× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Haor crops cannot be saved by dams alone
google_news print-icon

শুধু বাঁধ দিয়ে বাঁচানো যাবে না হাওরের ফসল

শুধু-বাঁধ-দিয়ে-বাঁচানো-যাবে-না-হাওরের-ফসল
প্রতি বছরই নির্মাণ ও সংস্কার করা হয় হাওরের বাঁধ। খরচ হয় বিপুল অর্থ। তার পরও বাঁচানো যাচ্ছে না হাওরের ফসল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা কাটাতে গেলে হাওরের মাঝখান দিয়ে যাওয়া নদীগুলোর খনন এখন সবচেয়ে জরুরি।

প্রতি বছরই নির্মাণ করা হয় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ। প্রতি বছরই এ কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। উজান থেকে ঢলও নামে প্রতি বছর। বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় হাওরের ফসল। যে বছর বৃষ্টিপাত ও ঢল বেশি হয়, সে বছর ফসলের ক্ষতিও হয় বেশি।

হাওরের কৃষক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধের কাজে অনিয়ম ও গাফিলতি কমলে ফসল কিছুটা রক্ষা পাবে। তবে ঢল বেশি হলে কেবল বাঁধ নিয়ে এখন আর ফসল রক্ষা করা যাবে না।

তাদের মতে, এ অঞ্চলের সবগুলো নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এতে অল্প ঢলে নদী উপচে পানি হাওরে প্রবেশ করছে। হাওরের ফসল রক্ষায় তাই ব্যাপক আকারে নদী খনন প্রয়োজন।

শুক্রবার সুনামগঞ্জে হাওরের ফসলহানি দেখতে গিয়ে প্রাণিসম্পদ উপমন্ত্রীও ফসল রক্ষায় নদী খননের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

দেশের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১৪ হাজার ৫৩৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাওরাঞ্চল বিস্তৃত। ৪১৪টি হাওর আছে এই অঞ্চলে। আর এসব হাওরের মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে মেঘনা, সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, পিয়াইন, বউলাই, কাতলাই, সোমেশ্বরী, খোয়াইসহ অন্তত ১৪টি নদী। তলদেশ ভরাট হয়ে সবগুলো নদীই এখন নাব্য হারিয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি বা ঢলেই নদী উপচে আশপাশের এলাকায় পানি ছড়িয়ে পড়ছে।

শুধু বাঁধ দিয়ে বাঁচানো যাবে না হাওরের ফসল
পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে নেমে আসা বালুতে নাব্য হারাচ্ছে হাওরের মাঝখান দিয়ে যাওয়া নদীগুলো

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এবার হাওরের সাতটি জেলায় মোট ৯ লাখ ৫০ হাজার ৪০৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ঢলে তলিয়ে গেছে অন্তত ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল।

বাঁধ সংস্কার, বাঁধে ভাঙন

বছরের বেশির ভাগ সময়ই পানির নিচে থাকে হাওর। ফলে শুকনো মৌসুমে বছরে একবারই এখানে ফসল হয়। রোপণ করা হয় বোরো ধান। তবে ধান পাকার আগেই মার্চের দিকে শুরু হয় বৃষ্টি।

হাওরাঞ্চলের ওপারেই মেঘালয়ের পাহাড়ি অঞ্চল। এশিয়ার সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা চেরাপুঞ্জির অবস্থান সেই অঞ্চলেই। মার্চ-এপ্রিলের দিকে ওই এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হয়। ফলে ঢল নামে। এই ঢল গড়িয়ে নামে হাওরের নদীগুলো দিয়ে। এতে দেখা দেয় আগাম বন্যা। হাওরে প্রবেশ করে বন্যার পানি। তলিয়ে যায় ফসল।

আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় ষাটের দশকে নির্মাণ করা হয় ফসলরক্ষা বাঁধ। এই বাঁধগুলো নদীর পানি হাওরে ঢুকতে দেয় না। ফলে রক্ষা পায় বোরো ফসল। প্রতি বছরই এসব বাঁধ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। তবে প্রায় প্রতি বছরই পাহাড়ি ঢলে হাওরের বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়।

হাওর নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থা বলছে, ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অকালবন্যায় বাঁধ ভেঙে হাওরের প্রায় ৫৮৭ কোটি ১২ লাখ ২৮ হাজার টাকার বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

তবে বাঁধ ভেঙে সবচেয়ে বড় ফসলহানির ঘটনা ঘটে ২০১৭ সালে। সরকারি হিসাবেই ওই বছর বাঁধ ভেঙে সুনামগঞ্জের ১৫৪টি হাওরের ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমির বোরো ফসল তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১ লাখ ৬১ হাজার হেক্টর জমির ফসল। তবে কৃষকদের হিসাবে এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ।

এ বছরও ঢলে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দেশের মধ্যে সবেচেয় বেশি হাওর রয়েছে সুনামগঞ্জে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এ জেলায় সবচেয়ে বেশি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সুনামগঞ্জে ১২৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে ৫৩২ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৪ কোটি টাকা।

গত এক সপ্তাহে ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের অন্তত ১০টি বাঁধে ভাঙন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, এ পর্যন্ত সুনামগঞ্জে তলিয়ে গেছে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ধান। আর হাওরের সাত জেলা মিলে তলিয়েছে ১০ হাজার হেক্টর।

শুধু বাঁধ দিয়ে বাঁচানো যাবে না হাওরের ফসল
এবার সুনামগঞ্জে ১২৪টি পিআইসির মাধ্যমে ৫৩২ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অকালবন্যায় সুনামগঞ্জের ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। পানি বাড়লে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।’

বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রতি বছরই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালে ফসলহানির পর অনিয়মের বিষয়টি সবচেয়ে আলোচনায় আসে। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি করা ঠিকাদারদের চিহ্নিত করে মামলাও করে দুদক।

ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ ও অভিযোগের মুখে সেই বছরই বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় পাউবো। পরের বছর থেকে স্থানীয় উপকারভোগীদের নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। জেলা পর্যায়ে পিআইসির সভাপতি থাকেন জেলা প্রশাসক আর উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও। আর সদস্য সচিব হিসেবে থাকেন পাউবোর স্থানীয় কর্মকর্তা।

তবে বাঁধ নির্মাণে এমন মৌলিক পরিবর্তন আনলেও অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এখনও কমেনি। কোনো বছরই বাঁধ নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ হয়নি।

এ ছাড়া দায়সারা গোছের কাজেরও অভিযোগ আছে। তবে গত কয়েক বছর বৃষ্টিপাত ও ঢল তুলনামূলক কম হওয়ায় বাঁধ নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। তেমন ফসলহানির ঘটনাও ঘটেনি।

পাঁচ বছরের মাথায় এ বছর আবার হাওরে দেখা দিয়েছে অকালবন্যা। বাঁধ ভেঙে ঢুকছে পানি। তলিয়ে যাচ্ছে ফসল। তাই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে।

সুনামগঞ্জের শনির হাওরের কৃষক রইসুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চ শেষেও অনেক বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। শেষ সময়ে তাড়াহুড়ো করে দায়সারা কাজ হয়েছে। আর কাজ শেষ হতে না হতেই বৃষ্টি আর ঢল শুরু হয়েছে। এতে নরম মাটির বাঁধগুলো ভেঙে যাচ্ছে।’

বাঁধের কাজ শেষ হতে দেরি হওয়ার বিষয়টি নিয়ে হাওর ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, ‘এবার পিআইসি গঠনেই দেরি হয়েছে। ফলে কাজও হয়েছে দেরিতে। যথাসময়ে কাজ শুরু হয়নি, কাজও যথাযথ হয়নি।’

পিআইসি গঠনে দেরি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় উপকারভোগীদের দিয়ে পিআইসি গঠনের কথা থাকলেও আদতে স্থানীয় সাংসদরাই নিজেদের লোকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দেন। সাংসদদের সঙ্গে সমন্বয় ও তাদের লোক বাছাইয়েই দেরি হয়।’

শুধু বাঁধ দিয়ে বাঁচানো যাবে না হাওরের ফসল
বাঁধ ভেঙে যাওয়াই শুধু নয়, অনেক ক্ষেত্রে বাঁধ উপচেও হাওরে পানি প্রবেশ করছে

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে পিআইসি গঠনে কিছুটা দেরি হয়েছে। কারণ স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল।’

প্রয়োজন নদী খনন

হাওরে বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। কিন্তু সুনামগঞ্জের অনেক হাওরের পানি এই সময়ের মধ্যে নামেইনি। কয়েক বছর ধরেই এমনটি হচ্ছে। হাইল হাওর, শনির হাওরসহ কয়েকটি হাওরের কিছু জায়গায় জানুয়ারি পর্যন্ত পানি ছিল।

পানি না নামায় যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি বলে দাবি করেছেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৗশলী মো. শামসুদ্দোহা।

যথাসময়ে পানি না নামার কারণ সম্পর্কে হাওর ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, ‘ঢলে পানির সঙ্গে বালিও নামে। এই বালি জমে নদীর নাব্যতা কমে গেছে। ফলে নদী হাওরের পানি টানতে পারছে না। এতে শুষ্ক মৌসুমেও হাওরে পানি জমে থাকছে।

হাওরে এটি নতুন সংকট জানিয়ে কাসমির বলেন, সাত-আট বছর ধরে এমনটি হচ্ছে। দিন দিন এ সমস্যা তীব্র হচ্ছে।

একদিকে শুষ্ক মৌসুমেও হাওরে পানি আটকে থাকছে, অন্যদিকে মার্চের দিকে এক-দুদিনের ঢলেই বাঁধ উপচে হাওরে পানি প্রবেশ করছে বলে জানান তাহিরপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু পাল।

তিনি বলেন, ‘বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম তো আছেই। বাঁধ ভাঙার পাশাপাশি অনেক জায়গায় বাঁধ উপচেও হাওরে পানি ঢুকছে।’

নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় এমনটি হচ্ছে জানিয়ে পুরো হাওর এলাকার নদীগুলো একসঙ্গে খননের দাবি করেছেন করুণাসিন্ধু পাল ও কাসমির রেজা।

কাসমির রেজা বলেন, ‘এখন আর কেবল বাঁধ দিয়ে ফসল রক্ষা সম্ভব নয়। উজান থেকে ভাটি পর্যন্ত নদী খনন করতে হবে। ভৈরবে মেঘনা নদীতে বড় বড় চর পড়েছে। সেগুলোও খনন করতে হবে। কারণ সুনামগঞ্জ থেকে সুরমার পানি মেঘনায় গিয়ে মেশে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোমও মনে করেন, নদী খনন করা না হলে হাওরের ফসল বাঁচানো সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ‘নদীগুলো দ্রুত খনন করা প্রয়োজন। একটু করলে হবে না, পুরো নদী একসঙ্গে খনন করতে হবে।’

বাঁধ একটি সাময়িক ব্যবস্থা উল্লেখ করে হাওর গবেষক ড. হালিমদাদ খান বলেন, ‘বাঁধ দিয়ে ফসল পুরোপুরি রক্ষা সম্ভব নয়। আগে এই ঢলের পানি নদী দিয়ে মেঘনা হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশে যেত। এখন নদী ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নদী উপচে হাওরে ঢুকে পড়ছে। প্রতি বছরই হাওরে পানি ঢুকছে। যে বছর ঢল বেশি নামে, সে বছর পানি বেশি ঢোকে। কেবল বাঁধ দিয়ে এই পানি আটকানো যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নিজেদের যেসব ধানের জাত ছিল, সেগুলো বৃষ্টি শুরুর আগেই তোলা যেত। কিন্তু এতে ফলন কম হয়। এখন হাইব্রিড জাতের ধানে ফলন বেশি হয়। তবে সময়ও বেশি লাগে। তাই হাওরের উপযোগী নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে কৃষি বিজ্ঞানীদের।

ফসল রক্ষায় নদী খননের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সুরমাসহ এই এলাকার বেশির ভাগ নদীই নাব্য হারিয়েছে। এগুলো খনন করা প্রয়োজন। নদী খননের জন্য গত বছর আমরা ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সম্ভাব্যতা যাছাই শেষে এটি এখন মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন।’

নদী খননের পাশাপাশি কীভাবে আরও টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা যায় সে বিষয়ে আরও ভাবতে হবে বলে মনে করেন শহিদুল ইসলাম।

এদিকে সুনামগঞ্জের হাওরের পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে শুক্রবার পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘হাওরের নদীগুলো খননে উদ্যোগ নেয়া হবে এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বাঁধের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা হবে।’

আরও পড়ুন:
‘নিজেরা কী খাইমু আর গরু-বাছুররেই কী খাওয়ামু’
বাঁধ ভেঙে ফসলহানি, হাওরে হাহাকার
সুনামগঞ্জে পাউবোর সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল
হাওরে কমছে পানি, স্বস্তিতে কৃষক
হুমকির মুখে ৩০ হাওরের ধান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
During the illegal infiltration the Bangladeshi detained with the smugglers on the Garo Hill border

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।

বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police Super Ujjal Kumar Roy inaugurated the Loto Showroom in Jhalakathi

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।

এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।

পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।

কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র‌্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।

মন্তব্য

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।

এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।

গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।

বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।

আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।

গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।

আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

p
উপরে