বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে দেশটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে দুটি সেশনে আমেরিকান উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান, আমেরিকান চেম্বারের নির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা সজিব রায়হান, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্সের ফিন্যানশিয়াল ইনস্টিটিউশনস স্ট্যান্ডিং কমিটির কনভেনর রাহাত আহমেদ।
আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী আরও টেকসই এবং চিরবিকাশমান বন্ধুত্ব তৈরি করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশে উপযুক্ত পরিবেশ আছে নিশ্চিত করে আমেরিকার উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
১৯৭৪ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র আইসিটি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো অন্যান্য খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশে তার বিনিয়োগকে বৈচিত্র্যমুখী করবে।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে সহজতর করার জন্য একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। তিনি বলেন, আমেরিকার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছেন। বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক যে পরিবেশ নিশ্চিত করেছে, তার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, যুক্তরাজ্যের পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশে এখন পর্যন্ত দেশটির বিনিয়োগ প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লাখনি এবং সার প্রকল্পে বিনিয়োগের অপেক্ষায় আছে আরও প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈঠকে ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সিদ্ধান্ত মেহরা, এসভিপির জেনারেল কাউন্সেল অ্যান্ড করপোরেট সেক্রেটারি ডেভিড রিংহোফার, আমেরিকান টাওয়ার করপোরেশনের সিনিয়র ডিরেক্টর সঞ্জয় আগারাওয়ালসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সোমবার বিকেলে বাজার তদারকি করা হবে।
দেশজুড়ে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ডিম, ব্রয়লার মুরগি, সবজি,আলু, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মাননীয় বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আজ ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ বিকাল ৫টায় ঢাকা মহানগরের কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
‘উক্ত বাজার তদারকি কার্যক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মো. আলীম আক্তার খানসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকবেন।’
ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ডিম আমদানি সত্ত্বেও বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব নেই। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে দেশের বাজারে ডিমের দাম কমছে না।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমগুলো সাদা রঙের এবং এসব ডিম সাধারণত কিনে থাকেন বেকারি ব্যবসায়ীরা। সাধারণ ভোক্তারা বাদামি রঙের ডিম বেশি পছন্দ করেন। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকার উপরে।
আমদানি করা পণ্য সাধারণত পাইকারি বাজারে দাম কমাতে প্রভাব রাখে। তবে এবার ডিমের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
রোববার যশোরের বেনাপোল ও নাভারণ বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকাররা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ১৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। ভারত থেকে ডিম আমদানি হলেও পাইকারি বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
সাদা ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাদা ডিমের দাম কিছুটা কম থাকায় বেকারিতে এর চাহিদা একটু বেশি থাকে। অন্যদিকে সাধারণ ভোক্তার কাছে বাদামি রঙের ডিমের চাহিদা একটু বেশি। তাই সাদা ডিম আমদানি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম কমছে না।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিনয় কৃষ্ণ জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সাদা ডিমের দাম কম থাকায় বেকারিতে এর চাহিদা বেশি। কিন্তু দেশে বাদামি ডিমের চাহিদা বেশি। বাদামি ডিমের ওজন ৬০ থেকে ৬৫ গ্রাম হয়ে থাকে, আর সাদা ডিমের ওজন হয় ৫০ থেকে ৫৫ গ্রাম। ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের বিক্রয় যথাযথভাবে না হলে পরবর্তী সময়ে আমদানিতে আগ্রহ কমতে পারে।
বেনাপোল ডিম ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ডিমের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এবং চাহিদাও ভালো। তবে বাড়তি দরে ডিম কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়ছে।
শার্শার নাভারণ এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘ভারত থেকে ডিম আমদানি করে লাভ কী? খুচরা দোকানগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বাদামি রঙের ডিম ১৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।’
বেনাপোলের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, ‘সিন্ডিকেট ডিমের দাম নির্ধারণ করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ডিমের বাজার চড়া। এসএমএসের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চক্র এর দর নির্ধারণ করে, যাতে নজর দেয়া প্রয়োজন।
‘ব্যবসায়ীদের ডিম কেনা ও বিক্রিমূল্য খতিয়ে দেখতে হবে এবং পাইকারি ও খুচরা বাজারে সমানতালে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ডিমসহ সব কিছুর দাম অনেক বেশি।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াছমিন জানান, তারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, মূল্য তালিকা, বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডিমের দামে কোনো কারসাজি হচ্ছে কিনা তাও যাচাই করা হবে।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের মুক্তি চেয়ে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তাঁর প্রতিষ্ঠান নাসা গ্রুপের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আবেদন জানানো হয়।
নাসা গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবেদনটি নিম্নরূপ:
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের প্রতি আকুল আবেদন
জনাব,
আস্সালামু-আলাইকুম।
গত ০১ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখ দিবাগত রাতে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, পিতা. মৃত আনা মিয়া মজুমদার, মাতা. মৃত মাফিয়া খাতুনকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলা নং ২৮ (৮)২৪-এ গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী দিন অর্থাৎ ০২ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে ৭ দিনের জন্য রিমান্ড দিয়ে ডিবি হেফাজতে প্রেরণ করা হয়। রিমান্ড শেষে তাঁর জামিনের আবেদন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। একজন ৭০ বৎসর বয়স্ক ব্যক্তি ও দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী যিনি ক্যান্সার, থাইরয়েড, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত। ইতোপূর্বে একাধিকবার বিদেশে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং মেডিকেল চেকআপের তারিখ ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তার শারীরিক পরীক্ষা ও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, তিনি কখনোই কোনো ধরনের রাজনৈতিক দলের সামান্য সদস্যপদও গ্রহণ করেন নাই। এবং কোনো রাজনৈতিক দলের হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই ।
জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে নাসা গ্রুপের জন্ম ও বিস্তৃতি লাভ করে এবং দেশে ও বিদেশে সুনাম-সুখ্যাতিসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে যাচ্ছে। তাঁর নিরলস এবং অনেকটাই একক পরিশ্রমের ফলে আজ কোম্পানিতে প্রত্যক্ষভাবে ৩০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ লোকের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।
এমতাবস্থায়, জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে মিথ্যা, হয়রানিমূলক সাজানো মামলায় আসামি করে কারাগারে আটকে রেখে তাঁর জীবন হুমকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সেই সাথে নাসা গ্রুপে যুক্ত বিপুল শ্রমিক-কর্মচারীর জীবন-জীবিকা হুমকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বিপুলভাবে অবদানকারী একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ীকে কারাগারে রেখে তাঁর সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ও তদারকি ছাড়া প্রতিষ্ঠানসমূহ কোনোভাবেই পরিচালনা করা সম্ভবপর নয়। তাঁর বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং দেশের শিল্প তথা ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে এই সাজানো মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি এবং আর যাতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো মিথ্যা ও সাজানো মামলা না দেওয়া হয় তার জন্য মহোদয়ের নিকট সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত অনুরোধে
নাসা গ্রুপের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী
আরও পড়ুন:২২তম ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডসে ‘বেস্ট বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন আকিজ বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন।
তার নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক উদ্ভাবন এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
সেখ বশির উদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত ‘আকিজ বশির গ্রুপ’ বর্তমানে বহুমুখী গ্রুপ হিসেবে ১৮টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে সিরামিকস, টেবিলওয়্যার, বাথওয়্যার, পাট, পার্টিক্যাল বোর্ডস, ডোরস, প্যাকেজিং, গ্লাস ও অন্যান্য।
প্রতিষ্ঠানটি তিনটি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ২৫টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। একই সঙ্গে ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
দেশের অর্থনীতি ও সমাজে বিশেষ অবদান রাখা অগ্রগামী ব্যবসায়ীদের সম্মান জানায় ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস।
এ বছর যে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হলো বিজনেস পারসন অফ দ্য ইয়ার, আউটস্ট্যান্ডিং উইমেন ইন বিজনেস, এন্টারপ্রাইজ অফ দ্য ইয়ার এবং বেস্ট ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অফ দ্য ইয়ার।
আরও পড়ুন:সারাদেশে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ শুরু করছে গ্লোবাল ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক।
সিজন-২১ এ ক্রেতাদের জন্য ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার ঘোষণা করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শো-রুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।
বুধবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। তিনি দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের ২১তম সিজনের উদ্বোধন করেন।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অফ সেলস মো. ফিরোজ আলম, ওয়ালটনের স্ট্র্র্যাটেজিক বিজনেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আরিফুল আম্বিয়া, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিবিও তাহসিনুল হক, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মোস্তফা কামাল, ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর তানভীর আঞ্জুম ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, টিভির ডেপুটি সিবিও হাবিব ইফতেখার আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
দেশের তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সত্ত্বেও গত সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২০ মিলিয়ন ডলার বেশি।
বুধবার সচিবালয়ে রপ্তানি আয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এনবিআর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের মতে রিয়েল টাইম শিপমেন্টের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তথ্য প্রস্তুত করেছি। এখন থেকে আমরা প্রতি মাসের রপ্তানি আয়ের বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরব।’
ইপিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে চিনি আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে বাংলাদেশি মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে শিশু খাদ্যসহ কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে চিনির বাজারদর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০% থেকে কমিয়ে ১৫% নির্ধারণ করেছে।
‘রেগুলেটরি ডিউটি ১৫% হ্রাসের মাধ্যমে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১১.১৮ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১৪.২৬ টাকা কমানো হয়েছে। এতে চিনির কেজিপ্রতি মূল্য কমপক্ষে শুল্ক হ্রাসের সমপরিমাণ কমে আসবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে। তা ছাড়া উক্ত শুল্ক কর হ্রাসকরণের ফলে অবৈধ পথে চিনির চোরাচালান নিরুৎসাহিত হবে এবং বৈধ উপায়ে আমদানি বাড়বে বিধায় শুল্ক কর আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে।’
মন্তব্য