রোজার দ্বিতীয় কর্মদিবস থেকে চার দিন পতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন ঘুরে দাঁড়ালেও পরের দিনই আবার দরপতনের ধারায় পুঁজিবাজার।
সোমবারের এই পতন বিনিয়োগকারীদের মনের হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিন ২৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে ২৩৪টি শেয়ারের দরপতনের কারণে। আগের দিন ২১৭টি কোম্পানির দর বেড়েছিল।
লেনদেনও নেমে এসেছে ৬০০ কোটি টাকার নিচে। আগের দিন লেনদেন ছিল ৬৪৩ কোটি টাকার বেশি। সেটি নেমেছে ৫৫৭ কোটি টাকায়।
আবারও দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নামার পর বিপুলসংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা ছিল না। এই পরিমাণ দর কমেছে শতাধিক কোম্পানির।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর অঙ্গীকার ফলপ্রসূ হয়নি, উল্টো ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরাও হাত গুটিয়ে বসে।
লেনদেনের প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। একের পর এক কোম্পানিগুলো দর হারাতে থাকে। সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে ২০ পয়েন্ট কমে যায়। আবার কোম্পানিগুলো দর ফিরে পেতে থাকলে বেলা ১১টা পর্যন্ত সূচক বাড়ে। এর পর থেকে টানা কমে।
রোজায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলাররা বড় বিনিয়োগ করবে- এমন একটি ঘোষণা আসে এই মাস শুরুর আগে আগে। আবার মার্চেই ঘোষণা আসে, বাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। এমনকি তালিকাভুক্ত নয়, এমন বিমা কোম্পানিকেও বিনিয়োগ বাড়ানোর নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
কিন্তু এসব ঘোষণা ও নির্দেশের বাস্তবায়ন নেই। বিপুলসংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
ইবিএল সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার শাহরিয়ার ফয়েজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে যদি বলি, আমি আমার বিনিয়োগ ওঠাইনি। তবে ফান্ডের সীমাবদ্ধতা আছে। বিনিয়োগ আরও বেশি বাড়াতে হলে ক্যাশ ফ্লো থাকতে হবে। এই টাকাটা তো ব্যাংক থেকেই আসবে। কিন্তু বাজারের ঝুঁকির কারণে ব্যাংক থেকে সেটা পাওয়া সম্ভব হয় না।’
তাহলে কি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরই নয়, অনেক কোম্পানি অ্যাকাউন্ট, যারা দীর্ঘ সময় বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার কারণে লাভ করতে পেরেছিল তারাও সেটা গেইন করছে। অনেক কোম্পানির করোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ ছিল। তারা ওই সময়ে ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ করে। এখন তার ব্যবসা চালু হয়েছে, তাহলে সে তো আর বাজারে টাকা রাখবে না।’
ব্যাংক ও এনবিএফআইয়ের বিনিয়োগের ক্ষতির জন্য সঞ্চিতি সংরক্ষণ, এক্সপোজার লিমিট ও অন্যান্য শর্তের কারণে চাইলেও বিনিয়োগ বাড়ানো যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯.৭৯ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটালের। আগের দিনে বেড়েছিল ৯.৯১ শতাংশ। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দর আট কর্মদিবসে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সা।
এরপরেই প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫.১১ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০২১) আগের বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি আয় কমলেও ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ছে শেয়ারের।
জানুয়ারির শুরুতেই দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ডিএসইকে কোম্পানি জানায়, কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই দর বাড়ছে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ওইম্যাক্স ইলেক্ট্রোডের। ৫.১০ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২০ টাকা ৬০ পয়সায়।
এছাড়া নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৪.৭৪ শতাংশ, আইপিডিসির ৪.১৩ শতাংশ, সোনালী পেপারের ৪.১১ শতাংশ, বিডি থাই ফুডের ৩.৬২ শতাংশ, আইসিবি অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.২৯ শতাংশ, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৩.০১ শতাংশ এবং রূপালী ব্যাংক ভ্যানগারর্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ২.৭৭ শতাংশ।
লেনদেনের শীর্ষ পাঁচে যেসব খাত
৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেনের মধ্য দিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে দর বৃদ্ধির চেয়ে কমেছে এমন কোম্পানির সংখ্যাই বেশি। ১০টির প্রতিষ্ঠানের দর পতনের বিপরীতে বেড়েছে ৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৬টির।
আগের দুই দিন শীর্ষে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার। গতকাল ৪০ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছিল। গতকাল দর বেড়েছিল ২৫টি কোম্পানির, আজকে বেড়েছে মাত্র ৯টির। কমেছে ৩০টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির দর।
আগের দিন বস্ত্র খাতে ৩৬টি কোম্পানির দর বাড়লেও আজ ৪৫টির দর কমেছে। লেনদেন কমল টানা তিন দিন। ৪৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা হাতবদল হওয়ার দিনে দর বেড়েছে মাত্র ৯টির। অপরিবর্তিত ছিল ৫টির।
আগের দিন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ রসায়ন খাতে নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। সেদিন ২২টি কোম্পানির দর বেড়েছিল, আজ কমেছে ১৯টির। বিপরীতে বেড়েছে মাত্র ৮টির। আগের দিন ৫৪ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন হলেও আজ সেটি দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৯০ লাখ টাকায়।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। ৯টির কোম্পানির মূল্য হ্রাসের বিপরীতে বেড়েছে তিনটির এবং আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ২টির।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য