দেশজুড়ে মার্চ মাসে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ কমেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতন বেড়েছে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) মার্চ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ধর্ষণসহ নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন চিন্তা, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মতামত প্রকাশের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। একই সঙ্গে সীমান্তে হত্যা, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে হুমকি ও হামলা, এমনকি গণপিটুনির মতো ঘটনা বেড়েছে।
এমএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের এসব তুলে ধরে ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু
মার্চ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের পর দুইজনের কারাগারে মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের একপর্যায়ে ভয়ে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্তকে মৃত অবস্থায় ডোবা থেকে উদ্ধার, থানার ভেতরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত ঘটানো, দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় থানার ভেতরে দুই ব্যক্তিকে নির্যাতন ও হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্মরত ব্রাদারকে মারধর করা এবং আরেক ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিজ স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এমএসএফ মনে করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ ও পরবর্তীতে কারা হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুতর ও অগ্রহণযোগ্য। ঘটনাগুলোর তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক।
কারা হেফাজতে মৃত্যু
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে কারা হেফাজতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে মধ্যে ছয়জন কয়েদি ও এক বিদেশি নারীসহ চারজন হাজতি। কারাগারে অপর্যাপ্ত চিকিৎসার কারণে বন্দিরা যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বন্দি অসুস্থ হলে তাকে কারাগারের বাইরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, নয়তো হাসপাতালে নেয়ার আগেই অধিকাংশ বন্দির মৃত্যু হয়।
এমএসএফ বিশ্বাস করে যে কারাগারের অভ্যন্তরে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা
দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী মার্চ মাসে দেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বিগত মাসগুলোর তুলনায় বেড়েছে। ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার এসব ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী মার্চ মাসে ৩৯৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণ ৬৯, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ২৩ এবং ধর্ষণ ও হত্যা ৩টি। প্রতিবন্ধী ছয় শিশু-কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ৬৯ জনের মধ্যে ৫৩টি শিশু ও কিশোরী রয়েছে। অপরদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ কিশোরী। আর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ২ শিশু ও কিশোরী রয়েছে।
ধর্ষণের চেষ্টা ২৪, যৌন হয়রানি ২৪ ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪৪টি। এ সময়ে ৩৬ শিশু-কিশোরীসহ মোট ৯৬ নারী আত্মহত্যা করেছেন, যা গত মাসের তুলনায় ২৯ জন বেশি।
অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে দুই কিশোরী। অপহরণের শিকার হয়েছে দুই শিশু। নিখোঁজ হয়েছে চার শিশু-কিশোরী। এ ছাড়া মার্চ মাসে আটজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ মোট ৮১ শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৭ শিশু ও কিশোরী রয়েছে।
গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমসংক্রান্ত কারণে এ হত্যাকাণ্ডগুলো সঙ্ঘটিত হয়েছে।
এ মাসে দুটি ধর্ষণের ঘটনা সালিশে মীমাংসা করা হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় সালিশে সাতটি পরিবারকে সমাজপতিরা একঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা বেআইনি। এ মাসে মৃত ১৩ ও জীবিত অবস্থায় তিন নবজাতককে বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবলভাবে সমালোচিত হওয়ায় এ আইনে মামলার নামে হয়রানি বা অপব্যবহার কিছুটা কমেছে। গণমাধ্যম ও এমএসএফ কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ছয়টি মামলায় দুই আইনজীবী, এক সাংবাদিক, একজন বিরোধীদলীয় নেতার ভাই ও একজন প্রবাসী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে কথিত মানহানিকর কটূক্তির অপরাধে এ মাসে চারটি মামলা হয়েছে। মাহফিলে দাওয়াত না দিয়ে নাম প্রচার, গালিগালাজ নিয়ে একটি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে ফেসবুকে কথিত কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য একটি মামলা হয়েছে।
সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের অধিকার
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মার্চে অন্তত ৩৫ জন সাংবাদিক নানাভাবে হুমকি, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাপ্রাপ্ত ও আহত হন ১০ সাংবাদিক, ১৫ সাংবাদিক নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন, চারজনকে হুমকি দেয়া হয়েছে, একজনকে আক্রমণ এবং পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতন
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চে দেশের চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, ঢাকা, ভোলা, পটুয়াখালী ও রাজশাহীতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের সাতটি ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রামে শিবমন্দিরে আগুন, ফরিদপুর ও ভোলায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার চুরি, ঢাকায় ইসকন মন্দিরে ও সাভারে সম্পত্তি দখলের জন্য বাড়িতে হামলা এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের শ্মশানের জমিতে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ঈশ্বরীপুর এলাকায় ধানের জমিতে পানি না পেয়ে প্রতিবাদ হিসেবে দুই সাঁওতাল কৃষক বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সড়ক দুর্ঘটনা
সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র বরাবরের মতোই। এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ মাসে ২৪৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে প্রধান সড়কগুলোতে ৪২টি বাস দুর্ঘটনায় ৫৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য গণপরিবহন দুর্ঘটনায় ২৭৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সে হিসাবে মোট ৩৩৪ জনের প্রাণহানি ও ৫৭৯ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় বিরাজমান নৈরাজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ জীবনের জন্য হুমকি নিরসনে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি বলে এমএসএফ মনে করে।
গণপিটুনি
মার্চ মাসে বড় একটি উদ্বেগজনক বিষয় ছিল গণপিটুনিতে হতাহতের ঘটনা। প্রচলিত আইন উপেক্ষা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করে এমএসএফ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ মাসে অন্তত ৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৮ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক শ্রম মান বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শ্রম সচিব বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৬টি কনভেনশন ও একটি প্রটোকল অনুমোদন করেছে। আইএলও সংবিধান অনুযায়ী, অনুমোদিত ও অননুমোদিত উভয় ধরনের সনদের প্রয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সকল সদস্য রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক। এই কমিটি আইএলও কনভেনশন ১৪৪-এর বাধ্যবাধকতার আলোকে বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতামত, পরামর্শ ও সুপারিশ নিশ্চিত করবে।
সচিব আরও উল্লেখ করেন যে, আইএলও এর ১১টি কনভেনশন (C-01, C-14, C-19, C-81, C-89, C-100, C-106, C-111, C-118, C-138, MLC-2006) নিয়ে আলোচনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে C-81 (শ্রম পরিদর্শন), C-100 (নারী ও পুরুষের সমান পারিশ্রমিক), C-111 (কর্মসংস্থান ও পেশায় বৈষম্য) এবং C-138 (ন্যূনতম কাজের বয়স) বিষয়ক চূড়ান্ত প্রতিবেদন আইএলও সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার জেনেভাস্থ প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি নিরান রাজমুঠান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ইমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন এর প্রতিনিধি , ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি , বেপজা প্রতিনিধি , NCCWE এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবাদিপশু পালন প্রোটিন ঘাটতি নিরসন, মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা এবং জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। অথচ অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে চারণভূমির হ্রাস হচ্ছে, ফলে মহিষের মতো মূল্যবান সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়ছে।
আজ সকালে বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত “উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সমাধান” শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজিইউএস) এবং কোস্টাল ভেট সোসাইটি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সঠিক নীতি নির্ধারণ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে এখনো অনেক চরাঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব। মহিষ পালন বাড়াতে পারলে জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা যাবে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহিষের চারণভূমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ এবং এমনকি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলায় বৃহৎ গরুর বাথান ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিও উঠছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে গরুর বাথান ধ্বংস করা দেশের সামগ্রিক কল্যাণে কতটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে? তিনি আরও বলেন, মহিষের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় উপকূলীয় এলাকায় স্পিডবোটভিত্তিক ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা প্রয়োজন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে গবাদিপশুর চারণভূমি কমে যাওয়া এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মহিষসহ অন্যান্য গবাদিপশুর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও টেকসই চারণভূমি উন্নয়ন অপরিহার্য। পাশাপাশি মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ওমর ফারুক।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, জিজিইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্হানীয় খামারীরা কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
শিশু জন্মের পরপরই মায়ের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, শিশু জন্মের দুই-তিন দিন পর যখন পর্যাপ্ত দুধ আসে না, তখন অনেক সময় চিকিৎসকরা ফরমুলা দুধের পরামর্শ দেন। কিন্তু ডাক্তারদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনারা মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিবেন। ফরমুলা দুধের পরামর্শ দেবেন না। তিনি বলেন, একসময় শাল দুধ (কোলস্ট্রাম) খাওয়ানো নিয়ে নানা কুসংস্কার ছিল। এখন মানুষ সচেতন হয়েছে। তবুও উদ্বেগজনকভাবে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার কমছে। এখন মাত্র ৫৫ শতাংশ শিশু মায়ের দুধ পাচ্ছে, আগে এ হার আরও বেশি ছিল। তিনি মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার বাড়ানোর জন্য কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের আহৃবান জানান।
আজ রাজধানীর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর আগে এ উপলক্ষে এক বর্নাঢ্য রেলির আয়োজন করা হয়।
মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনের প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করে
উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, শিশু জন্মের পরপরই অনেকসময় পর্যাপ্ত দুধ আসে না। কাজেই প্রস্তুতি আগে থেকেই নিতে হয়। গর্ভাবস্থার ছয় মাস পর থেকে মায়ের খাদ্যাভ্যাস ও যত্নের বিষয়ে নজর দিতে হবে। মা ভালো খেলে, তার শরীর থেকে সন্তানের জন্য যথেষ্ট দুধ তৈরি হবে।
কর্মজীবী মায়েদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, মাঠে-ঘাটে নানা কাজে যুক্ত মায়েরা সচেতনতার অভাব ও খাদ্যের ঘাটতির কারণে সন্তানকে পর্যাপ্ত দুধ খাওয়াতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি দারিদ্র্য বিমোচনের দিকেও আলোকপাত করেন। সরকারি হিসাবে দেশে এখন দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশের মতো, বেসরকারি হিসাবে আরও বেশি। যদি এই ২০ শতাংশ মা পর্যাপ্ত খেতে না পারেন, তবে সন্তানও পর্যাপ্ত দুধ পাবে না। তাই দারিদ্র্য হ্রাসে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গৃহকর্মী নারীদেরও শিশু জন্মের পরপরই বাচ্চাকে কোলে নেবার সুযোগ দেওয়া উচিত। আমাদের বাসাবাড়িতে যারা কাজ করেন, তাদের অনেক সময় সন্তানকে আনতে দিই না। বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব ডা. সারোয়ার বারী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুছ আলীসহ মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী নির্বাচনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে সারাদেশে জেলা-উপজেলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর চলমান প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
চলমান ২৮ দিনব্যাপী ভিডিপি অ্যাডভান্সড কোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী ডিউটির প্রাকপ্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় অনুশীলন সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
এই প্রশিক্ষণের আওতায় বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনে করণীয়, ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন, কেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটারদের ভোটদানে সহযোগিতা করা, ব্যালট পেপার এবং ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ কয়েকটি বিষয়ে হাতে কলমে মহড়া দেয়া হচ্ছে।
বাহিনীর সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করছেন।
আসছে ০৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে। গত রবিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনে বর্ণাঢ্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ জাতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এসভায় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করবেন। এদিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সরকারিভাবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও রাস্তাসমূহে জাতীয় পতাকা, রঙিন পতাকা ও 'কালিমা তায়্যিবা' লিখিত ব্যানার প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সারাবিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্ম ও মৃত্যুর স্মৃতিধন্য এ দিবসটি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) কে ক্বিরাত, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও আরবিতে খুতবা লেখা প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে স্মরণিকা প্রকাশ ও সেমিনার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
১২ রবিউল আউয়াল থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ প্রান্তে পক্ষকালব্যাপী ইসলামিক বইমেলার আয়োজন করবে ইফা। এদিনে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও প্রচার মাধ্যমে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশও করা হবে।
এ দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ইফা, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা ও জেদ্দা হজ অফিসসহ সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে হযরত(সা.) এর জীবন ও কর্ম, ইসলামের শান্তি, প্রগতি, সৌহার্দ্য, সহিষ্ণুতা, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার, নারীর মর্যাদা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, হামদ-নাত ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশনা রয়েছে জাতীয় কর্মসূচিতে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুদের জন্য হামদ-নাত, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
এ দিবসে দেশের সকল সামরিক ও বেসামরিক হাসপাতাল, কারাগার, শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরসমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহেও ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) যথাযথভাবে উদযাপিত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের কঠোর পরিশ্রম ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতার পথে ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘নাগরিক অধিকার ও জলবায়ু ন্যায্যতা’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের অর্থনীতি ছিল নাজুক অবস্থায়। আমরা অভ্যন্তরীণ আস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিসরেও প্রমাণ করেছি যে বাংলাদেশ এখনো কোনো ঋণখেলাপি রাষ্ট্র নয়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার জেলার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লাইট হাউজ বগুড়ার প্রধান নির্বাহী হারুন অর রশিদ, বগুড়ার পুলিশ সুপার জিদান আল মুসা, সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোফাখখারুল ইসলাম, বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুদ্দীন ফিরোজসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, ‘নাগরিক অধিকার ও জলবায়ু ন্যায্যতা’ প্রকল্পের মাধ্যমে বগুড়া জেলায় নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন; অনলাইন ভূমি ব্যবস্থাপনার ফলে ভুয়া ভূমি রেজিস্ট্রেশন ও জালিয়াতির সুযোগ কমে গেছে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও ই-মিউটেশন সিস্টেমের কারণে মালিকানার তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হয়, যা ভুয়া দলিল তৈরির সুযোগ অনেকাংশে হ্রাস করে এবং ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে সাহায্য করে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম বিভাগ ভিত্তিক কার্য পর্যালোচনা করে প্রতি সপ্তাহে সিনিয়র সিচব মহোদয়কে অবহিত করছেন।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘৭৭তম টিম সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
সিনিয়র সচিব বলেন; ভূমি সেবা প্রদানে আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে সন্তুষ্টির মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনি মহানগর থেকে মাঠ পর্যায় সর্বত্র কার্যক্রম পরিদর্শন/মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। পরিদর্শন প্রতিবেদন নিয়ে সভা করে কারো বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অসততার বা সেবা গ্রহীতাকে হয়রানির প্রমান পেলে বিধি মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও যে কোনো মাধ্যমে দূর্নীতি বা হয়রানির প্রমান পেলেও ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে। ভূমিসেবায় দূর্নীতির ব্যাপারে কোন আপোষ নয়। জনবান্ধব ভূমিসেবা প্রদানই ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রধান লক্ষ্য।
সভায় জনানো হয়; সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপুর্ণ মামলা সুষ্ঠভাবে পরিচালনার স্বার্থে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্যানেল আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন পাওয়া গেছে। অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে,জরিমানা করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো । এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল,২০২৫ মতামতের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। মতামত পাওয়াগেলে ভেটিংএর জন্য আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে । এছাড়াও ভূমি ভবনে স্থাপিত ভূমি যাদুঘরে ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ,আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধকরণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য ও ভূমি জরিপকার্যে ব্যবহৃত ভূমি ঐতিহ্যের ধারক এমন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম যদি থাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য পত্র দেয় হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ),মো: শরিফুল ইসলাম; অতিরিক্ত সচিব (জরিপ ও সায়রাত অনুবিভাগ) সায়মা ইউনুস,এনডিসি ; অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ),মো: এমদাদুল হক চৌধুরী; অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ)মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ব্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য