× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The heart is the voice of all science teachers Zafar Iqbal
google_news print-icon

হৃদয় মণ্ডল সব বিজ্ঞানশিক্ষকের কণ্ঠস্বর: জাফর ইকবাল

হৃদয়-মণ্ডল-সব-বিজ্ঞানশিক্ষকের-কণ্ঠস্বর-জাফর-ইকবাল
বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ও অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
জাফর ইকবাল, ‘আমি আজ এখানে দাঁড়িয়েছি মনে অনেক দুঃখ এবং কষ্ট নিয়ে। হতাশাও বলতে পারতাম, কিন্তু যেহেতু প্রতিজ্ঞা করেছি, জীবনে হতাশ হব না, সে কারণে হতাশ কথাটা ব্যবহার করলাম না। তবে আমি ক্ষুব্ধ; অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। কারণ কী আপনারা সবাই জানেন।’

বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল সব বিজ্ঞানশিক্ষকের কণ্ঠস্বর উল্লেখ করে যে বই পড়ানোর জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বই লেখার জন্য নিজের গ্রেপ্তার চেয়েছেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

জাতীয় জাদুঘরের সামনে শনিবার বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন।

নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম এই সমাবেশ আয়োজন করে।

গত ২০ মার্চ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সময় বিজ্ঞান ও ধর্ম নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন হৃদয় মণ্ডল। সেটি গোপনে রেকর্ড করে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।

এরপর ২২ মার্চ স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে মিছিল করে। পরে পুলিশ হৃদয় মণ্ডলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সে রাতেই ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত ও বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী মামলা করেন। পরে হৃদয় মণ্ডলকে সে মামলায় জেল-হাজতে পাঠায় আদালত।

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদ করতে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ঘটনার প্রতিবাদ করে হৃদয় মণ্ডলের মুক্তি দাবি করেন।

বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের মুক্তির দাবিতে শাহবাগে শনিবারের সমাবেশে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি আজ এখানে দাঁড়িয়েছি মনে অনেক দুঃখ এবং কষ্ট নিয়ে। হতাশাও বলতে পারতাম, কিন্তু যেহেতু প্রতিজ্ঞা করেছি, জীবনে হতাশ হব না, সে কারণে হতাশ কথাটা ব্যবহার করলাম না। তবে আমি ক্ষুব্ধ; অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। কারণ কী আপনারা সবাই জানেন।

‘আমরা সব সময় শুনে আসছি, আমাদের দেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটার প্রথম ধাপ হচ্ছে, আমরা যেন স্কুল-কলেজে আমাদের সন্তানকে সঠিকভাবে বিজ্ঞান শেখাতে পারি। ঠিক সেই দায়িত্বটি পালন করতে গিয়েছিলেন হৃদয় মণ্ডল। শুধু এ কারণে তাকে হাজতে থাকতে হচ্ছে। এটি আমাদের দেশ, আমার বিশ্বাস হতে চায় না। এটি কীভাবে সম্ভব?’

এই সাহিত্যিক বলেন, ‘একজন মানুষ, একজন শিক্ষক তার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিজ্ঞান পড়াচ্ছেন এবং সেখানে কোনো একজন ছাত্র কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেন এবং তিনি সেখানে সে প্রশ্নের সবচেয়ে যৌক্তিক উত্তরটি দিচ্ছেন। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে হাজতে রাখা হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা সম্ভব নয়।

‘আমার দুঃখটা কোথায়? যে বিজ্ঞান পড়াতে গিয়ে তিনি নিগৃহীত হচ্ছেন বা হয়েছেন, সেই বিজ্ঞান বইগুলো আমরা মিলে লিখেছিলাম। এখানে সৌমিত্র আছে, সে বায়োলজি বই লিখেছিল, আমি পদার্থবিজ্ঞানের বই লিখেছিলাম এবং আমরা সবাই মিলে বইগুলো সম্পাদনা করেছিলাম। সেই বই পড়াতে গিয়ে তার কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে।’

বক্তব্যে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি বলেছি অলরেডি, যে কথাগুলো উচ্চারণ করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যে কারণে হাজতে রাখা হয়েছে, যে কারণে জামিন দেয়া হচ্ছে না, হুবহু এই কথাগুলো শুধু আমি না, পৃথিবীর সব বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ এ কথাগুলো বলে থাকে এবং উচ্চারণ করে থাকে।

‘তাহলে এটা কীভাবে সম্ভব, আমরা বাইরে ঘোরাফেরা করছি আর তিনি জেলখানায় আছেন। আমরা কেন জেলে নাই, আমাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না?’

এই অধ্যাপক বলেন, ‘যা-ই হোক, দেরিতে হলেও আমরা দেখছি, দেরিতে হলেও আমাদের দেশের মানুষ বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ করছেন।’

এ ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, বিষয়টি ঘটেছিল মার্চ মাসের ২২ তারিখে। কিন্তু তখন তারা এটি নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া করেনি। তখন ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার সময়। তারা বুঝেছিল এ সময় সাম্প্রদায়িকতার বিষয়ে কথা বলে তেমন লাভ হবে না। কখন শুরু করেছে? যখন রমজান শুরু হয়েছে তখন। তখন চেতনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনী হৃদয় মণ্ডলকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গেছে।’

‘আমরা এখানে আজ সবাই মিলে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে চাই। আমরা বলতে চাই, এ দেশটা আমাদের, এ দেশটাকে আমরা ভালোবাসি। এ দেশটাকে আমরা জ্ঞানভিত্তিক দেশে পরিণত করতে চাই,’ বলেন তিনি।

জাফর ইকবাল বলেন, ‘এ জন্যই হৃদয় মণ্ডলের মতো যে শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, তাদের আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই। এ ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর না ঘটে আমরা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের প্রিয় দেশ, এই দেশটি আমাদের। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে যখন হেফাজত দাবি করেছিল টেক্সট বই থেকে অনেক লেখা সরিয়ে দিতে হবে, সেই টেক্সটগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। আমরা তখন প্রতিবাদ করেছিলাম। আমাদের কথাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি।

‘কিন্তু একসময় তারা দেখতে পারল এই হেফাজত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে নদীতে ফেলে দেয়ার কথা উচ্চারণ করেছে। সরকারের তখন বোধোদয় হয়েছে। এখানেও সেই একই ব্যাপার। আমরা একই কথা বলতে চাই, আমরা মাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি। আপনারা সবাই জানেন, বঙ্গবন্ধুর চেয়ে অসাম্প্রদায়িক লোক কেউ ছিলেন না। তিনি সব মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য তার দল আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম কথাটি সরিয়ে আওয়ামী লীগ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সব মানুষ যেন দলটি বহন করে। সেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পর এখন আমরা যদি এ দেশে এমন একটি সাম্প্রদায়িক ঘটনা দেখতে পাই, সেটা আমাদের পক্ষে মেনে নেয়া খুব কষ্টকর।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের দায়িত্বটুকু পালন করেন। কারণ ঘটনাটা ঘটার পরও আমি অনেক দিন পরে এর খবর পেয়েছি।

‘আমি কেন এতদিন পর খবরটি পেয়েছি তা জানি না। কেন সংবাদমাধ্যমে, টেলিভিশনে খবরটি আসেনি, সেটা আপনাদের কাছে জানতে চাই। অনুগ্রহ করে সত্য ঘটনাটি তুলে ধরুন। বাংলাদেশি আপনাদের এবং আমাদের হৃদয় মণ্ডল এবং তার মতো শিক্ষকদের। আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশটাকে গড়ে তুলব- এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

সমাবেশে মানবধিকারকর্মী খুশি কবীর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ধর্মীয় রাষ্ট্র থেকে নিজেকে আলাদা করে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন যা ঘটছে বা ঘটতে দেয়া হচ্ছে, এটির জন্য যদি আমরা স্পষ্টভাবে প্রতিবাদ না করি বা রুখে না দাঁড়াই, তাহলে আমরা আবার পিছিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষককে ছাত্ররা অনেক প্রশ্ন করতে পারে বা বুঝার জন্য অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতে পারে। এটি তাদের অধিকার আছে। কিন্তু বিজ্ঞান বিজ্ঞানই৷ বিজ্ঞানের ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে পড়াশোনা এবং বিষয়গুলো বুঝানোর বিষয়ে যদি আপত্তি থাকে... সবচেয়ে জঘন্য ব্যাপার হলো, যে শিক্ষক, ছাত্র বা ছাত্রের অভিভাবকও না, সে তার ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত এনেছে দাবি করে মামলা ঠুকে দিয়েছে। আর সাথে সাথে শিক্ষককে গ্রেপ্তার এবং এই মামলায় জামিন না মঞ্জুর করা হচ্ছে। এটি কোন ধরনের কথা? এটি কোন ধরণের রাষ্ট্রে আমরা বাস করছি?’

গৌরব একাত্তরের সভাপতি এসএম শাহিন বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গি মস্তিষ্কের যারা সাম্প্রদায়িক শক্তি তারা আজ নতুনভাবে নতুন মোড়কে আমাদের ঘিরে রাখার চেষ্টা করছে। আর আমরা গুটিকয়েক মানুষ, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তারা চিৎকার করছি। এখন শুধু কি আমরা চিৎকার করব নাকি প্রতিরোধের ডাক দেব?’

বক্তব্য শেষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ প্লাটফর্মের অন্যতম সংগঠক আকরামুল হক।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এই শুনানিতে যদি শিক্ষকের মুক্তি না হয় তাহলে আমরা আগামী ১৩ এপ্রিল বুধবার ফের শাহবাগে সমাবেশ করব।’

যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মাসুমের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি বরিন্দ্র কুমার নাথ, অগ্নি ফাউন্ডেশনের নেত্রী ক্রিস্টিয়ানা, মাইনরোটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের সহসভাপতি খন্দকার এনায়েত মজুমদার, শিক্ষাবিদ ড. রতন সিদ্দিকি, জনরাষ্ট্র আন্দোলনের সদস্য সচিব কামরুল হোসেন, অ্যাডভোকেট বিকাশ চন্দ্র জয় প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় বরাদ্দ এবার ১১৮ কোটি টাকা
উন্নয়ন পরিবেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে
শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ও কিছু ধর্মান্ধ সংকীর্ণ হৃদয়  
হৃদয় ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রী: আমরা বিজ্ঞানবিবর্জিত হতে পারি না
হৃদয় মণ্ডলকে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি পরিকল্পিত: নওফেল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Operation will continue until the Devil is over Home Advisor

ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।’

ডেভিল যতদিন শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রবিবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।’

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদের টার্গেট করে ডেভিল হান্ট অপারেশন চলবে বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।

গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের।

পরে শনিবার রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল জোরদার করা হয়।

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
‌‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: গাজীপুরে আটক ৪০
গাজীপুরসহ দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব
প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former CEC Justice Abdur Rauf left

চলে গেলেন সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ

চলে গেলেন সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ। ছবি: ইউএনবি
সাবেক এ বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সিইসি নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আবদুর রউফ ইন্তেকাল করেছেন, যার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

রাজধানীর মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিউ) রবিবার সকাল ১০টার দিকে ইন্তেকাল করেন তিনি।

সাবেক এ বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সিইসি নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

আবদুর রউফ ১৯৯৫ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যান।

এ ছাড়া তিনি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজধানীর মহাখালীর টিবি হাসপাতাল গেট সংলগ্ন গাউছুল আজম জামে মসজিদে আজ বাদ আছর মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বাদ জোহর জাতীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাজা এবং ময়মনসিংহের দাপুনিয়া হাই স্কুল মাঠে বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন:
চলে গেলেন সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ
ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন ঠিক করতে হবে: সিইসি
সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি: সিইসি
দেশে একমাত্র এইচএমপিভি রোগীর মৃত্যু
গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Vandalism TIB urges the government to take effective role

ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির

ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির টিআইবির লোগো। ফাইল ছবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।”

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিনের ভাঙচুর ও সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ ও তা প্রতিরোধে সরকারের ‘বিবৃতিনির্ভর নির্লিপ্ততায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদশে (টিআইবি)।

সংস্থাটি শনিবার এক বিবৃতিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিকে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করা নয়, সরকারের কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য বলে মনে করে টিআইবি।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দলীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের সীমাহীন লালসা-তাড়িত কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। বহুমাত্রিক অধিকার হরণের শিকার আপামর দেশবাসীর ক্ষোভের মাত্রা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার প্রেক্ষিতে।

‘তাই বলে আইনসিদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পথ অনুসরণ না করে দেশব্যাপী যে প্রতিশোধপ্রবণ ভাঙচুর ও সহিংসতা চলেছে, তা কোনোভাবেই প্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ সর্ম্পকে দেশ-বিদেশে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেবে না।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, “আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।”

তিনি বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের পুঞ্জীভূত বিশাল জঞ্জাল অপসারণ করে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা হয়তো বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তবে তার প্রয়োগে সুচিন্তিত ঝুঁকি নিরসন কৌশলের ওপর ভিত্তি করে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্রিয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে এই প্রশ্ন যৌক্তিকভাবে উত্থাপিত হতে পারে।

‘তাই শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়ে নয়, যেকোনো পরিস্থিতি আইনসিদ্ধভাবে মোকাবিলায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “এমনটি অব্যাহত থাকলে নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে সূচিত ‘নতুন বাংলাদেশের’ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন এবং বিশেষ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন:
বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ
সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ
কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসায় আগুন, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আওয়ামী লীগ কার্যালয়
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, আগুন নিয়ে সরকারের বিবৃতি
নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Conspiracy with the chief adviser Press Secretary

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
শফিকুল আলম বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বে তুলে ধরতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর এতে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘দ্রোহের গ্রাফিতি: চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রকাশনা’ শীর্ষক উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই সময় দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান শফিকুল আলম।

তিনি বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, গ্রাফিতির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
স্টাফদের দাবির বিষয়ে আলোচনার দরজা খোলা: রেলপথ উপদেষ্টা
কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Benazirs statement is deep conspiracy and sedition BPA

বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ

বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
বিপিএর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও একাধিক দুদকের মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পুলিশ সদস্য মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।’

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র করেছেন মন্তব্য করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সংগঠনটির সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে পুলিশের সকল সদস্য অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে ও দেশপ্রেমের চেতনা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।

‘পুলিশ বাহিনীর যে সকল বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য একমত পোষণ করে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি গণহত্যা, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক আইজিপি বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়, যেখানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের গোচরীভূত হয়।

‘ওই বক্তব্যটি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও এর সদস্যদের পেশাদারত্বকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে বলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন মনে করে।’

বিপিএর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও একাধিক দুদকের মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পুলিশ সদস্য মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।

‘বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এ জাতীয় ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
সদরদপ্তরের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ
পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের জন্য নতুন পোশাক নির্ধারণ
পরিবর্তন হচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক
পুলিশ সদস্যকে গুলি করে পানিতে ফেলে দিল সন্ত্রাসীরা
সারদায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ এসআইয়ের পদায়ন প্রশ্নে রুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Steps in the ban on Awami League ban Advisor Asif

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: বাসস
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেন, আমরা এ দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন, ‌‘প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।’

বার্তা সংস্থা বাসসকে শুক্রবার দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেন, আমরা এ দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’

অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও চারটি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যেকোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

আরও পড়ুন:
পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ ক্ষমা না চাইলে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকবে কি না, বলে দেবে সময়: সিইসি
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চলবে ডিসিসির নগর ভবনে
আমাদেরকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে জড়িত কাউকে ছাড় নয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Botanical Garden will be the place to preserve nature Environment Advisor

প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা বোটানিক্যাল গার্ডেনের আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ অংশ। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
রিজওয়ানা বলেন, ‘দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এসব উদ্যানকে প্রকৃতির সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, কেউ এ সংক্রান্ত কার্যকর প্রস্তাব দিলে তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্সের উদ্বোধন অধিবেশনে ঢাকাস্থ বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা বলেন, ‘দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করতে হবে।’

উপদেষ্টা জানান, শালবন পুনরুদ্ধারে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না। এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও জরুরি।

তিনি আরও জানান, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।

আরও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
স্টাফদের দাবির বিষয়ে আলোচনার দরজা খোলা: রেলপথ উপদেষ্টা
পরিবেশ সুরক্ষার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু অ্যাক্ট বাংলাদেশের
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

p
উপরে