প্রায় চার মাসের সর্বনিম্ন দর। এক দিনে কমেছে ১০৭ টাকা ৭০ পয়সা। তবু বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিনজারের ক্রেতা নেই।
পুঁজিবাজারের টানা দরপতনের মধ্যে রোজায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কমপক্ষে তিন শ কোটি টাকা আর আড়াই শ ডিলার কমপক্ষে এক কোটি টাকা করে বিনিয়োগের ঘোষণার পর টানা দুই দিন লেনদেন কমল।
গত বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে বৈঠকে রোজায় বড় বিনিয়োগের ঘোষণা আসার পর বৃহস্পতিবার লেনদেন এক হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
তবে রোজার প্রথম দিন লেনদেন পৌনে ৩০০ কোটি টাকা কমে যাওয়া, দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তুলনায় দর পতন হওয়া কোম্পানির সংখ্যা দেড় গুণ হওয়ার পর বাজার নিয়ে নতুন করে যে আস্থাহীনতার জন্ম হয়েছে, তার প্রভাব দেখা গেল সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারের দর কমেছে এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ পর্যন্ত। তবে এই দরেও কোনো ক্রেতা দেখা যায়নি বহু কোম্পানির।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থাকার পরেও ৫৩ পয়েন্ট সূচকের পতন, লেনদেন তলানিতে নেমে আসার ঘটনায় বিনিয়োগকারীদের হতাশা এখন ক্ষোভে পরিণত হয়েছে।
এক দিনেই দর পড়েছে ২৯৬টি কোম্পানির, বিপরীতে বেড়েছে কেবল ৪৬টির। আর দর ধরে রাখতে পারে ৩৯টির।
লেনদেন হয়েছে ৬২০ কোটি টাকার কিছু বেশি, যা আগের দিনের তুলনায় ২১৬ কোটি টাকা কম।
গত ২০ মার্চ লেনদেন ৬১৬ কোটি টাকায় নেমে আসার পর এত কম টাকার শেয়ার হাতবদল হয়নি গত ১১ কর্মদিবসে।
দিনটিতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া আর্থিক খাতের কোম্পানি আইপিডিসিরও দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমায়।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে এমন একটিও ছিল না, যেটিতে ভালো দিন গেছে। আগের দিন প্রায় সব কোম্পানির দর বৃদ্ধি পাওয়া আর্থিক খাতে কেবল একটির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬টির।
উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে মোট শেয়ারের ৬০ শতাংশ ধারণ করার নির্দেশ দেয়ার পর গত বুধবার বিমার শেয়ারে হুলুস্থুল দেখা দেয়ার পরের দিন থেকেই এই খাত দর হারাচ্ছে। এর মধ্যে আজ সাধারণ বিমা খাতে বেড়েছে কেবল একটি কোম্পানির দর, বিপরীতে কমেছে ৩৯টির। জীবন বিমা খাতে দর হারিয়েছে ১২টি, বেড়েছে একটির।
আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা আসতে থাকা ব্যাংক খাতেও বেড়েছে কেবল একটির দর বেড়েছে, ৭টি দর ধরে রাখতে পারে আর কমেছে বাকি ২৫টির দর।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও বেড়েছে হাতে গোণা দুই একটির দর।
পড়ছে মৌলভিত্তির কোম্পানির দরও
ঢালাও দরপতনের দিন ভালো ও মৌলভিত্তির কোম্পানি গ্রামীণ ফোন দর হারিয়েছে ১.১৬ শতাংশ। এই দরপতনে সূচক কমেছে ৮.৪৩ পয়েন্ট। বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর কারণে সূচক পড়েছে ৪.৭৯ পয়েন্ট। কোম্পানিটি দর হারিয়েছ ০.৯২ শতাংশ। আরেক বহুজাতিক কোম্পানি রবির দর পড়েছে ১.১৭ শতাংশ, সূচক পড়েছে ৩.৪৪ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম, বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, ইস্টার্ন ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের কারণেও সূচক পড়েছে সবচেয়ে বেশি।
সব মিলিয়ে এই ১০ টি কোম্পানির কারণে সূচক পড়েছে ২৮.২৫ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচকে ৫.৪৮ পয়েন্ট যোগ করেছে ১০টি কোম্পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৮২ পয়েন্ট বেড়েছে বিকন ফার্মার দর ১.৮৬ শতাংশ বাড়ার কারণে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৪১ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে রেনাটা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশেই করুণ চিত্র
এই তালিকায় আগের দুই দিনের মতোই প্রথম স্থানে নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটাল। আগের দিন শেয়ার দর ছিল ২৪ টাকা ২০ পয়সা। দর বাড়ার সুযোগ ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত। বেড়েছেও এতটাই, শতকরা হিসেবে ৯.৯১ শতাংশ।
এ ছাড়া কোনো একটি কোম্পানিও দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁতে পারেনি, যে বিষয়টি ধস পরিস্থিতি ছাড়া সেভাবে পুঁজিবাজারে দেখা যায়নি।
নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ছাড়া সবচেয়ে বেশি ৫.৩৮ শতাংশ বেড়েছে আরএফএলের শেয়ারদর। আগের দিন সর্বোচ্চ দরপতন হয়ে ক্রেতা উধাও হয়ে যাওয়া জেমিনি সি ফুডের দর বেড়েছে ৪.৬৬ শতাংশ।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এপেক্স ট্যানারির দর চার শতাংশের বেশি, ভিএসএফ থ্রেড ও প্রাইম ফাইন্যান্সের দর তিন শতাংশের বেশি, জি কিউ বলপেন, এনভয় টেক্সটাইল ও এএসমিএল প্রাণের দর দুই শতাংশের বেশি এবং বিকন ফার্মার দর এক শতাংশের বেশি বেড়েছে।
অন্য সেব কোম্পানির দর বেড়েছে, তার মধ্যে ১৯টির দর এক শতাংশের বেশি এবং ৩২টির দর এক শতাংশের কম বেড়েছে।
শতাধিক কোম্পানি দর পতনের সর্বোচ্চ সীমায়
সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হিসেবে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততটাই দর কমেছে এক শরও বেশি কোম্পানির দর। আরও বিপুল সংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে যতটা কমা সম্ভব তার কাছাকাছি।
এসব কোম্পানির বেশিরভাগেরই এক পর্যায়ে ক্রেতা শূন্য হয়ে যায়্
দর পতনের সীমা ২ শতাংশ উছিয়ে নেয়া হচ্ছে- একটি গণমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ প্রকাশের পর গত ২০ মার্চ ৬৭ পয়েন্ট সূচক পতনের দিন এই চিত্র দেখা গিয়েছিল।
দরপতনের শীর্ষ তালিকায় ছিল ফরচুন সুজ ও সাভার রিফ্রাকটরিজ, যার দর কমেছে ২ শতাংশ করে।
এর পরের অবস্থানই বহুজাতিক কোম্পানি রেকট বেনকিনজারের, যেটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি ১৬৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পর ১০৭ টাকারও বেশি দর কমে যাওয়া এবং ক্রেতা শূন্য হয়ে যাওয়ার পর যারা লভ্যাংশ নিয়েছেন, তাদের আদৌ কোনো মুনাফা থাকবে কি না, এ নিয়ে এখনই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সোনালী পেপার, শ্যামপুর সুগার, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ, পেপার প্রসেসিং, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সসহ আরও অনেক কোম্পানির দশা একই রকম।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য