ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে অনিয়ম-অপরাধে দোষীদের এক লাখ দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত খিলক্ষেত, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারে এসব অভিযান চালায়। অভিযানে খাবারের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিত্যপণ্যের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা করে।
কারওয়ান বাজার এলাকায় উচ্ছেদ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন ধারায় ১০টি মামলায় ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।
রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকার অভিযানে প্রায় ৩৭টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেশি রাখা, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য রাখায় দুটি হোটেলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জনসাধারণকে সতর্ক করাসহ প্রায় ১০০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী।
এ ছাড়া মিরপুর মডেল থানা এলাকায় ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে হোটেল, রেস্তোরাঁয় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪টি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এখানে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।
রাজধানীর নতুন বাজার, ভাটার এলাকার অভিযানে রাস্তার উপরে থাকা ১০টি ফলের দোকান অপসারণ করাসহ বাজার মনিটরিং করে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এখানে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী জিয়াউল বাসেত।
এ ছাড়া খিলক্ষেত উত্তর নামাপাড়া এলাকায় ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তা দখলমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ ও মানিলন্ডারিং মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন ব্যাংক কর্মকর্তা।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বুধবার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, সিটি ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ খান ও রেবেকা সুলতানা সাক্ষ্য দেন।
তাদের সাক্ষ্য শেষে আগামী ৩১ আগস্ট নতুন তারিখ দিয়েছে আদালত।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৩৯ জনের মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নিল আদালত।
বুধবার আদালতে সেলিম প্রধানের সঙ্গে তার রুশ স্ত্রী আনা প্রধান দেখা করেন।
সেলিম প্রধানের পক্ষে তার আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম জামিন আবেদন করলে ৩১ আগস্ট জামিন শুনানির তারিখ দেন বিচারক।
৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে সেলিমকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছিল।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর মাধ্যমে সেলিম ৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। অর্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাচার করেছেন থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে।
সেলিম জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপার্সের চেয়ারম্যান। এই কোম্পানিতে তার ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৬৯ হাজার শেয়ারের বিপরীতে এখানে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে ৬৯ লাখ টাকা।
তবে সেলিমের নামে শেয়ার মানি ডিপোজিট পাওয়া গেছে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫০ টাকা। এ টাকা তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ। প্রিন্টিং পেপার্স কোম্পানি ২০১০ সালে মুনাফা করে ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৩ টাকা।
প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে মুনাফা করে এক কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৭২ টাকা। এখান থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরে আট কোটি টাকা ঋণ নেন বলে সেলিম তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে উল্লেখ করেছেন।
তবে এই কোম্পানি থেকে কীভাবে ঋণ গ্রহণ করেছেন, তিনি এ-সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পে ফ্লাইওভারের বক্স গার্ডার চাপায় নিহত পাঁচজনের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
জনগণের নিরাপত্তায় বিগত ৫ বছর ধরে বিআরটি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাও ৬০ দিনে মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
আদেশের পরে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল ও ডাইরেকশন দিয়েছেন।
‘রুলে নিহতদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। পাশাপাশি বিআরটি প্রজেক্ট গত পাঁচ বছরে জনগণের নিরাপত্তার জন্য কী কী করেছে তা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে।’
সড়ক ও জনপথ সচিব, বিআরটি এর চেয়ারম্যানসহ ৫জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার বিকেলে উত্তরার জসিম উদ্দীন মোড়ে বিআরটি প্রকল্পের একটি বক্স গার্ডার ক্রেনে করে গাড়িতে তোলার সময় সেটি পিছলে পড়ে যায় চলন্ত একটি প্রাইভেট কারে। এই ঘটনায় পাঁচ জনের প্রাণহানি হয় ঘটনাস্থলেই। গাড়িতে থাকা নব দম্পতি বেঁচে যান কেবল।
এই দুর্ঘটনায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অবহেলার বিষয়টি প্রকাশ পায়। এত ভারী একটি বস্তু সমানোর সময় সেখানে নিরাপত্তমূলক যেসব পদক্ষেপ নিতে হতো, তার কিছুই করা হয়নি। সেখানে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়নি, যেটি করলে এই প্রাণহানি এড়ানো যেত।
যে গাড়িতে বক্স গার্ডারটি তোলা হচ্ছিল, তার একেবারে পাশ ঘেঁষে স্বাভাবিকভাবেই চলছিল সড়কের অন্যান্য গাড়ি। তাদেরকে সাবধান করার কোনো উদ্যোগও নেয়া হয়নি।
এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায় খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন সচিব। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত গোটা প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খান জনস্বার্থে বুধবার সকালে রিট করেন।
আরও পড়ুন:স্লিভলেস টপ পরা এক তরুণীকে নরসিংদী রেলস্টেশনে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার মার্জিয়া আক্তার শিলাকে জামিন দেয়ার সময় হাইকোর্টের মন্তব্য নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
মার্জিয়ার আইনজীবী মো. কামাল হোসেনের বরাতে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শুনানির সময় আদালত দেশের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে তরুণীর পোশাক সঙ্গতিপূর্ণ কিনা- সেই প্রশ্ন তুলেছে। ওই তরুণী যে পোশাক পরেছিলেন সেটি দেশের সবচেয়ে ‘ফাস্ট এরিয়া’ গুলশান-বনানীতেও কোনো মেয়ে পরে রাস্তায় বের হন না।
বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার এ শুনানির পর মার্জিয়া ছয় মাসের জামিন পান।
ঘটনার পরদিন বুধবার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার বিষয়টি হাইকোর্টের একই বেঞ্চের নজরে এনেছেন মার্জিয়ার আইনজীবী কামাল হোসেন। আদালতের কাছে কামাল হোসেনের আর্জি ছিল, ‘ফেসবুকে বাজে মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।’
আদালত ফেসবুকে মন্তব্যকারীদের বিষয়ে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে স্ক্রিনশট জমা দিতে বলেছে।
পাশাপাশি হাইকোর্ট বেঞ্চটির জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, ‘আমরা তো আদেশে পোশাক নিয়ে কিছুই লিখেনি, আমরা ভিডিও দেখে আইনজীবীদের কাছে শুধু জানতে চেয়েছি।
‘ভিডিও দেখে রাষ্ট্রের কাছে জানতে চেয়েছি, এমন ড্রেস পরে এমন গ্রাম এলাকায় যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কিনা।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. কামাল হোসেনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মাদ আবুল হাশেমও ফেসবুকের একটি স্ক্রিনশট উপস্থাপন করেন। তিনি মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন।
আইনজীবী কামাল হোসেন পরে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত শুনানিকালে যেসব প্রশ্ন করেছেন, মন্তব্য করেছেন, সেটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আদালত সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদালত অবমাননা করা হয়েছে।
‘তাদের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশকে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে আদালতের নজরে আনি। আদালত আরও সুনির্দিষ্ট করে বিষয়গুলো নিয়ে যেতে বলেছেন।’
আইনজীবী কামাল হোসেন দাবি করছেন, তার মঙ্গলবারের বক্তব্য সঠিক। তরুণী যে পোশাক পরেছিলেন সেটি কোনো সভ্য দেশের পোশাক হতে পারে কিনা- সেই প্রশ্ন আদালত তুলেছে। তবে কামাল হোসাইনের মতে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করার সুযোগ নেই।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল আমি আদালতের যে বক্তব্য গণমাধ্যমে বলেছি, তা তো বলেছি। কিন্তু এটি নিয়ে আদালতকে হেয় করে ফেসবুকে মন্তব্য করা ঠিক নয়। আদালতের আদেশ কারও বিরুদ্ধে গেলে তিনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। তার মানে এই নয় যে, আদালতকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন।’
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী মৈত্রী বাসের চাকা পাংচার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের ওপর উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এতে তিনজন গুরুতর আহত আর ৭ জন কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থীর। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় যাত্রাবাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
বাসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী শিশির চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাদের মৈত্রী বাসটি নারায়ণগঞ্জ থেকে যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। বাস যখন যাত্রাবাড়ীতে তখন এটির সামনের একটা চাকা পাংচার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের ওপরে উঠে যায়। এই ঘটনায় দুই-চারজন গুরুতর আহত আর ৭ জন সামান্য আঘাত পেয়েছে।’
শিশির বলেন, ‘আমাদের যিনি ড্রাইভার ওনার হাত হয়তো ভেঙে গেছে। শিক্ষার্থীরা তাকে এক্স-রে করানোর জন্য ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেছে।’
শিশির দাস বলেন, ‘আমাদের ড্রাইভার চাকা চেঞ্জ করে দেয়ার জন্য পরিবহন অফিসে তিনবার আবেদন করেছেন। কিন্তু এটা গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যেখানে অ্যাকসিডেন্ট হইছে, সেখানে মাওয়ার ইলিশ বাসের কাউন্টার। তারা বলেছে, এই চাকাটা তিন থেকে চার বছর আগে ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। চাকাটার খাঁচ ক্ষয় হয়ে গেছে, ক্রিজ ছিল না। এ জন্যই অ্যাকসিডেন্টটা ঘটেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ম্যানেজার কামরুল হাসান বলেন, ‘ড্রাইভার আমার কাছে চাকার জন্য আবেদন করেছেন। এটি যাচাই-বাছাই করার জন্য একটু সময় লাগে। গত রোববার তার জন্য চাকাটা অ্যাপ্রুভ হয়েছে। কিন্তু এখনও চাকা লাগানো হয়নি। টেকনিক্যালে যারা আছেন তারা চাকা লাগানোর কাজ করেন।’
কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের পরিবহনে কখনো এই ঘটনা ঘটেনি। আজকে দুর্ভাগ্যক্রমে এই ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় বক্স গার্ডার দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের জন্য এক কোটি করে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খান বুধবার জনস্বার্থে রিটটি করেন।
রিটকারী আইনজীবী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উত্তরায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যেকের জন্য ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশনা চেয়েছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজের শুরু থেকে কতটা নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারা দেশে যেখানে এ ধরনের নির্মাণকাজ হচ্ছে, তাতে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, সেটি জানাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।’
রিটে সড়ক ও জনপথ সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। আদালত শুনানির জন্য দুপুর ২টায় সময় ঠিক করে দেয়।
গত সোমবার বিকেলে উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের বক্স গার্ডার ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন।
গাড়িটি থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ছয় বছর বয়সী শিশু জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়ার।
জামালপুরে মঙ্গলবার রাতে নিহত চারজনের দাফন হয়েছে। আর বুধবার সকালে মেহেরপুর সদরের রাজনগর গ্রামে দাফন হয় রুবেলের।
ওই ঘটনায় গত সোমবার রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরনা বেগমের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
মামলায় ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধীদের রাজপথে একের পর এক কর্মসূচির মধ্যে এবার মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আগস্টে শোকের কর্মসূচি ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি সচরাচর পালন না করলেও একই দিনে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়নে জমায়েত করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। উপলক্ষ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে বোমা হামলার প্রতিবাদ।
বুধবার সারা দেশে এই বিক্ষোভে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ফাইল ছবি
কেন্দ্রীয়ভাবে বিকেল ৪টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের করবে দলটি। মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেস ক্লাব ও জিরোপয়েন্ট হয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে সেটি।
এতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেবেন।
আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচি দৃশ্যত রাজপথে সংগঠনকে সক্রিয় করার পদক্ষেপ।
লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে বিএনপি ও সমমনারা যখন একের পর এক বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে, সে সময় নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে নামার তাগিদ দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত ১১ আগস্ট এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এই কর্মসূচি নিয়ে বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। আমরা রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছি। তারা যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আমরা রাজপথ ভুলে গেছি। আমরাও আছি, অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন।’
বিকেল ৩টা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরও অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।’
দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, এই বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যত মাঠে শক্তি প্রদর্শনের জন্য নামছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা গরম বক্তব্য দিচ্ছেন, হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন। একাধিক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথেও নেমেছে। পাশপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও রাজপথে সরকারবিরোধী কর্মসূচি পালন করছে। আওয়ামী লীগ এসবের জবাব দিতে চায়।’
কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ নিউজ বাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছর আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি পালন করে থাকে। তবে এবার এ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করার জন্য সাংগঠনিক ইউনিটগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের মশাল মিছিল। ফাইল ছবি
‘দল থেকে দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শোকের মাসে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে না। কিন্তু অনেকের হুমকি-ধমকি অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। তাই আমরা আগস্ট শেষে রাজপথে নামব। আর আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি গুরুত্ব দিয়ে পালনের জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৭তম বছর আজ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে বোমা হামলা চালায়।
মুন্সীগঞ্জ ছাড়া সব জেলায় প্রায় পাঁচ শ পয়েন্টে বোমা হামলায় দুজন নিহত ও অন্তত ১০৪ জন আহত হন।
পুলিশ সদর দপ্তর ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার পরপরই সারা দেশে ১৫৯টি মামলা করা হয়।
এর মধ্যে ডিএমপিতে ১৮টি, সিএমপিতে ৮টি, আরএমপিতে ৪টি, কেএমপিতে ৩টি, বিএমপিতে ১২টি, এসএমপিতে ১০টি, ঢাকা রেঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৭টি, খুলনা রেঞ্জে ২৩টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি, সিলেট রেঞ্জে ১৬টি, রংপুর রেঞ্জে ৮টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৬টি ও রেলওয়ে রেঞ্জে ৩টি।
সংবাদ সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
এসব মামলার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয় ১৪২টি মামলায়। বাকি ১৭টি মামলায় ঘটনার সত্যতা থাকলেও আসামি শনাক্ত করতে না পারায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি।
এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ১৩০ জন। গ্রেপ্তার করা হয় ৯৬১ জনকে। ১ হাজার ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৫৯টি মামলার মধ্যে ৯৪টির বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। এখন ৫৫টি মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে আসামির সংখ্যা হচ্ছে ৩৮৬ জন।
এই সিরিজ বোমা হামলার রায় দেয়া মামলাগুলোর ৩৪৯ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। এর মধ্যে ৮ জনের ফাঁসি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
এসব মামলায় খালাস পেয়েছে ৩৫৮ জন, আর জামিনে রয়েছে ১৩৩ জন আসামি। এ ছাড়া ঢাকায় বিচারাধীন ৫টি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণের শেষপর্যায়ে রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার জন্য ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ছয় জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, চিন্তাবিদ আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাউদ্দিনকে ফাঁসি দেয়া হয়।
বিএনপি জামায়াতের শাসন আমলে (২০০১ থেকে ২০০৬) সরকারি এমপি-মন্ত্রীদের সরাসরি মদদে সারা দেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করে জঙ্গিরা।
২০০৫ সালের পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ধারাবাহিক বোমা হামলায় বিচারক ও আইনজীবীসহ ৩০ জন নিহত হন। আহত হন ৪ শতাধিক।
ওই বছরের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের আদালতে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত এবং বিচারকসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
এর কয়েক দিন পর সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিপ্লব গোস্বামীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় তিনি এবং তার গাড়িচালক আহত হন।
১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে বিচারক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। এতে নিহত হন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের বিচারক জগন্নাথ পাড়ে এবং সোহেল আহম্মদ। এই হামলায় আহত হন অনেক মানুষ।
সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে ২৯ নভেম্বর গাজীপুর বার সমিতির লাইব্রেরি এবং চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে। গাজীপুর বার লাইব্রেরিতে আইনজীবীর পোশাকে প্রবেশ করে আত্মঘাতী এক জঙ্গি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই হামলায় আইনজীবীসহ ১০ জন নিহত হন। আত্মঘাতী হামলাকারী জঙ্গিও নিহত হয় ।
একই দিন চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে জেএমবির আত্মঘাতী জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে রাজিব বড়ুয়া নামের এক পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন পথচারী নিহত হন। পুলিশসহ প্রায় অর্ধশত আহত হন ।
১ ডিসেম্বর গাজীপুর ডিসি অফিসের গেটে আবারও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে নিহত হন গাজীপুরের কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেম। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।
৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নেত্রকোনা শহরের বড় পুকুরপার উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। সেখানে স্থানীয় উদীচীর দুই নেতাসহ ৮ জন নিহত হন। শতাধিক আহত হন ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য