রোজার প্রথম কর্মদিবসের পর টানা চার দিন সূচক পতনের পর নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন সূচক বাড়ল দেশের পুঁজিবাজারে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু দিন পর এক দিনে দুই শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে।
তবে পুঁজিবাজারে মন্দাভাবে লেনদেনের খরা কাটেনি। তিন কর্মদিবস পর ৬০০ কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়েছে অবশ্য। লেনদেন হয়েছে ৬৬৬ কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
রোববার লেনদেনের শুরুতেই সূচক বাড়লেও পরে আগের সপ্তাহের মতোই শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে, কমতে থাকে সূচক। বেলা ১১টা ৬ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে যাওয়ায় আবারও গত সপ্তাহের চিত্র ফিরে আসার শঙ্কা তৈরি হয়।
তবে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ২১ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন। এ নিয়ে রোজার দ্বিতীয় দিন থেকে ১৩০ পয়েন্ট সূচক কমার পর প্রথমবারের মতো বাড়ল।
দিন শেষে বেড়েছে ২১৭টি কোম্পানির দর, কমেছে ১১০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫২টি কোম্পানির দর। আগের সপ্তাহে বেশির ভাগ কর্মদিবসেই এক দিনে ৩০০ বা কাছাকাছি সংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দর হারায়।
রোজায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলাররা বড় বিনিয়োগ করবে- এমন একটি ঘোষণা আসে এই মাস শুরুর আগে আগে। আবার মার্চেই ঘোষণা আসে, বাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। এমনকি তালিকাভুক্ত নয়- এমন বিমা কোম্পানিকেও বিনিয়োগ বাড়ানোর নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
কিন্তু এসব ঘোষণা ও নির্দেশের বাস্তবায়ন নেই। বিপুল সংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা পাওয় যাচ্ছে না।
গত সপ্তাহে বেশিরভাগ দিনেই শতাধিক কোম্পানি দর হারিয়েছে সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বা এর আশেপাশে। রোববার এক থেকে দুই শতাংশের মধ্যে দর হারিয়েছে ৪২টি কোম্পানি, আর প্রাইস লিমিট না থাকায় একটির কমেছে তিন শতাংশের বেশি। এছাড়া ৪৯টি কোম্পানি দর হারিয়েছে এক শতাংশের নিচে।
বিপরীতে দর বাড়ার কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচটির দর বেড়েছে সর্বোচ্চ সীমা ও এর আশেপাশে। দুটির ৭ শতাংশ, চারটির ৬ শতাংশ, দুটির পাঁচ শতাংশ, ৮টির চার শতাংশ ও ১৫টির ৩ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকার বেশিরভাগ লোকসানি কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে, এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টিই লোকসানি কোম্পানি, যেগুলো বছরের পর বছর ধরে লভ্যাংশ দিতে পারছে না।
এর বাইরে চারটি কোম্পানির একটি নতুন তালিকাভুক্ত, যেটি লেনদেন শুরু করার পর সাত কর্মদিবস দর বেড়েছে ১০ শতাংশ বা আশেপাশে। তবে দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেলেও শেয়ার লেনদেন হচ্ছে কমই।
বাকি তিনটির দুটি স্বল্প মূলধনি এবং একটি আর্থিক খাতের কোম্পানি, যেটির দর দ্রুত বাড়ছে।
এই তালিকার শীর্ষে ছিল মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, যার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। একই গ্রুপের আরে কোম্পানি মেঘনা মিল্পের দর বেড়েছে ৮.৩৭ শতাংশ। এই দুটি কোম্পানি কেন বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে এসেছে, সেটি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
লোকসানি অন্য চার কোম্পানির মধ্যে ইমাম বাটনের দাম ৯.৯১ শতাংশ, বিডিওয়েল্ডিংয়ের দর ৬.৬৩ শতাংশ, সাভার রিফ্রাকটরিজের দর ৬.৪৮ শতাংশ, এবং দুলামিয়া কটনের দর বেড়েছে ৬.৪৭ শতাংশ।
নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটালের দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দর সাত কর্মদিবসে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৮০ পয়সা।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্বল্প মূলধনি এপেক্স ট্যানারির দর ৮.৩০ শতাংশ, সোনলী পেপারের দর ৭.৪৯ শতাংশ এবং আইপিডিসির দর বেড়েছে ৭.৪৩ শতাংশ।
ভালো লভ্যাংশ দেয়া ব্যাংকের ক্রেতা নেই
রেকর্ড ডেটে শেয়ারদর ১৭ টাকা ১০ পয়সা। লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ, আগের বছর লভ্যাংশ এসেছে ১৫ শতাংশ- এমন একটি কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতাই পাওয়া যাচ্ছে না রেকর্ড ডেট শেষে।
৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর কোম্পানিটির দর দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। এক দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হিসেবে কমার সুযোগ আছে ৩০ পয়সা করে। দুই দিনে এই হিসাবেই কমেছে ৬০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তাও তিন লাখের বেশি শেয়ার বিক্রি হয়েছে, কিন্তু রোববার বিক্রি হয়েছে ২৭ হাজারের কম।
সবচেয়ে বেশি কমেছে অবশ্য পূবালী ব্যাংকের শেয়ারদর, যেটি গত বৃহস্পতিবার লভ্যাংশ ঘোষণার পর এদিন দরের সীমা ছিল না।
শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ২৩ পয়সা আয় করে ১ টাকা ২৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ারদর কমল ৯০ পয়সা, শতকরা হিসেবে ৩.২২ শতাংশ।
শীর্ষ দশের সব কটি কোম্পানির দরই পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে। পূবালী ছাড়া অন্যগুলো হলো জিবিবি পাওয়ার, ব্যাংক এশিয়া, হাওয়েল টেক্সটাইল, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, পিটিএল, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, বিবিএস ক্যাবলস, এফবিএফআইএফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আনলিমা ইয়ার্ন।
সূচক বাড়িয়েছে যারা
স্কয়ার ফার্মার দর ১.১৭ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ৩.৪৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৯৯পয়েন্ট সূচকে যোগ করেছে সোনালী পেপার। এদিন কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭.৫ শতাংশ।
এরপরেই ১.৯২ পয়েন্ট বাড়িয়েছে সিটি ব্যাংক। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৪.৭৮ শতাংশ।
এছাড়া ওয়ালটন হাইটেক ১.৯১ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার ১.৮৩ পয়েন্ট, আইপিডিসি ১.৭৩ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক ১.২৫ পয়েন্ট, গ্রামীণফোন ১.০১ পয়েন্ট, ডেল্টা লাইফ ০.৯৫ পয়েন্ট এবং রেনাটা সূচকে যোগ করেছে ০.৭৯ পয়েন্ট।
এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৬.৮৪ পয়েন্ট
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ৩.১৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে রবি। কোম্পানিটির ১.২ শতাংশ দরপতনে এই পয়েন্ট কমেছে।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের ১.৩৯ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক পড়েছে ১.৯২ পয়েন্ট। এরপরেই পূবালী ব্যাংকের ৩.২৩ শতাংশ দর পতনের কারণে সূচক কমেছে ১.৩৯ পয়েন্ট।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দরপতনে ০.৪১ পয়েন্ট, ব্যাংক এশিয়ার ০.৭ পয়েন্ট, এমজেএল বাংলাদেশ ০.৬৭ পয়েন্ট, ট্রাস্ট ব্যাংক ০.৫৩ পয়েন্ট, আইএফআইসি ০.৫১ পয়েন্ট, একমি ল্যাব ০.৫১ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক সূচক কমিয়েছ ০.৪৭ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ১০.৬৫ পয়েন্ট ।
লেনদেনের শীর্ষ পাঁচে যেসব খাত
আগের দিনের মতোই লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে প্রকৌশল খাত। ৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ২৫টি কোম্পানির, কমেছে ১২টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির দর। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
আগের কর্মদিবসে ৪২ কোটি ৯০ লাখ টাকা লেনদেন করে চতুর্থ অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। আজ ৫৪ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন করে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে খাতটি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২২টি কোম্পানির দর বেড়েছে। কমেছে ৬টির, আর দর অপরিবর্তিত থেকে লেনদেন হয়েছে ৬টি কোম্পানির।
বড় লাফ দিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে। ১৪টি কোম্পানির দর বাড়ার দিনে খাতটিতে হাতবদল হয়েছে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কর্মদিবসে মাত্র ২৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। এছাড়া ছয়টির দর কমেছে এবং তিনটির অপরিবর্তিত ছিল।
খাত হিসেবে সর্বোচ্চ ৩৬টি কোম্পানির দর বাড়লেও আগের কর্মদিবসের চেয়ে লেনদেন কমেছে বস্ত্র খাতে। ধারাবাহিক দুই কর্মদিবসে খাতটির লেনদেন কমল। বুধবার হাতবদল হয়েছিল ৬৯ কোটি টাকা। এরপর বৃহস্পতিবার লেনদেনে কমে দাঁড়ায় ৫০ কোটি ১০ লাখ টাকায়। আজ লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া ১৩টির কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল 9টির।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা আইটি খাতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। দর বেড়েছে সাতটির, কমেছে তিনটির ও একটির অপরিবর্তিত ছিল। বৃহস্পতিবারে লেনদেন হয়েছিল মাত্র ১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য