ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) গাছের চারা রোপণ করতে চায় আসিয়ানভুক্ত আট দেশ। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত আসিয়ানভুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূতরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ প্রস্তাব দেন।
রাজধানীর গুলশান-২-এ ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়রের সঙ্গে রোববার সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হ্যারিস ওথম্যান, মালেশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদ্দি সামিতমোর, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত এল্যান এল ডেনিগা এবং সিঙ্গাপুরের কনস্যুলার শিলা পিলাই।
সাক্ষাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত আসিয়ানভুক্ত আটটি দেশের ও ঢাকার সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে আসিয়ান-ঢাকা কমিটি (এডিসি)।
শুরুতেই এডিসির চেয়ারম্যান ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো ডিএনসিসি মেয়রের বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতা ও জনসেবামূলক কাজের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এডিসির সদস্য আসিয়ানভুক্ত আটটি দেশ ও ঢাকার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে। আমরা শুরুতে ঢাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চাই।’
আলোচনায় আগামী আগস্টে ডিএনসিসি এলাকায় এডিসির উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সম্ভাব্য সময় নির্ধারিত হয়।
অতিথিদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, “এডিসির সদস্যগুলোর মধ্যে ‘সিস্টার সিটি’ গড়ে তোলার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবে। এর ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।’
এ সময় শহরগুলোর মধ্যে কীভাবে ফুটপাত ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য উত্তম কার্যক্রমের মডেল ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যায় সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে শীর্ষ তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শীর্ষ তিনজনের দুইজনই মেয়ে।
তাদের দুইজনেরই ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ভবনে।
আর প্রথম হয়েছেন ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের নাহনুল কবির নুয়েল। তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগে।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়া দুই নারী শিক্ষার্থী হলেন, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের তাবিয়া তাসনিম এবং মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাবরিন আক্তার কেয়া।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পাওয়া নাহনুল কবির নুয়েল সর্বমোট ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৯৬.৫।
এমসিকিউতে বাংলা বিষয়ে পেয়েছেন ১১.৫০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞানে পেয়েছেন ২৪ নম্বর। এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় পেয়েছেন ১১.৫০ আর ইংরেজিতে ১৪.৫০ পেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৬.৫ নম্বর পেয়েছেন।
দ্বিতীয় হওয়া তাবিয়া তাসনিম ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৯৬.২৫ নম্বর।
তিনি নৈর্ব্যক্তিক অংশের বাংলায় পেয়েছেন ১৩.৭৫, ইংরেজিতে ১৫ আর সাধারণ জ্ঞানে পেয়েছেন ২১.৫০ নম্বর।
লিখিত অংশের বাংলায় পেয়েছেন ১১ আর ইংরেজিতে পেয়েছেন ১৫ নম্বর।
আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ থাকায় তিনি সম্পূর্ণ ২০ নম্বরই পেয়েছেন।
তৃতীয় স্থান অর্জন করা সাবরিন আক্তার কেয়াও ১২০ নম্বরের মধ্যে ৯৬.২৫ নম্বর পেয়েছেন।
কেয়া নৈর্ব্যক্তিক অংশের বাংলায় পেয়েছেন ১২.৫০, ইংরেজিতে ১৫ আর সাধারণ জ্ঞান অংশে ২২.২৫ নম্বর পেয়েছেন।
লিখিত অংশের বাংলায় ৯.৫০ আর ইংরেজিতে ১৭ নম্বর পেয়েছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কেয়ারও জিপিএ ফাইভ থাকায় তিনি ২০ নম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নম্বরই পেয়েছেন।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করা শিক্ষার্থীর সমান নম্বর পাওয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নীতিমালার আলোকে গড় নম্বর একই হলেও দুটি বিষয়ে নম্বর বেশি পাওয়ার ভিত্তিতে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করেন।
‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৯.৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর মানে দাঁড়াচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৯০.১৩ শতাংশই অকৃতকার্য হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বনশ্রীতে একটি জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
সোমবার সকালে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।
এখনও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রক্সি স্যান্ডেল নামের কারখানার টিনশেডের গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ১১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে যায় খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট। তেজগাঁও থেকে আরও ২টি ইউনিট যায় ঘটনাস্থলে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় আগুন নেভানো হয়।
রাজধানীর বনশ্রীতে একটি জুতার কারখানায় আগুন লেগেছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ বনশ্রীর ১২/৫ নং রোডে জুতার কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
খবর পেয়ে ১১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে যায় খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তেজগাঁও থেকে আরও ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আরও আসছে…
পদ্মা সেতু চালুর দিনে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের স্বাভাবিক ভিড় দেখা যায়নি। অনেকে পদ্মা সেতু দেখতে সড়কপথে রওনা দিয়েছেন বলে ধারণা করছেন লঞ্চসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগে এতদিন ব্যবহার হয়ে আসা প্রধান মাধ্যম সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে রোববার রাত ৮টায় গিয়ে যাত্রীদের কোলাহল দেখা যায়নি। অন্যান্য দিন এমন সময়ে ডেকে যাত্রীতে কানায় কানায় পূর্ণ থাকলেও লঞ্চ অনেকখানি ফাঁকাই দেখা যায়। কেবিনেরও বেশির ভাগ ভাড়া হয়নি।
টিকিট কাউন্টারের কর্মীরা বলছেন, অধিকাংশ লঞ্চেই আশানুরূপ যাত্রী নেই। ডেকের ধারণক্ষমতার অর্ধেক ও পূর্ণ হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে কী হবে, লঞ্চ কী করে চলবে আর তাদের চাকরিইবা থাকবে কি না এই নিয়ে শঙ্কা জেগেছে এরই মধ্যে। তবে কেউ কেউ বলছেন, বরিশালের মানুষ নৌপথে শুয়ে-বসে যাত্রা করে অভ্যস্ত। তারা সড়কপথে খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া যাবে না। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কিছুদিন এমন মন্দা থাকতে পারে লঞ্চে।
পারাবত লঞ্চের সুপারভাইজার মো. শাহজালাল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা লঞ্চে যাওয়ার তারা লঞ্চেই যাবে। প্রথম দিন হয়তো সেতু দেখতে গিয়েছে। সেতুর উদ্বোধন হবে তাই অনেক লঞ্চ ও বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে আসতে পারেনি।’
‘লঞ্চে ৩৫০-৪০০ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতা থাকলেও আজ দেড় শতাধিক যাত্রী হয়েছে। ঢাকা থেকে সর্বশেষ ট্রিপেও আমরা তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলাম।’
রেডসন-৫, এমভি কুয়াকাটা-১ ও ২-এর সুপারভাইজার রফিকুল ইসলাম রাজু নিউজবাংলাকে জানান, ‘রমজানের ঈদের পর থেকেই যাত্রী কম। ইদানীং তো আরও কম। সেতু হয়েছে এখন যাত্রী কমই থাকবে।’
পটুয়াখালীগামী পূবালী-৫ লঞ্চের মালিক আলী আজগর বলেন, ‘আজ লঞ্চে যাত্রী নেই বললেই চলে। ডেক একদম ফাঁকা। কেবিন তো ভাড়াই হয়নি। ঘাটে লঞ্চ নেই তাই এই অবস্থা। লঞ্চ বেশি হলে যাত্রীসংকটে ভুগতে হতে পারে।’
এমভি পারাবত-১৮ লঞ্চের মালিক ও সমিতির মহাসচিব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘যাত্রীর চাপ কমা-বাড়ার ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এটা ঈদের সময় বলা যাবে। সেতু চলাচলের আজ প্রথম দিন। অনেকে শখের বসেও হয়তো দেখতে গেছেন।’
লঞ্চে যাতায়াতের সুবিধাগুলো উল্লেখ করে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ পথে খাবার ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা শুধু লঞ্চেই রয়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে বাসগুলো সরাসরি গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো সময় খাবার বা পানি পাওয়া সম্ভব না। লঞ্চে যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন।’
সড়কপথে ভাড়া বেশি পড়বে বলেও যাত্রীরা লঞ্চ বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস করেন এই লঞ্চ মালিক। বলেন, ‘লঞ্চ ভাড়া ৩৫০ টাকা আর সেখানে বাস ভাড়া পাঁচ শতাধিক৷ এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে লঞ্চেই যাত্রীরা দক্ষিণাঞ্চলে যাবেন।’
সুন্দরবন লঞ্চের মালিক ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রিন্টু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু হয়েছে এখন সবাই দৌড়ে হয়তো চলে যাবেন। কিন্তু সুবিধা-অসুবিধা চিন্তা করে যাত্রীরা লঞ্চেই ফিরে আসবেন। কেননা লঞ্চে সড়কপথের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি।’
যাত্রী কম থাকলেও লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ভাড়া ডেকে ৩৫০, ৩৭০; এমনকি কোনো কোনো লঞ্চে ৪০০ টাকাও রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর ডেমরার শান্তিবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মো. আব্বাস আলী নামের এক নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার বেলা দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মৃত বলে জানান।
নিহতের সহকর্মী সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমরা ডেমরার শান্তিবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের তিনতলায় রড বিছানোর কাজ করছিলাম। এ সময় অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যান আব্বাস। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।’
তিনি জানান, আব্বাসের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানায়। তার বাবার নাম আবুল হোসেন। বর্তমানে ডেমরার শান্তিবাগ এলাকায় থাকতেন তিনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ডেমরা থানাকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর ওয়ারীতে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক নারী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি মারা যান।
ওই নারীর নাম রুপা বর্মণ। তার বয়স ৩০ বছর।
নিহতের স্বামী সুনীল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘ওয়ারী এলাকায় গত ১৬ জুন রাস্তা পারাপারের সময় একটি ওষুধ কোম্পানির পিকআপ ভ্যান আমার স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর অবস্থায় একটি স্থানীয় হাসপাতাল, পরে কিডনির সমস্যা দেখা দিলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১টায় সে মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়ি পুরান ঢাকার ওয়ারীর দয়াগঞ্জ এলাকায়। আমাদের এক মেয়েসন্তান রয়েছে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত ছাত্রকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ রোববার দুই দিনের রিমান্ড শেষে সাত আসামিকে আদালতে হাজির করে। আসামিদের পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নওশের আলী।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা ইসলাম উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান সাব্বির, অন্তর সরকার, নাজমুল হক, হাসিবুর রহমান, তুষার আহমেদ বাপ্পি, শফিকুল আলম খন্দকার ও ফরহাদ হোসেন শান্ত। পুলিশ গত বুধবার রাতে একটি মেসে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে তাদের।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাত শিক্ষার্থীকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ১২ মে সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় জামায়াত-শিবিরের দুই শতাধিক নেতাকর্মী রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। তারা একটি লেগুনা গাড়ি ভাঙচুর করে। বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই সাব্বির এ ঘটনায় মামলা করেন। সে মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে জবির সাত শিক্ষার্থীকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য