পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লভ্যাংশ না দেয়া ২৬টি কোম্পানির মধ্যে তিনটির লেনদেন বন্ধ। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে লেনদেন হওয়া বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম অপরিবর্তিত ছিল চারটির, কমেছে সাতটির আর বেড়েছে বাকি ১২টির দর।
১ থেকে ৯ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা অপেক্ষাকৃত কম মৌলভিত্তির কোম্পানির সংখ্যা ৮৯টি। এর মধ্যে দাম কমেছে ৪২টির, অপরিবর্তিত ছিল ১২টির দর, আর বেড়েছে বাকি ৩৫টির দর।
নতুন তালিকাভুক্ত এন ক্যাটাগরির ছয়টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে তিনটির দর, কমেছে বাকি তিনটির।
বাকি ২৬৪টি কোম্পানি ‘এ’ ক্যাটাগরির, অর্থাৎ তারা কমপক্ষে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এসব কোম্পানির মৌলভিত্তি তুলনামূলক ভালো। তবে এসব কোম্পানির যতগুলোর দর বেড়েছে, কমেছে তার তিন গুণের বেশি।
এসব কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন বন্ধ, ২৭টির দর ছিল অপরিবর্তিত। বেড়েছে ৫৭টির দর, আর কমেছে বাকি ১৭৯টির দর।
সব মিলিয়ে কমেছে ২৩১টির দর, অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির দর আর বেড়েছে ১০৮টির দর। যদিও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ডে এই সংখ্যার হিসাবে কিছুটা পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। তবে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ের কারণে কিছু কোম্পানির দর অপরিবর্তিত দেখালেও সেগুলোর দর হারিয়েছে বা বেড়েছে।
পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে ভালো কোম্পানির তুলনায় ‘মন্দ’ বা কম ভালো কোম্পানির শেয়ারে তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মিলিয়ে টানা চার দিন সূচকের পতন হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। এই চার দিনে পড়ল ১৩০ পয়েন্ট। রোববার প্রথম কর্মদিবসে সূচক ১৪ পয়েন্ট বাড়লেও সেদিন শেয়ারগুলো দর হারায় ব্যাপকভাবে।
এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারদর কমতে থাকায় সূচক কমতে থাকে। এক পর্যায়ে বেলা ১২টায় সূচক কমে যায় ৫৯ পয়েন্ট। তবে শেষ দুই ঘণ্টায় শেয়ারগুলো হারানো দর অনেকটাই ফিরে পেতে থাকে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগে আগে আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট কম ছিল সূচক। শেষ সময়ের সমন্বয়ে সেখান থেকে কমে আরও ১৪ পয়েন্ট।
লেনদেন এদিনও ছিল খুবই কম। যদিও আগের দিনের চেয়ে ২৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেড়ে তা কোনো রকমে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আগের দিন লেনদেন ছিল ৪৯০ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার টাকা, যা ২০২১ সালের ১১ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন।
টানা পড়তে থাকা বাজার ঘুরে দাঁড়াবে- এমন আশ্বাসের কথা নানাজন বলে এলেও তেমন কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় আস্থাহীনতার কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার না কিনে বাজার পর্যবেক্ষণে আছে।
টানা পড়তে থাকা বাজার ঘুরে দাঁড়াবে- এমন আশ্বাসের কথা নানাজন বলে এলেও তেমন কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় আস্থাহীনতার কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার না কিনে বাজার পর্যবেক্ষণে আছে।
স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও মতে, বিনিয়োগকারীরা বিপুল পরিমাণ বিক্রয়াদেশ দিয়ে বসিয়ে রাখলেও ক্রেতা নেই। শেয়ারদর ২ শতাংশ কমলেই ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে শেয়ারের চাহিদা তৈরি না হওয়ায় দর পরের দিনও কমছেই।
আবার শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, এভাবে বিনিয়োগকারীরা কোনো কোম্পানির শেয়ার না কিনে আরও এক দিন পর্যবেক্ষণের নীতি নিয়েছে।
রমজানে পুঁজিবাজারে ক্যাশ ফ্লো কমে গেছে বলে জানিয়েছেন এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসাইন। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, অনেকেরই সাইড বিজনেস। একজন আড়তদার, বা বস্ত্র ব্যবসায়ী, যার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আছে, তিনি তো এখানে টাকা ফেলে রাখবে না। অন্য জায়গায় খাটাবে। এগুলোই বাজারে লেনদেন কমার কারণ। তাছাড়া বাজার নিজের গতিতেই চলছে।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে দুর্বল কোম্পানির প্রাধান্য
নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটালের দর টানা ছয় দিন বাড়ল এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়ে এই কয় দিনে দর বেড়ে হলো ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৭৬ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি কোম্পানি ইমাম বাটন। তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে বস্ত্র খাতের সাফকো স্পিনিং, যার দর বেড়েছে ৩.৬০ শতাংশ।
চতুর্থ অস্থানে থাকা স্বল্প মূলধনি আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর বেড়েছে ৩.৫৩ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে ছিল লোকসানি আরেক কোম্পানি ফারইস্ট ফাইন্যান্স, যার দর বেড়েছে ৩.৫০ শতাংশ।
ষষ্ঠ স্থানে ছিল বিএসইসির অজান্তে কোম্পানি বিক্রি হয়ে যাওয়া বন্ধ কোম্পানি মিথুন নিটিং, যার দর বেড়েছে ৩.১২ শতাংশ।
এর পরের অবস্থান ছিল বিডি ফাইন্যান্স, যার দর বেড়েছে ৩.০০৮ শতাংশ। অষ্টম স্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলও লোকসানি কোম্পানি। নবম স্থানে থাকা হাওয়েল টেক্সটাইল ও দশম স্থানে থাকা রহিম টেক্সটাইলও স্বল্প মূলধনি, যার শেয়ার প্রতি আয়, লভ্যাংশের ইতিহাস খুব ভালো নয়।
লেনদেনের শীর্ষ পাঁচ খাত
আগের দিনের মতোই লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে প্রকৌশল খাত। ৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা লেনদেনের দিন এ খাতের ২১টি কোম্পানির দর বেড়েছে। কমেছে ১৫টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দাম। আগের দিন লেনদেন হয় ৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
বুধবার ৪৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা হাতবদলের মধ্য দিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে আজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। ৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ৬টি কোম্পানির দর বৃদ্ধিও বিপরীতে কমেছে ৮টির।
গতকালের চেয়ে লেনদেন কমেছে বস্ত্র খাতে। ৬৯ কোটি থেকে লেনদেনে কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ১০ লাখ টাকায়। ২২টি কোম্পানির দাম বেড়েছে। ২৫টির কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল ১২টির।
১২টি কোম্পানির দর বৃদ্ধি হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। ১৫টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির। খাতটিতে লেনদেন কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ৯০ লাখ টাকায়। বুধবার এটি ছিল ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
৪০ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন করে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ব্যাংক। খাতটির ৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে। ৫টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পারলেও হারিয়েছে ২০টি কোম্পানি।
সূচক পতনে দায়ী যেসব কোম্পানি
সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে যে ১০টি কোম্পানি, এর মধ্যে চারটিই ব্যাংক খাতের।
সবচেয়ে বেশি ৭.৯৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। কোম্পানিটির ৮.১১ শতাংশ দরপতনে এই পয়েন্ট কমেছে।
রবির ১.৮৪ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক পড়েছে ৩.৭৩ পয়েন্ট। এরপরেই উত্তরা ব্যাংকের ১৩.৮৪ শতাংশ দর পতনের কারণে সূচক কমেছে ৩.২২ পয়েন্ট।
লাফার্জের দরপতনে ২.৪৮ পয়েন্ট, শাহ্জালাল ২.০৫ পয়েন্ট, মার্কেন্টাইল ১.৬২ পয়েন্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ১.৬২ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ১.৪৬ পয়েন্ট, আইসিবি ১.২৬ পয়েন্ট এবং রেনাটার দরপতনে সূচক কমেছে ১.১৬ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ২৬.৫৪ পয়েন্ট ।
সূচক বাড়িয়েছে যারা
ওয়ালটন হাইটেকের দর ১.২৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ৫.৭৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫.৬৯ পয়েন্ট সূচকে যোগ করেছে স্কয়ার ফার্মা। এদিন কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২.০৬ শতাংশ।
এরপরেই ২.৩১ পয়েন্ট বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এছাড়া তিতাস গ্যাস ০.৭১ পয়েন্ট, জেএমআই হসপিটাল ০.৫৭ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টস ০.৪৮ পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংক ০.৪৪ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ০.৪২ পয়েন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড ০.৩৪ পয়েন্ট, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং সূচক যোগ করেছে ০.৩১ পয়েন্ট।
এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৭.০১ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য