× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Free vegetables are being given in 30 donation boxes
google_news print-icon

আরও ৩০টি ডোনেট বাক্সে দেয়া হচ্ছে বিনা মূল্যে সবজি

আরও-৩০টি-ডোনেট-বাক্সে-দেয়া-হচ্ছে-বিনা-মূল্যে-সবজি
চট্টগ্রামের আশপাশের জেলায় দেয়া হচ্ছে ডোনেট বাক্সের সবজি। ছবি: নিউজবাংলা
ডোনেট বাক্স থেকে সবজি নেয়া রিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রোজা রেখে রিকশা চালানো কঠিন, শরীরে শক্তি দেয় না। আজ ভাড়াও কম। পরিচিত একজন বলেছিল এখান থেকে বিনা মূল্যে সবজি নেয়া যায়। তাই নিতে আসছি।’

‘যাদের সামর্থ্য আছে, তারা ডোনেট বাক্সে সবজি রাখবেন। আর যাদের সবজি কেনার টাকা নেই, তারা ডোনেট বাক্স থেকে সবজি নিতে পারেন’, চট্টগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার অন্তত ৩০টি সবজির দোকানে ঝুলছে এমন ব্যানার। ব্যানারের নিচে রাখা সবজির ‘ডোনেট বাক্স’।

সচ্ছল ব্যক্তিরা সবজি কিনে রাখেন এসব বাক্সে। আর যাদের সবজি কেনার সামর্থ্য নেই তারা ডোনেট বাক্স থেকে বিনা মূল্যে সবজি নিয়ে যান।

দরিদ্রদের বিনা মূল্যে সবজি দেয়ার এ উদ্যোগটি প্রথমে নিয়েছিলেন নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ এলাকার সবজি ব্যবসায়ী ইব্রাহীম খলীল।

তার এই উদ্যোগ নিয়ে নিউজবাংলায় ‘দরিদ্রদের বিনা মূল্যে সবজি দেন ইব্রাহীম’ শিরোনামে একটি সংবাদও প্রকাশিত হয়।

ইব্রাহীমের উদ্যোগটি ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু করেন চট্টগ্রামের দুই ব্যবসায়ী কায়সার আলী চৌধুরী এবং আবু হাসান।

চট্টগ্রাম শহর ও উপজেলা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলায় তাদের সাহায্যে বসানো হয় ৩০টিরও বেশি সবজি ডোনেট বাক্স। শুধু তা-ই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিনা মূল্যে সবজি বিতরণের খবর দেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে নিজেদের দোকানের সামনে সবজি ডোনেট বাক্স বসিয়ে দরিদ্রদের বিনা মূল্যে সবজি দিচ্ছেন।

সবজি ডোনেট বাক্সের উদ্যোক্তা কায়সার আলী চৌধুরী বলেন, ‘সবজি ব্যবসায়ী ইব্রাহীমের উদ্যোগের পর আমরা গরিবুল্লাহ হাউজিংয়ে একটা সবজি ডোনেট বাক্স রাখি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল রমজান সামনে রেখে মানবিকতা ছড়িয়ে দেয়া। অসহায় মানুষের সুবিধার জন্য সারা দেশে যেন এটা ছড়িয়ে পড়ে। সেদিক থেকে আমরা সফল। এখন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন বাজারে এটা চালু করছে। আমরা ব্যক্তিগতভাবে ৮ থেকে ১০টি করেছি।

‘শহরের আশপাশে জেলা-উপজেলা মিলিয়ে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ২০ থেকে ৩০টি ডোনেট বাক্স রয়েছে। এর বাইরে বগুড়া, নওগাঁ, ঢাকা, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নিজ উদ্যোগে এটা করছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল একটা ব্যাপার।’

আরও ৩০টি ডোনেট বাক্সে দেয়া হচ্ছে বিনা মূল্যে সবজি

সবজি ডোনেট বাক্সের আর্থিক জোগান কীভাবে আসে জানতে চাইলে কায়সার আলী বলেন, ‘এটা শুরুতে আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা। আমরা ওভাবে ফান্ড নিচ্ছি না। ফান্ডের চেয়ে নিজ নিজ এলাকায় ডোনেট বাক্স স্থাপনকে উৎসাহিত করছি আমরা। এতে ওই এলাকার অসহায়রা উপকৃত হবেন। আর এখানে তো দান করেন মূলত সচ্ছলরা। তারা নিজে সবজি কেনার সময় ডোনেট বাক্সের জন্যও কিছু কিনে দিয়ে যান।’

সবজি ডোনেট বাক্স নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মূলত রমজানকে সামনে রেখেই করা হয়েছিল। পরিকল্পনা বলতে এটা আল্লাহর ওপর। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়েছে, আল্লাহ যতদিন চান, এটা ততদিন থাকবে।’

ডোনেট বাক্সের উদ্যোগটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় খুশি মূল উদ্যোক্তা সবজি ইব্রাহীম খলীলও।

তিনি বলেন, ‘আমি ছোট মানুষ, আমার ছোট উদ্যোগ। শুধু চেয়েছি কয়েকজন মানুষ হলেও দুবেলা দুমুঠো খাবার আরামে খেতে পারুক। দ্রব্যমূল্যের বাজার তো চড়া, অনেকের কষ্ট হচ্ছে। এখন যেহেতু এটি ছড়িয়ে পড়ছে, এখন চট্টগ্রাম শহরে বেশ কিছু বাজারে এটি চালু হয়েছে। শুনে খুব খুশি লাগল, এটাই তো পাওয়া। এখন আরও বেশি মানুষের উপকার হবে।’

ইব্রাহীম আরও বলেন, ‘আমার এই ক্ষুদ্র উদ্যোগটি কায়সার আলী চৌধুরী ভাই, আবু হাসান ভাইসহ যারা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। আমি তো চাই সারা দেশে এটা ছড়িয়ে পড়ুক। কাঁচাবাজারে এসে টাকার অভাবে কেউ খালি ব্যাগ নিয়ে ফিরে না যাক।’

আরও ৩০টি ডোনেট বাক্সে দেয়া হচ্ছে বিনা মূল্যে সবজি

চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার এলাকায়ও স্থাপন করা হয়েছে সবজি ডোনেট বাক্স।

এই বাক্সটি দেখভালের দায়িত্বে আছেন সবজি ব্যবসায়ী মো. মামুন। তিনি বলেন, ‘যাদের সামর্থ্য আছে তারা বাক্সে সবজি দিয়ে যায় আর যাদের টাকা দিয়ে কেনার সামর্থ্য নেই তারা বিনা মূল্যে সবজি নিয়ে যায়। এটা খুব ভালো উদ্যোগ। আমরা যতদিন আছি, এটা চালিয়ে নেব।’

নগরীর ষোলশহর এলাকার কর্ণফুলী কাঁচাবাজারে বুধবার বিকেলে সবজি ডোনেট বাক্স থেকে সবজি নিচ্ছিলেন রিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রোজা রেখে রিকশা চালানো কঠিন, শরীরে শক্তি দেয় না। আজ ভাড়াও কম। পরিচিত একজন বলেছিল এখান থেকে বিনা মূল্যে সবজি নেয়া যায়। তাই নিতে আসছি।’

আরও পড়ুন:
বিনা মূল্যে সবজি দেয়ার উদ্যোগে আরও ব্যবসায়ী
দরিদ্রদের বিনামূল্যে সবজি দেন ইব্রাহীম
ফলন ভালো হলেও দামে হতাশ কপি চাষিরা
ভাসমান যে হাটে সপ্তাহে বিক্রি ২২ লাখ টাকা
মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আগাম শিমের মাচা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Saree lungi for eight rupees

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি কুড়িগ্রামে ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ‘ফাইট আনটিল লাইট (ফুল)’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ছবি: নিউজবাংলা
ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র ৮ টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

কুড়িগ্রামে শতাধিক দুস্থ অসহায় বাবা মায়ের জন্য ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ভ্রাম্যমাণ এ হাটে আট টাকা দরে একটি শাড়ি, একটি লুঙ্গি এবং দুই টাকায় একটি ব্লাউজের পিস বিক্রি করা হয়।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কুমোরপুর দাখিল উলুম মাদ্রাসা মাঠে শুক্রবার দুপুরে এসব শাড়ি, লুঙ্গি বিক্রি করা হয়েছে।

আট টাকায় শাড়ি পেয়ে বৃদ্ধ আমেনা বেওয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে একটা শাড়ির দাম নিম্নে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি আট টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।’

লুঙ্গি পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, ‘৬৫ বছর বয়সে কোন দিন দেহি নাই আট টাহায় এহান (একটা) লুঙ্গি পাওয়া যায়। আইজ সেই আট টাহায় লুঙ্গি কিনলাম। খুব খুশি নাগছে।’

ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, “‘ফুল’ দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা মাকে নিয়ে কাজ করে আসছে। তাদের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শহর গ্রাম ও প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষ মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে।

‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র আট টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

আরও পড়ুন:
পাঁচ বছর ধরে দুই শতাধিক মুসল্লির ইফতার আয়োজন করছে মসজিদটি
রামপালে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে হুমকি, অভিযোগ গৃহবধূর স্বামীর
ভুটানের রাজা আসবেন কুড়িগ্রামে
যার হাত ধরে কুড়িগ্রামের টুপি মধ্যপ্রাচ্যে
একুশে পদকের পর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কুড়িগ্রামের আব্রাহাম লিংকন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The maximum temperature of the season in Chuadanga is 42 7 degrees

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ প্রচণ্ড গরম মাথায় নিয়ে কাজে নামতে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার লোকজনকে। ছবি: নিউজবাংলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

অতি তীব্র দাবদাহের মধ্যে মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।

সীমান্তবর্তী জেলাটিতে শুক্রবার বেলা তিনটায় ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জেলায় অতি তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়।

তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে গরমজনিত রোগী। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।

পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। তা ছাড়া অতি গরমে নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ‘এই তাপে মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে কৃষিকাজ করা যাচ্ছে না।

‘ধানের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। ধানে বেশি সেচ লাগছে, কিন্তু সেচ পাম্পে ঠিকমতো পানিও উঠছে না।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।

তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানায়, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ছয় জেলায় তীব্র দাবদাহ, দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও
নতুন করে ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
দাবদাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
গাছহীন সড়কটি যেন ‘উত্তপ্ত কড়াই’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bloody corpse of a female garment worker in a deserted bamboo plantation

নির্জন বাঁশবাগানে নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ

নির্জন বাঁশবাগানে নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ প্রতীকী ছবি
প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় একটি নির্জন বাঁশবাগানের ভেতর থেকে এক নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার বাঁশবাগান থেকে শুক্রবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।

পুলিশের ভাষ্য, বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাকশ্রমিকের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, ওই নারীর গলায় ঝোলানো পরিচয়পত্রে দেখা যায়, তিনি হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার অপারেটর।

হা-মীম গ্রুপের টিআইএসডব্লিএল-১ কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আনজু খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক গতকাল রাত ৯টা ১৫ মিনিটের পরে কারখানা থেকে বাসায় যায়, কিন্তু আজ সকালে তিনি আর কারখানায় আসেননি।

‘পরে লাইনের সুপারভাইজার আনজুকে কল দিলেও সে রিসিভ করেনি।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে কেউ তাকে (পোশাকশ্রমিক) হত্যা করে ফেলে রেখে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ গাড়ি ভাংচুর, আহত ৩০
মুহুরী নদীতে মিলল নিখোঁজ নৌ সৈনিকের মরদেহ
ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুন করার অভিযোগ
রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladeshi shepherd killed in BSF firing at Lalmonirhat border

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি রাখাল নিহত

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি রাখাল নিহত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। ফাইল ছবি
পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু (২২) নামের বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন।

উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাংগী বিজিবি ক্যাম্পের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলার এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুবকের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কয়েকজন রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান আবুল কালাম ডাকু। গরু নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার ভোররাতে বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকু গুরুতর আহত হলে সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালাংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নিহত যুবকের মা মমতা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল জানি না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
সাইফুলের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের রাবার বুলেটে দুই বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, দুজন আহত
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two vegetable traders were killed by a covered van

কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত

কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত প্রতীকী ছবি
গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তিন চাকার ভ্যানের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো আবদুস সালাম (৫০) ও ছানোয়ার হোসেন (৪৫) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তারা স্থানীয় কাটিগ্রাম বাজারে সবজির ব্যবসা করতেন।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর বন্দর আড়ত থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন, কিন্তু ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই আবদুস সালাম নিহত হন এবং গুরুত্ব অবস্থায় ছানোয়ার হোসেনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, নিহতদের একজনের মরদেহ সদর হাসপাতালে এবং অপরজনের মরদেহ গোলড়া থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় গোলড়া থানায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
নাটোরে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত
সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত, আহত ৮

মন্তব্য

বাংলাদেশ
137th Port Day celebration in a festive atmosphere

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের সারি। ফাইল ছবি
পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হয়েছে ১৩৭তম বন্দর দিবস।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্দর ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

ওই সময় বোর্ড সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুবর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।

কর্ণফুলীর মোহনায় ১৩৬ বছর আগে ২৫ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। ইংরেজ শাসনামলের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সালামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ সালে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৭ সালে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়।

১৮৮৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মুরিং নির্মাণ হয়। একই বছরের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়। এরপর ১৮৯৯ থেকে ১৯১০ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার এবং আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে। ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রেলওয়ের সংযোগ সাধন হয়।

১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়। সেই থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখে আসছে।

আরও পড়ুন:
বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার
চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় বন্ধ পচনশীল পণ্য আমদানি
পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার
বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A farmer died after being crushed by an elephant in Sherpur

শেরপুরে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু

শেরপুরে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু প্রতীকী ছবি
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো ৬০ বছর বয়সী হাজী উমর আলী একই গ্রামের বাসিন্দা।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।

একপর্যায়ে বন্যহাতির পালটি একটু পিছিয়ে যায়। পরে বাড়িতে যাওয়া সময় পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা হাতির পালটি উমর আলিকে ঘিরে ফেলে ও পা দিয়ে পিষ্ট করে।

বন বিভাগের ময়মনসিংহ মধুটিলা ফরেস্টের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত উমর আলির পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
হাতিয়া সৈকতে ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’
মানিকগঞ্জে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত
বন্যহাতির তাড়া খেয়ে যুবকের মৃত্যু
চকরিয়ায় দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ভারতীয় হাতির আক্রমণে একজন নিহত

মন্তব্য

p
উপরে