রোজায় বেগুনি তৈরির হিড়িকের মধ্যে বেগুনের দামে লাফ আর নতুন কোনো তথ্য নয়। তবে প্রতি বছর ১০০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে যাওয়া সবজিটির দর এবার কিছুটা কম।
আরও খবর হচ্ছে, প্রথম রোজার তুলনায় এখন দাম আরও খানিকটা কমেছে। রোজার প্রথম শুক্রবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তুমুল চাহিদার এই সবজিটির ভালো মানেরটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে, যা প্রথম রোজায় ছিল ৮০-৯০ টাকা, কোথাও কোথাও আবার ১০০ টাকাও বিক্রি হয়েছে।
বেগুনির জন্য এই সবজির চাহিদা রোজায় তুঙ্গে থাকায় দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পেঁপে দিয়ে বেগুনির মতো করে খাদ্য বানিয়ে বিক্রি করার প্রবণতা এক দশক বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরেই দেখা যাচ্ছে।
তবে এবার নতুন এক বিষয় যুক্ত হয়েছে, সেটা হলো মিষ্টি কুমড়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেছেন, বেগুনের দাম বেশি হলে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে ‘বেগুনি’ বানিয়ে খাওয়া যায়। তিনি সেটা খান এবং খেতে বেশ মজা লাগে।
সরকারপ্রধানের এই বক্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের আলোচনায় নতুন একটি বিষয় সংযোজিত হয়েছে। তা হলো কুমড়া দিয়ে বানালে সেটিকে বেগুনি বলা যাবে, নাকি অন্য কিছু ডাকা যাবে।
কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে ট্রোল করছেন। তারা বলছেন, জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল রাখা সরকারের দায়িত্ব। সেটা তারা পারছে না। কেউ আবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেছেন, দাম বাড়ে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে। চাহিদা কম থাকলে দাম কমে আসবে।
বিজয় সরণির কলমিলতা মার্কেটের বিক্রেতা মোহাম্মদ মাসুম নিউজবাংলাকে বলেন, রোজার আগের দিন বেগুন ৮০-৯০ টাকা কেজি বিক্রি করছিলাম, গতকাল তা ৬০ টাকায় বিক্রি করছি। আজ আবার তা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
কুমড়ার বাজারের কী চিত্র- জানতে চাইলে মাসুম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নাকি মানুষরে কুমড়ার বেগুনি খাইতে কইছে। দুই-একজন কাস্টমার কুমড়া কিনছেও। দাম কিন্তু আগের মতোই আছে। প্রতি কেজি কুমড়া ২৫ টাকা।’
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ছোট আকারের কুমড়া নিলে দাম পড়ে কেজিতে ২০ টাকা করে। কিন্তু বড় কুমড়া হলে দাম একটু বেশি, কেজি ২৫ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু কইছে কুমড়ার বেগুনি খাওন যায়, বেগুনের দাম আরও বাড়লে মানুষ হয়তো কুমড়ার বেগুনি খাইতেও পারে। তখন চাহিদাও বাড়তে পারে, দামও।’
চট্টগ্রামের অক্সিজেন, কর্ণফুলী, কাজীর দেউড়ি, চকবাজার, বহদ্দারহাটসহ বেশ কিছু কাঁচা বাজারের চিত্র বলছে, গত সপ্তাহে মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও দাম ১০ টাকা বেড়ে শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
বেগুন রমজানের শুরুতে কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার দাম ১০ টাকা কমে গেছে।
অক্সিজেন এলাকার সবজি ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোজার দুই সপ্তাহ আগেও ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বেগুন বিক্রি করেছি। সেটা বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছিল। আবার ৬০ টাকায় নেমেছে।’
তিনি বলেন, ‘রোজায় তো বেগুনি তৈরিতে অতিরিক্ত বেগুন লাগে, তাই দাম বেশি। সবাই ব্যবসায়ীদের দোষ দিচ্ছে। তবে আমরা খুচরা ব্যবসায়ী, আমাদের কী দোষ? আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
লেবুর দামও কমেছে
রোজার প্রথম দিন চড়ে যাওয়া লেবুর দর অনেকটাই কমেছে। কারওয়ান বাজারে ছোট আকারের লেবুর হালি ১৫ টাকা থেকে শুরু করে ২০, ২৫, ৩০, এমনকি আকারে বড় লেবু ৪০ টাকা হালি বিক্রি হয়েছে।
রোজার প্রথম দিন হালিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দাম ছিল।
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা শাহজাহান জানান, টম্যাটোর কেজি বিক্রি করছেন ২৫ টাকায়। বলেন, ‘অন্যবার তো রোজায় টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বেচছি, ১০০ টাকাও হইছিল। এবার একেবারেই দাম কম।
‘শসার কেজি ৫০ টাকা, গাজর ৩৫ টাকা।’
কলমিলতা বাজারে টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৪০, পেঁপে ৩৫ ও আলু ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
চট্টগ্রামেও এই সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ টাকা কমেছে ঢেঁড়স, শসা, গাজর, চিচিঙ্গাসহ কয়েকটি সবজির দাম। প্রতি কেজি ঢেঁড়স ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০ টাকায় ও শসা আকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়।
স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজ
বাড্ডা এলাকায় ভ্যানে করে পেঁয়াজ বিক্রি করেন আব্দুস সালাম। প্রতি চার কেজি বিক্রি করছেন ১০০ টাকায়। বলেন, পেঁয়াজের দাম আগের চাইতে কমছে। একেবারে শুকনা পেঁয়াজ। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ বেশি, তাই দামও কম।’
কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) দেশি পেঁয়াজ ছোটগুলা ৯০ টাকা। আর বাছা (বাছাই করা) নিলে ১০০ টাকা।
‘বাজারে ম্যালা দেশি পেঁয়াজ, ইন্ডিয়ানেরও অভাব নাই, তাই দাম কমেছে। আরও কিছুদিন এই দাম থাকব।’
পেঁয়াজে দাম কমলেও মরিচের দাম বেড়েছে।
কলমিলতা বাজারের মাসুম জানান, আগের সপ্তাহে মরিচ বিক্রি করেছেন ৮০ টাকা কেজি দরে, সেটি এখন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
আরেক সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দুই দিন আগেও এক পাল্লা মচির কিনছিলাম ২৪০ টাকায়। আইজ বাজারে গিয়া মরিচই পাইলাম না। দুই কেজি আনছি ১১০ টাকা কইরা। কত বেচুম কন? হঠাৎ কেন যে মরিচের দাম বাড়ল, বুঝতেই পাইরলাম না।’
আরও পড়ুন:বেশ কয়েক দিন পর বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থানে রদবদল হয়েছে। আজ রবিবার সকালে চিরচেনা লাহোর, দিল্লির কোনো শহরই শীর্ষ দশের ধারেকাছে নেই। তবে এই তালিকায় আজ চলে এসেছে ব্রাজিলের সাও পাউলোর নাম।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ১২৩ একিউআই স্কোর নিয়ে অষ্টম শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহর হয়ে ওঠে সাও পাউলো। আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী যার মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
তবে এই সময়ে ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাতাম শহরের বাসিন্দারা। ১৬৩ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে তার পরেই ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কঙ্গোর কিনশাসার অবস্থান।
আর দিল্লির বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ৯৫। লাহোরের বাতাসে দূষণের মান তখন আরও কম, ৮৪। অর্থাৎ প্রতিবেশী দুই দেশের শহরদুটির বাতাসের মান ছিল ‘মাঝারি’।
ঠিক সেই সময়ে তালিকার উপরের দিকে খুঁজেও ঢাকার নাম পাওয়া যায়নি। যাবে কীভাবে? ঢাকার অবস্থান তখন তলানির দিকে, বিশ্বের স্বাস্থ্যকর বায়ুর শহরগুলো মধ্যে। ৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে সেই সময় স্বাস্থ্যকর বাতাস গ্রহণ করছে ঢাকাবাসী। তালিকার ৬৮তম স্থানে ছিল ঢাকার নাম।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।
শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য