পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লভ্যাংশ না দেয়া ২৬টি কোম্পানির মধ্যে তিনটির লেনদেন বন্ধ। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে লেনদেন হওয়া বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম অপরিবর্তিত ছিল চারটির, কমেছে সাতটির আর বেড়েছে বাকি ১২টির দর।
১ থেকে ৯ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা অপেক্ষাকৃত কম মৌলভিত্তির কোম্পানির সংখ্যা ৮৯টি। এর মধ্যে দাম কমেছে ৪২টির, অপরিবর্তিত ছিল ১২টির দর, আর বেড়েছে বাকি ৩৫টির দর।
নতুন তালিকাভুক্ত এন ক্যাটাগরির ছয়টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে তিনটির দর, কমেছে বাকি তিনটির।
বাকি ২৬৪টি কোম্পানি ‘এ’ ক্যাটাগরির, অর্থাৎ তারা কমপক্ষে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এসব কোম্পানির মৌলভিত্তি তুলনামূলক ভালো। তবে এসব কোম্পানির যতগুলোর দর বেড়েছে, কমেছে তার তিন গুণের বেশি।
এসব কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন বন্ধ, ২৭টির দর ছিল অপরিবর্তিত। বেড়েছে ৫৭টির দর, আর কমেছে বাকি ১৭৯টির দর।
সব মিলিয়ে কমেছে ২৩১টির দর, অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির দর আর বেড়েছে ১০৮টির দর। যদিও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ডে এই সংখ্যার হিসাবে কিছুটা পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। তবে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ের কারণে কিছু কোম্পানির দর অপরিবর্তিত দেখালেও সেগুলোর দর হারিয়েছে বা বেড়েছে।
পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে ভালো কোম্পানির তুলনায় ‘মন্দ’ বা কম ভালো কোম্পানির শেয়ারে তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মিলিয়ে টানা চার দিন সূচকের পতন হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। এই চার দিনে পড়ল ১৩০ পয়েন্ট। রোববার প্রথম কর্মদিবসে সূচক ১৪ পয়েন্ট বাড়লেও সেদিন শেয়ারগুলো দর হারায় ব্যাপকভাবে।
এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারদর কমতে থাকায় সূচক কমতে থাকে। এক পর্যায়ে বেলা ১২টায় সূচক কমে যায় ৫৯ পয়েন্ট। তবে শেষ দুই ঘণ্টায় শেয়ারগুলো হারানো দর অনেকটাই ফিরে পেতে থাকে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগে আগে আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট কম ছিল সূচক। শেষ সময়ের সমন্বয়ে সেখান থেকে কমে আরও ১৪ পয়েন্ট।
লেনদেন এদিনও ছিল খুবই কম। যদিও আগের দিনের চেয়ে ২৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেড়ে তা কোনো রকমে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আগের দিন লেনদেন ছিল ৪৯০ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার টাকা, যা ২০২১ সালের ১১ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন।
টানা পড়তে থাকা বাজার ঘুরে দাঁড়াবে- এমন আশ্বাসের কথা নানাজন বলে এলেও তেমন কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় আস্থাহীনতার কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার না কিনে বাজার পর্যবেক্ষণে আছে।
টানা পড়তে থাকা বাজার ঘুরে দাঁড়াবে- এমন আশ্বাসের কথা নানাজন বলে এলেও তেমন কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় আস্থাহীনতার কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার না কিনে বাজার পর্যবেক্ষণে আছে।
স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও মতে, বিনিয়োগকারীরা বিপুল পরিমাণ বিক্রয়াদেশ দিয়ে বসিয়ে রাখলেও ক্রেতা নেই। শেয়ারদর ২ শতাংশ কমলেই ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে শেয়ারের চাহিদা তৈরি না হওয়ায় দর পরের দিনও কমছেই।
আবার শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, এভাবে বিনিয়োগকারীরা কোনো কোম্পানির শেয়ার না কিনে আরও এক দিন পর্যবেক্ষণের নীতি নিয়েছে।
রমজানে পুঁজিবাজারে ক্যাশ ফ্লো কমে গেছে বলে জানিয়েছেন এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসাইন। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, অনেকেরই সাইড বিজনেস। একজন আড়তদার, বা বস্ত্র ব্যবসায়ী, যার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আছে, তিনি তো এখানে টাকা ফেলে রাখবে না। অন্য জায়গায় খাটাবে। এগুলোই বাজারে লেনদেন কমার কারণ। তাছাড়া বাজার নিজের গতিতেই চলছে।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে দুর্বল কোম্পানির প্রাধান্য
নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটালের দর টানা ছয় দিন বাড়ল এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়ে এই কয় দিনে দর বেড়ে হলো ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৭৬ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি কোম্পানি ইমাম বাটন। তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে বস্ত্র খাতের সাফকো স্পিনিং, যার দর বেড়েছে ৩.৬০ শতাংশ।
চতুর্থ অস্থানে থাকা স্বল্প মূলধনি আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর বেড়েছে ৩.৫৩ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে ছিল লোকসানি আরেক কোম্পানি ফারইস্ট ফাইন্যান্স, যার দর বেড়েছে ৩.৫০ শতাংশ।
ষষ্ঠ স্থানে ছিল বিএসইসির অজান্তে কোম্পানি বিক্রি হয়ে যাওয়া বন্ধ কোম্পানি মিথুন নিটিং, যার দর বেড়েছে ৩.১২ শতাংশ।
এর পরের অবস্থান ছিল বিডি ফাইন্যান্স, যার দর বেড়েছে ৩.০০৮ শতাংশ। অষ্টম স্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলও লোকসানি কোম্পানি। নবম স্থানে থাকা হাওয়েল টেক্সটাইল ও দশম স্থানে থাকা রহিম টেক্সটাইলও স্বল্প মূলধনি, যার শেয়ার প্রতি আয়, লভ্যাংশের ইতিহাস খুব ভালো নয়।
লেনদেনের শীর্ষ পাঁচ খাত
আগের দিনের মতোই লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে প্রকৌশল খাত। ৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা লেনদেনের দিন এ খাতের ২১টি কোম্পানির দর বেড়েছে। কমেছে ১৫টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দাম। আগের দিন লেনদেন হয় ৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
বুধবার ৪৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা হাতবদলের মধ্য দিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে আজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। ৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ৬টি কোম্পানির দর বৃদ্ধিও বিপরীতে কমেছে ৮টির।
গতকালের চেয়ে লেনদেন কমেছে বস্ত্র খাতে। ৬৯ কোটি থেকে লেনদেনে কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ১০ লাখ টাকায়। ২২টি কোম্পানির দাম বেড়েছে। ২৫টির কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল ১২টির।
১২টি কোম্পানির দর বৃদ্ধি হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। ১৫টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির। খাতটিতে লেনদেন কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ৯০ লাখ টাকায়। বুধবার এটি ছিল ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
৪০ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন করে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ব্যাংক। খাতটির ৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে। ৫টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পারলেও হারিয়েছে ২০টি কোম্পানি।
সূচক পতনে দায়ী যেসব কোম্পানি
সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে যে ১০টি কোম্পানি, এর মধ্যে চারটিই ব্যাংক খাতের।
সবচেয়ে বেশি ৭.৯৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। কোম্পানিটির ৮.১১ শতাংশ দরপতনে এই পয়েন্ট কমেছে।
রবির ১.৮৪ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক পড়েছে ৩.৭৩ পয়েন্ট। এরপরেই উত্তরা ব্যাংকের ১৩.৮৪ শতাংশ দর পতনের কারণে সূচক কমেছে ৩.২২ পয়েন্ট।
লাফার্জের দরপতনে ২.৪৮ পয়েন্ট, শাহ্জালাল ২.০৫ পয়েন্ট, মার্কেন্টাইল ১.৬২ পয়েন্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ১.৬২ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ১.৪৬ পয়েন্ট, আইসিবি ১.২৬ পয়েন্ট এবং রেনাটার দরপতনে সূচক কমেছে ১.১৬ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ২৬.৫৪ পয়েন্ট ।
সূচক বাড়িয়েছে যারা
ওয়ালটন হাইটেকের দর ১.২৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ৫.৭৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫.৬৯ পয়েন্ট সূচকে যোগ করেছে স্কয়ার ফার্মা। এদিন কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২.০৬ শতাংশ।
এরপরেই ২.৩১ পয়েন্ট বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এছাড়া তিতাস গ্যাস ০.৭১ পয়েন্ট, জেএমআই হসপিটাল ০.৫৭ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টস ০.৪৮ পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংক ০.৪৪ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ০.৪২ পয়েন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড ০.৩৪ পয়েন্ট, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং সূচক যোগ করেছে ০.৩১ পয়েন্ট।
এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৭.০১ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য