রোজার প্রথম কর্মদিবসের পর টানা চার দিন সূচক পতনের পর নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন সূচক বাড়ল দেশের পুঁজিবাজারে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু দিন পর এক দিনে দুই শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে।
তবে পুঁজিবাজারে মন্দাভাবে লেনদেনের খরা কাটেনি। তিন কর্মদিবস পর ৬০০ কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়েছে অবশ্য। লেনদেন হয়েছে ৬৬৬ কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
রোববার লেনদেনের শুরুতেই সূচক বাড়লেও পরে আগের সপ্তাহের মতোই শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে, কমতে থাকে সূচক। বেলা ১১টা ৬ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে যাওয়ায় আবারও গত সপ্তাহের চিত্র ফিরে আসার শঙ্কা তৈরি হয়।
তবে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ২১ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন। এ নিয়ে রোজার দ্বিতীয় দিন থেকে ১৩০ পয়েন্ট সূচক কমার পর প্রথমবারের মতো বাড়ল।
দিন শেষে বেড়েছে ২১৭টি কোম্পানির দর, কমেছে ১১০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫২টি কোম্পানির দর। আগের সপ্তাহে বেশির ভাগ কর্মদিবসেই এক দিনে ৩০০ বা কাছাকাছি সংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দর হারায়।
রোজায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলাররা বড় বিনিয়োগ করবে- এমন একটি ঘোষণা আসে এই মাস শুরুর আগে আগে। আবার মার্চেই ঘোষণা আসে, বাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। এমনকি তালিকাভুক্ত নয়- এমন বিমা কোম্পানিকেও বিনিয়োগ বাড়ানোর নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
কিন্তু এসব ঘোষণা ও নির্দেশের বাস্তবায়ন নেই। বিপুল সংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা পাওয় যাচ্ছে না।
গত সপ্তাহে বেশিরভাগ দিনেই শতাধিক কোম্পানি দর হারিয়েছে সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বা এর আশেপাশে। রোববার এক থেকে দুই শতাংশের মধ্যে দর হারিয়েছে ৪২টি কোম্পানি, আর প্রাইস লিমিট না থাকায় একটির কমেছে তিন শতাংশের বেশি। এছাড়া ৪৯টি কোম্পানি দর হারিয়েছে এক শতাংশের নিচে।
বিপরীতে দর বাড়ার কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচটির দর বেড়েছে সর্বোচ্চ সীমা ও এর আশেপাশে। দুটির ৭ শতাংশ, চারটির ৬ শতাংশ, দুটির পাঁচ শতাংশ, ৮টির চার শতাংশ ও ১৫টির ৩ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকার বেশিরভাগ লোকসানি কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে, এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টিই লোকসানি কোম্পানি, যেগুলো বছরের পর বছর ধরে লভ্যাংশ দিতে পারছে না।
এর বাইরে চারটি কোম্পানির একটি নতুন তালিকাভুক্ত, যেটি লেনদেন শুরু করার পর সাত কর্মদিবস দর বেড়েছে ১০ শতাংশ বা আশেপাশে। তবে দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেলেও শেয়ার লেনদেন হচ্ছে কমই।
বাকি তিনটির দুটি স্বল্প মূলধনি এবং একটি আর্থিক খাতের কোম্পানি, যেটির দর দ্রুত বাড়ছে।
এই তালিকার শীর্ষে ছিল মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, যার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। একই গ্রুপের আরে কোম্পানি মেঘনা মিল্পের দর বেড়েছে ৮.৩৭ শতাংশ। এই দুটি কোম্পানি কেন বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে এসেছে, সেটি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
লোকসানি অন্য চার কোম্পানির মধ্যে ইমাম বাটনের দাম ৯.৯১ শতাংশ, বিডিওয়েল্ডিংয়ের দর ৬.৬৩ শতাংশ, সাভার রিফ্রাকটরিজের দর ৬.৪৮ শতাংশ, এবং দুলামিয়া কটনের দর বেড়েছে ৬.৪৭ শতাংশ।
নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটালের দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দর সাত কর্মদিবসে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৮০ পয়সা।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্বল্প মূলধনি এপেক্স ট্যানারির দর ৮.৩০ শতাংশ, সোনলী পেপারের দর ৭.৪৯ শতাংশ এবং আইপিডিসির দর বেড়েছে ৭.৪৩ শতাংশ।
ভালো লভ্যাংশ দেয়া ব্যাংকের ক্রেতা নেই
রেকর্ড ডেটে শেয়ারদর ১৭ টাকা ১০ পয়সা। লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ, আগের বছর লভ্যাংশ এসেছে ১৫ শতাংশ- এমন একটি কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতাই পাওয়া যাচ্ছে না রেকর্ড ডেট শেষে।
৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর কোম্পানিটির দর দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। এক দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হিসেবে কমার সুযোগ আছে ৩০ পয়সা করে। দুই দিনে এই হিসাবেই কমেছে ৬০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তাও তিন লাখের বেশি শেয়ার বিক্রি হয়েছে, কিন্তু রোববার বিক্রি হয়েছে ২৭ হাজারের কম।
সবচেয়ে বেশি কমেছে অবশ্য পূবালী ব্যাংকের শেয়ারদর, যেটি গত বৃহস্পতিবার লভ্যাংশ ঘোষণার পর এদিন দরের সীমা ছিল না।
শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ২৩ পয়সা আয় করে ১ টাকা ২৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ারদর কমল ৯০ পয়সা, শতকরা হিসেবে ৩.২২ শতাংশ।
শীর্ষ দশের সব কটি কোম্পানির দরই পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে। পূবালী ছাড়া অন্যগুলো হলো জিবিবি পাওয়ার, ব্যাংক এশিয়া, হাওয়েল টেক্সটাইল, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, পিটিএল, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, বিবিএস ক্যাবলস, এফবিএফআইএফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আনলিমা ইয়ার্ন।
সূচক বাড়িয়েছে যারা
স্কয়ার ফার্মার দর ১.১৭ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ৩.৪৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৯৯পয়েন্ট সূচকে যোগ করেছে সোনালী পেপার। এদিন কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭.৫ শতাংশ।
এরপরেই ১.৯২ পয়েন্ট বাড়িয়েছে সিটি ব্যাংক। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৪.৭৮ শতাংশ।
এছাড়া ওয়ালটন হাইটেক ১.৯১ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার ১.৮৩ পয়েন্ট, আইপিডিসি ১.৭৩ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক ১.২৫ পয়েন্ট, গ্রামীণফোন ১.০১ পয়েন্ট, ডেল্টা লাইফ ০.৯৫ পয়েন্ট এবং রেনাটা সূচকে যোগ করেছে ০.৭৯ পয়েন্ট।
এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৬.৮৪ পয়েন্ট
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ৩.১৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে রবি। কোম্পানিটির ১.২ শতাংশ দরপতনে এই পয়েন্ট কমেছে।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের ১.৩৯ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক পড়েছে ১.৯২ পয়েন্ট। এরপরেই পূবালী ব্যাংকের ৩.২৩ শতাংশ দর পতনের কারণে সূচক কমেছে ১.৩৯ পয়েন্ট।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দরপতনে ০.৪১ পয়েন্ট, ব্যাংক এশিয়ার ০.৭ পয়েন্ট, এমজেএল বাংলাদেশ ০.৬৭ পয়েন্ট, ট্রাস্ট ব্যাংক ০.৫৩ পয়েন্ট, আইএফআইসি ০.৫১ পয়েন্ট, একমি ল্যাব ০.৫১ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক সূচক কমিয়েছ ০.৪৭ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ১০.৬৫ পয়েন্ট ।
লেনদেনের শীর্ষ পাঁচে যেসব খাত
আগের দিনের মতোই লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে প্রকৌশল খাত। ৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ২৫টি কোম্পানির, কমেছে ১২টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির দর। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
আগের কর্মদিবসে ৪২ কোটি ৯০ লাখ টাকা লেনদেন করে চতুর্থ অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। আজ ৫৪ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন করে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে খাতটি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২২টি কোম্পানির দর বেড়েছে। কমেছে ৬টির, আর দর অপরিবর্তিত থেকে লেনদেন হয়েছে ৬টি কোম্পানির।
বড় লাফ দিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে। ১৪টি কোম্পানির দর বাড়ার দিনে খাতটিতে হাতবদল হয়েছে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কর্মদিবসে মাত্র ২৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। এছাড়া ছয়টির দর কমেছে এবং তিনটির অপরিবর্তিত ছিল।
খাত হিসেবে সর্বোচ্চ ৩৬টি কোম্পানির দর বাড়লেও আগের কর্মদিবসের চেয়ে লেনদেন কমেছে বস্ত্র খাতে। ধারাবাহিক দুই কর্মদিবসে খাতটির লেনদেন কমল। বুধবার হাতবদল হয়েছিল ৬৯ কোটি টাকা। এরপর বৃহস্পতিবার লেনদেনে কমে দাঁড়ায় ৫০ কোটি ১০ লাখ টাকায়। আজ লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া ১৩টির কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল 9টির।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা আইটি খাতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। দর বেড়েছে সাতটির, কমেছে তিনটির ও একটির অপরিবর্তিত ছিল। বৃহস্পতিবারে লেনদেন হয়েছিল মাত্র ১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য