রমজানে পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগের ঘোষণার প্রভাব অন্তত প্রথম দিনের লেনদেনে দেখা যায়নি। বরং রোজার আগের শেষ কর্মদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে পৌনে ৩০০ কোটি টাকা। কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর, তবে বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির দরে উত্থানের কারণে সূচকে যোগ হয়েছে পয়েন্ট।
রমজানে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন চলেছে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। এমনিতে লেনদেন হয় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। অর্থাৎ এই মাসে আধা ঘণ্টা কম চলবে শেয়ার কেনাবেচা।
রোববার প্রথম ১২ মিনিটেই সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। সে সময় বেশির ভাগ শেয়ারের দরই বেড়ে লেনদেন হতে থাকে।
গত বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জানানো হয়, রোজায় প্রতিটি ডিলার অ্যাকাউন্টে রমজান মাসে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করবে। এতে শেয়ারবাজারে নতুন ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।
এ ছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওর মাধ্যমে রমজান মাসে নতুন করে ২০০-৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সমিতি বিএমবিএর সভাপতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।
এই ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন এক হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড়ায় যা ছিল গত ১৬ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
তবে যেদিন থেকে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা, সেদিন লেনদেন হয় ৮৩৬ কোটি ৬২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, যা গত ২৪ মার্চের পর সর্বনিম্ন। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ৮২৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকের ট্রেড দিয়েই বাজার ভালো বা খারাপ বলা যাবে না। ব্রোকারগুলোতে দেখবেন, রমজানের কারণে অনেক বিনিয়োগকারীই আসেননি। এছাড়া ট্রেডের সময়ও কমে গেছে। যার কারণে লেনদেন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।’
রমজানে প্রত্যেক ব্রোকারের এক কোটি টাকা বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো সবসময়ই বিনিয়োগ করছি, এবং বিনিয়োগ থাকবেই। কিন্তু বাজারে এক শ বা দুই শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বাজার ভালো করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন বড় বিনিয়োগ, বড় ফান্ড।
‘তবে আজকে লেনদেন স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। একদিন কমবে, একদিন বাড়বে, এটাই বাজারের নিয়ম। বাজারকে তার নিজের গতিতে চলতে দিতে হবে।’
দিন শেষে যত কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি। ১২৯টি কোম্পানি দর বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ১৯৫টির দর। ৫৫টির দর ছিল অপরিবর্তিত।
বেশির ভাগ কোম্পানির দর হারানোর পরও সূচকে পয়েন্ট যোগ হওয়ার কারণ লাফার্জ, রবি, ওয়ালটন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মতো বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি।
সবচেয়ে ভালো দিন গেছে আর্থিক খাতে। ২২টির মধ্যে ১৯টি কোম্পানির দর বেড়েছে এক দিনে। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। বিপরীতে কমেছে কেবল দুটির দর।
ব্যাংক খাতে বেড়েছে ১৬টির দর, কমেছে ৯টির, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৯টির ইউনিট মূল্য, কমেছে তিনটির।
উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে মোট শেয়ারের ৬০ শতাংশ ধারণে এক যুগ আগের করা আইন কার্যকরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ চিঠি দেয়ার দ্বিতীয় কর্মদিবসে এই খাতের প্রায় সব কোম্পানিই দর হারিয়েছে। সাধারণ বিমা খাতে বেড়েছে তিনটির দর, কমেছে ৩৬টির। জীবন বিমা খাতে ৬টির দর বেড়েছে, কমেছেও সমসংখ্যক।
প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি- সব খাতেই বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
সবচেয়ে বাজে দিন গেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। এই খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল একটির, কমেছে ৯টির। একটি দর ধরে রাখতে পারে।
লেনদেনও সবচেয়ে বেশি হয়েছে আর্থিক খাতে। এই খাতে ১৩৮ কোটি টাকা হাতবদল হয়েছে। এর পরের অবস্থানগুলো ছিল বস্ত্র, প্রকৌশল ও সাধারণ বিমা।
সূচক বাড়ল যাদের কারণে
সূচক সবচেয় বেশি ৩.১১ পয়েন্ট বেড়েছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর ৪ শতাংশ বাড়ার কারণে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৮১ পয়েন্ট সূচকে যোগ করতে পেরেছে রবি। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১.৭৯ শতাংশ।
এছাড়া ওয়ালটন ২.৩৮ পয়েন্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি ২.৩৬ পয়েন্ট, বিকন ফার্মা ১.৮৪ পয়েন্ট, আইপিডিসি ১.৩৬ পয়েন্ট, আইসিবি ১.১৫ পয়েন্ট যোগ করেছে। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মাও কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৭.২২ পয়েন্ট।
বিপরীতে ইউনাইটেড পাওয়ার, রেনাটা, বেক্সিমকো লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, লিনডে বিডি, ফরচুন সুজ, আল আরাফাহ ব্যাংক, সামিট পাওয়ার, সোনালী পেপার ও আরএকে সিরামিকসের কারণে সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি। তবে দরপতনের হার খুব বেশি না হওয়ায় এই ১০ কোম্পানি সূচক কমাতে পেরেছে ৫.৫ পয়েন্ট।
আর্থিক খাতের রমরমা
টানা দ্বিতীয় দিন দর বৃদ্ধির শীর্ষ স্থানে ছিল জেএমআই হসপিটাল, যার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি টানা দুই দিন ১০ শতাংশ করে বেড়ে হয়েছে ২৪ টাকা ২০ পয়সা।
শীর্ষ দশে দেখা গেছে আর্থিক খাতের প্রাধান্য, যার মধ্যে আইপিডিসির দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার দর ছিল ৪১ টাকা ৩০ পয়সা। দর বাড়ার সুযোগ ছিল ৪ টাকা ১০ পয়সা। এতটাই বেড়ে দর দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৪০ পয়সা।
চার কর্মদিবসে শেয়ারটির দর বাড়ল ১১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩৩.৫২ শতাংশ।
আর্থিক খাতের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের দর ৮.১৬ শতাংশ, বে লিজিংয়ের দর ৭.৪৭ শতাংশ, ইসলামিক ফাইন্যান্সের দর ৬.২২ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের দর ৫.৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিএপিএমবিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৮.৯১ শতাংশ, ইমামবাটনের দর ৭.৫৫ শতাংশ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের দর ৬.৬৬ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ দশের বাইরে ইউনাইটেড, লংকাবাংলা, ফিনিক্স ও মাইডাস ফাইন্যান্সের দর ৪.৭৩ শতাংশ, থেকে ৫.৩১ শতাংশ বেড়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও প্রাইম ফাইন্যান্সের দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
দর হারানো কোম্পানির ক্রেতাই কম
সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানিগুলোর সবগুলোর শেয়ারদর কমেছে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততটাই। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ২ শতাংশের বেশি দর পড়তে পারে না। আর এসব কোম্পানির দর কমেছে এতটাই। তবে শেয়ারদর কমলেও ক্রেতা ছিল না খুব বেশি। এক পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ বিক্রয় আদেশ ছিল, ক্রেতা ছিল না বললেই চলে।
লিনডে বিডি, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, এপেক্স স্পিনিং, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স, আমরা নেটওয়ার্ক, এটলাস, পেপার প্রসেসিং, বিডি ল্যাম্পস, সোনালী আঁশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর দরপতনের নিম্নসীমায় লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য