× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
When will the wheel of public transport stop turning in Khulna
google_news print-icon

খুলনায় কবে ঘুরবে বন্ধ গণপরিবহনের চাকা

খুলনায়-কবে-ঘুরবে-বন্ধ-গণপরিবহনের-চাকা
বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘নগর পরিবহনের’ একটি বাস, যা স্থানীয়ভাবে ‘মুড়ির টিন’ নামে পরিচিত। ছবি: নিউজবাংলা
একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আহমেদ আলী বলেন, ‘প্রতিদিন আমাকে শহরের বিভিন্ন ফার্মেসি, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমি মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। তবে অনেক সময় যানজটের কারণে বিভিন্ন স্থানে যেতে দেরি হয়।’

খুলনা মহানগরীতে অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ চার বছর ধরে। শহরে গন্তব্যে পৌঁছাতে নগরীবাসী নির্ভর করে তিন চাকার বাহনের ওপর। এতে তাদের পরিবহন খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে যানজটে ভোগান্তি।

দেশ স্বাধীনের পর ৬০টি বাস নিয়ে খুলনা শহরে ‘নগর পরিবহন’ সেবা চালু হয়। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই গাড়িগুলো টানা সেবা দেয়। এরপর সেগুলো চলাচলে অনুপোযোগী হতে শুরু করে। তখন স্থানীয়রা এর নাম দেয় ‘মুড়ির টিন’।

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের মধ্যে ৫৫টি বাসই চলাচলের যোগ্যতা হারায়। এর পরের বছরই শহরে গণপরিবহন সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০১৬ সালে বিআরটিসির পাঁচটি দোতলা বাস চালু করলে গণপরিবহন বন্ধের ওই সিদ্ধান্ত এড়ানো যায়নি।

২০১৮ সালে শহরের নগর পরিবহন সেবা বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। একই বছরে অনুষ্ঠিত হয় খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন।

ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনি ইশতেহারে ‘নগর পরিবহন’ পুনরায় চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পান। তবে তিনি চার বছর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করলেও এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

বেড়েছে পরিবহন খরচ

‘নগর পরিবহন’ বন্ধের পর ২০১৮ সাল থেকে খুলনা শহরের রূপসা-ফুলতলা রুটে চলছে তিন চাকার যান (মাহিন্দ্রা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা)। এ যানে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায় করা হয় ৬০ টাকা। অথচ বন্ধ হওয়ার আগে নগর পরিবহনে এ রুটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ছিল মাত্র ২৫ টাকা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হতো অর্ধেক ভাড়া।

খুলনা শহরের দৌলতপুরে অবস্থিত সরকারি বিএল কলেজ। শহরের রূপসা থেকে এ কলেজের দূরত্ব ১০ কিলোমিটারেরও বেশি। প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে কলেজে যান।

তাদের একজন আরাফাত হোসেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খুলনার শিববাড়ী থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত মাহেন্দ্রায় ভাড়া নেয়া হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এ হিসাবে আমার কলেজে যেতে প্রতি মাসে খরচ হয় দেড় হাজার টাকারও বেশি।

তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি নগর পরিবহনে এই রুটে ভাড়া ছিল ১০ টাকা। আর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়া হতো। ফলে নগর পরিবহন থাকলে প্রতি মাসে আমার পরিবহন খচর হতো ৩০০ টাকারও কম।

খুলনা মহানগরীতে একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পদে চাকরি করেন আহমেদ আলী। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন আমাকে শহরের বিভিন্ন ফার্মেসি, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমি মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। তবে অনেক সময় যানজটের কারণে বিভিন্ন স্থানে যেতে দেরি হয়।

‘আমাদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ বিক্রি করতে হয়। না হলে পর্যাপ্ত বেতন পাওয়া যায় না। যানজটের ফলে অনেক সময় আমি বেশিসংখ্যক ফার্মেসি বা হাসপাতালে যেতে পারি না।’

শহরে বাড়ছে যানজট

সরকারি হিসাবে খুলনা শহরে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ বাসবাস করে। এ বিপুলসংখ্যক মানুষ চলাচলের জন্য তিন চাকার যান (মাহেন্দ্রা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও রিকশা) ব্যবহার করে।

কেসিসির মতে, শহরে প্রায় ২০ হাজার রিকশা, ১০ হাজার ইজিবাইকসহ অন্যান্য যান চলাচল করে। তবে বাস্তবে সেই সংখ্যা আরও বেশি।

এসব ছোট যান ও অদক্ষ চালকের কারণে শহরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট।


খুলনায় কবে ঘুরবে বন্ধ গণপরিবহনের চাকা


সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর শিববাড়ী, ময়লাপোতা মোড়, শামসুর রহমান রোড, কমার্স কলেজ মোড়, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, সিমেট্রি রোড, পাওয়ার হাউস, ফেরিঘাট, ডাকবাংলো, শান্তিধাম, স্যার ইকবাল রোড, পিটিআই মোড়, টুটপাড়া কবরখানা মোড়, সাতরাস্তার মোড়, ফুলমার্কেট, ক্লে রোড, মহারাজ চত্বর, কদমতলা স্টেশন রোড, কালীবাড়ি রোড, গল্লামারী মোড়, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ডসহ ব্যস্ততম সড়কে প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে।

খুলনা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা শহরে কিছুটা যানজট বেড়েছে। এর মূল কারণ হলো রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। বর্তমানে শহরের বেশ কিছু স্থানে রাস্তা বা ড্রেনের কাজ চলছে। এ কাজগুলো হয়ে গেলে যানজট অনেকটা কমে যাবে।’


নগর পরিবহন চায় নগরবাসী

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগরের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেন, ‘খুলনায় শহরের জন্য অবিলম্বে কমপক্ষে ২০-২৫টি গণপরিবহন চালু করা দরকার। এতে নগরবাসীর পরিবহন খরচও কমবে, একই সঙ্গে যানজটও কমে যাবে।’

খুলনা মোটর বাস মালিক সমিতির সভাপতি শিবলি বিশ্বাস বলেন, ‘মাহেন্দ্রা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার কারণে নগর পরিবহন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাদের একটি শক্ত রাজনৈতিক সিন্ডিকেট রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান মেয়র নির্বাচনের সময়ে আমাদের শহরের ‘নগর পরিবহন’ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি।

‘বাস মালিক সমিতির সঙ্গে সমন্বয় করে নগর পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সহজে নগরবাসীকে পরিবহন সেবা দিতে পারবে।’

যা বলছেন কেসিসি মেয়র

কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খুলনা শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তার অবস্থা ভালো না। আমরা প্রথমত শহরের রাস্তাগুলো মেরামতের জন্য কাজ করছি।

‘এ ছাড়া বর্ষাকালে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানিতে ডুবে যায়। আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।’

তবে নগর পরিবহন সেবা চালুর কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে কেসিসির নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন:
এবার অর্ধেক যাত্রীতেও ভাড়া বাড়বে না: বিআরটিএ
এবার অর্ধেক যাত্রীতেও ‘বাড়বে না ভাড়া’
নগর পরিবহন চালুর উদ্যোগ শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে
দেশটা মগের মুল্লুক নয়
শনিবারের মধ্যে বাসে হাফ পাস চান ছাত্ররা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Allegations of trying to rehabilitate the absconding chairman of Awami League

আওয়ামী লীগের পলাতক চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ

আওয়ামী লীগের পলাতক চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়ন পরিষদের গেট। ছবি: নিউজবাংলা
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ‌‘আবেদনসহ অন্যান্য কাগজ আমি পেয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে শুনানি করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো কৌশলগত বিষয় আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে নিয়ম-বহির্ভূত কাউকে পুনর্বাসন করার সুযোগ নেই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আওয়ামী লীগের পলাতক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমানকে কৌশলে পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এরশাদ আলীসহ স্থানীয় একাধিক রাজনীতিক ও কিছু ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট এ ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

জনসেবা অব্যাহত রাখতে নিয়ম অনুসারে ইউপি সদস্য সুমন রানাকে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ করে বাকি প্যানেল গঠন করা হয়।

বর্তমানে ইউপিতে নাগরিক সেবা অব্যাহত থাকলেও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কৌশলে অনাস্থা এনে এরশাদ আলীসহ অন্যরা পলাতক চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের চেষ্টায় আছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

তাদের ভাষ্য, সম্প্রতি কৌশল জানাজানি হলে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন বাস্তবতায় যেকোনো সময় ওই ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

পলাতক চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের ‘কৌশল’

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রথমে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবর শুকানপুকুরী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ সুমন রানার বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাব এনে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়। সেখানে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ সুমন রানার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন ৯ জন ইউপি সদস্য।

পরে সেই আবেদনের জের ধরে ১৩ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডের পাতায় প্যানেল চেয়ারম্যান-২ মো. এরশাদ আলী স্বাক্ষরিত এক পাতার একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের রেজুলেশন ও অপর একটি পাতায় আটজন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর সংবলিত পাতা সংযুক্ত করা হয়। এ পাতায় সভার স্থান দেখানো হয় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে।

ওই রেজুলেশনে বলা হয়, ‘অদ্যকার অত্র আলোচনায় শুকানপুকুরী ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমানের (পলাতক) মাধ্যমে ইউপির সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা ও সভায় বিস্তর আলোচনা করা হয়। এরপর সভার সভাপতি প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এরশাদ আলীর উপস্থিতিতে সদস্যদের জানান, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন, যা জেলা প্রশাসকের বরাবরে অনাস্থার প্রস্তাব আনয়ন করি।

‘তাই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের (পলাতক) মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা তথা জনসেবা অব্যাহত রাখা একান্ত জরুরি মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

রেজুলুশনে উল্লেখ করা হয়, সর্বসম্মতিক্রমে পলাতক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা তথা জনসেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে দুই ইউপি সদস্যের ভাষ্য

কারণ জানতে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন অনাস্থা কাগজে স্বাক্ষর করা দুজন ইউপি সদস্যের সঙ্গে। তারা হলেন মো. আমজাদ ও ধর্ম নারায়ণ রায়।

ইউপি সদস্য আমজাদ বলেন, ‘৪ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে আমার বাড়ির সামনে স্থানীয় সাবেক দুজন সদস্য মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। তারা আমাকে কৌশলে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি অন্যান্য ইউপি সদস্যরাসহ বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত। রাতের খাবারের বিশাল আয়োজনও করা হয়েছে। আমি কোন কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

‘পরে জানানো হলো, আমাকে বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে স্বাক্ষর করতে হবে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তা মিথ্যা। তিনি খুব ভালোভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এসবই আলোচনা হচ্ছে। এরপর এক প্রকার জোর করেই আমাকে রাতের খাবার খাওয়ানো হলো এবং পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে স্বাক্ষর করতে হলো। কিন্তু আমি সিলমোহর দিইনি।’

ইউপি সদস্য ধর্ম নারায়ণ রায় বলেন, ‘একই তারিখে স্থানীয় বাসিন্দা তোষর এবং রফিকুল আমাকে একটা জায়গায় সমস্যার কথা বলে কৌশলে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি বিএনপির অন্যান্য রাজনীতিক নেতাসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা রয়েছেন। আমাকে রাতের খাবারের জন্য বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু কী কারণে এত আদর-আপ্যায়ন, বুঝতে পারছিনা। জিজ্ঞাসা করলেও কোনো উত্তর পাই না।

‘সমাজ রক্ষার্থে সকলের সাথে রাতের খাবার খেলাম। এরপর আমাকে এক প্রকার চাপ দেওয়া হয় প্যানেল চেয়ারম্যান সুমন রানার বিরুদ্ধে অনাস্থা কাগজে স্বাক্ষর করতে। কিন্তু আমি তার সমর্থক। তিনি ভালো মানুষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাক্ষর দিতে প্রথমে রাজি না হলেও পরে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বাক্ষর করেছে। আমি কেন করব না, এ কথা তোলে। অনেকক্ষণ তর্ক-বিতর্কের পর সই করে সেখান থেকে আসতে হয়েছে। পরে আমি লিখিত চিঠি দিয়ে বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ভবেষ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘প্যানেল চেয়ারম্যান-১ সুমন রানার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনে অনাস্থা আনা হয়েছে, তা আমার কাছে ভিত্তিহীন মনে হয়েছে।’

সচিব আরও বলেন, ‘পরিষদে তিনি (সুমন রানা) সবার সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন এবং নাগরিক সেবা অব্যাহত রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে আমাকেও কেউ কোনো দিন কোনো মৌখিক অভিযোগ দেননি।’

সভার বিষয়ে যা বললেন ইউপি সচিব ও সদস্য

ইউনিয়ন পরিষদ সচিব বলেন, ‘৪ জানুয়ারি, ৭ জানুয়ারি ও ১৩ জানুয়ারি কোনো সভা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমসহ পরিষদের কোনো স্থানে অনুষ্ঠিত হয়নি। যেসব সভার কথা বলা হচ্ছে, তা গোপনে বা প্রকাশ্যে অন্য কোথাও হয়ে থাকতে পারে। তা আমার জানা নাই।’

ইউপি সদস্য ধর্ম নারায়ণ রায় বলেন, ‘১৩ তারিখ সকাল ১১টায় প্যানেল চেয়ারম্যান-২ সভা ডেকেছিল। আমি সময়মতো পরিষদে আসলেও সভা হয়নি।

‘আমি জানতে চাইলে তিনি গোপনে স্থানীয় দুলাল নামের এক লোকের বাসায় মিটিং হবে বলে জানান। কিন্তু আমি সেখানে যাইনি। পরিষদের কাজ শেষে বাড়ি চলে আসি।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যানের ভাষ্য

স্থানীয় বাসিন্দা জিলানি হোসেন বলেন, ‘যে চেয়ারম্যান জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি, তিনি জনগণের কথা ভাববেন না, এটাই স্বাভাবিক। তাই তিনি আমাদের দুর্ভোগে ফেলে আজও পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন। আমরা নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা তার পুনর্বাসন চাই না।

‘পরিষদ তাকে ছাড়া বেশ ভালো চলছে। আমরা সুন্দর সেবা পাচ্ছি। শুনছি অনেকে পলাতক চেয়ারম্যানের টাকার কাছে বিক্রি হয়েছে। আমরা নতুন কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেব না।’

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এরশাদ আলী ইউনিয়ন পরিষদে সভা না করা এবং কোনো ব্যক্তির বাসায় বসে সভা করার বিষয়টি স্বীকার করেন।

তিনি জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে পরিষদে সভা করতে পারেননি।

তিনি কেন পলাতক ও বিতর্কিত চেয়ারম্যানকেই পুনর্বাসন করতে চান, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বর্তমান দায়িত্বরত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন।

অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সুমন রানার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং পরিষদে নাগরিক সেবা অব্যাহত আছে কি না, তা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানান।

ইউনিয়ন বিএনপির নেতা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়িতে পরিষদের কোনো বৈঠক হয়নি; সিদ্ধান্তও হয়নি। আমার হাত ভেঙে যাওয়ায় আমি অসুস্থ। তাই রাজনীতিক নেতা ও পরিষদের সদস্যরা দেখতে এসেছিল। এর বেশি কিছু না।’

তবে চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ‌‘আবেদনসহ অন্যান্য কাগজ আমি পেয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে শুনানি করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‘কোনো কৌশলগত বিষয় আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে নিয়ম-বহির্ভূত কাউকে পুনর্বাসন করার সুযোগ নেই।’

আরও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা: ঠাকুরগাঁওয়ের তিন সাংবাদিককে খালাস
ট্রেনযাত্রীদের অধিকার রক্ষার ১০ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর
‌‌‘মিথ্যা সাক্ষী দেয়নি বলেই কি বাবা জেলে?’
চার শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান
প্যারোলে মেলেনি মুক্তি, বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jhalkathi District Sports Association Ad Hoc Committee Approval

ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন

ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ের পাশে রাখা নির্মাণসামগ্রী। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।

ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।

এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।

গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‌‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ী হত্যা: জড়িতরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ
ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ধারণা পুলিশের
স্কুলের পাশে ইটভাটা, ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পরিবেশ কর্মকর্তার
ধাক্কা দিয়ে পথচারীর সঙ্গে প্রাণ হারালেন বাইক চালকও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After three days the new motor was installed and the water shortage was solved
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল

তিন দিন পর বসানো হলো নতুন মোটর, কেটেছে পানির সংকট

তিন দিন পর বসানো হলো নতুন মোটর, কেটেছে পানির সংকট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল। ছবি: নিউজবাংলা
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) তত্ত্বাবধায়ক ডা. নূর মোহাম্মদ শামসুল আলম বলেন, ‌‘বিগত তিন দিনে রোগীদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে, এটা সত্য। তবে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করেছি। গতকাল রাতে একটি নতুন মোটর লাগানোর পর পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।’

টানা তিন দিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির সংকটে ছিল কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল। তবে সোমবার রাতে নতুন মোটর লাগানোর পর পানির সংকট কেটেছে।

গত তিন দিন পানি না থাকায় ভোগান্তিতে ছিলেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে ভর্তি থাকেন হাসপাতালে। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে রোগী ও স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অবস্থান করেন।

প্রতিদিন এখানে ২০ হাজার লিটার পানি প্রয়োজন। হাসপাতালে পানির সংকটের কারণে অন্তত ৩০ জন রোগী অন্যত্র চলে গেছে বলেও খবর পাওয়া যায়।

পানির মোটর বিকল হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালটিতে শনিবার বেলা ১১টা থেকে শৌচাগারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পানি সংকটে শৌচাগার থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে।

টানা দুই দিন বিকল হয়ে যাওয়া মোটরটি সচল করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে পানি সরবরাহের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে প্রয়োজন মেটেনি।

কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) তত্ত্বাবধায়ক ডা. নূর মোহাম্মদ শামসুল আলম বলেন, ‌‘বিগত তিন দিনে রোগীদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে, এটা সত্য। তবে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করেছি।

‘গতকাল রাতে একটি নতুন মোটর লাগানোর পর পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও জমিতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ বীর মুক্তিযোদ্ধার
প্যারোলে মেলেনি মুক্তি, বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arakan Army released Bangladeshi 3 cargo ships

বাংলাদেশি ৩ পণ্যবাহী জাহাজ ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি

বাংলাদেশি ৩ পণ্যবাহী জাহাজ ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদীর মোহনা থেকে বৃহস্পতিবার তিনটি কার্গো জাহাজ আটক করা হয়েছিল। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা মিটিংয়ে বসেছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

তিন দিনের মাথায় অবশেষে মিয়ানমারে আটকে রাখা বাংলাদেশি তিন পণ্যবাহী জাহাজ ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি।

মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদীর মোহনা থেকে বৃহস্পতিবার তিনটি কার্গো আটক করা হয়েছিল।

টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এতেশামুল হক বাহাদুর সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে আটক কার্গো জাহাজের মধ্যে দুটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাফ নদের জলসীমা নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। অন্যটি সেখানে ছিল।

টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা মিটিংয়ে বসেছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্যবাহী চারটি কার্গো জাহাজ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে আসার পথে আরাকান আর্মি আটক করে তাদের জিম্মি করে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুটি করে পর্যায়ক্রমে চারটি কার্গো আটক করে এ সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে ছাড়পত্র নিয়ে গত শনিবার একটি কাঠবাহী কার্গো বন্দরে আসে। তিন দিন পর বাকি তিনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্য দিয়ে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকা দখলে নেয়। এ সংঘাতের প্রভাব পড়েছে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমান্ত বাণিজ্যে। বেশ কিছুদিন ধরে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

বিচ্ছিন্নভাবে যেসব পণ্য আমদানি হয়, তাও ইয়াঙ্গুন শহর থেকে। এ শহর থেকে আসার পথে নাফ নদীতে প্রবেশ করতে রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত হয়ে আসতে হয়।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, কার্গো জাহাজগুলোতে ৫০ হাজার বস্তা শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ বিভিন্ন পণ্যের আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে।

আরও পড়ুন:
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে প্রাণ গেল শিশুর
মিয়ানমার থেকে এলো ২২ হাজার টন আতপ চাল
মিয়ানমারে সংঘাত: মাছ ধরার নৌকায় অনুপ্রবেশ ৩৬ রোহিঙ্গার
টেকনাফে বনকর্মীসহ ১৭ রোহিঙ্গা শ্রমিক অপহরণের শিকার
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে মাঝসাগরে জাহাজের ইঞ্জিন বিকল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Digital Security Act case Three journalists from Thakurgaon acquitted

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা: ঠাকুরগাঁওয়ের তিন সাংবাদিককে খালাস

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা: ঠাকুরগাঁওয়ের তিন সাংবাদিককে খালাস রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে খালাস পাওয়া তিন সাংবাদিক জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু, প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি রহিম শুভ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি আবদুল লতিফ লিটু। ছবি: নিউজবাংলা
আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য ও প্রমাণাদি উপস্থিত না করতে পারায় আসামিদের খালাস দিয়েছে আদালত। আমরা এ রায়ে খুশি।’

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে বরাদ্দের বিপরীতে রোগীর খাবার পরিবেশনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা থেকে তিন সাংবাদিককে খালাস দিয়েছে আদালত।

রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল মজিদ সোমবার দুপুর একটার দিকে এ আদেশ দেন।

খালাস পাওয়া তিন সাংবাদিক হলেন জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি আবদুল লতিফ লিটু ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি রহিম শুভ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান ও রংপুর জজ কোর্টের আইনজীবী ফাহিম আহম্মেদ।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য ও প্রমাণাদি উপস্থিত না করতে পারায় আসামিদের খালাস দিয়েছে আদালত। আমরা এ রায়ে খুশি।

‘কারণ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সাংবাদিকরা যেন সত্য তুলে ধরতে না পারে, তাদের কলমকে থামাতে এ আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে। আমি এ মামলাটির শুরু থেকে সাংবাদিকদের আইনি সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি। রায়ে আমিও আনন্দিত।’

এদিকে রায়ের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর থেকে সাংবাদিকসহ অনেকে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।

হাসপাতাল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং জনরোষ সৃষ্টিকারী ও মানহানিকর’ দাবি করে ২০২১ সালের জুলাইয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ নাদিরুল আজিজ বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)(ক), ২৫(১)(খ), ২৯(১), ৩১(১) ও ৩৫(১) ধারায় মামলাটি করেন।

এ মামলায় তানুকে গ্রেপ্তার করা হলে দেশব্যাপী সাংবা‌দিকসহ সব মহলে ব্যাপক প্রতিবাদ জানানো হয়। প‌রে ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে সাংবাদিক তানভীর হাসান তানুকে জা‌মিন দেয় আদালত।

এর আগে গত ৫ জুলাই অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগো নিউজে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে রোগীদের খাবার নিয়ে ‘দিনে বরাদ্দ ৩০০ হলেও করোনা রোগীদের খাবার দেয়া হচ্ছে ৭০ টাকার!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

আরও পড়ুন:
গোপন লেনদেন, ট্রাম্পের মামলার রায় ১০ জানুয়ারি
সাংবাদিকদের অস্থায়ী পাস প্রদান সোমবার থেকে
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগুন: সাংবাদিকদের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে সচিবালয়ে 
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no water in the toilets of Kishoreganj General Hospital

কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের শৌচাগারেও নেই পানি

কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের শৌচাগারেও নেই পানি কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের গেট। ছবি: নিউজবাংলা
পানি সংকটে শৌচাগার থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে পানির জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও করা হয়নি। শৌচাগারে ব্যবহারের জন্য পানিও লোকজনকে কিনে আনতে হচ্ছে।

টানা তিন দিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির সংকটে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল।

পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

এদিকে দুই দিন ধরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে ভর্তি থাকেন হাসপাতালে। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে রোগী ও স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অবস্থান করছেন। প্রতিদিন এখানে ২০ হাজার লিটার পানি প্রয়োজন।

হাসপাতালটিতে শনিবার বেলা ১১টা থেকে শৌচাগারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে সোমবার গিয়ে দেখা যায়, রোগী ও তাদের স্বজনরা বাইরে থেকে পানি এনে জরুরি কাজ সারছেন।

এদিকে পানি সংকটে শৌচাগার থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে পানির জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও করা হয়নি।

শৌচাগারে ব্যবহারের জন্য পানিও লোকজনকে কিনে আনতে হচ্ছে। রোগীর স্বজনরা আশপাশের দোকান থেকে কিনে কিংবা অনেক দূর থেকে হেঁটে ফিল্টার ও বাসাবাড়ি থেকে বোতল, বালতিতে করে পানি নিয়ে আসছেন।

বিশুদ্ধ পানি না থাকায় রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জেলার তাড়াইল উপজেলার রাউতি গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুল ইসলাম জানান, গত তিন দিন যাবত তার চাচাত বোনকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

তিনি বলেন, ‘আসার পর থেকে দেখলাম বাথরুমে পানি নেই। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে বলার পর তিনি জানিয়েছিলেন আজকের মধ্যেই সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু আজকে তিন দিন হয়ে গেলেও সমস্যাটি সমাধান হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিন কোনো রকম আশপাশে গিয়ে জরুরি প্রয়োজন সেরে এসেছি। দ্বিতীয় দিন রোগীসহ বিপদে পড়েছি। পরে নিচে নেমে অটোরিকশা করে শহরের খরমপট্টি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজ সেরে এসেছি।’

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কাশোরারচর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদির বলেন, ‘একটা সরকারি হাসপাতালের টয়লেটে পানি নেই, এটা হতে পারে? ময়লা আর দুর্গন্ধে আশপাশেও থাকা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘অসুস্থ মানুষ সুস্থ হওয়ার জন্য হাসপাতালে আসে। আর এই হাসপাতালের যে পরিবেশ, তাতে একজন সুস্থ মানুষও অসুস্থ হতে সময় লাগবে না।’

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী জানান, রবিবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুটি গাড়িতে করে ৮ হাজার ৬০০ লিটার পানি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাত ১১ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেখানে কাজ করেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) তত্ত্বাবধায়ক ডা. নূর মোহাম্মদ শামসুল আলম সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, রবিবার রাতে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে যে পরিমাণ পানি আনা হয়েছিল, সে পানি দিয়ে গতকাল রাত থেকে সকাল পর্যন্ত চলছে। এখন আবার জনস্বাস্থ্য থেকে খাবার পানি আনা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ছয় তলায় ১০ ঘোড়ার একটি বড় মোটর রয়েছে। ২০২০ সালে লাগানো মোটরটি প্রায়ই সমস্যা করে। কিন্তু এবার একেবারে বিকল হয়ে যাওয়ায় পানির সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও জমিতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ বীর মুক্তিযোদ্ধার
প্যারোলে মেলেনি মুক্তি, বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two people were killed in an easy bike hit by a train

ইজিবাইকে ট্রেনের ধাক্কায় দুজন নিহত

ইজিবাইকে ট্রেনের ধাক্কায় দুজন নিহত প্রতীকী ছবি
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও পরিচয় শনাক্ত করেছে।’

নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনের ধাক্কায় ইজিবাইক দুমড়েমুচড়ে গিয়ে চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের অরক্ষিত হাসনাবাদ রেল ক্রসিংয়ে রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত দুজন হলেন রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের নয়াচর এলাকার প্রয়াত আবদুল কাদিরের ছেলে ইজিবাইক চালক বাচ্চু মিয়া (৫০) এবং একই এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে মন্নাফ মিয়া (৪৮)।

পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, একজন যাত্রীসহ ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইক হাসনাবাদ অরক্ষিত রেল ক্রসিং পার হচ্ছিল। ওই সময় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি ট্রেন ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দিলে এটি ছিটকে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইক চালক বাচ্চু মিয়া ও যাত্রী মন্নাফ মিয়া নিহত হন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসনাবাদ রেল ক্রসিংটি অরক্ষিত রয়েছে। কোনো গেটম্যান কিংবা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও পরিচয় শনাক্ত করেছে।’

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় বিএনপি নেতাসহ তিনজন নিহত
রাস্তা পারাপারের সময় ইমামসহ দুজন নিহত
বাসের ধাক্কায় অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, চারজন নিহত
ফরিদপুরে মাইক্রোতে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত
গত বছর সড়কে ঝরেছে ৮ হাজার ৫৪৩ প্রাণ

মন্তব্য

p
উপরে