করোনাকালে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে একটি ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটে গেছে। পাট, চামড়া, চিংড়ি, কৃষিপণ্যকে পেছনে ফেলে পণ্য রপ্তানির দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে হোম টেক্সটাইল। তৈরি পোশাকের পর এ খাত থেকেই এখন সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে আসছে।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ঘরের অন্দরের শোভাবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা বস্ত্রপণ্য হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে ১১৬ কোটি (১.১৬ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন এ খাতের রপ্তানিকারকরা, যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) চেয়ে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি।
বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ২০ পয়সা) টাকায় এই অর্থের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা।
তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য কোনো খাত থেকে এ পরিমাণ রপ্তানি আয় দেশে আসেনি। শুধু তা-ই নয়, পোশাকের পর হোম টেক্সটাইল থেকেই শুধু ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি আয় হয়েছে।
প্রবৃদ্ধিও হয়েছে অন্য সব খাতের চেয়ে বেশি, ৩৭ শতাংশের মতো। অর্থাৎ গত ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ের চেয়ে এই অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ৩৭ শতাংশ বেশি বিদেশি মুদ্রা এসেছে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে।
পাকিস্তানের বাজার বাংলাদেশে চলে আসায় এই ‘বিপ্লব’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ হোম টেক্সটাইল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ জাবের। চীনের কিছু বাজারও বাংলাদেশে এসেছে বলে জানান তিনি।
জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস নোমান গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। দেশের মোট হোম টেক্সটাইল রপ্তানির ৭০ শতাংশই রপ্তানি করে এই প্রতিষ্ঠানটি।
নোমান গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস প্রতিষ্ঠা করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছেলের নামে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেন তিনি।
নুরুল ইসলামের ছেলেমেয়ে পাঁচজন। তাদের মধ্যে সবার বড় একমাত্র মেয়ে নুর–ই-ইয়াসমিন ফাতেমা। তিনি বর্তমানে নোমান গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক। এরপর চার ছেলে। ছেলেদের মধ্যে সবার বড় নোমান গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম রফিকুল ইসলাম নোমান। বড় ছেলের নামেই গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নুরুল ইসলাম।
দ্বিতীয় ছেলে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ জাবের, তৃতীয় ছেলে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ জোবায়ের ও সবার ছোট আবদুল্লাহ মো. তালহা। বড় ছেলে গ্রুপ ও গ্রুপের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি); অন্যরা উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের (ডিএমডি) দায়িত্বে রয়েছেন।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ জাবের বুধবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তৈরি পোশাকের চেয়েও বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে হোম টেক্সটাইলে। করোনার মধ্যে গত অর্থবছরে প্রথমবারের মতো এ খাতের রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। এবার ৯ মাসেই ১১৬ কোটি ডলার হয়েছে।
‘আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে আশা করছি। সে হিসাবে এবার অর্থবছর শেষে এ খাতের রপ্তানি দেড় বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’
কেন এই উল্লম্ফন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে পাকিস্তান থেকে মুখ ফিরিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার বায়াররা এখন বাংলাদেশে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণেও অনেক অর্ডার আমরা পাচ্ছি। সব মিলিয়ে এ খাতে সুবাতাস বইছে বলা যায়। আগামী দিনে আরও ভালো হবে আশা করছি।’
পোশাক খাতের মতো সরকারের সুনজর পেলে এই খাত থেকে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব বলে আশার কথা শুনিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ হোম টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন-অর-রশিদ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সোমবার পণ্য রপ্তানির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ (৩৮.৬০ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩ হাজার ১৪২ কোটি ৮৪ লাখ (৩১.৪২ বিলিয়ন) ডলার। হোম টেক্সটাইল থেকে এসেছে ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে এসেছে ৮৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় করা হয়েছে ৮৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। হিমায়িত মাছ থেকে এসেছে ৪৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে এসেছে ৯৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরে ১১৬ কোটি ১৫ লাখ ডলার রপ্তানি করে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল পাট খাত। বরাবরের মতোই ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে প্রথম তৈরি পোশাক খাত।
এত দিন পাট চামড়া ও হিমায়িত মাছ রপ্তানি দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকত। এবারই প্রথম হোম টেক্সটাইল এই তিন খাতকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিয়েছে।
জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস এবং অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস ছাড়াও সাদ গ্রুপ, অলটেক্স, এসিএস টেক্সটাইল, জে কে গ্রুপ, ক্লাসিক্যাল হোম, ইউনিলাইন হোম টেক্সটাইল উৎপাদন করে থাকে।
হোম টেক্সটাইল আসলে কী
হোম টেক্সটাইল বলতে বোঝায় ঘরের অন্দরের শোভাবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা বস্ত্রপণ্য। এ কারণে এ ধরনের পণ্যকে হোমটেক্স বা ঘরোয়া টেক্সটাইলও বলা হয়ে থাকে।
বিছানার চাদর, বালিশ, বালিশের কাভার, টেবিল ক্লথ, পর্দা, ফ্লোর ম্যাট, কার্পেট, জিকজাক গালিচা, ফার্নিচারে ব্যবহার করা ফেব্রিকস, তোশক, পাপোশ, খাবার টেবিলের রানার, কৃত্রিম ফুল, নকশিকাঁথা, খেলনা, কম্বলের বিকল্প কমফোর্টার, বাথরুম টাওয়েল, রান্নাঘর ও গৃহসজ্জায় ব্যবহার হয় এমন সব ধরনের পণ্য এ খাতের আওতাভুক্ত।
এ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল তুলা, পাট, শন, রেশম, ভেড়া-ছাগলের পশম, অন্যান্য পশম। এ ছাড়া সম্প্রতি কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহারেও হোম টেক্সটাইল উৎপাদন হচ্ছে দেশে।
পাকিস্তান ও চীনের বাজার যেভাবে দখল করছে বাংলাদেশ
তৈরি পোশাকের মতো হোম টেক্সটাইলেরও প্রধান গন্তব্য ইউরোপ-আমেরিকা। রপ্তানিকারকরা বলছেন, এই দুই বাজারে এতদিন একচেটিয়া ব্যবসা করত ইসরায়েল, চীন, পাকিস্তান ও ভারত।
ইসরায়েল মূলত খুব দামি পণ্য রপ্তানি করে। পাকিস্তান, চীন ও ভারত দামি-মাঝারি দুই ধরনের পণ্যই রপ্তানি করে। আর বাংলাদেশ করে দামি-মাঝারি ও কম দামি সব ধরনের পণ্য রপ্তানি।
জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ জাবের বলেন, ‘আমাদের পণ্যের প্রতি বায়ারদের আস্থা বেড়েছে। আমরা এখন সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে পারছি। ক্রেতাদের পছন্দের পণ্যটি উৎপাদন করে দিচ্ছি। বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। হরতাল-অবরোধ নেই।
‘সব মিলিয়ে আমাদের ভাবমূর্তি আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানে অস্থিরতা লেগেই আছে। ক্রেতারা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, তারাই বাংলাদেশে আসছেন।’
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণেও চীনের অনেক ক্রেতা বাংলাদেশে আসছেন বলে জানান জাবের।
‘ইউরোপ-আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ওই সব দেশে বিছানার চাদর, বালিশ, বালিশের কাভার, টেবিল ক্লথ, পর্দাসহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে। তারা তো এসব পণ্য একবারের বেশি ব্যবহার করে না। এতে চাহিদা বেড়েছে।’
প্রধান বাজার বড় ব্র্যান্ড
বৈশ্বিক হোম টেক্সটাইলের প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকা। মোটের ৬০ শতাংশ ব্যবহার হয় দুই মহাদেশের দেশগুলোতে।
বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইলের ৮০ শতাংশ যায় এ দুই বাজারে। বিশ্বখ্যাত ক্যারফোর, ওয়ালমার্ট, আইকিয়া, আলদি, এইচঅ্যান্ডএম, মরিস ফিলিপস, হ্যামার মতো বড় ব্র্যান্ড এখন বাংলাদেশের হোম টেক্সের বড় ক্রেতা। অন্যান্য খুচরা ক্রেতার সংখ্যাও কম নয় বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।
রপ্তানি খাতের অন্যান্য পণ্যের মতো যুক্তরাষ্ট্র বাদে সব বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাচ্ছে হোম টেক্সটাইল।
১০ বছরের রপ্তানির চিত্র
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে ৭৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয়ের অঙ্ক ছিল একটিু বেশি ৮৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার।
২০১৭-১৮, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এসেছিল যথাক্রমে ৮৭ কোটি ৮৬ লাখ, ৭৯ কোটি ৯১ লাখ ও ৭৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
আগের তিন বছর ২০১২-১৩, ২০১১-১২ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে এই খাত থেকে বাংলাদেশ ৭৯ কোটি ১৫ লাখ, ৯০ কোটি ৬০ লাখ এবং ৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এনেছিল।
সবাই ব্যস্ত পোশাক খাত নিয়ে
দুঃখ করে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমাদের প্রতি কারও নজর নেই। না সরকার, না মিডিয়া। সবাই ব্যস্ত পোশাক খাত নিয়ে। সবকিছু ওদের জন্য। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে লাখ লাখ কোটি টাকার যে প্রণোদনা দেয়া হলো, তার কিছুই পাইনি আমরা।
‘আমরা যেন কেউ নই; কিছুই করছি না দেশের জন্য। অথচ সরকার যদি আমাদের দিকে একটু তাকাত, তাহলে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এসে দিতে পারতাম আমরা।’
গ্যাসের দাম না বাড়ানোর অনুরোধ করে আবদুল্লাহ জাবের বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি বাড়ছে ঠিক, কিন্তু কাঁচামালের (তুলা ও কেমিক্যাল) দাম কিন্তু বেড়েছে। সে তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
‘এ অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ালে উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যাবে। তখন আমরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারব না।’
আরও পড়ুন:ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ৬৮ কোটি ডলারের বেশি কিনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ মঙ্গলবার ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ৪৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকেই ডলার কিনছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ডলার কেনা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এক ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কেনে। ১৩ জুলাই ১৮ ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়। এরপর ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া- দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অভিজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগের মাধ্যমে একটি ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করা এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।
তিনি বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতায় বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও দেশে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি, বিনিয়োগ ও মেধাস্বত্ত্ববিষয়ক বিরোধ ক্রমাগত বাড়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থার আলোকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতি আনতে একটি আলাদা কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপন এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ব্যবসায় বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তি প্রয়োগ কার্যক্রমের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ও ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, জনবহুল এদেশে আদালতে মামলার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টিকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে। যার ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে আরবিট্রেশন আইন করা হলেও, বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যায়নি। বাণিজ্য বিষয়ক বিরোধসমূহ যদি প্রথাগত আদলতের বাইরে গিয়ে মেটানো যায়, তাহলে একদিকে যেমন আদলতের উপর চাপ কমবে, সেই সঙ্গে বাণিজ্যের পরিবেশেরও উন্নয়ন হবে।
তিনি আরও বলেন, কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এটার খসড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বাণিজ্যবিষয়ক আদালতসমূহে বিশেষজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংষ্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় সংস্কারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউ নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এ ধরনের সংস্কার দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম খান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শুধু যে এফডিআই আকর্ষন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়। বরং বিষয়টি আমাদের রপ্তানি সম্প্রসারণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং সার্বিকভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিকট ব্যবসায়িক চুক্তির প্রয়োগের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, যেখানে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আরিফুল হক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর উপ আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দা রত্নে, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এ এম মাজেদুর রহমান, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রাজাহ অ্যান্ড থান-এর কো-হেড ভিকনা রাজা, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের স্পেশাল অফিসার বিচারপতি তারেক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড এসোসিয়েটস-এর পার্টনার ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন অংশগ্রহণ করেন।
মুক্ত আলোনায় ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সরকারের আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের বেশ অভাব রয়েছে এবং এ অবস্থার উন্নয়ন না হলে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। বাণিজ্যিক বিরোধগুলো সমাধানে আদালতে না গিয়ে, আরবিট্রেশন সেন্টারের মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতের স্টেকহোল্ডাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে ৩ টাকা। নতুন মূল্য অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৭০ টাকা, যা গত মাসে ছিল ১ হাজার ২৭৩ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন। নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে ।
এছাড়া, গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও লিটারে ১৩ পয়সা কমিয়ে ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি খাতে ভ্যাটসহ প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০৫ টাকা ৮৭ পয়সা। সেখান থেকে বিভিন্ন ওজনের সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারিত হবে।
তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহকৃত সাড়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সৌদি আরামকোর প্রপেন ও বিউটেনের আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এ দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এই মূল্য নির্ধারণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে টমেটো আমদানি শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামের বড় বাজারের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভারত থেকে টমেটো বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে টমেটো আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন ২৮ টন টমেটো আমদানি করা হয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো আমদানি করতে শুল্কসহ খরচ গুণতে হচ্ছে ৬১ টাকা।
আমদানিকারক এনামুল হক বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করা হচ্ছে। বন্দরে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা থাকলে আরও বেশি পরিমাণ টমেটো আমদানি করা হবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার হিলি বন্দর দিয়ে এক ট্রাকে ২৮ টন টমেটো আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব টমেটো ৫০০ ডলারে শুল্কায়ণ করা হচ্ছে। যেহেতু টমেটো কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের তথ্যমতে, গত ২০২২ সালের ৬ আগস্ট সবশেষ এই বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি করা হয়েছিল।
বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজতে থাকায় মঙ্গলবার প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ ডলারের উপরে পৌঁছেছে।
এশিয়ায় প্রাথমিক লেনদেনের সময় মূল্যবান ধাতুটি প্রতি আউন্স ৩,৫০১ দশমিক ৫৯ ডলারে পৌঁছেছে, যা এপ্রিলে এর আগের রেকর্ড ৩,৫০০ দশমিক ১০ ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে।
হংকং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বিনিয়োগকারীরা দুর্বল মার্কিন ডলার ও ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নেওয়ায় সোনার দামের এই দরপতন ঘটেছে।
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির একটি মূল্য সূচক দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট রেকর্ড সর্বোচ্চ থেকে পিছিয়ে এসেছে। একই সময়ে, ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
শ্রম দিবসের জন্য সোমবার ওয়াল স্ট্রিট বন্ধ ছিল, তখন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ডলার মিশ্র লেনদেন করেছে।
বন্ধকী জালিয়াতির অভিযোগে ফেডের গভর্নরকে তিরস্কার করার পর ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক পদত্যাগ না করলে, তিনি তাকে বরখাস্ত করবেন।
মার্কিন আপিল আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক শুল্ক, যা বিশ্ব বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সেগুলো অবৈধ বলে রায় দেওয়ার পরও এই রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে।
তবে আদালত আপাতত এই ব্যবস্থাগুলো বহাল রাখার অনুমতি দেওয়ায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করার জন্য সময় পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কমিউনিটি ব্যাংকের স্টার্টআপ রিফাইন্যান্স স্কিমের অধীনে অংশীদারত্বমূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখার উপস্থিতিতে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এসএমইএসপিডি বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত পারস্পরিক অংশীদারত্বমূলক এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে- বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক হাফিয়া তাজরিয়ান, যুগ্ম পরিচালক মো. নুরুল কাওসার সাঈফ এবং কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম, হেড অব এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার শরিফ হাসান মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে দেশের রপ্তানি আয় ১০.৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আজ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয় ছিল ৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
তবে, সামগ্রিক এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পরও ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
২০২৫ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের আগস্টে অর্জিত ৪ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে সামান্য কম।
স্বাভাবিকভাবেই তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্তব্য