ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৯৫ এবং ২৯৫(ক) ধারায় গ্রহণ করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।

ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৯৫ ধারায় ‘কোনো শ্রেণিবিশেষের ধর্মের প্রতি অবমাননা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে উপাসনালয়ের ক্ষতিসাধন করা বা অপবিত্র করার’ সংজ্ঞা ও শাস্তির প্রসঙ্গ রয়েছে।’ এতে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি এ ধরনের অভিপ্রায়ে বা এ ধরনের অবগতি সহকারে জনগণের যে কোনো শ্রেণির উপাসনালয় বা ওই যে কোনো ব্যক্তিবর্গের পবিত্র বলে বিবেচিত কোনো বস্তু বিনষ্ট করেন, ক্ষতিগ্রস্ত করে অপবিত্র করেন যে, তার দ্বারা তিনি জনগণের যে কোনো শ্রেণির ধর্মের প্রতি অবমাননা করবে বা জনগণের যে কোনো শ্রেণির অনুরূপ বিনষ্টকরণ, ক্ষতিসাধন বা অপবিত্রকরণকে তাদের ধর্মের প্রতি অবমাননা বলে বিবেচনা করার সম্ভাবনা রয়েছে, সে ব্যক্তি যে কোনো বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে- যার মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

অন্যদিকে ২৯৫(ক) ধারায় ‘কোনো শ্রেণিবিশেষের ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে আবমাননা করে ওই শ্রেণির ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত হানার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত বিদ্বেষাত্মক কাজের’ সংজ্ঞা ও শাস্তির প্রসঙ্গ রয়েছে।

এই ধারায় বলা হয়, ‘যে ব্যক্তি, বাংলাদেশের নাগরিকদের যে কোনো শ্রেণির ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর অপমানিত করার অভিপ্রায়ে ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষাত্মকভাবে উচ্চারিত বা লিখিত শব্দাবলির সাহায্যে বা দৃশ্যমান কোনো বস্তুর সাহায্যে ওই শ্রেণির ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমানিত করে বা অবমাননা করার চেষ্টা করে, সে ব্যক্তি যে কোনো বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে যার মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

২৯৫ ধারায় ‘উপাসনালয়ের ক্ষতিসাধন করা বা অপবিত্র করা’ সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়টি থাকলেও শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে বাদীর অভিযোগে এ-সংক্রান্ত কোনো দাবি নেই। এ ছাড়া ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা গ্রহণের আগে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া হয়নি।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক দাবি করছেন, ‘পেনাল কোডের ২৯৫ ধরায় কেউ মামলা করতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। তবে এর সঙ্গে ২৯৫(ক) ধারা যোগ হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে না।’

এজাহারে ‘উপাসনালয়ের ক্ষতিসাধন করা বা অপবিত্র করার’ কোনো অভিযোগ না থাকলেও ওসির দাবি বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

ধারা প্রয়োগের বিষয়ে ওসির দাবি ঠিক নয় বলে মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, ব্লাসফেমির ধারায় মামলা করতে হলে সরকার বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।’

ওসি বিষয়টি না জেনে বলছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এখন পুলিশ বলছে, যে দুটি ধারায় মামলা হয়েছে, তার একটিতে অনুমোদন লাগে, আরেকটিতে লাগে না। এ ধরনের কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।’

হৃদয় মণ্ডলের বক্তব্য নিয়ে ধর্ম অবমাননার মামলাই হতে পারে না বলে মনে করছেন এই আইন বিশেষজ্ঞ। বিষয়টির ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘এফআইআরে যে বক্তব্যগুলো এসেছে, এগুলো আদৌ ২৯৫ বা ২৯৫(ক) ধারায় পড়বে কি না এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন বলে আইনে একটা টার্ম আছে।

‘প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন হচ্ছে যেমন ধরুন আমার কাছে আপনি একটা মামলা নিয়ে এসেছেন, সে মামলা রাষ্ট্রস্বার্থের বিরুদ্ধে হতে পারে, ব্যক্তিস্বার্থের বিরুদ্ধে হতে পারে, কোম্পানিস্বার্থের বিরুদ্ধে হতে পারে। আপনি আমার সঙ্গে যে বক্তব্য শেয়ার করবেন, সেটা হবে আপনার সঙ্গে আমার প্রিভিলেজ কমিনিউকেশন। এখানে আপনার নিরাপত্তার বিষয়ে আছে। এখন আমি চাইলেই আপনার বক্তব্য শুনে মামলা করতে পারব না।’

তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবে আমরা যখন কোর্টে শুনানি করি, তখন কোনো ভুল কথা বলে ফেললে তার জন্য আমার বিরুদ্ধে কেউ মামলা দিতে পারবে না। তার কারণ আমি কোর্ট প্রসিডিংয়ের মধ্যে থেকেই বলেছি। চাইলে কোর্ট ব্যবস্থা নিতে পারবে, কিন্তু কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না।

‘একইভাবে জাতীয় সংসদেও বিভিন্ন কথাবার্তা হয়। সেখানে অনেক সময় আপত্তিকর কথাও হয়। সেখানে যে আলাপ-আলোচনা হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলা করা যাবে না। তার কারণ তার প্রিভিলেজ আছে।’

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘এখন কথা হলো একজন শিক্ষক যখন ক্লাস রুমে শিক্ষাদানের অংশ হিসেবে কোনো কথা বলছেন বা আলাপ করছেন, সেটাও তার একটা প্রিভিলেজ কমিনিউকেশন।

‘যদিও এটা কোনো আইনের মধ্যে নেই, কিন্তু সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে আইনের ব্যাখ্যা দেয়া আছে। আইন বলতে দীর্ঘদিনের কাস্টম, ট্র্যাডিশনকেও কিন্তু আইনে স্বীকৃতি দেয়া আছে। কেবল সংসদের প্রণীত আইন, কোনো আদালতের রায় কিংবা অন্য কোনো কাগজ, দলিল, দস্তাবেজ হতে হবে তা নয়। দীর্ঘদিনের কাস্টম, ট্র্যাডিশন এগুলোও কিন্তু আইন হিসেবে গণ্য হবে।’

শিক্ষকরা পাঠদানের অংশ হিসেবে শ্রেণিকক্ষে কী বলবেন বা বলবেন না, সেটি কখনও মামলার বিষয়বস্তু নয় বলে মনে করেন এই আইন বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, ‘তবে সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কিংবা তারও আগে ৫৭ ধারা, এ আইনগুলো আসার পর এক ধরনের উৎসাহ, ভিন্নরকমভাবে ব্যবহারের কারণে আইনগুলোর অপব্যবহার হচ্ছে। এটা অগ্রহণযোগ্য।’

২৯৫ ধারায় মামলা নেয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পেনাল কোডে স্পষ্ট লেখা আছে- ২৯৫ ধারায় যদি মামলা করতে হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে।’

পুলিশ সদর দপ্তরের মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৯৫ যে জামিন অযোগ্য ধারা, সেই ধারায় মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে।’

২৯৫ ও ২৯৫(ক) ধারা একসঙ্গে প্রয়োগ করা হলে এই অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা শিথিল হয় কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলিন, ‘পারমিশন বলতে হলো অবগতির একটা বিষয় থাকে। কোনো ক্ষেত্রে পারমিশন মৌখিক হতে পারে, কোনো সময় লিখিত হতে পারে।

‘আসলে যেভাবে অনুমতির বিষয়টি সহজ হয়, সেভাবেই নেয়া হয়। অনেক সময় যদি মনে করে যে এটা পারমিশন লাগবে না, ইমিডিয়েট ঘটনাটির জন্য আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটতে পারে, সে ক্ষেত্রে আগে মামলা নিয়েও অনুমতি নিতে পারে। বিষয়টা আসলে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’

কোনো ব্যক্তি অপরাধ করেননি সে-সংক্রান্ত দণ্ডবিধির ধারা মামলায় প্রয়োগের সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ল (আইন) এর স্পিরিট কী বলে সে বিষয়ে একজন আইন বিশেষজ্ঞ এবং পুলিশে যারা ল অফিসার আছেন তাদের মতামত না নিয়ে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’

মামলায় অভিযোগ নিয়ে বিস্মিত বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় মণ্ডল। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যে স্কুলে শিক্ষকতা করি সেই স্কুলের কম্পাউন্ডের ভেতরে কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ই নেই। সেখানে আমি কী করে উপাসনালয় ভাঙচুর বা ভাঙচুরে উসকানি দেব! এ ছাড়া ধর্ম অবমাননার অন্য অভিযোগেরও কোনো ভিত্তি নেই।’

এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
খোদার কাছে প্রার্থনা ওরা স্বাভাবিক মানুষ হোক: হৃদয় মণ্ডল
নিরাপত্তা চাই: হৃদয় মণ্ডল
বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় মণ্ডল অবশেষে মুক্ত
বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় কারামুক্ত হতে কতক্ষণ
রাষ্ট্রের কাছে হৃদয় মণ্ডলের নিরাপত্তা চাইলেন স্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Money laundering case Tariq Mamuns 7 year sentence suspended

অর্থ পাচার মামলা: তারেক, মামুনের ৭ বছরের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত

অর্থ পাচার মামলা: তারেক, মামুনের ৭ বছরের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। কোলাজ: ইউএনবি
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ইমেজকে ক্ষুণ্ন করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাত বছরের সাজা দিয়েছিলেন। আজকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আমাদের লিভ দিয়েছেন (আপিলের জন্য অনুমতি)। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক ও আমাদের আপিলের সারসংক্ষেপ দিতে বলেছেন।’

অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে এ মামলায় তাদের দেয়া সাত বছরের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ইমেজকে ক্ষুণ্ন করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাত বছরের সাজা দিয়েছিলেন।

‘আজকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আমাদের লিভ দিয়েছেন (আপিলের জন্য অনুমতি)। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক ও আমাদের আপিলের সারসংক্ষেপ দিতে বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাত বছরের দণ্ড স্থগিত করেছেন। এই মামলায় দুইজন আসামি। দুইজনের ক্ষেত্রেই সাজা স্থগিত করা হয়েছে।’

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর মামলাটি করে দুদক। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে অভিযোগপত্রের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য একটি নির্মাণ কোম্পানির চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়।

এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন।

এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয় আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন।

দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন। আজ এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
আগামীর বাংলাদেশে মানুষের অধিকার থাকবে সুরক্ষিত: তারেক রহমান
‘বেগম রোকেয়া এ দেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত’
জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই বিএনপির ৩১ দফা: তারেক রহমান
ভারতের সাম্রাজ্যবাদ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান মামুনুল হকের
বিপন্নের সহায়ক শক্তির আধার ‘আমরা বিএনপি পরিবার’: তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The new chairman of the ACC is Dr Abdul Momen

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন দুদকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার এ পদে তাকে নিয়োগ দেন। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার এ পদে তাকে নিয়োগ দেন।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিয়া আলী আকবর আজিজি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদকে দুদকের কমিশনার হিসেবে নিয়োগের কথা জানানো হয়।

গত ২৯ অক্টোবর দুদকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং দুই কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছাম্মৎ আছিয়া খাতুন। এর পর থেকে দুদকের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদ খালি ছিল।

আরও পড়ুন:
বিদ্যমান আইনেই দুদক পুনর্গঠনের চিন্তা
দুদকের মামলা থেকে জয়নাল আবদীন ফারুককে খালাস
দুদক সার্চ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন
দুদকের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদত্যাগ করেছেন
বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি দেয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দুদক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rumors of resignation of senior home secretary to become ACC chairman 

স্বরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদত্যাগ, দুদক চেয়ারম্যান হওয়ার গুঞ্জন 

স্বরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদত্যাগ, দুদক চেয়ারম্যান হওয়ার গুঞ্জন  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সদ্য সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ছবি: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গত ৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবদুল মোমেন। সোমবার তার পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয় এবং তা গ্রহণ করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন পদত্যাগ করেছেন।

গত ৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবদুল মোমেন। সোমবার তার পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয় এবং তা গ্রহণ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে মঙ্গলবার এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, পদত্যাগের কারণ আবদুল মোমেন ‘ব্যক্তিগত’ বলে উল্লেখ করেছেন, তবে ১৯৮২ সালের বিশেষ বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আবদুল মোমেনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হতে পারে।

দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) আছিয়া খাতুন গত ২৯ অক্টোবর পদত্যাগ করেন।

পরে দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ দিতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে সরকার। এ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই আবদুল মোমেনকে দুদকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হতে পারে বলে কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট আবদুল মোমেনকে দুই বছরের চুক্তিতে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

পরের দিন তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। গত ১ অক্টোবর থেকে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

আবদুল মোমেন ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও বিমানের এমডি ছিলেন।

তার আগে নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস। ২০০৯ সালে অতিরিক্ত সচিব থাকা অবস্থায় তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আরও পড়ুন:
দিল্লিকে বার্তা, ভারতে বসে হাসিনার বক্তৃতা পছন্দ করছে না ঢাকা
প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে
ইসি সচিব হলেন আখতার হোসেন
‘আগরতলায় মিশনে হামলা ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারের ফল’
জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jai Bangla National Slogan announcement decision postponed

‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত

‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ফাইল ছবি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আপিলের অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

‘জয় বাংলা’কে ২০২০ সালের ১০ মার্চ জাতীয় স্লোগান করার ওই রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলে, ‘জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সাথে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ’

আদালত আরও বলে, ‘আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছেন। এটা এ আদালতের এখতিয়ার-বহির্ভূত। কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের।’

তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছে উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলে, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন। এরপর আদালত রায়ের অংশ ঘোষণা করে।

আদেশে আদালত বলে, ‘ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।

খ. সকল জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারী এবং রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ যেন করেন, সে জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

গ. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পর ছাত্র-শিক্ষকরা যেন জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ করেন, তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।’

আদালতের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দাখিলে নির্দেশ দেয়া হয়।

২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।

রুলে ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। পরে ৫ ডিসেম্বর থেকে এ রুলের শুনানি শুরু হয়। এরপর হাইকোর্ট রায় দেয়।

সম্প্রতি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আরও পড়ুন:
‘জয়বাংলা’ স্লোগান, ডিসি ও সিভিল সার্জনের অপসারণ দাবি
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেল ১২ সংগঠন
জাতীয় স্লোগানে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ চেয়ে রিট
‘জয় বাংলা স্লোগান বঙ্গবন্ধু নেন কবি নজরুল থেকে’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In 15 years 90000 recruitments in the police are political
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার

পুলিশে ১৫ বছরে ৯০ হাজার নিয়োগ রাজনৈতিক পরিচয়ে

পুলিশে ১৫ বছরে ৯০ হাজার নিয়োগ রাজনৈতিক পরিচয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে প্রার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।’

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে গত ১৫ বছরে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়ে। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চাকরি প্রার্থীর চৌদ্দ গোষ্ঠীর রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে দেখা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।

রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে তাদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ প্রার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না গো হোম (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

ডিএমপির এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে, তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহারা দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।’

ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুলসংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। তবে ট্রাফিকে শৃঙ্খলা ফেরাতে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। বিগত সরকার অটোরিকশার অনুমতি দেয়ার কারণেই বাড়ছে অটোর সংখ্যা। অচিরেই এটি কমানো না গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে নগরবাসীকে। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছি।’

রাজধানীতে ইদানীং ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নগরবাসীর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের অনেক অভিযোগ আসছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে যাতে রোধ করা সম্ভব হয়।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
বলপ্রয়োগ: পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি ৭১.৫% মানুষের
‘মামলা নিতে না চাইলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Clash on both sides of BNP former Chhatra Dal leader was hacked to death

বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ, সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ, সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের ঘিওরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ধারাবাহিক সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিপক্ষ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে সোমবার লাভলু মিয়াকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়।

ওই হামলায় বিএনপি কর্মী আলতাফ হোসেন, হিমেল হোসেন, সোহাগ মিয়া, তামিম হোসেন ও সেলিম মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত লাভলু মিয়া ঘিওরের কুস্তা এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কুয়েত প্রবাসী লাভলু ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘিওর হাট-বাজার, ধলেশ্বরী নদীর বালুমহাল ও পরিবহন খাত দখল এবং আধিপত্য বিস্তারে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়। সে সময় আলতাফ হোসেন ও হিমেল হোসেন নামে বিএনপির দুই কর্মী গুরুতর আহত হন।

আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া তাদেরকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে যান। তিনি হাসপাতালের গেটের ভেতরে প্রবেশের পর প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর আহত লাভলু মিয়াকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় রাস্তায়ই তার মৃত্যু হয়।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘিওর সদর বিএনপির সঙ্গে কুস্তা এলাকার বিএনপির দ্বন্দ্ব চলে আসছে। জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েক দফা উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দু’পক্ষকে মিলিয়ে দেন। তবে জেলার নেতাদের সামনে মিলে গেলেও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।

ঘিওর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five people including Menon and Kamrul were arrested in a new case

মেনন ও কামরুলসহ পাঁচজন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

মেনন ও কামরুলসহ পাঁচজন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার রাশেদ খান মেনন ও কামরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আসামিদের সোমবার কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রাজধানীর পৃথক পৃথক থানায় হওয়া পাঁচ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ আবেদন মঞ্জুর করেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে পৃথক মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য তিনজন হলেন-সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার মশিউর রহমান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ।

আসামিদের সোমবার কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রাজধানীর পৃথক পৃথক থানায় হওয়া পাঁচ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।

শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ আবেদন মঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক দুই হত্যাচেষ্টার মামলায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মতিঝিল থানার মামলায় রাশেদ খান মেনন, চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মশিউর রহমান এবং উত্তরা পশ্চিম থানার এক মামলায় আসাদুজ্জামান কিরণকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।

প্রসঙ্গত, উল্লিখিত প্রত্যেকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
সনাতন মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ ডিবি হেফাজতে 
ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবির ছাত্রলীগ নেতা ইমন গ্রেপ্তার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একাই ২৮টি গুলি ছোড়েন তৌহিদুল
ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার শাহজাহান ওমর
৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী কামরুল

মন্তব্য

p
উপরে