× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Market is hot will the fasting people get relief this time?
google_news print-icon

বাজার গরম: এবার রোজাদাররা স্বস্তি পাবে তো?

বাজার-গরম-এবার-রোজাদাররা-স্বস্তি-পাবে-তো?
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে প্রায়ই। রোজা উপলক্ষে বাজার হয়েছে আরও কিছুটা অস্থির। রাজধানীর একটি বাজার থেকে তোলা ছবি। নিউজবাংলা
সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে, বাজার তদারকি বাড়িয়েছে। তবু নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতায় হেরফের নেই। রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলাসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখেছে, এরই মধ্যে ছোলা, ভোজ্যতেল, খেঁজুর, চিনি, ডাল, গুঁড়া দুধসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অথচ রমজানে বেশি ব্যবহার হওয়া ওই সব পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই।

সংযমের আর আত্মশুদ্ধির মাস রমজান এলে জিনিসপত্রের দাম বাড়া একটা নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রমজানকে সামনে রেখে ‘বাড়তি’ চাহিদার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার আশায় নিত্যপণ্যসহ অন্যান্য জিনিসিপত্রের দাম অস্থিতিশীল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দাম বাড়ার এই প্রবণতায় স্বল্প ও নির্ধারিত আয়ের চাকরিজীবীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কারণ যে হারে পণ্যের দাম বেড়েছে, সেই হারে তাদের আয় বাড়েনি।

নিউজবাংলা সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলাসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখেছে, এরই মধ্যে ছোলা, ভোজ্যতেল, খেঁজুর, চিনি, ডাল, গুঁড়া দুধসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অথচ রমজানে বেশি ব্যবহার হওয়া ওই সব পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই।

দাম বাড়ার জন্য আগের মতোই এবারও ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।

ভোক্তা পর্যায়ের খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বিধায় ভোক্তাদের ওপর প্রভাব পড়ছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, জাহাজ ভাড়াসহ অন্যান্য পরিবহন খরচ বাড়ায় জিনিসপত্রের দামে প্রভাব পড়ছে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ী ও উৎপাদকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনা-পরবর্তী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে– এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে দেশের বাজারে। তা ছাড়া জিনিসপত্রের দাম একবার বাড়লে তা আর কমে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মার্চের শেষে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলেছে, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে চাল, ডাল,আটাসহ নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি। এর জন্য দুর্বল বাজার ব্যবস্থা ও তদারকিকে দায়ী করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানান, নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় রাখতে সরকার কর ছাড়সহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই বাজার স্থিতিশীল হবে।

ইতোমধ্যে কিছু কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে বলে দাবি করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রীর এ বক্তব্যের বাস্তব প্রতিফলন তেমন নেই, শুধু পেঁয়াজ ছাড়া।

বাজার গরম: এবার রোজাদাররা স্বস্তি পাবে তো?
রোজা আসার আগেই বজোরে বেড়েছে সবজির দামও। রাজধানীর একটি বাজার থেতে তোলা ছবি। নিউজবাংলা

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজা উপলক্ষে প্রতি কেজি ছোলার দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।

তালতলা বাজারে বৃহস্পতিবার এক কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।

তালতলা বাজারের মাসুম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারে বেশি দাম দিয়ে আনতে হয়েছে। তাছাড়া পরিবহন খরচও অনেক বেড়েছে। এসব কারণে ছোলার দাম বেড়ে গেছে।’
দেশে ছোলার বর্তমান চাহিদা ১ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার মাসেই লাগে ৮০ হাজার টন।

তালতলা বাজারে সাধারণ মানের এক কেজি খেজুর বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। রোজার আগে দাম ছিল ২৫০ টাকা। কেজিপ্রতি খেজুরের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা বা ২৫ শতাংশ। দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা ৪০ হাজার টন হলেও রমজানে লাগে ২৫ হাজার টন।

মসুর ডালের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। আর খেসারি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। বাজারভেদে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। যেখানে রোজার আগে বিক্রি হতো ৭০ টাকায়। দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ টন।

বিপুল পরিমাণ করছাড় দেয়ার পরও ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কাটেনি এখনও। এক লিটার সয়াবিন তেল কোনো কোনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকায়। আবার কোথাও তা ১৬৪ টাকায়।

রমজানের বাজার স্থিতিশীল রাখতে তদারকি ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে বলে জানালেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজার আমরা নিয়মিত তদারকি করি। রমজানে সপ্তাহে সাত দিনই আমাদের টিম বাজার তদারকি করবে। অধিদপ্তরের ছয়টি আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চারটিসহ এবার মোট ১০টি টিম মাঠে থাকবে।’

তিনি বলেন, এরই মধ্যে ছোলা, খেজুরের দাম সম্পর্কে খোঁজখবর করা হয়েছে এবং ভোজ্যতেলের বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রমজান মাসজুড়েই বাজার তদারিক করা হবে বলে জানান তিনি।

বাজার গরম: এবার রোজাদাররা স্বস্তি পাবে তো?
রাজধানীর বাজারে বেড়েছে মশলার দামও। ছবি: নিউজবাংলা

ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করে ক্যাবের সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যসচিব গোলাম রহমান মনে করেন, ব্যবসায় মুনাফা অর্জন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু মুনাফা অর্জনের নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য নয়। আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ সব ধরনের পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে আরও বেশি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কারণ পণ্যের বাজার বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহের উপর নির্ভর করে। সাধারণ নিয়মে বিশ্ববাজারে যেহেতু পণ্যের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশেও বাড়বে। এটাই স্বাভাবিক।

তিনি মনে করেন, ভর্তুকি দিয়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, সারসহ কিছু স্পর্শকাতর পণ্যের মূল্য কমিয়ে রেখেছে সরকার। তা না হলে দেশে পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেত।

বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সম্প্রতি সিপিডি যে মন্তব্য করেছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের দেশে শুল্ক হার বেশি থাকার ফলে পণ্যের দাম বেশি পড়ে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভোক্তারা পৃথিবীজুড়ে অস্বস্তিতে আছে। অবশ্যই ভোক্তারা দুর্ভোগে আছেন। আরও বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হতো, যদি ভর্তুকি না দিত সরকার।

আরও পড়ুন:
সুশাসনের চাবুকে সিন্ডিকেটকারীদের শায়েস্তা করুন: ইনু
নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল: সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী
নিত্যপণ্যের আমদানি কর প্রত্যাহার করবে সরকার
দীর্ঘ লাইনে দীর্ঘশ্বাস
নিত্যপণ্যের দাম ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
On the first day after a long holiday the second Dhaka in the world in air pollution

দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম দিনই বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম দিনই বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

ঈদুল আজহায় টানা ছুটির মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাস মোটামুটি স্বাস্থ্যকর ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিহীন শুষ্ক পরিবেশ আর ক্রমেই রাজধানীর পুরনো ভিড় বাড়তে থাকায় দূষণও বাড়ছে সমান তালে।

রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ফের শীর্ষস্থানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। এ সময়ে ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ছিল বাংলাদেশের রাজধানী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য যা অস্বাস্থ্যকর।

এ সময় ১৫৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ দূষিত শহর ছিল ইন্দোনেশিয়ার মেদান। এ ছাড়া ১২৬ ও ১২৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার পরেই ছিল যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও মিসরের কায়রো।

কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
RABs clothing is robbed

র‌্যাবের পোশাক পরে উত্তরায় কোটি টাকা ছিনতাই

র‌্যাবের পোশাক পরে উত্তরায় কোটি টাকা ছিনতাই

রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব পরিচয়ে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদের’ এক পরিবেশকের এক কোটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানায়, ‘আব্দুল খালেক নয়ন নগদের একজন পরিবেশক। তিনি উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্লাটে থাকেন। শনিবার সকালে তিনি তার চারজন এমপ্লয়িকে দুইটি মোটরসাইকেলযোগে বাসার পাশেই পরিবেশক অফিসে পাঠাচ্ছিলেন। সাথে এক কোটি টাকার বেশি ছিল।’

‘তাদের বহনকারী মোটরসাইকেল দুটি বারো নম্বর রোড ক্রস করে যখন তেরো নম্বর রোডে ঢুকছিল, তখন ওৎপেতে থাকা একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস তাদের গতি রোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে র‌্যাবের পোশাক পরিহিত তিন থেকে চারজন নেমে এসে টাকার ব্যাগ বহনকারী মোটরসাইকেল আরোহীদের ধাওয়া করে।’

পুলিশ আরও জানায়, এদের মধ্যে একজন আরোহী দৌড়ে পালিয়ে গেলেও তিনজনকে টাকার ব্যাগসহ তারা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরবর্তীতে তারা উত্তরা সতেরো নম্বর সেক্টরে নগদ মাইক্রোবাস থেকে তাদের ফেলে দিয়ে টাকার ব্যাগ সহ পালিয়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে উত্তরা ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার মইদুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, ‘ঘটনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিসিটিভির ফোটেজ সংগ্রহ করেছেন। ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The wind of Dhaka is better today than Chicago Barcelona

ঢাকার বাতাস আজ শিকাগো-বার্সেলোনার চেয়েও ভালো

ঢাকার বাতাস আজ শিকাগো-বার্সেলোনার চেয়েও ভালো

ঈদ উপলক্ষে লম্বা ছুটিতে বেশ কিছুদিন ধরে একপ্রকার ফাঁকা হয়ে গেছে শহর ঢাকা। সড়কগুলোতে নেই যানবাহনের চাপ; স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতও বন্ধ; রাস্তায় লোকজনও হাতেগোনা। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমে গেলেও রাজধানীর বাতাসের মানে খুব বেশি অবনতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল মাত্র ৬৬। আর দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আরও অবাক হওয়ার মতো। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিলেও ঢাকার অবস্থান আজ ৫৫তম।

কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’। ঢাকার বাতাস আজ মাঝারি হলেও ‘ভালো’ থেকে খুব বেশি দূরে নয়।

এই সময়ে ৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৫২তম স্থানে ছিল স্পেনের বার্সেলোনা, ৫০তম স্থানে সুইজারল্যান্ডের বেয়ার্ন, ৬৮ স্কোর নিয়ে ৪৯তম স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি, ৭০ ও ৭১ স্কোর নিয়ে ৪৪ ও ৪৩তম স্থানে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসি, ৭৩ স্কোর নিয়ে ৩৮তম স্থানে কানাডার টরেন্টো, ৮০ স্কোর নিয়ে ২৭তম দূষিত শহর শিকাগো, ৯৯ স্কোর নিয়ে ১৫তম স্থানে ইতালির রোম এবং ১২৮ স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে মিলান।

তবে ১৬৮ একিউইউ স্কোর নিয়ে এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল ভারতের দিল্লি। ১৬২, ১৫৬ ও ১৩৭ স্কোর নিয়ে এর পরের তিন দূষিত শহর যথাক্রমে ইরাকের বাগদাদ, পাকিস্তানের লাহোর ও সৌদি আরবের রিয়াদ।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Emergency Meeting held to prevent the spread of Aedes mosquitoes in Dhaka South City Corporation area and prevent corona

এডিস মশার বিস্তার রোধে দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত ডিএসসিসির 

এডিস মশার বিস্তার রোধে দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত ডিএসসিসির 

এডিস মশার বিস্তার রোধে তাৎক্ষণিক ফল পেতে ১৪ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন(ডিএসসিসি) এলাকায় দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এডিস মশার বিস্তার রোধে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও করোনা প্রতিরোধে ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর ওয়াসা ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে (ফগার মেশিন দ্বারা পরিচালিত) বর্তমানে ব্যবহৃত ৩০ লিটার কীটনাশকের পরিবর্তে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থাৎ ৬০ লিটার কীটনাশক প্রতিদিন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠন ও জনবল ঘাটতি পূরণে উদ্যোগসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় মশক কর্মীদের সকাল ও বিকেলে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সঠিক অনুপাতে কীটনাশক প্রয়োগ যাচাই, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং মশক কর্মী দ্বারা বাড়ির ভিতর, আঙিনা ও ছাদের জমানো পানিসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে অঞ্চল ভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া, ডেঙ্গু ও করোনা বিষয়ে ডিএসসিসি সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া ফয়েজকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যে কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে নগর ভবনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিদিনের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের হালনাগাদ তথ্য ডিএসসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। মশক নিধনে জনবল ঘাটতি পূরণে নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ ডেঙ্গু ও করোনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A special operation in Mohammadpur was arrested

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সেলিম (৪৫), রফিক (৪০), সাদ্দাম (৩০), উজ্জ্বল (৩২) ও শামীম (২৫)।

গতকাল সোমবার (৯জুন) মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১জন, মাদক মামলায় ১জন, দূস্যতার মামলায় ১জন এবং অন্যান্য মামলায় ২জন।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jear of prerequisites

পূর্বশত্রুতার জের: পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

পূর্বশত্রুতার জের: পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

রাজধানীর পল্লবী থানার মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত ওই যুবকের নাম রাকিবুল হাসান সানি (২৯)। ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সকাল সাতটার দিকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। পরে মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক বিক্রির আধিপত্য বিস্তার ও দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রাতের আঁধারে হত্যাকারীরা কীভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে; তা এখনও স্পষ্ট নয়।

নিহতের পরিবারের দাবি, সানি একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গেল রমজান মাসেও একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র তার ওপর হামলা চালিয়েছিল।

ঘটনার পর থেকে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং এলাকায় পুলিশ ও সিআইডি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Metrorail meat cannot be carried

চলছে মেট্রোরেল, মাংস বহন করা যাবে না

চলছে মেট্রোরেল, মাংস বহন করা যাবে না

গতকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে ফের চালু হয়েছে মেট্রোরেল। তবে মেট্রোতে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না।

রোববার সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, আজ (রোববার) প্রতি ৩০ মিনিট পরপর ট্রেন চলছে। আগামীকাল সোমবার থেকে মেট্রোরেল সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে।

গত মঙ্গলবার ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলমের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মেট্রোরেলে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না। মেট্রো স্টেশনের প্রতিটি গেটে যাত্রীদের যথাযথভাবে তল্লাশি করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো যাত্রীর কাছে কাঁচা বা রান্না করা মাংস পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তার মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ আটকে দেওয়া হবে। মেট্রোরেলের নিরাপত্তা কর্মীদের এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতেও বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে