× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
ADB will provide Tk 1233 crore to increase growth
google_news print-icon

প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ১২৩৩ কোটি টাকা দেবে এডিবি

প্রবৃদ্ধি-বাড়াতে-১২৩৩-কোটি-টাকা-দেবে-এডিবি
এডিবি প্রধান অর্থনীতিবিদ তাদাতেরু হায়াশি বলেন, ‘এই সহায়তা শিল্পায়ন এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যকে সমর্থন করে। প্রকল্পটি রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ এবং নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে। এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করবে।’

বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বাংলাদেশকে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণসহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। বর্তমান বিনিময়হার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ২০ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এই সহায়তা অবদান রাখবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এই অর্থ বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে ব্যয় করা হবে; একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। যার আওতায় আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের দক্ষতা, পূর্বাভাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার উন্নতির মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।

এডিবি বলেছে, বাংলাদেশ রপ্তানির গুণগত মান উন্নয়ন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা চুক্তি সই এবং সীমান্ত এজেন্সি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে আরও ভালো সমন্বয়ের মাধ্যমে বাণিজ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য সুবিধার কৌশলগুলো চালিয়ে যাচ্ছে।

এই অর্থে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, তা বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়াতে আরও সহায়তা করবে জানিয়েছেন এডিবি প্রধান অর্থনীতিবিদ তাদাতেরু হায়াশি।

তিনি বলেন, ‘এডিবির সহায়তা শিল্পায়ন এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করাতে সরকারকে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ এবং নতুন নতুন রপ্তানি বাজার খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করবে।’

‘এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।’

এই ঋণের ৯ কোটি ডলার বাংলাদেশের শুল্ক আইনি কাঠামোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত, কার্গো ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়ার উন্নতি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা জোরদার করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারে সহায়তা করবে।

প্রকল্পের ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার আখাউড়া, সোনামসজিদ এবং তামাবিল সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্টে, এনবিআর এবং বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির সমন্বিত স্থল শুল্ক স্টেশন এবং স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে।

আর ১৫ লাখ ডলার ব্যয় করা হবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে। শুল্ক আইনি কাঠামোর আধুনিকীকরণ, সীমান্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শুল্ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন, এনবিআরের সক্ষতা বৃদ্ধিসহ শুল্ক ও বাণিজ্য বিষয়ক অন্য সব কাজে প্রযুক্তির সন্নেবেশ ঘটানো হবে।

আরও পড়ুন:
এশিয়ার ৯ কোটি লোককে নিঃস্ব করেছে করোনা
১৩৫০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এলডিসি থেকে উত্তরণ: এডিবিকে পাশে চায় বাংলাদেশ
মাঝপথ পেরোলেও খরচের হাত খুলছে না স্বাস্থ্য
মুহুরি সেচ প্রকল্পে আরও ১১৬ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The government is losing revenue of the Guest Control Act

প্রয়োগ নেই অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইনের, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

প্রয়োগ নেই অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইনের, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অনুষ্ঠানস্থলে আসা কিছু অতিথি। ছবি: ইউএনবি
১৯৮৪ সালের অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, দেশের যেকোনো সেন্টারে বিয়ে, জন্মদিন, আকিকা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অতিথি ১০০ বা তার কম হলে সরকারকে কোনো ধরনের রাজস্ব দিতে হয় না। এর বেশি হলেই জনপ্রতি ২৫ টাকা হারে রাজস্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রয়োগের অভাবে কেউই মানছে না এই আইন।

বিয়েসহ অন্যান্য বেশ কিছু অনুষ্ঠানের জন্য অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন থাকলেও তার প্রয়োগ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

অন্যদিকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষের অনেকেই আইনটি সম্পর্কে জানেন না।

১৯৮৪ সালের অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, দেশের যেকোনো সেন্টারে বিয়ে, জন্মদিন, আকিকা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অতিথি ১০০ বা তার কম হলে সরকারকে কোনো ধরনের রাজস্ব দিতে হয় না। এর বেশি হলেই জনপ্রতি ২৫ টাকা হারে রাজস্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রয়োগের অভাবে কেউই মানছে না এই আইন।

শুধু তাই নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতিও নিতে দেখা যায় না।

জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মোহাম্মদ আবুজর গিফরী নিজেই তেমন কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘রাজস্ব দেওয়া তো দূরের কথা, গত ১৫ বছরে কেউ অনুমতির জন্যই আসেনি। এ রকম আইন জেলা প্রশাসকের অফিসে থাকতে পারে। আমাদের আছে কি না, খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।’

ফেনীতে গত বছর ৯ হাজার ৮৫৩টি বিয়ে হয়। প্রতিটি বিয়ে অনুষ্ঠানে গড়ে তিন শতাধিক অতিথি অংশ নেন বলে জেলা শহরের বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার সংশ্লিষ্টরা জানান।

পারিবারিক, সামাজিক, অভিজাত রেস্তোরাঁ ও জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক কমিউনিটি সেন্টারে বিয়েসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এ ছাড়াও শতাধিক অতিথি নিয়ে ঘরোয়া ও কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হলে আয়োজন হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক অনেক অনুষ্ঠান।

ফেনী সদর কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ খান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত সরকারকে ভ্যাট দিয়ে থাকি। তবে অতিথির সংখ্যা ও করের বিষয়টি অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দেখবে।’

সম্প্রতি স্মৃতি কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, দুই পাশে দুটি বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক অতিথির আপ্যায়ন চলছে।

অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী কনের বাবার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) কাছে অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ১০০ অতিথির বেশি হলে জনপ্রতি ২৫ টাকা করে রাজস্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে জানালে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান।

ফেনী গ্র্যান্ড সুলতান কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নানা রকম অনুষ্ঠান হলেও কাউকে রাজস্ব দিতে ও নিতে দেখিনি।’

ফেনী জেলার কোথাও অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ নেই। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় সরকার প্রতি বছর বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে। তা ছাড়া আইনটি সম্পর্কে জনসচেতনতার অভাবে আপ্যায়নে অতিথির সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিযোগিতামূলকভাবে।

১৯৮৪ সালের ৩০ আগস্ট অতিথি আইন চালু করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সে সময় এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১০০ জনের অধিক অতিথি আপ্যায়ন করতে হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসন বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা সিটি, পৌর প্রশাসকের লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। ১০০ জনের অতিরিক্ত প্রতি জনের জন্য ২৫ টাকা হারে আপ্যায়ন ফি জমা দিতে হবে।

এ আইন অমান্যকারীকে অতিরিক্ত প্রত্যেক অতিথির জন্য ১০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।

আপ্যায়নকারী নির্ধারিত জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্ট ১৯১৩-এর আওতায় সার্টিফিকেট মামলা করার বিধান রয়েছে।

এ ছাড়াও আইন অমান্যকারীর কাছে থেকে শাস্তিমূলক মাশুল আদায় এবং আইনের প্রয়োগের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর নিযুক্ত ক্ষমতা সব গেজেটেড কর্মকর্তার মতো দেওয়া হয়।

এরপর ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিয়ে, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ১৫০ জন পর্যন্ত অতিথি বিনা মাশুলে আপ্যায়ন করা যাবে। ১৫১ জন থেকে এক হাজার জন পর্যন্ত মাথাপিছু ২০ টাকা ও তদূর্ধ্ব ক্ষেত্রে মাথাপিছু ১০ টাকা হারে মাশুল ধার্য করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীকে দ্বিগুণ হারে জরিমানা করা হবে বলে আইনে বলা হয়।

এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে উল্লিখিত বিভাগগুলোর প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি থাকবে। তবে ওরশ, ধর্মসভা, চেহলাম ও শ্রাদ্ধের ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনটি থাকলেও তার কার্যকারিতা বা প্রয়োগ নেই। আমরা শিগগিরই আইনটি পড়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন:
বিচারক নিয়োগ বিধি অতীতে নিপীড়ন-নির্যাতনে সহায়তা করেছে
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন 
সংস্কারের জন্য বছরখানেক সময় চান আইন উপদেষ্টা
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির আগে পর্যালোচনার সুপারিশ টিআইবির
বিজয় দিবসে মোদির পোস্টে আইন উপদেষ্টার তীব্র প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rivo brought two electric bikes to reduce lakhs

লাখ টাকার কমে দুটি ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো

লাখ টাকার কমে দুটি ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো রিভোর নতুন দুই বাইকের উন্মোচন অনুষ্ঠানে আয়োজন সংশ্লিষ্টরা। ছবি: রিভো
‘এ১০’ এবং ‘এ১২’ নামের মডেলগুলো সাধারণ ক্রেতাদের দৈনন্দিন যাতায়াতে নতুন মাত্রা দেবে বলে মনে করে কোম্পানিটি।

দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দুটি ইলেকট্রিক বাইক এনেছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘রিভো।

‘এ১০’ এবং ‘এ১২’ নামের মডেলগুলো সাধারণ ক্রেতাদের দৈনন্দিন যাতায়াতে নতুন মাত্রা দেবে বলে মনে করে কোম্পানিটি।

রিভোর ভাষ্য, উভয় বাইকই দৃষ্টিনন্দন, টেকসই। সেই সঙ্গে এগুলোতে রয়েছে অসাধারণ ব্যাটারি পারফরম্যান্স।

রিভোর ‘এ১০’ মডেলের ন্যূনতম দাম ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা। ‘এ১২’ মডেলের বাইক পাওয়া যাবে ৯৯ হাজার ৯০০ টাকায়। বাইক দুটি একবার চার্জে ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে।

রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে অবস্থিত শোরুমে শনিবার সন্ধ্যায় নতুন বাইক দুটি উন্মোচন করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ‘ভেন নেইল’।

ওই সময় তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ রূপান্তরের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই মানুষ আরও টেকসই ও সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক যানবাহনের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন যাতায়াত সহজতর করুক।

“‘এ১০’ এবং ‘এ১২’-এর উদ্বোধন আমাদের ক্রমাগত উদ্ভাবন ও উন্নতির প্রতিফলন। আমরা সবসময় আমাদের পণ্য উন্নত করছি, যেন গ্রাহকরা সর্বোচ্চ সুবিধা পান।”

রিভো জানায়, রিভো ‘এ১০’ তরুণদের জন্য আদর্শ, আধুনিক ডিজাইনের একটি বৈদ্যুতিক বাইক, যেটি সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি এবং একবার চার্জে ৬৫-৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। এই বাইকের সর্বোচ্চ গতি ৩৫ কিমি/ঘণ্টা, যা নিরাপদ ও আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করে।

এ ছাড়া রিভোর ‘এ১২’ বাংলাদেশে চালু হওয়া ‘এ০১’ মডেলের একটি উন্নত সংস্করণ। পেশাদার ও করপোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি এ মডেলে রয়েছে ৬০ ভোল্ট/২৬ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি এবং ১০০০ ওয়াট মোটর।

এ বাইকের সর্বোচ্চ গতি ৪৭ কিমি/ঘণ্টা। আর একবার চার্জে এটি চলতে পারবে ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন:
চার দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত বাইক উদ্ধার
বাবার বাইক থেকে ছিটকে ট্রাকে পিষ্ট কিশোরী
চালক হত্যার প্রতিবাদে আধাবেলা ইজিবাইক ধর্মঘটের ডাক
বন্ধুর বাড়িতে বন্ধুসহ ২ শিক্ষার্থীর প্রাণ গেল বাইকে
মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Unveil Apo A3 Pro with promise of all round performance

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘অপো এ৫ প্রো’ উন্মোচন

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘অপো এ৫ প্রো’ উন্মোচন ‘প্রোডাক্ট অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে এ ডিভাইসের সঙ্গে রয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ছবি: অপো
অপোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বাংলাদেশের প্রথম স্মার্টফোন যেটি আন্তর্জাতিকভাবে সার্টিফিকেশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘টপ-রেটেড ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স এবং ড্রপ টেস্টে সফলতা দেখিয়েছে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজধানী ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বাজারে এসেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপোর নতুন স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’।

‘প্রোডাক্ট অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে এ ডিভাইসের সঙ্গে রয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

অপোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বাংলাদেশের প্রথম স্মার্টফোন যেটি আন্তর্জাতিকভাবে সার্টিফিকেশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘টপ-রেটেড ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স এবং ড্রপ টেস্টে সফলতা দেখিয়েছে।

এ স্মার্টফোনে আছে ‘আইপি৬৯’, ‘আইপি৬৮’ এবং ‘আইপি৬৬’ রেটিংস, যা পানি ও ধুলা থেকে মোবাইলকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়। এ ছাড়া ডিভাইসটির ফাইবার গ্লাস লেদার ডিজাইন যেমন দেখতে দৃষ্টিনন্দন, তেমনই এটি যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশ, যেমন- পানি, উচ্চ-চাপ এবং ধুলাবালি থেকে স্মার্টফোনকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়।

ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ওয়াটারপ্রুফিং এবং মিলিটারি গ্রেডের শক রেজিস্ট্যান্স

অপো জানায়, স্মার্টফোনের টেকসইতা বা স্থায়িত্বে ‘অপো এ৫ প্রো’ নতুন মানদণ্ড দাঁড় করিয়েছে। এ মোবাইলে আছে, ‘আইপি৬৯’, ‘আইপি৬৮’ এবং ‘আইপি৬৬’ এর তিন লেয়ারের নিরাপত্তা, যা ডিভাইসে পানি প্রবেশ, ধুলো জমা হওয়া এবং ‘হাই প্রেশার স্প্রে’র মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফোনকে নিরাপত্তা দেয়।

অপোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’র ওয়াটারপ্রুফিং সিস্টেমে আছে সিলিকন রিংস এবং অ্যাডহেসিভ ম্যাটেরিয়াল। এটি সাইড অপেনিং রুদ্ধ করে এবং এয়ার টাইট ব্যারিয়ার তৈরি করে। এ ছাড়া স্মার্টফোনের ডুয়েল-লেয়ার সিলিং সিস্টেম মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের সুরক্ষা দেয়। পাশাপাশি মাইক্রোপোরাস ‘পেট সল্যুশন’ পানি থেকে মাইক্রোফোনকে নিরাপদ রাখে।

‘অপো এ৫ প্রো’তে আরও রয়েছে মিলিটারি গ্রেডের শক রেজিস্ট্যান্স। এটি ১৪টি মিলিটারি-স্ট্যান্ডার্ড টেস্টে সফল হয়েছে অর্থ্যাৎ বৈরি পরিবেশেও স্মার্টফোনটি খাপ-খাইয়ে নিতে পারে।

এই ফোনে রয়েছে ডাবল-টেম্পার্ড গ্লাস, যা ১৬০ শতাংশ বেশি ড্রপ প্রটেকশন দিয়ে থাকে। এ ছাড়া অ্যালুমিনিয়াম অ্যালোয় ফ্রেম নিশ্চিত করে অধিকতর স্থায়িত্ব। একই সঙ্গে স্মার্টফোনের বাইনিক কুশনিং ক্যামেরা, মোটর এবং ব্যাটারিসহ অন্যান্য উপকরণের সুরক্ষা দেয়।

এআই প্রযুক্তি সংবলিত ফটোগ্রাফি এবং অধিকতর উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা সিস্টেম

অপোর ভাষ্য, ‘এ৫ প্রো’ টেকসই ডিজাইনের পাশাপাশি ফটোগ্রাফির জন্য আদর্শ ডিভাইস। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এআই ফিচারগুলো যা কিনা ছবির গুণগত মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। ডিভাইসের ‘এআই ইরেজার ২.০’ ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মুছে ফেলে, ‘এআই রিফ্লেকশন রিমুভার’ প্রতিফলন দূর করে এবং ‘এআই আনব্লার’ ফিচার অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ‘এআই ক্লিয়ারিটি এনহেন্সার’ ছবির স্বচ্ছতা বাড়িয়ে দেয় এবং ‘এআই স্টুডিও’ ছবিকে সৃজনশীল করতে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করে। এ ছাড়া ‘এআই স্মার্ট ইমেজ মেটিং ২.০’ অ্যালবামের ডিজিটাল কনটেন্টগুলো সিঙ্গেল ট্যাপে শেয়ার ও কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেয়।

‘অপো এ৫ প্রো’তে আরও রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল সক্ষমতার আল্ট্রা ক্লিয়ার মূল ক্যামেরার পাশাপাশি ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এসব সব ক্যামেরা গ্রাহকদের স্বচ্ছ, নিখুঁত, অকৃত্রিম ছবি তুলতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া ডিভাইসটিতে ইন-বিল্ট ইমেজ অ্যালগরিদম ও পোর্ট্রেট মোড রয়েছে। ‘এআই পোট্রেট’ ডিটেইলড ও ব্যালেন্সড ছবি উপহার দেয়।

‘অপো এ৫ প্রো’ আন্ডারওয়াটার ফটোগাফিও সাপোর্ট করে। ফলে ফটোগ্রাফিপ্রেমীরা পানির নিচে প্রাণবন্ত ও স্পষ্ট ছবি তুলতে পারবেন।

‘আউটডোর মোড’

‘অপো এ৫ প্রো’ ঘরের বাইরে পেশাজীবীদের কথা ভেবে বিশেষভাবে ডিজাইন করা। ডিভাইসের ‘আউটডোর মোড’ দ্রুত নেটওয়ার্ক এক্সেসের জন্য নেটওয়ার্ক সেটিংস অপটিমাইজ করে এবং জরুরি কাজের অ্যাপগুলোর জন্য বাড়তি জায়গা বরাদ্দ করে এবং স্ক্রিন টাইমআউট বৃদ্ধি করে।

এ ছাড়া স্মার্টফোনটির ইন্টারফেস ওয়াটারপ্রুফ গ্লাভসসহ বিভিন্ন গ্লাভসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ফলে প্রতিকূল পরিবেশে নির্বিঘ্নে মোবাইলটি ব্যবহার করা যাবে।

ব্যাটারি সক্ষমতা

এ স্মার্টফোন রয়েছে ৪৫ ওয়াট সুপারভোগ স্মার্ট চার্জিং সমন্বয়ে ৫ হাজার ৮০০ এমএএইচ সক্ষমতার ব্যাটারি। ফলে ৭৬ মিনিটে ফোনটি পুরোপুরি চার্জ হয়। আগের মডেলের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি ব্যাটারি সক্ষমতা থাকায় এটি ৩৬ ঘণ্টা কল টাইম, ১৭ ঘণ্টা ইউটিউব প্লেব্যাক ও ২৮ ঘণ্টা অডিও প্লেব্যাক নিশ্চিত করে।

ডিভাইসটির মাধ্যমে একবার চার্জেই ৭ দশমিক ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ‘মোবাইল লিজেন্ডস: ব্যাং ব্যাং’ গেমিং উপভোগ করা যায়। পাশাপাশি ‘চার বছরের বেশি টেকসই ব্যাটারি’ ফিচার সময়ের পরিক্রমায়ও ৮০ শতাংশের বেশি অরিজিনাল ব্যাটারি সক্ষমতা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

স্টোরেজ

‘অপো এ৫ প্রো’তে রয়েছে ৮ জিবি র‍্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ সক্ষমতা। অপোর র‌্যাম এক্সপ্যানশন ফিচারের সমন্বয়ে এ সেটআপ র‌্যামের দ্বিগুণ পারফরম্যান্স ও নির্বিঘ্ন মাল্টিটাস্কিং নিশ্চিত করে। এ ছাড়া অপোর ট্রিনিটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা ‘কালারওএস ১৫ লাইট’ সিস্টেমের স্ট্যাবিলিটি বা দৃঢ়তায় ভূমিকা রাখে।

ডিভাইসটি অপোর ‘৪৮ মাসের ফ্লুয়েন্সি প্রটেকশন সার্টিফিকেশন’ পেয়েছে, যা কিনা ৪ বছর পরও ডিভাইসের স্মুথ পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়।

ডিসপ্লের ক্ষেত্রে ১ হাজার নিটের আল্ট্রা ব্রাইট ডিসপ্লে সরাসরি সূর্যের আলোতেও পরিস্কার ভিজ্যুয়াল পেতে সাহায্য করে এবং ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার এবং আল্ট্রা ভলিউম মোড ৩০০ শতাংশের বেশি প্রাণবন্ত অডিও-ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করে।

প্রি-অর্ডার অফার ও মূল্য

‘অপো এ৫ প্রো’ (৮জিবি + ১২৮ জিবি) অলিভ গ্রিন ও মোকা ব্রাউন রঙে পাওয়া যাচ্ছে এবং এটির প্রি-অর্ডার মূল্য ২৩ হাজার ৯৯০ টাকা। যেসব ক্রেতা প্রি-অর্ডার করবেন তারা একটি পোর্টেবল মিনি স্পিকারের সঙ্গে অপো সুপার শিল্ড কার্ড পাবেন, যেটি কি না ২ বছরের অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি এবং ১ বছরের লিকুইড এবং দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিবিষয়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমরা গ্রাহকদের কাছে অলরাউন্ড ‘অপো এ৫ প্রো’ পৌঁছে দিতে পেরে আনন্দিত। এটি ব্যবহারকারীদের একই সঙ্গে স্থায়িত্ব ও প্রিমিয়াম ফিচার দেবে।

‍“আমি মনে করি ডিভাইসটি উন্নত প্রযুক্তি ও টেকসইতার সমন্বয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পারফরম্যান্সের একটি নতুন মানদণ্ড দাঁড় করাতে সক্ষম।”

আরও পড়ুন:
এফ২১এস প্রো উন্মোচন করলো অপো
অপো এ১৬ স্মার্টফোনের দাম কমল
থ্রিডি গ্রাফিক্সের মানোন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে অপো
১৭৯৯০ টাকায় অপোর নতুন স্মার্টফোন
এ সিরিজের নতুন ডিভাইস আনছে অপো

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mehdi Miraj is the brand ambassador of the A3 Pro

অপো এ৫ প্রোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন মেহেদী মিরাজ

অপো এ৫ প্রোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন মেহেদী মিরাজ ‘অপো এ৫ প্রো’র প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা মেহেদি হাসান মিরাজ। ছবি: অপো
মেহেদী হাসান মিরাজ এ পার্টনারশিপ নিয়ে নিজের আগ্রহ ব্যক্ত করে বলেন, “আমি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো এবং তাদের অসাধারণ ডিভাইস ‘এ৫ প্রো’র প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। আমি মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে যেখানেই থাকি না কেন, আমার পারফরম্যান্স এবং মনোবলের সঙ্গে এই ফোনের ভাবনাটা পুরোপুরি মিলে যায়।”

বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো। ব্র্যান্ডটির নতুন ডিভাইস ‘অপো এ৫ প্রো’র প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা ও অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এ তারকাকে সঙ্গে নিয়ে অপো ব্র্যান্ডটির প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।

অপোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিরাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যতিক্রমী ও বৈচিত্র্যময় খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত, যিনি অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে থাকে। ঠিক তেমনই ‘অপো এ৫ প্রো’ও গ্রাহকদের অলরাউন্ড স্থায়িত্ব ও অলরাউন্ড এআই ক্যাপাবিলিটি দেবে। অর্থাৎ জীবনের বহুমুখী ক্ষেত্রে যারা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স চান, ডিভাইসটি তাদের জন্য সর্বোত্তম সঙ্গী।

কোম্পানিটির ভাষ্য, নিজের ব্যক্তিগত স্মার্টফোনের কাছ থেকে যারা সবসময়ই বাড়তি পারফরম্যান্স আশা করেন, ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসটি ঠিক তাদের জন্যই। মিরাজ যেভাবে খেলার মাঠের সর্বত্র অবদান রাখেন, তেমনি ‘অপো এ৫ প্রো’ স্টাইলিশ ডিজাইন ও সর্বত্রই পারফরম্যান্সের স্থায়িত্বের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মন জয় করে নিতে সক্ষম। এই স্মার্টফোনের ওয়াটারপ্রুফিং ফিচার, শক্ত গড়ন, আস্থাযোগ্য পারফরম্যান্স দৈনন্দিন সব পরিবেশের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।

অপো জানায়, ডিভাইসটির এআই-সক্ষমতার ক্যামেরা ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আশেপাশের সবকিছুর সঙ্গে খাপখাইয়ে নেয় এবং নিশ্চিত করে যে প্রতিটি শটই হোক নিখুঁত। এই ফোন এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে এটি দ্রুতগতির লাইফস্টাইলের সঙ্গে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে।

মেহেদী হাসান মিরাজ এ পার্টনারশিপ নিয়ে নিজের আগ্রহ ব্যক্ত করে বলেন, “আমি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো এবং তাদের অসাধারণ ডিভাইস ‘এ৫ প্রো’র প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। আমি মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে যেখানেই থাকি না কেন, আমার পারফরম্যান্স এবং মনোবলের সঙ্গে এই ফোনের ভাবনাটা পুরোপুরি মিলে যায়।

‍“ক্রিকেটে যেমন পারফরম্যান্সের বৈচিত্র্যই মুখ্য, তেমনই ‘এ৫ প্রো’র অলরাউন্ড এআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্থায়িত্ব এটিকে নানান প্রয়োজনে ব্যবহার উপযোগী করে আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উদযাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে।”

অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “‘অপো এ৫ প্রো’র প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স অ্যাম্বাসেডর হিসেবে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে পেয়ে আমরা আনন্দিত। অলরাউন্ডার হিসেবে তার প্রচেষ্টা ও মনোবল, ঠিক যেন ‘অপো এ৫ প্রো’রই স্থায়িত্ব, এআই সক্ষমতাসহ অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সেরই প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি যে, ‘অপো এ৫ প্রো’ পারফরম্যান্স এবং স্টাইলের মিশেলে ‘গেমচেঞ্জার’ হিসেবে মার্কেটে জায়গা করে নেবে।”

ডিভাইসটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://www.oppo.com/en/) ভিজিট অথবা অথোরাইজড অপো রিটেইল শপ ঘুরে আসতে পারেন।

আরও পড়ুন:
নান্দনিকতা ও সৌন্দর্যের মিশেলে আসছে ‘অপো এ ফাইভ প্রো’
দেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফির স্মার্টফোন ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ উন্মোচন
প্রকৃতি ও ফ্যাশনের মিশেলে অপোর রেনো১৩ সিরিজের স্মার্টফোন
আবারও ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মিরাজ
সিরিজজয়ী মিরাজ বললেন, ‘ভালোর শেষ নেই’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Huaweis Health Awareness Workshop for Womens Day Womens Day

নারী দিবসে কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক কর্মশালা হুয়াওয়ের

নারী দিবসে কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক কর্মশালা হুয়াওয়ের হুয়াওয়ের কর্মশালায় অতিথি ও আয়োজন সংশ্লিষ্টরা। ছবি: হুয়াওয়ে
ঢাকায় হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া রিপ্রেজেনটেটিভ অফিসে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে নারী কর্মীদের জন্য একটি স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করেছে।

ঢাকায় হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া রিপ্রেজেনটেটিভ অফিসে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এ বিশেষ উদ্যোগ কর্মীদের সুস্থতা ও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কর্মশালার লক্ষ্য ছিলো নারী কর্মীদের ইউরিনারি হেলথের ওপর কাউন্সেলিং প্রদান করা। কাউন্সেলিংয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই), যা নারীদের একটি সাধারণ সমস্যা।

ইউনাইটেড হসপিটালের চিকিৎসক সরকার কামরুন জাহান ঝিনুক এ সমস্যার ঝুঁকি, লক্ষণ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন,‌ ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্টের ইনফেকশন জীবনযাপনের কিছু সাধারণ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রচুর পরিমাণে পানি পান, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, আটসাট পোশাক পরিহারের মাধ্যমে আর্দ্রতা ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে ইউটিআই হওয়ার সম্ভাবনা কমানো সম্ভব।’

হুয়াওয়ের এইচআর ডিরেক্টর লিনজিয়াও এ কর্মশালার সূচনা করেন। হুয়াওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

লিনজিয়াও বলেন, “হুয়াওয়েতে আমরা কর্মদক্ষতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। একজন কর্মী পুরুষ বা নারী যাই হোক না কেন, আমরা তাকে তার দায়িত্বশীলতা ও কর্মদক্ষতার মানদণ্ড দিয়েই বিচার করি। আমরা দেখেছি যে, পুরুষ এবং নারী উভয়ই দক্ষতার সাথে কাজ করতে সক্ষম। হুয়াওয়ের কর্মীদের সুস্থতার দিকেও আমরা মনোযোগ দিয়ে থাকি।

‘তাই আমাদের কর্মীদের জন্য ওপিডি ও আইপিডি বিমার সুবিধা রয়েছে। আমরা কর্মীদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক কর্মশালারও আয়োজন করি। আজকের কর্মশালা নারী কর্মীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।’

হুয়াওয়ের ভাষ্য, প্রতিষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে কর্মক্ষেত্রে বায়ু, পানি ও খাবারের গুণমান পরীক্ষা করার মতো উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করে। এ ছাড়া হুয়াওয়ের পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিয়ষক নীতি অনুযায়ী নিয়মিত ফায়ার ড্রিলসেরও আয়োজন করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন:
অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
‌‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ ও হুয়াওয়ে
আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ধারক নারীদের নিরাপত্তা: ফখরুল
পরিবার নারীকে সাহস দিলে রাষ্ট্রও পাশে থাকবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বুয়েটে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bikash and Huawei of the Best Fintec Innovation Award

‌‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ ও হুয়াওয়ে

‌‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ ও হুয়াওয়ে বার্সেলোনায় আয়োজিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) প্রতিষ্ঠান দুটিকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ছবি: হুয়াওয়ে
গ্লোমো ‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আর্থিক প্রযুক্তি খাতের সেই সব যুগান্তকারী স্বীকৃতি দেওয়া হয় যেগুলো জনসাধারণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবার পরিচালনা ও ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে রূপান্তরিত করে।

বিকাশ ও হুয়াওয়ে ডিজিটাল লোন সেবা চালুর স্বীকৃতি হিসেবে জিএসএমএ গ্লোমো ‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।

বার্সেলোনায় আয়োজিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) প্রতিষ্ঠান দুটিকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

গ্লোমো ‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আর্থিক প্রযুক্তি খাতের সেই সব যুগান্তকারী স্বীকৃতি দেওয়া হয় যেগুলো জনসাধারণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবার পরিচালনা ও ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে রূপান্তরিত করে।

বিকাশ ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘পে লেটার’ সেবা প্রদানে অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে। এ উদ্যোগ ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমেয়াদি ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা দিয়ে তাদের দৈনন্দিন খরচের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করেছে।

২০১৮ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে বিকাশ বাংলাদেশের ৬১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিয়েছে। তবে এখনও ৩৭ শতাংশ নাগরিক জরুরি প্রয়োজনের জন্য উচ্চ সুদের ঋণদাতাদের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া মাত্র ৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে থাকে।

বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিকাশ হুয়াওয়ের সহযোগিতায় ‘পে লেটার’ সেবা চালু করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশকে তাৎক্ষণিকভাবে ও কাগজের ব্যবহার ছাড়াই ক্ষুদ্র ঋণ ও ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়।

এ সেবা বিশেষভাবে গ্রামাঞ্চলের নারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক উদ্যোক্তাদের সাহায্য করেছে। এটি তাদের মূলধন সংগ্রহ ও দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি স্থানীয় ই-কমার্সকে প্রসারিত করেছে।

বিকাশের চিফ প্রোডাক্ট অ্যান্ড টেকনোলজি অফিসার (সিপিটিও) মোহাম্মদ আজমল হুদা বলেন, “হুয়াওয়ের মোবাইল মানি প্ল্যাটফর্মের সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা ২০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পেমেন্ট সেবা দ্রুত প্রসারিত করার পাশাপাশি ‘পে লেটার’ মাইক্রো ফিন্যান্সিয়াল সেবা চালু করেছি। এই উদ্যোগ লক্ষ লক্ষ মানুষের আর্থিক স্বাবলম্বিতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে ও বাংলাদেশে সর্বজনীন আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।”

হুয়াওয়ের সফটওয়্যার বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট মরিস মা বলেন, “বিকাশের সাথে যৌথভাবে
গ্লোমো বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। সেবা ও পণ্য উদ্ভাবনে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের সক্ষমতাকে বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাব যাতে আমাদের গ্রাহক আরও বেশি ব্যবসায়িক সাফল্য খুঁজে পায় ও সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।”

গত এক দশকে হুয়াওয়ের মোবাইল মানি সল্যুশন ৪০টিরও বেশি দেশে ৪৮ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীকে আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। এতে রয়েছে বিশেষ ক্লাউড-নেটিভ ডিস্ট্রিবিউটেড আর্কিটেকচার, যা প্ল্যাটফর্মের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ নির্ভরযোগ্যতা ও সীমাহীন সম্প্রসারণ সক্ষমতা নিশ্চিত করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন থাকে।

শক্তিশালী ডেটা ও এআই ইঞ্জিনের সাহায্যে হুয়াওয়ে মোবাইল মানি দ্রুত ও কার্যকরভাবে আর্থিক ঝুঁকি বিশ্লেষণের পাশাপাশি আয়ের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এ প্ল্যাটফর্মের উন্মুক্ত অবকাঠামো যেমন নতুন ব্যবসায়িক উদ্ভাবনকে বিকশিত করে, তেমন এটি ডিজিটাল লাইফস্টাইলকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের জন্য আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও উন্নত আর্থিক সেবা নিশ্চিত করে।

স্পেনের বার্সেলোনায় ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) অনুষ্ঠিত হয়। হুয়াওয়ে এ ইভেন্টে ফিরা গ্রান ভিয়া হল ১-এ স্ট্যান্ড ওয়ান এইচ ফিফটিতে প্রতিষ্ঠানটির সর্বাধুনিক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে। ২০২৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি-এডভান্সড প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) টেলিকম অপারেটরদের ব্যবসা, অবকাঠামো, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতিকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

একটি বুদ্ধিবৃত্তিক/ইনটেলিজেন্ট বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার জন্য হুয়াওয়ে বিভিন্ন টেলিকম অপারেটর ও সহযোগীদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
বুয়েটে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজন
‘হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’: ক্যাম্পাস রোডশো শুরু
অর্ধশতাধিক ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে বিকাশ স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টের বিজ্ঞাপন
বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মীম
বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো আকর্ষণীয় ৫ ফিচার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The idea of ​​Ultra Phone can be announced in Realmy DSLR Lens

আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা রিয়েলমির, যুক্ত করা যাবে ডিএসএলআর লেন্স

আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা রিয়েলমির, যুক্ত করা যাবে ডিএসএলআর লেন্স ডিভাইসটিতে প্রোটোটাইপ ‘ইন্টারচেঞ্জঅ্যাবল লেন্স সেটআপ’ বা লেন্স বদল করার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চমক রয়েছে। ছবি: রিয়েলমি
অভিনব এ স্মার্টফোনে থাকবে ‘প্রোপাইটরি লেন্স মাউন্ট সিস্টেম’-এর সঙ্গে যুক্ত ১ ইঞ্চি কাস্টমাইজড সনি সেন্সর, যেটি ব্যবহারকারীদের সরাসরি ডিএসএলআর লেন্সের সঙ্গে স্মার্টফোন যুক্ত করার সুযোগ করে দেবে। এতে থাকবে ৭৩এমএম পোট্রের্ট এবং ২৩৪এমএম টেলিফটো, এ দুটি প্রো-লেভেল লেন্সেস। এ ছাড়া ক্রিমি বোকেহসহ ১০ গুণ জুম ডিভাইসকে দারুণ স্বচ্ছতা দেয়, যা মোবাইল ডিভাইসের জন্য অকল্পনীয়।

‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস’ বা এমডব্লিউসি-২০২৫ সম্মেলনে ‘আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি।

এ ডিভাইসে প্রোটোটাইপ ‘ইন্টারচেঞ্জঅ্যাবল লেন্স সেটআপ’ বা লেন্স বদল করার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চমক রয়েছে।

অভিনব এ স্মার্টফোনে থাকবে ‘প্রোপাইটরি লেন্স মাউন্ট সিস্টেম’-এর সঙ্গে যুক্ত ১ ইঞ্চি কাস্টমাইজড সনি সেন্সর, যেটি ব্যবহারকারীদের সরাসরি ডিএসএলআর লেন্সের সঙ্গে স্মার্টফোন যুক্ত করার সুযোগ করে দেবে। এতে থাকবে ৭৩এমএম পোট্রের্ট এবং ২৩৪এমএম টেলিফটো, এ দুটি প্রো-লেভেল লেন্সেস। এ ছাড়া ক্রিমি বোকেহসহ ১০ গুণ জুম ডিভাইসকে দারুণ স্বচ্ছতা দেয়, যা মোবাইল ডিভাইসের জন্য অকল্পনীয়।

এ ছাড়া রিয়েলমি ‘এমডব্লিউসি ২০২৫’ সম্মেলনে তিন বছরের কৌশল পরিকল্পনাও প্রকাশ করা হয়। ‘মিড থেকে হাইএন্ড’ মার্কেটে গুরুত্ব দিয়ে কোম্পানিটি বৈশ্বিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার কথা ভাবছে।

এ প্রসঙ্গে রিয়েলমির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিএমও চেজ জু বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির এই নতুন সময়ে, টেকসই অর্জনে আমরা ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী উদ্ভাবনে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নতুন কৌশলগত পরিকল্পনায় শুধু বাজার সম্প্রসারণেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না; বরং প্রযুক্তির জনপ্রিয়তার মাধ্যমে তা তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।

‘আমরা প্রযুক্তি খাতে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’

এ ছাড়া এমডব্লিউসি-২০২৫ সম্মেলনে রিয়েলমি ৩টি সিগনেচার প্রোডাক্ট এর গ্লোবাল পজিশনিং ঘোষণা করেছে। এ সবগুলো পণ্যই ব্যবহারকারীদের অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে এবং বিশ্বব্যাপী তরুণদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী রিয়েলমি।

জিটি সিরিজ

এটি ‘নেক্সট-লেভেল পারফরম্যান্স ফ্ল্যাগশিপ উইথ এআই’ হিসেবে বিবেচিত। ফোনটি ব্যবহারকারীদের দিচ্ছে অনন্য গেমিং অভিজ্ঞতা, সর্বাধুনিক এআই টেকনোলজি এবং আল্ট্রা-ক্লিয়ার ইমেজিং, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

নাম্বার সিরিজ

এটি পরিচিচিত ‘নেক্সট-জেন পারফরম্যান্স অ্যান্ড ক্যামেরা’ হিসেবে, যেটি নির্বিঘ্নভাবে শক্তিশালী পারফরম্যান্স, দারুণ ইমেজিং সক্ষমতা, মুগ্ধকর ডিজাইনসহ আকর্ষণীয় প্রযুক্তির সমন্বয়ে তরুণদের প্রতিদিনের কাজ ও গেমিং উপভোগের সুযোগ করে দিচ্ছে।

‘সি সিরিজ’

এটি ‘বেটার টেক ফর ইয়ুথ’ ভাবনা সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও নির্বিঘ্ন সার্ভিসের প্রতিশ্রুতি দেয়, যা একই দামের মার্কেটের অন্য স্মার্টফোনগুলোতে পাওয়া কঠিন।

তরুণদের মাঝে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই জনপ্রিয় করে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা রিয়েলমি স্মার্টফোনগুলোতে এআইয়ের ব্যবহার আরও উপযোগী করার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে সীমাহীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে চায়।

আরও পড়ুন:
স্মার্টফোন বাজারে একাধিপত্য: যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের নামে মামলা
ওয়ালটনের নতুন ‘নেক্সজি এন২৫’ সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে
বাংলাদেশের বাজারে ইনফিনিক্সের ‘স্মার্ট ৮’
প্রাইভেটকারের ভেতর ২৯৭টি স্মার্টফোন
ভিভো ওয়াই২৭: চলছে প্রি-বুকিং, রয়েছে আকর্ষণীয় উপহার

মন্তব্য

p
উপরে