× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Market is hot will the fasting people get relief this time?
google_news print-icon

বাজার গরম: এবার রোজাদাররা স্বস্তি পাবে তো?

বাজার-গরম-এবার-রোজাদাররা-স্বস্তি-পাবে-তো?
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে প্রায়ই। রোজা উপলক্ষে বাজার হয়েছে আরও কিছুটা অস্থির। রাজধানীর একটি বাজার থেকে তোলা ছবি। নিউজবাংলা
সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে, বাজার তদারকি বাড়িয়েছে। তবু নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতায় হেরফের নেই। রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলাসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখেছে, এরই মধ্যে ছোলা, ভোজ্যতেল, খেঁজুর, চিনি, ডাল, গুঁড়া দুধসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অথচ রমজানে বেশি ব্যবহার হওয়া ওই সব পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই।

সংযমের আর আত্মশুদ্ধির মাস রমজান এলে জিনিসপত্রের দাম বাড়া একটা নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রমজানকে সামনে রেখে ‘বাড়তি’ চাহিদার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার আশায় নিত্যপণ্যসহ অন্যান্য জিনিসিপত্রের দাম অস্থিতিশীল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দাম বাড়ার এই প্রবণতায় স্বল্প ও নির্ধারিত আয়ের চাকরিজীবীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কারণ যে হারে পণ্যের দাম বেড়েছে, সেই হারে তাদের আয় বাড়েনি।

নিউজবাংলা সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলাসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখেছে, এরই মধ্যে ছোলা, ভোজ্যতেল, খেঁজুর, চিনি, ডাল, গুঁড়া দুধসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অথচ রমজানে বেশি ব্যবহার হওয়া ওই সব পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই।

দাম বাড়ার জন্য আগের মতোই এবারও ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।

ভোক্তা পর্যায়ের খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বিধায় ভোক্তাদের ওপর প্রভাব পড়ছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, জাহাজ ভাড়াসহ অন্যান্য পরিবহন খরচ বাড়ায় জিনিসপত্রের দামে প্রভাব পড়ছে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ী ও উৎপাদকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনা-পরবর্তী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে– এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে দেশের বাজারে। তা ছাড়া জিনিসপত্রের দাম একবার বাড়লে তা আর কমে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মার্চের শেষে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলেছে, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে চাল, ডাল,আটাসহ নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি। এর জন্য দুর্বল বাজার ব্যবস্থা ও তদারকিকে দায়ী করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানান, নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় রাখতে সরকার কর ছাড়সহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই বাজার স্থিতিশীল হবে।

ইতোমধ্যে কিছু কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে বলে দাবি করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রীর এ বক্তব্যের বাস্তব প্রতিফলন তেমন নেই, শুধু পেঁয়াজ ছাড়া।

বাজার গরম: এবার রোজাদাররা স্বস্তি পাবে তো?
রোজা আসার আগেই বজোরে বেড়েছে সবজির দামও। রাজধানীর একটি বাজার থেতে তোলা ছবি। নিউজবাংলা

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজা উপলক্ষে প্রতি কেজি ছোলার দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।

তালতলা বাজারে বৃহস্পতিবার এক কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।

তালতলা বাজারের মাসুম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারে বেশি দাম দিয়ে আনতে হয়েছে। তাছাড়া পরিবহন খরচও অনেক বেড়েছে। এসব কারণে ছোলার দাম বেড়ে গেছে।’
দেশে ছোলার বর্তমান চাহিদা ১ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার মাসেই লাগে ৮০ হাজার টন।

তালতলা বাজারে সাধারণ মানের এক কেজি খেজুর বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। রোজার আগে দাম ছিল ২৫০ টাকা। কেজিপ্রতি খেজুরের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা বা ২৫ শতাংশ। দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা ৪০ হাজার টন হলেও রমজানে লাগে ২৫ হাজার টন।

মসুর ডালের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। আর খেসারি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। বাজারভেদে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। যেখানে রোজার আগে বিক্রি হতো ৭০ টাকায়। দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ টন।

বিপুল পরিমাণ করছাড় দেয়ার পরও ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কাটেনি এখনও। এক লিটার সয়াবিন তেল কোনো কোনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকায়। আবার কোথাও তা ১৬৪ টাকায়।

রমজানের বাজার স্থিতিশীল রাখতে তদারকি ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে বলে জানালেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজার আমরা নিয়মিত তদারকি করি। রমজানে সপ্তাহে সাত দিনই আমাদের টিম বাজার তদারকি করবে। অধিদপ্তরের ছয়টি আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চারটিসহ এবার মোট ১০টি টিম মাঠে থাকবে।’

তিনি বলেন, এরই মধ্যে ছোলা, খেজুরের দাম সম্পর্কে খোঁজখবর করা হয়েছে এবং ভোজ্যতেলের বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রমজান মাসজুড়েই বাজার তদারিক করা হবে বলে জানান তিনি।

বাজার গরম: এবার রোজাদাররা স্বস্তি পাবে তো?
রাজধানীর বাজারে বেড়েছে মশলার দামও। ছবি: নিউজবাংলা

ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করে ক্যাবের সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যসচিব গোলাম রহমান মনে করেন, ব্যবসায় মুনাফা অর্জন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু মুনাফা অর্জনের নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য নয়। আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ সব ধরনের পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে আরও বেশি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কারণ পণ্যের বাজার বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহের উপর নির্ভর করে। সাধারণ নিয়মে বিশ্ববাজারে যেহেতু পণ্যের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশেও বাড়বে। এটাই স্বাভাবিক।

তিনি মনে করেন, ভর্তুকি দিয়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, সারসহ কিছু স্পর্শকাতর পণ্যের মূল্য কমিয়ে রেখেছে সরকার। তা না হলে দেশে পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেত।

বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সম্প্রতি সিপিডি যে মন্তব্য করেছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের দেশে শুল্ক হার বেশি থাকার ফলে পণ্যের দাম বেশি পড়ে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভোক্তারা পৃথিবীজুড়ে অস্বস্তিতে আছে। অবশ্যই ভোক্তারা দুর্ভোগে আছেন। আরও বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হতো, যদি ভর্তুকি না দিত সরকার।

আরও পড়ুন:
সুশাসনের চাবুকে সিন্ডিকেটকারীদের শায়েস্তা করুন: ইনু
নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল: সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী
নিত্যপণ্যের আমদানি কর প্রত্যাহার করবে সরকার
দীর্ঘ লাইনে দীর্ঘশ্বাস
নিত্যপণ্যের দাম ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Mitfords murder is very sad Home advisor

মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড খুবই দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড খুবই দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকে পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্যবসায়ী হত্যা ও মব সহিংসতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র বলেন, ‘ঢাকায় যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, সেটা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। গতকালও র‌্যাব দুজন ও ডিএমপি দুজনকে ধরেছে। পরে আরও একজনকে ধরা হয়েছে।’

বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সতর্ক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মোটামুটি অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। ছোটখাট ঘটনায়ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ি। এই জিনিসটা বন্ধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এর আগে চাঁদপুরে, খুলনা ও চট্টগ্রামের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলো হচ্ছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

পুলিশের মিল ব্যারাক এলাকা পরিদর্শন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সঙ্গে একটু কথা বলা। তাদের থাকা ও খাবারের মান দেখা। আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে তাদের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব এখানে।’

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাই বলেও এ সময় মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, সেটা আমরা জানি না। সেটা জানাবে নির্বাচন কমিশন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Further degradation today in the air of Dhaka

ঢাকার বায়ুমানে আজ আরও অবনতি

ঢাকার বায়ুমানে আজ আরও অবনতি

সাধারণত বৃষ্টি হলে কিংবা ছুটির দিনগুলোতে রাস্তাঘাটে যানবাহন ও জনসমাগম কম থাকায় বাতাসের মানে উন্নতি দেখা যায়। তবে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি, এরপর গতকালের ছুটি শেষেও আজ সকালে ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি লক্ষ করা গেছে। এমনকি গতকালের তুলনায়ও শহরটির বাতাসের মান কমেছে।

শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে একিউআই স্কোর ৯৭ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ত্রয়োদশ স্থানে রয়েছে ঢাকা।

একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। তবে মাঝারি হলেও ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গতকাল একই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৮৫। আজ তার থেকে বেড়ে ৯৭ হয়েছে। বৃষ্টিতে ঢাকার মানে পরিবর্তন আসার কথা থাকলেও বেশ কয়েকদিন ধরেই শহরটির বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে। আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

এদিকে, ঢাকার মতো প্রায়ই তালিকার প্রথম দিকে থাকা পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লির বাতাসের মানেও তেমন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়নি। ১১৫ ও ১০৫ স্কোর নিয়ে লাহোর ও দিল্লির বাতাস ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।

একই সময়ে ২৩১ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে কঙ্গোর কিনশাসা। এরপর ১৭৭ ও ১৬০ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা ও চিলির সান্তিয়াগো।

সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jabi students father was killed in a bus collision and demanded compensation

বাসের ধাক্কায় জাবি শিক্ষার্থীর বাবা নিহত, ক্ষতিপূরণ দাবিতে ১০ বাস আটক

বাসের ধাক্কায় জাবি শিক্ষার্থীর বাবা নিহত, ক্ষতিপূরণ দাবিতে ১০ বাস আটক

ঢাকার বকশীবাজারে মৌমিতা পরিবহনের বাসের ঢাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর বাবা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে ওই পরিবহনের ১০টি বাস আটকে রেখেছেন একদল শিক্ষার্থী।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক-সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) থেকে বাসগুলো আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিহত জহুরুল হক সেলিম (৫২) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাতের বাবা। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে মৌমিতা পরিবহনের দুটি বাসের মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন রিফাতের বাবা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জাবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মৌমিতা পরিবহনের দুটি বাস যাত্রী তুলতে গিয়ে প্রতিযোগিতা করার সময় দুই বাসের মাঝে পিষ্ট হয় ভুক্তভোগী।

রিফাতের সহপাঠীরা জানান, তিনি পরিবারের বড় ছেলে। তার ক্যান্সারে আক্রান্ত একটা ছোট ভাই আছে, যার বয়স ১৩। রিফাতের বাবাই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি তার ছোট ছেলে জুবায়েরের চিকিৎসা ও টাকা সংগ্রহের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন।

এর আগে, জুবায়েরের চিকিৎসার জন্য জাবিতে কয়েক দফায় টাকা সংগ্রহের কথাও জানান শিক্ষার্থীরা।

রিফাতের সহপাঠী হাসিবুল হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ রিফাতের বাবার অকালমৃত্যুতে মর্মাহত। রাষ্ট্রের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। রিফাতের ছোট ভাই ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত, তার চিকিৎসা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এজন্য ঘাতক মৌমিতা পরিবহনের বাস মালিকপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’

‎তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও বাস সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। এতে বিভাগের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মৌমিতা পরিবহনের ১০টি বাস আটক করেছে। দ্রুত সমাধান না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসুচিতে যাব।’

‎জব্দ হওয়া একটি বাসের চালক আব্দুল কাদের ইউএনবিকে বলেন, ‘ডেইরি গেইটে যখন আমাদের বাসগুলো আটকাচ্ছিল তার আগ পর্যন্ত কিছুই জানতাম না। পরে জানতে পারলাম, এক ছাত্রের বাবা মারা গেছেন আমাদের একটি বাসের চাপায়, তাই আটকাচ্ছে।’

‎তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে শিক্ষার্থীরা আমাদের মোবাইল ফোন ও চাবি নিয়েছিল, কিন্তু বিকেল ৫টার দিকে ফোনগুলো ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি আর এখন পর্যন্ত টাকাও দাবি করেনি। এগুলো আমাদের বিষয় না। মালিকের সঙ্গে কথা বলে তারা সমস্যা সমাধান করুক।’

‎মৌমিতা পরিবহনের সাভার অঞ্চলের লাইনম্যান সুমন মিয়া ইউএনবিকে জানান, তাদের মালিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাটি সমাধান করবেন। সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধও জানান তিনি।

‎এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রশিদুল আলম বলেন, ‘এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা যে, আমাদের একজন শিক্ষার্থীর বাবা ঢাকায় বাসচাপায় নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটলেও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে এখানে বাস আটক করেছে। বাসমালিকদের সঙ্গে এখনও আমাদের যোগাযোগ হয়নি। কীভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা যায় তা ভাবা হচ্ছে।’

‎বাস মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে কার্যকরী একটা সমাধানে যাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Waterlogging in DSCC Responses Team forming and control rooms

ডিএসসিসিতে জলাবদ্ধতা: রেসপন্স টিম গঠন ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু

ডিএসসিসিতে জলাবদ্ধতা: রেসপন্স টিম গঠন ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু

টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে সম্ভাব্য জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়ার্ডভিত্তিক ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

বুধবার (৯ জুলাই) ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করার কারণে আজ এসব এলাকায় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ সময় দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি বেগে বাতাসসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৪৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বৃষ্টিপাত আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এই প্রেক্ষাপটে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি বিবেচনায় ওয়ার্ডভিত্তিক ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পাশপাশি ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় কোথাও অস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিলে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের (০১৭০৯৯০০৮৮৮) নম্বরে জানানোর জন্য জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hajj flight on the runway was off 2 hours off Shah deposit

রানওয়েতে হজ ফ্লাইট বিকল, ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল শাহ আমানত

রানওয়েতে হজ ফ্লাইট বিকল, ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল শাহ আমানত

সৌদি আরবের মদিনা থেকে ৩৮৭ জন হজযাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণের পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

শনিবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি১৩৮ ফ্লাইটটি শাহ আমানতে অবতরণের পর এ গোলযোগ দেখা দেয়। এরপর ত্রুটি সারিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নমিয়ে আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চত করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, আজ সকালে অবতরণের পর রানওয়ে-২৩ প্রান্তে গিয়ে ফ্লাইটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থেমে যায় এবং আর চলতে পারে না।

এরপর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমানটিকে টাগকারের মাধ্যমে রানওয়ে থেকে সেটিকে সরিয়ে অ্যাপ্রোনে নেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রানওয়ে সাময়িক বন্ধ থাকলেও বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং ফ্লাইটে থাকা সব হজযাত্রী নিরাপদেই ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DSCC conducts special cleanliness and mosquito elimination campaigns to destroy the breeding ground of Aedes mosquito in dengue control
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করলো ডিএসসিসি

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করলো ডিএসসিসি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ শনিবার (০৫ জুলাই) সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর উদ্যান সংলগ্ন ডিএসসিসি অঞ্চল-০৪ এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এঁর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী উপর্যুক্ত অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করলো ডিএসসিসি

সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মী এবং স্থানীয় সোসাইটির জনগণ এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ডিএসসিসির অঞ্চল-০৪ ভুক্ত ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪২ ও ৪৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করলো ডিএসসিসি

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, "ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণ ব্যতিত বিশাল জনসংখ্যার এই ঢাকা শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়।আমরা যদি নিজেরা সচেতন হই, অন্তত নিজের আঙিনা নিজে পরিষ্কার করি তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।" সরকার 'ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অনান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা-২০২৫' প্রণয়ন করছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, নির্দেশিকায় সরকারের এবং নাগরিকদের দায়িত্ব সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করলো ডিএসসিসি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, "ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের এটি আমাদের চতুর্থ পর্ব। বিশেষ এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় নাগরিকদের সম্পৃক্তকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি।" বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন, এডাল্টিসাইডিংয়ে ব্যবহৃত প্রতিটি ফগার মেশিন প্রতি কীটনাশক ৩০ লিটার থেকে দ্বিগুন বৃদ্ধি করে ৬০ লিটার করা হয়েছে। এছাড়া, মশার ঔষধ ছিটানো নিশ্চিতকরণে অঞ্চলভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tareq Rahman took charge of Imrans treatment and operation in the 24th mass uprising

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ ইমরানের চিকিৎসা ও অপারেশন দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ ইমরানের চিকিৎসা ও অপারেশন দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত নরসিংদী বেলাবো উপজেলার মো. ইমরান হোসেনের চিকিৎসা ও অপারেশনের সার্বিক দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান।

তারেক রহমানের নির্দেশনায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহর নেতৃত্বে এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনের উপস্থিতিতে শুক্রবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে যান একটি প্রতিনিধি দল।

এ সময় নেতৃবৃন্দ চিকিৎসাধীন মো. ইমরান হোসেনের কাছে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমানের সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এম আর হাসান, ডা. রাকিব জামান, শেকৃবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক কৃষিবিদ নাহিয়ান হোসেন, কৃষিবিদ মহতির অন্তর, কৃষিবিদ মিসবাউল আলম, কৃষিবিদ শোয়াইব হোসেন, কৃষিবিদ মোরসালিন অনিক, কৃষিবিদ সালমান রকিব, কৃষিবিদ মারুফ আহমেদ, কৃষিবিদ আল মোন্তাকিম নোমান, কৃষিবিদ তাকরিম তাসওয়ার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের ডা. ফিরোজ আহমেদ, ডা. নাফিস বিন শামিম, ডা. নাফিস মাহমুদ ও ডা. আজহারুল ইসলামসহ অসংখ্য কৃষিবিদ ও ডাক্তার ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

বিএনপি’র মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে