পুঁজিবাজারে মন্দাভাবের মধ্যে রোজার মাসে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের বড় বিনিয়োগের ঘোষণার পরদিন পুঁজিবাজারে লেনদেন ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল। এদিন লেনদেনের অর্ধেক সময় পর্যন্ত সূচক কমতে থাকলেও শেষ পৌনে ১ ঘণ্টায় হারানো দর ফিরে পেতে থাকে কোম্পানিগুলো।
দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৬ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা গত ১৬ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিন ১ হাজার ২১৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।
এর আগে শেষ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল গত ১৫ মার্চ। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
গত সেপ্টেম্বর থেকে দর সংশোধনে থাকা পুঁজিবাজার চলতি বছরের শুরুতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েও ভালো করতে পারেনি। এর মধ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হলে দেখা দেয় আতঙ্ক। একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগে না গিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন।
দরপতন ঠেকাতে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশে নামিয়ে আনার পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়ানো ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএসইসি। পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতেও বিনিয়োগের নির্দেশ দেয় সংস্থাটি।
এতকিছুর পরও লেনদেনের এক পর্যায়ে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বুধবার বৈঠকে বসে বিএসইসি।
বৈঠক শেষে রোজায় বিনিয়োগ বাড়ানোর সুস্পষ্ট ঘোষণা আসে। বলা হয়, প্রতিটি ডিলার অ্যাকাউন্টে রমজান মাসে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করবে। এতে শেয়ারবাজারে নতুন ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।
এ ছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওর মাধ্যমে রমজান মাসে নতুন করে ২০০-৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সমিতি বিএমবিএর সভাপতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।
আবার পুঁজিবাজারের জন্য বিএমবিএ যে ১০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল, সে বিষয়েও বিএসইসি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়।
আগামী রোব বা সোমবার থেকে রোজা শুরু হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে। লেনদেনও কমে যায়। এই পরিস্থিতিতে হতাশা আরও গাঢ় হতে থাকে।
দুপুর সোয়া ১২টার দিনে সূচক আগের দিনের চেয়ে কমে যায় ২৩ পয়েন্ট। সেখান থেকে কিছুটা বাড়লেও বেলা পৌনে ২টার সময়ও সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট কম ছিল। শেষ পৌনে ১ ঘণ্টায় সেখান থেকে সূচক বাড়ে ২৭ পয়েন্ট। তবে একেবারের শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।
তবে সূচক বাড়লেও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর হারিয়েছে। বেড়েছে ১৩৪টি কোম্পানির দর। বিপরীতে কমেছে ১৮৩টি। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৬২টি কোম্পানির শেয়ারদর।
লাফানোর পরদিনই বিমায় দরপতন
কোম্পানির শেয়ারের ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকরা ধারণ করবেন, এক দশক আগে আগে করা এমন একটি বিধান কার্যকরে কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএর চিঠির পরদিন বুধবার এই খাতের কোম্পানির শেয়ারদর লাফালেও পরের দিনই দর হারিয়েছে বেশিরভাগ।
আগের দিন এই খাতের ৪০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছিল ৩৯টিরই। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দ্বিতীয় দিনই এই কোম্পাগুলোর ২০টি দর হারিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির ক্রেতাই ছিল না।
আগের দিন সর্বাধিক দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৯টিই ছিল বিমা খাতের। এদিন এই ১০টির মধ্যে একটি এই খাতের।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। খাদ্য, আর্থিক, প্রকৌশল খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।
ব্যাংক খাতে দুটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২২টি। বুধবার লভ্যাংশ ঘোষণা করা দুটি ব্যাংকই দর হারিয়েছে এদিন। সবচেয়ে বেশি দর হারানোর তালিকায় ছিল এই দুটি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
এই তালিকায় শীর্ষে ছিল জেএমআই হসপিটাল, যেটি পুঁজিবাজারে প্রথম লেনদেন শুরু করেছে। ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১০ শতাংশ। তবে এই দামে ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। সারা দিনে কেবল ৪৬৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৮৬ শতাংশ বেড়েছে ইয়ানিক পলিমারের দর। আর্থিক খাতের আইডিসির দরও বেড়েছে প্রায় সমান।
এই তালিকায় আরও ছিল লোকসানি মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, লাভেলো আইসক্রিম, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, জেমিসি সি ফুড, জুট স্পিনার্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স এবং ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
দরপতনের শীর্ষ ১০
লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা থাকায় দরপতনের ২ শতাংশের সীমা কার্যকর না থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবির দর কমেছে সবচেয়ে বেশি ৩.৮২ শতাশং।
কোম্পানিটি এবার ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে, যেটি বিনিয়োগকারীদের মতপুঃত হয়নি। ১৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে শেয়ারদর কমে হয়েছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩.৩৭ শতাংশ বা ৮০ পয়সা দর হারিয়েছে যমুনা ব্যাংক। এই ব্যাংকটি আগের বছরের মতোই শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগের দিন শেয়ারদর ছিল ২৩ টাকা ৭০ পয়সা, দর কমে হয়েছে ২২ টাকা ৯০ পয়সা।
ইমাম বাটন, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, নর্দার্ন জুট, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, রানার অটো, সমতা লেদার, ড্রাগন স্যোয়েটার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, স্টাইলক্রাফট ও জিকিউ বলপেন ছিল দরপতনের শীর্ষ তালিকায়।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য