রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারে সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির আহমেদ।
ওই ছাত্রীর নাম মাইশা মমতাজ মীম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
ওসি বলেন, ‘কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে ৩০০ ফিট নামার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা ভিকটিমকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পেয়েছি। ওখানে তার একটি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে।’
তিনি জানান, মরদেহের সুরতহাল শেষে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফ্লাইওভারের ওপর দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, তা জানাতে পারেননি ওসি। তিনি বলেন, ‘নিহতের বাসা উত্তরাতে। তিনি কোথা থেকে কোন দিকে যাচ্ছিলেন, তা জানা যায়নি।
‘কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তাও প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। আমরা জানার চেষ্টা করছি।’
রাজধানীর বনশ্রীতে একটি জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
সোমবার সকালে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।
এখনও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রক্সি স্যান্ডেল নামের কারখানার টিনশেডের গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ১১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে যায় খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট। তেজগাঁও থেকে আরও ২টি ইউনিট যায় ঘটনাস্থলে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় আগুন নেভানো হয়।
রাজধানীর বনশ্রীতে একটি জুতার কারখানায় আগুন লেগেছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ বনশ্রীর ১২/৫ নং রোডে জুতার কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
খবর পেয়ে ১১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে যায় খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তেজগাঁও থেকে আরও ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আরও আসছে…
পদ্মা সেতু চালুর দিনে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের স্বাভাবিক ভিড় দেখা যায়নি। অনেকে পদ্মা সেতু দেখতে সড়কপথে রওনা দিয়েছেন বলে ধারণা করছেন লঞ্চসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগে এতদিন ব্যবহার হয়ে আসা প্রধান মাধ্যম সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে রোববার রাত ৮টায় গিয়ে যাত্রীদের কোলাহল দেখা যায়নি। অন্যান্য দিন এমন সময়ে ডেকে যাত্রীতে কানায় কানায় পূর্ণ থাকলেও লঞ্চ অনেকখানি ফাঁকাই দেখা যায়। কেবিনেরও বেশির ভাগ ভাড়া হয়নি।
টিকিট কাউন্টারের কর্মীরা বলছেন, অধিকাংশ লঞ্চেই আশানুরূপ যাত্রী নেই। ডেকের ধারণক্ষমতার অর্ধেক ও পূর্ণ হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে কী হবে, লঞ্চ কী করে চলবে আর তাদের চাকরিইবা থাকবে কি না এই নিয়ে শঙ্কা জেগেছে এরই মধ্যে। তবে কেউ কেউ বলছেন, বরিশালের মানুষ নৌপথে শুয়ে-বসে যাত্রা করে অভ্যস্ত। তারা সড়কপথে খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া যাবে না। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কিছুদিন এমন মন্দা থাকতে পারে লঞ্চে।
পারাবত লঞ্চের সুপারভাইজার মো. শাহজালাল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা লঞ্চে যাওয়ার তারা লঞ্চেই যাবে। প্রথম দিন হয়তো সেতু দেখতে গিয়েছে। সেতুর উদ্বোধন হবে তাই অনেক লঞ্চ ও বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে আসতে পারেনি।’
‘লঞ্চে ৩৫০-৪০০ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতা থাকলেও আজ দেড় শতাধিক যাত্রী হয়েছে। ঢাকা থেকে সর্বশেষ ট্রিপেও আমরা তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলাম।’
রেডসন-৫, এমভি কুয়াকাটা-১ ও ২-এর সুপারভাইজার রফিকুল ইসলাম রাজু নিউজবাংলাকে জানান, ‘রমজানের ঈদের পর থেকেই যাত্রী কম। ইদানীং তো আরও কম। সেতু হয়েছে এখন যাত্রী কমই থাকবে।’
পটুয়াখালীগামী পূবালী-৫ লঞ্চের মালিক আলী আজগর বলেন, ‘আজ লঞ্চে যাত্রী নেই বললেই চলে। ডেক একদম ফাঁকা। কেবিন তো ভাড়াই হয়নি। ঘাটে লঞ্চ নেই তাই এই অবস্থা। লঞ্চ বেশি হলে যাত্রীসংকটে ভুগতে হতে পারে।’
এমভি পারাবত-১৮ লঞ্চের মালিক ও সমিতির মহাসচিব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘যাত্রীর চাপ কমা-বাড়ার ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এটা ঈদের সময় বলা যাবে। সেতু চলাচলের আজ প্রথম দিন। অনেকে শখের বসেও হয়তো দেখতে গেছেন।’
লঞ্চে যাতায়াতের সুবিধাগুলো উল্লেখ করে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ পথে খাবার ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা শুধু লঞ্চেই রয়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে বাসগুলো সরাসরি গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো সময় খাবার বা পানি পাওয়া সম্ভব না। লঞ্চে যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন।’
সড়কপথে ভাড়া বেশি পড়বে বলেও যাত্রীরা লঞ্চ বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস করেন এই লঞ্চ মালিক। বলেন, ‘লঞ্চ ভাড়া ৩৫০ টাকা আর সেখানে বাস ভাড়া পাঁচ শতাধিক৷ এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে লঞ্চেই যাত্রীরা দক্ষিণাঞ্চলে যাবেন।’
সুন্দরবন লঞ্চের মালিক ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রিন্টু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু হয়েছে এখন সবাই দৌড়ে হয়তো চলে যাবেন। কিন্তু সুবিধা-অসুবিধা চিন্তা করে যাত্রীরা লঞ্চেই ফিরে আসবেন। কেননা লঞ্চে সড়কপথের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি।’
যাত্রী কম থাকলেও লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ভাড়া ডেকে ৩৫০, ৩৭০; এমনকি কোনো কোনো লঞ্চে ৪০০ টাকাও রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর ডেমরার শান্তিবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মো. আব্বাস আলী নামের এক নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার বেলা দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মৃত বলে জানান।
নিহতের সহকর্মী সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমরা ডেমরার শান্তিবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের তিনতলায় রড বিছানোর কাজ করছিলাম। এ সময় অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যান আব্বাস। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।’
তিনি জানান, আব্বাসের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানায়। তার বাবার নাম আবুল হোসেন। বর্তমানে ডেমরার শান্তিবাগ এলাকায় থাকতেন তিনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ডেমরা থানাকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর ওয়ারীতে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক নারী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি মারা যান।
ওই নারীর নাম রুপা বর্মণ। তার বয়স ৩০ বছর।
নিহতের স্বামী সুনীল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘ওয়ারী এলাকায় গত ১৬ জুন রাস্তা পারাপারের সময় একটি ওষুধ কোম্পানির পিকআপ ভ্যান আমার স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর অবস্থায় একটি স্থানীয় হাসপাতাল, পরে কিডনির সমস্যা দেখা দিলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১টায় সে মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়ি পুরান ঢাকার ওয়ারীর দয়াগঞ্জ এলাকায়। আমাদের এক মেয়েসন্তান রয়েছে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত ছাত্রকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ রোববার দুই দিনের রিমান্ড শেষে সাত আসামিকে আদালতে হাজির করে। আসামিদের পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নওশের আলী।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা ইসলাম উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান সাব্বির, অন্তর সরকার, নাজমুল হক, হাসিবুর রহমান, তুষার আহমেদ বাপ্পি, শফিকুল আলম খন্দকার ও ফরহাদ হোসেন শান্ত। পুলিশ গত বুধবার রাতে একটি মেসে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে তাদের।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাত শিক্ষার্থীকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ১২ মে সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় জামায়াত-শিবিরের দুই শতাধিক নেতাকর্মী রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। তারা একটি লেগুনা গাড়ি ভাঙচুর করে। বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই সাব্বির এ ঘটনায় মামলা করেন। সে মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে জবির সাত শিক্ষার্থীকে।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করেছেন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। নগরীর পানি নিষ্কাষণের দায়িত্ব ওয়াসার হাত থেকে দুই সিটি করপোরেশনে ন্যস্ত হওয়ায় এই সুফল পাওয়া গেছে বলেও মনে করেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস আশা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে হস্তান্তরিত হতে যাওয়া অচল স্লুইস গেটগুলো সচল করা যাবে। তখন জলাবদ্ধতা সমস্যার আরও উন্নতি হবে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর আওতাভুক্ত এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন রেগুলেটর/আউটলেট স্ট্রাকচারগুলো হস্তান্তর করতে এক সমঝোতা স্মারক সই এসব কথা বলেন দুই জন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে খাল হস্তান্তরের পর সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, খনন-পুনঃখনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া অনেক জায়গা ও খাল উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর জলাবদ্ধতা অনেক কম হয়েছে। আমরা দেখেছি ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যেত। আজ কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই।’
২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার ২৬টি খালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার হাত থেকে নিয়ে দুই সিটি করপোরেশনকে দেয়া হয়।
ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর যে সেতুগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে যেগুলো নৌযান চলাচলের উপযোগী নয়, সেগুলো ভেঙে ফেলার কথাও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘সেসব সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেগুলো ভেঙে নৌ-যান চলাচল উপযোগী করে নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নৌ-রুট চালু করতে পারলে ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক অনেকটাই কমে আসবে।’
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘ঢাকায় বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার প্রাকৃতিক ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। আগে বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে নদীতে চলে যেত কিন্তু এখন এসব খাল ও নদী প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সিটি করপোরেশন রাজধানীর খালগুলো সংস্কার ও সৌন্দয্যবর্ধনে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে, তা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। সিটি কপোরেশনের কার্যকলাপ আমাদেরকে আমার আলো দেখাচ্ছে।’
স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঢাকা সিটির দুই মেয়র সমন্নয়ের মাধ্যমে ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনসহ অনেক ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আমি আশাবাদী যে, খুব শিগগির ঢাকা একটি বাসযোগ্য ও আধুনিক শহরে রূপান্তরিত হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেয়র তাপস বলেন, ‘ওয়াসা থেকে আমরা যখন খালগুলো পেয়েছি, তখনই আমরা এই স্লুইস গেটগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য বলেছিলাম। আজকে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
‘আমরা এরই মাঝে এই স্লুইচ গেটগুলো মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। হস্তান্তরের সঙ্গে সঙ্গেই এগুলো যথারীতি মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ আমরা আগামীকাল থেকেই শুরু করব।’
প্রত্যেকটা স্লুইস গেট অচল রয়েছে বলেও জানান মেয়র।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার চার ধাপ আগানোর বিষয়টিও তুলে ধরেন মেয়র। বলেন, ‘আমরা সিরিয়া, করাচির নিচে ছিলাম, ত্রিপোলিরও নিচে ছিলাম।
‘বাসযোগ্যতার সামষ্টিক সূচকে ২০২১ সালে ঢাকা শহরের অর্জিত পয়েন্ট ছিল ৩৩.৫ নম্বর। এবছর আমরা ৩৯.২ নম্বর পেয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা চার ধাপ উন্নতি করেছি। আমরা আগে ছিলাম সর্বনিম্ন থেকে তিন নম্বরে, এখন আমরা সাত নম্বরে উন্নীত হয়েছি।’
মেয়র বলেন, ‘২০২১ সালে এই সূচক যখন প্রকাশিত হলো, তখন আমরা বিভিন্নভাবে সমালোচিত হয়েছি। যদিওবা আগাগোড়া ঢাকা শহর দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থানে ছিল। কিন্তু ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা, জনগণের প্রত্যাশা যে মেয়রেরা দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্হে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে। আজকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে, দৃঢ়তার সাথে এ বিষয়ে বলতে চাই যে, আমরা বদলে দিয়েছি। নগর বাসযোগ্যতার সূচকে উন্নতি করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কাজ করছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনা বিভাগে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
আরেক বিশেষ অতিথি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াসা থেকে খালগুলো সিটি করপোরেশনে নিকট হস্তান্তরের ফলে আমরা নগরবাসীকে এর সুফল দিতে পেরেছি। খাল উদ্ধার করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে খাল খনন ও বর্জ্য অপসারণ করে চলেছি। এর ফলে ঢাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়েছে।
‘নগরবাসীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পয়ঃবর্জ্যের লাইন খালে পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যানজট নিরসনে খালগুলোকে রক্ষা করে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করে আমাদেরকে ন্যাচার-বেজড সলিউশন করতে হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানও উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতার মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন ঢাকা সমন্বিত বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৩৭টি রেগুলেটর/ড্রেনেজ আউটলেট স্ট্রাকচার এবং বুড়িগঙ্গা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত ১৮টি ড্রেনেজ আউটলেট ট্রাকচার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হলো।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য