পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিমার্ণকাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) বিরুদ্ধে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, যে জমিতে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সেটিকে ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের বলে দাবি করা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আবু সালেহ আহমেদ।
উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ডাহুক নদীর কাছে মহাসড়কের পাশেই ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি। সেখানে মঙ্গলবার দুপুরে ঘরের নির্মাণকাজের উদ্বোধন ছিল। ইউএনও, চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সে সময়।
বুড়াবুড়ির চেয়ারম্যান তারেক হোসেন জানান, উদ্বোধনের পর শ্রমিকরা কাজ শুরু করলে ১৮ বিজিবির কর্মকর্তা মেজর আবু সালেহসহ অন্য সদস্যরা গিয়ে তা বন্ধ করে দেন।
তেঁতুলিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে উপজেলার ৪৫০ জন ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি খুঁজে বের করে সেখানে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ওই জমিটিও সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জমি। সেখানে ৩৫ জন ভুমিহীন মানুষের জন্য ঘর নির্মাণে (মঙ্গলবার) সকাল থেকে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে, কিন্তু উদ্বোধনের কিছুক্ষণ পর বিজিবির পক্ষ থেকে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আবু সালেহ আহমেদ জমিটি বিজিবি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের কেনা সম্পত্তি বলে দাবি করেন।’
বুড়াবুড়ির চেয়ারম্যান তারেক বলেন, ‘বিজিবি কেন আপত্তি জানাচ্ছে তা আমাদের মাথায় আসে না। আমরা খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করছি। এর আগেও এখানে ৬ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের জমি রয়েছে, তবে আলাদা। এখন তারা কাজ স্থগিত করে সমন্বয়ের কথা বলছে। এই বিষয়টি তাদের আগে জানানোর দরকার ছিল।’
ইউএনও বলেন, ‘বিজিবি বা বিজিবি ওয়েফেয়ার ট্রাস্টের নামে সরকারি খাস জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। তারা সরকারি খাস জমি দখল করে রেখেছে। প্রকৃতপক্ষে সরকারি খাস জমিতে আমরা ঘর নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করেছি।
‘সরকারি ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে সরকারি কোনো সংস্থার বাধা আমরা প্রত্যাশা করিনি। বিজিবির আপত্তির কারণে আপাতত কাজটি স্থগিত রাখা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিজিবির সহযোগিতা কামনা করেছি। আশা করি সব জটিলতা কাটিয়ে শিগগিরই আমরা আবার কাজ শুরু করতে পারব।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের নির্মাণকাজ বন্ধের বিষয়টি জানতে চাইলে বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আবু সালেহ আহমেদ বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের ডাকিনি, সুতরাং আপনাদের সঙ্গে কথা বলার কিছু নেই, যা বলার ইউএনও বলবেন।’
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নদীর সিএনবি ঘাট এলাকা থেকে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
মৃত মাসুদ রানা রাজশাহী মহানগরের তেরখাদিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রোনিক্স বিভাগে পড়তেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে মাসুদ রানা তার দুই বন্ধুকে নিয়ে নদীর সিএনবি ঘাটে গোসল করতে নামে। রাকিব হোসেন ও আবু তালিব নামে দুই শিক্ষার্থী সাঁতার কেটে নদী থেকে উঠতে পারলেও, মাসুদ রানা উঠে না আসায় ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফরিদ উদ্দিন জানান, রাজশাহী থেকে আসা ডুবরি দলের চেষ্টায় কিছুক্ষণ আগে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
পাড়ি দেয়ার সময় পদ্মা সেতুতে গাড়ি পার্কিং, হাঁটাহাঁটি কিংবা ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না অতি উৎসাহীরা। একের পর এক কাণ্ড ঘটিয়েই চলছেন তারা।
সেতুটির নাট-বোল্ট খুলে এক যুবকের গ্রেপ্তারের পর এবার সেতুতে অবৈধভাবে পার্কিং করার অপরাধে এক প্রাইভেটকার চালককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে সোমবার দুপুরে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল কবীর।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে পাঁচ যুবক একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে পদ্মা সেতুতে ঘুরতে আসে। মাওয়া টোল প্লাজায় টোল আদায় করে সেতুতে ওঠেন তারা।
মাঝ সেতুতে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে তারা সেলফি তুলছিলেন। অবৈধভাবে পার্কিং করার দায়ে চালককে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়।’
শনিবার সেতুর নামফলক উন্মোচনের আগেই সেতুতে কী কী করা যাবে না- সে বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। যদিও সেতু উদ্বোধনের পর সে নির্দেশনা মানতে প্রবল অনীহা দেখা যায় মানুষের।
এদিন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরপর বিপুলসংখ্যক মানুষ উঠে পড়েন মূল সেতুতে। তাদের নামাতে হিমশিম খেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
ঘোষণা অনুযায়ী রোববার ভোরে সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার পরও একই চিত্র দেখা যায়। যে যার মতো করে সেতুতে হাঁটাহাঁটি করছেন; তুলছেন ছবি। কেউ আবার এক ধাপ এগিয়ে সেতুর রেলিংয়ে বসে দিচ্ছেন পোজ।
সবচকিছু ছাপিয়ে সেতুর ওপর সবচে অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম দেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামের যুবক বাইজীদ তালহা।
সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পর দিনের বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। এরই ফাঁকে আলোচিত ভিডিওটি করেন বাইজীদ।
৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক সেতুর রেলিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দুটি বল্টুর নাট খুলছেন। যিনি ভিডিও করছিলেন তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এই লুজ দেহি, লুজ নাট, আমি একটা ভিডিও করতেছি, দেহ।'
নাট হাতে নিয়ে জবাবে বাইজীদ বলেন, ‘এই হলো পদ্মা সেতু আমাদের... পদ্মা সেতু। দেখো আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু। এই নাট খুইলা এহন আমার হাতে।’
ভিডিওটি বাইজীদের টিকটক অ্যাকাউন্টে আপলোড করার পর ফেসবুকেও সেটি ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় বাইজীদকে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে রোববার সন্ধ্যার দিকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। তার বিরুদ্ধে করা হয় বিশেষ নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনে গুলি করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায় শনিবার রাতে অভিযানে পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পাবনা জেলা গোয়েন্দা অফিস থেকে সোমবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়৷ এ সময় পিন্টুর সমর্থক নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে ভিড় করেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে ঈশ্বরদী স্টেশন পার হওয়ার সময় গুলি করেন জাকারিয়া পিন্টুসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
ওই ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় হওয়া মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু।
জাকারিয়া পিন্টু ওই মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানার অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এ ছাড়া আরও আটটি মামলার পলাতক আসামি পিন্টু।
আরও পড়ুন:চার বছর আগে নাতনি তাসকিয়া আক্তারের জন্ম। বাড়িতে আসা বন্ধু-স্বজনরা তাকে দেখে খুশি হয়ে ৩০ হাজার টাকা দেয়। দেড় বছর আগে নানার হাতে সেই টাকা তুলে দেয় ছোট্ট তাসকিয়া। সে টাকায় নাতনিকে একটি ষাঁড় উপহার দেন নানা সেলিম দেওয়ান। ষাঁড়টির নাম রাখা হয় ‘নানা ভাই’।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের গরু ব্যবসায়ী ও খামারি সেলিম দেওয়ান এভাবেই জানান কোরবানির পশু নানা ভাইয়ের শুরুর দিকের গল্প।
উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশের দেড় শ গজ দূরে সেলিম ডেইরি ফার্মে প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়টি মোটাতাজা করা হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ষাঁড়ের পেছনে ব্যস্ততা কাটছে পরিবারের সদস্যদের।
খামারি সেলিম দেওয়ান জানান, তিন বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি থেকে প্রজননের মাধ্যমে ষাঁড়টির জন্ম হয়। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ষাঁড়টি মোটাতাজা করা হয়েছে। ১২০০ কেজির ওজনের ষাঁড়টি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে।
কীভাবে নেয়া হচ্ছে নানা ভাইয়ের যত্ন
সেলিম দেওয়ানের স্ত্রী হাজেরা বেগম বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে গোয়ালঘর পরিষ্কার করা হয়। খাবার খাওয়ানোর পর গোসল করানো হয় পশুটিকে। কারেন্ট না থাকলে পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। গরম বেশি পড়লে গোসল করাতে হয় কয়েকবার।’
তিনি আরও জানান, সকাল ও বিকেলে গমের ভুসি, ভুট্টা ও বিচি কলা খাওয়াতে হয়। রাতে শুধু ঘাস খাওয়ানো হয়। আগে প্রতিদিন ৫০০ টাকার খাবার লাগত। কিন্তু খাবারের দাম বাড়ায় এখন ১০০০ টাকা লাগে।
মেয়ে শিউলী বেগম বলেন, ‘বাবা তার নাতিনকে ষাঁড়টা দিছে। ঈদে ভালো বিক্রি করতে পারলে বড় করে খামার করতে পারব। আশা করছি গরুটি বিক্রি হলে আমাদের জীবন ঘুরে যাবে। দুঃখ বিদায় নেবে।’
সিঙ্গাইর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, তিন বছর বয়সী অস্ট্রিলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লম্বায় ৮ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট। ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১২০০ কেজি অর্থাৎ ৩০ মণ। দেশীয় খাদ্য এবং প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়টি মোটাতাজা করা হয়েছে।
তিনি জানান, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে উপজেলায় এবার ৯০০৯টি ষাঁড়, ৭০৮৪টি ছাগল, ১১৫টি গাভি, ২৪টি মহিষ ও ৯৩টি ভেড়াসহ মোট ১৬ হাজার ৭১৮টি পশু প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে হত্যা মামলায় দুই সহোদরসহ চারজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রায়ে খালাস দেয়া হয়েছে ১১ আসামিকে। দণ্ডিত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোরশেদ আলম।
তিনি জানান, দণ্ডিতরা হলেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের সেজনু মিয়া ও তার ভাই মিজানুর রহমান, একই গ্রামের মনছুর আলী এবং গঙ্গাবর গ্রামের জামাল ফকির। দণ্ডিতদের মধ্যে আসামি সেজনু মিয়া পলাতক।
এজাহারে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জেলার ধনবাড়ীর রামজীবনপুর গ্রামের একটি জমির দখল নেয়ার চেষ্টা করে আসামিরা। এ সময় আব্দুর রহিম বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তার ছেলে ও এলাকাবাসী রহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে মধুপুর হাসপাতালে, পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে নিয়ে যায়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রহিম মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সুলতান বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০০৫ সালের জুলাইয়ের ২৫ তারিখ এ মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন:নিষেধাজ্ঞার মুখে পদ্মা সেতু পার হতে না পারা বাইকারদের নিয়ে কুঞ্জলতা ফেরিটি নদীতে আটকা পড়েছে।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে সকাল ৯টায় মাঝিরকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফেরিটি। তীব্র স্রোত উপেক্ষা করে পাড়ি দিতে গিয়ে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ডুবোচরে আটকা পড়ে এটি।
বেলা ২টা পর্যন্ত ফেরিটি সেখানে আটকা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাট থেকে কুঞ্জলতা ফেরিটি সকালে মাঝিরকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফেরিটি মোটরসাইকেলে পরিপূর্ণ ছিল। ঘাটের অদূরে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে গেলে এটি ডুবোচরে আটকা পড়ে। এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।’
বাইকারদের নানা বিশৃঙ্খলার মধ্যে রোববার রাতে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
ওই ঘোষণার পরও সোমবার সকাল ৭টার দিকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে মাওয়া প্রান্তে ভিড় জমান অনেক মোটরসাইকেলচালক। তারা সেতু পার হওয়ার জন্য জোর দাবি জানাতে থাকেন, তবে টোল প্লাজায় দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধায় সেতু পার হতে পারেননি তারা।
টোল প্লাজায় দায়িত্বরতরা শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দিগামী বাইকচালকদের মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যেতে বলেন। তাদের কথামতো শিমুলিয়ায় গিয়ে কুঞ্জলতা ফেরিতে করে গন্তব্যে রওনা হন বাইকচালকরা।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউদ্দিন জিয়া বলেন, “সকালবেলা অনেকে না বুঝে না শুনে মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মার ওপারে যাওয়ার জন্য টোল প্লাজার সামনে আসেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে বিকল্প পথে জনস্বার্থে ফেরি কুঞ্জলতায় করে মাঝিরকান্দার উদ্দেশে পাঠানো হয়, তবে কতসংখ্যক মোটরসাইকেল ছিল, তা বলা মুশকিল।”
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মোবাইল নিয়ে ঝগড়ার জেরে ‘বিষপানে’ গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শ্বশুর ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
২৫ বছরের গৃহবধূ মেরিনা আক্তার উপজেলার ৮ নম্বর সোনাদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজচরা গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের স্ত্রী।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিবারের বরাতে তিনি জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহিউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে তার স্ত্রী মেরিনার বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মেরিনা তরল কিছু পান করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শ্বশুর-শাশুড়িকে থানায় নেয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে, বিষ খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী মহিউদ্দিন।
মন্তব্য