রমজানে পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগের ঘোষণার প্রভাব অন্তত প্রথম দিনের লেনদেনে দেখা যায়নি। বরং রোজার আগের শেষ কর্মদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে পৌনে ৩০০ কোটি টাকা। কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর, তবে বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির দরে উত্থানের কারণে সূচকে যোগ হয়েছে পয়েন্ট।
রমজানে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন চলেছে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। এমনিতে লেনদেন হয় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। অর্থাৎ এই মাসে আধা ঘণ্টা কম চলবে শেয়ার কেনাবেচা।
রোববার প্রথম ১২ মিনিটেই সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। সে সময় বেশির ভাগ শেয়ারের দরই বেড়ে লেনদেন হতে থাকে।
গত বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জানানো হয়, রোজায় প্রতিটি ডিলার অ্যাকাউন্টে রমজান মাসে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করবে। এতে শেয়ারবাজারে নতুন ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।
এ ছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওর মাধ্যমে রমজান মাসে নতুন করে ২০০-৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সমিতি বিএমবিএর সভাপতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।
এই ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন এক হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড়ায় যা ছিল গত ১৬ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
তবে যেদিন থেকে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা, সেদিন লেনদেন হয় ৮৩৬ কোটি ৬২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, যা গত ২৪ মার্চের পর সর্বনিম্ন। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ৮২৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকের ট্রেড দিয়েই বাজার ভালো বা খারাপ বলা যাবে না। ব্রোকারগুলোতে দেখবেন, রমজানের কারণে অনেক বিনিয়োগকারীই আসেননি। এছাড়া ট্রেডের সময়ও কমে গেছে। যার কারণে লেনদেন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।’
রমজানে প্রত্যেক ব্রোকারের এক কোটি টাকা বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো সবসময়ই বিনিয়োগ করছি, এবং বিনিয়োগ থাকবেই। কিন্তু বাজারে এক শ বা দুই শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বাজার ভালো করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন বড় বিনিয়োগ, বড় ফান্ড।
‘তবে আজকে লেনদেন স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। একদিন কমবে, একদিন বাড়বে, এটাই বাজারের নিয়ম। বাজারকে তার নিজের গতিতে চলতে দিতে হবে।’
দিন শেষে যত কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি। ১২৯টি কোম্পানি দর বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ১৯৫টির দর। ৫৫টির দর ছিল অপরিবর্তিত।
বেশির ভাগ কোম্পানির দর হারানোর পরও সূচকে পয়েন্ট যোগ হওয়ার কারণ লাফার্জ, রবি, ওয়ালটন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মতো বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি।
সবচেয়ে ভালো দিন গেছে আর্থিক খাতে। ২২টির মধ্যে ১৯টি কোম্পানির দর বেড়েছে এক দিনে। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। বিপরীতে কমেছে কেবল দুটির দর।
ব্যাংক খাতে বেড়েছে ১৬টির দর, কমেছে ৯টির, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৯টির ইউনিট মূল্য, কমেছে তিনটির।
উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে মোট শেয়ারের ৬০ শতাংশ ধারণে এক যুগ আগের করা আইন কার্যকরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ চিঠি দেয়ার দ্বিতীয় কর্মদিবসে এই খাতের প্রায় সব কোম্পানিই দর হারিয়েছে। সাধারণ বিমা খাতে বেড়েছে তিনটির দর, কমেছে ৩৬টির। জীবন বিমা খাতে ৬টির দর বেড়েছে, কমেছেও সমসংখ্যক।
প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি- সব খাতেই বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
সবচেয়ে বাজে দিন গেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। এই খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল একটির, কমেছে ৯টির। একটি দর ধরে রাখতে পারে।
লেনদেনও সবচেয়ে বেশি হয়েছে আর্থিক খাতে। এই খাতে ১৩৮ কোটি টাকা হাতবদল হয়েছে। এর পরের অবস্থানগুলো ছিল বস্ত্র, প্রকৌশল ও সাধারণ বিমা।
সূচক বাড়ল যাদের কারণে
সূচক সবচেয় বেশি ৩.১১ পয়েন্ট বেড়েছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর ৪ শতাংশ বাড়ার কারণে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৮১ পয়েন্ট সূচকে যোগ করতে পেরেছে রবি। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১.৭৯ শতাংশ।
এছাড়া ওয়ালটন ২.৩৮ পয়েন্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি ২.৩৬ পয়েন্ট, বিকন ফার্মা ১.৮৪ পয়েন্ট, আইপিডিসি ১.৩৬ পয়েন্ট, আইসিবি ১.১৫ পয়েন্ট যোগ করেছে। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মাও কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৭.২২ পয়েন্ট।
বিপরীতে ইউনাইটেড পাওয়ার, রেনাটা, বেক্সিমকো লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, লিনডে বিডি, ফরচুন সুজ, আল আরাফাহ ব্যাংক, সামিট পাওয়ার, সোনালী পেপার ও আরএকে সিরামিকসের কারণে সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি। তবে দরপতনের হার খুব বেশি না হওয়ায় এই ১০ কোম্পানি সূচক কমাতে পেরেছে ৫.৫ পয়েন্ট।
আর্থিক খাতের রমরমা
টানা দ্বিতীয় দিন দর বৃদ্ধির শীর্ষ স্থানে ছিল জেএমআই হসপিটাল, যার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি টানা দুই দিন ১০ শতাংশ করে বেড়ে হয়েছে ২৪ টাকা ২০ পয়সা।
শীর্ষ দশে দেখা গেছে আর্থিক খাতের প্রাধান্য, যার মধ্যে আইপিডিসির দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার দর ছিল ৪১ টাকা ৩০ পয়সা। দর বাড়ার সুযোগ ছিল ৪ টাকা ১০ পয়সা। এতটাই বেড়ে দর দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৪০ পয়সা।
চার কর্মদিবসে শেয়ারটির দর বাড়ল ১১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩৩.৫২ শতাংশ।
আর্থিক খাতের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের দর ৮.১৬ শতাংশ, বে লিজিংয়ের দর ৭.৪৭ শতাংশ, ইসলামিক ফাইন্যান্সের দর ৬.২২ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের দর ৫.৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিএপিএমবিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৮.৯১ শতাংশ, ইমামবাটনের দর ৭.৫৫ শতাংশ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের দর ৬.৬৬ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ দশের বাইরে ইউনাইটেড, লংকাবাংলা, ফিনিক্স ও মাইডাস ফাইন্যান্সের দর ৪.৭৩ শতাংশ, থেকে ৫.৩১ শতাংশ বেড়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও প্রাইম ফাইন্যান্সের দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
দর হারানো কোম্পানির ক্রেতাই কম
সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানিগুলোর সবগুলোর শেয়ারদর কমেছে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততটাই। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ২ শতাংশের বেশি দর পড়তে পারে না। আর এসব কোম্পানির দর কমেছে এতটাই। তবে শেয়ারদর কমলেও ক্রেতা ছিল না খুব বেশি। এক পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ বিক্রয় আদেশ ছিল, ক্রেতা ছিল না বললেই চলে।
লিনডে বিডি, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, এপেক্স স্পিনিং, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স, আমরা নেটওয়ার্ক, এটলাস, পেপার প্রসেসিং, বিডি ল্যাম্পস, সোনালী আঁশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর দরপতনের নিম্নসীমায় লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য