× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
90 percent of the projects are self financed Prime Minister
google_news print-icon

৯০ ভাগ প্রকল্পই নিজস্ব অর্থায়নে: প্রধানমন্ত্রী

৯০-ভাগ-প্রকল্পই-নিজস্ব-অর্থায়নে-প্রধানমন্ত্রী-
সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ভবন ‘বিজয়-৭১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এখন প্রায় ৯০ ভাগ উন্নয়ন পরিকল্পনা আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পারি। সে সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতুর মতো একটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। এটার মধ্য দিয়েই আমি মনে করি দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে অনেক উজ্জ্বল হয়েছে।’

বর্তমানে দেশের ৯০ ভাগ প্রকল্পই নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ভবন ‘বিজয়-৭১’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল পরপর তিনবার। এ কারণে অনেক উন্নয়ন আমরা করতে পেরেছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে আমরা আরও স্বাবলম্বী হতে চাই। কারও কাছে যেন হাত পেতে চলতে না হয়। নিজেরাই যেন নিজেদের উন্নয়নকাজ আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

‘আল্লাহর রহমতে এখন প্রায় ৯০ ভাগ উন্নয়ন পরিকল্পনা আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পারি। সে সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতুর মতো একটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। এটার মধ্য দিয়েই আমি মনে করি দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে অনেক উজ্জ্বল হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে দেশের অগ্রযাত্রায় বিচার বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের প্রতি, উচ্চ আদালতই রায় দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করে দিয়েছেন। সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল যে অবৈধ সে রায় তারা দিয়েছেন, এ জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।

‘পাকিস্তান আমলে আমরা দেখেছি এ ধরনের অনিয়ম। যেমন আইয়ুব খান একাধারে সেনাপ্রধান আবার নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে জেনারেল জিয়াউর রহমান যাকে খন্দকার মোস্তাক ১৫ আগস্টের পর সেনাপ্রধান নিয়োগ করে এবং তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিল তারা। তারা ষড়যন্ত্র করেই জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া সেনাপ্রধান আবার একাধারে রাষ্ট্রপতি। এই অনিয়ম করতে গিয়ে সে সেনা আইন যেমন ভঙ্গ করে, আবার সংবিধানকেও পদদলিত করে এবং মার্শাল ল জারি করে। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আবার জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। এই ক্ষমতা দখলের পালা যখন চলছে, তখন বাংলাদেশে একের পর এক ক্যু হতে থাকে। প্রায় ১৯-২০টি ক্যু হয়েছে এই দেশে। এর খেসারত দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর অফিসার ও সৈনিকরা, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা আর আমাদের দেশের মানুষ।

‘কাজেই বাংলাদেশে ন্যায়বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়ে এইসব খুনি যারা জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, শিশু ও নারীদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার না করে ইমডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়েছিল, নির্বাচন করার অধিকার দেয়া হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। সে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে যারা কারাগারে বা সাজাপ্রাপ্ত তাদেরকে মুক্তি দিয়ে এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও সেই একই কাজ করেছিল। সেই যুদ্ধাপরাধীরাই ছিল ক্ষমতায়।

তিনি বলেন, ‘যে আদর্শ যে চেতনায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই আদর্শ-চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। আমি মনে করি এই একটি রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। সেই সঙ্গে আমি এবং আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছিলাম, আমাদের কোনো অধিকার ছিল না বিচার চাওয়ার। এমনকি আমি বাংলাদেশে ফিরে এসে মামলা করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু করতে দেয়া হয়নি।

‘কারণ ইমডেমনিটি দেয়া হয়েছে খুনিদের। এই যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশে চালু করা হয়েছিল সেটা একমাত্র পরিবর্তন করতে পেরেছি যখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি সরকার গঠন করতে পেরেছি তখন। সেখানেও অনেক বাধা, অনেক কিছুই আমাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই বিচারকদের সাহসী পদক্ষেপে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এই খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এর জন্য সব সময় আমি নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি অন্তত ন্যায়বিচার আমরা পেয়েছি। বিচারহীনতা থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছে।’

জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার কথা জানান তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন এ দেশের মানুষের জন্য। কাজেই আমাদেরও সেটাই লক্ষ্য। গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি যেন হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

‘৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে এসেছি, সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি যে আমাদের বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে এবং বিচার বিভাগ আমাদের ৭২ সালের যে সংবিধান, যে সংবিধানে জাতির পিতা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন তা যেন কার্যকর হয়। আমাদের সরকারই সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কার্যকর করার পদক্ষেপ নেয়।’

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ করা, আর্থিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত করা, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। উচ্চ আদালতে ড্রাফটের জন্য আলাদা কোনো কাঠামো বা কিছুই ছিল না, সেটার জন্য আমরা উদ্যোগ নিই। একটা স্থায়ী আইন কমিশন গঠন করি। বিচার বিভাগ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আমরা প্রতিষ্ঠা করি। সেই সঙ্গে বিচারকদের বিদেশে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।

‘আমাদের দেশের যারা দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত মানুষ, বিচার পাওয়ার মতো যাদের আর্থিক সক্ষমতা থাকে না, তারা যেন ন্যায়বিচার পেতে পারে এ জন্য আমরা আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ প্রণয়ন করি এবং বাস্তবায়ন করি। নারী ও শিশু অপরাধ দমনে বিশেষ আদালত আমরা প্রতিষ্ঠা করি। সুপ্রিম কোর্টের যে এনেক্স ভবন সেটা আমরা নির্মাণ করে আরও অধিক বিচারক নিয়োগ দিয়ে বিচারটা যেন মানুষ পায় সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।’

করোনা মহামারির সময় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার বিভাগকে সচল রাখায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদও জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ঘোষণা ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে দিয়েছিলাম। করোনাভাইরাসে যখন মানুষ দুর্দশাগ্রস্ত, যখন কোর্ট পরিচালনা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল, সে সময় আমি চেয়েছিলাম এবং পরামর্শ দিয়েছিলাম একটি ডিজিটাল ব্যবস্থায় এবং ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা।

‘সেই সাথে কেরানীগঞ্জে যে কারাগার সেখানে একটি কোর্ট রুম এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আমরা চালু করেছিলাম যে ভাচুয়াল কোর্ট চালু করলে সেখান থেকে ভার্চুয়ালি যেন যুক্ত হতে পারে, তাদের আইনজীবী যেন থাকতে পারেন। এরপর মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেছিলাম যে ভার্চুয়াল কোর্ট আপনি চালু করেন, এতে অন্তত কিছু বিচার চলবে, নাহলে সবকিছু স্থবির হয়ে যাচ্ছে। বহু মানুষ গ্রেপ্তার হচ্ছে, বন্দি হচ্ছে কিন্তু বিচার পাচ্ছে না। আমরা আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন প্রণয়ন করে ভার্চুয়াল কোর্ট আমরা চালু করতে পেরেছি, তাতে অনেক বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে রায় সব সময় ইংরেজিতেই দেয়া হয়। যদিও এখন আমাদের সাক্ষরতার হার আমরা সরকার গঠনের পর ৭৫ ভাগে উন্নীত করেছি, এটা ঠিক। কিন্তু রায় ইংরেজিতে সবার জন্য বোঝা সম্ভব নয়। কাজেই এটা বহুদিনের দাবি ছিল যে রায়গুলো যেন বাংলায় দেয়া হয়। আমি খুবই আনন্দিত যে এটার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটে রায়গুলো বাংলায় প্রচার করা হয়। এতে মানুষ অন্তত যারা বিচার পায় তারা সঠিকভাবে জানতে পারে রায়ে কী বলা হলো। সাধারণ মানুষের এটা জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

‘সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বিষয়টি নিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাস্তবায়ন যাতে করা যায় সে ব্যবস্থা নিয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় অনেক টাকা সাশ্রয়ও করে দিয়েছে। খুব বেশি টাকার একটি প্রজেক্ট নেয়া হয়েছিল, সেখান থেকে অনেক টাকা কাটছাট করে বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জেলা আদালতগুলোকেও আমরা উন্নত করে দিচ্ছি। জজ সাহেবদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ এই বাংলাদেশে এমন ঘটনাও ঘটেছে বোমা মেরে। জজদেরও হত্যা করা হয়েছে। সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে এবং বিচারকাজ আরও ভালোভাবে চলবে।

‘সুপ্রিম কোর্টের নতুন ভবনে আরও ৩২টি আদালত বসার সুযোগ হবে। আরেকটি বিষয় বলতে চাই। রেকর্ডরুম খুবই প্রয়োজন। এটা যাতে নষ্ট না হয় তার ব্যবস্থা করা এবং এগুলোকে ডিজিটালাইজড করে ফেলা। হার্ডকপিও রাখতে হবে ডিজিটাইজডও করতে হবে। এরই মধ্যে রেকর্ডরুম করার জন্য অর্থসচিবকে বরাদ্দের জন্য নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি।’

দেশে আইন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিচারপতি ও আইনজীবীদের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা এসেছে। আপনারা জানেন বাংলাদেশে মাত্র কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এখন আমরা বহুমুখী জ্ঞানসংবলিত বিশ্ববিদ্যালয় করছি। বহু অ্যাকাডেমি আমরা করে দিয়েছি। কাজেই আইন বিশ্ববিদ্যালয় করার বিষয়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ আমরা নেব। এটার কারিকুলাম কী হবে তাও আপনাদের ঠিক করে দিতে হবে।

‘জেলা পর্যায় আমরা যেমন আদালত ভবন করে দিচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে আমি মনে করি আইনজীবীরাও যাতে সুস্থভাবে বসে কাজ করতে পারেন। আমরা যারা ক্লায়েন্ট থাকি, আমাদের তো মামলা-টামলা অনেক খেতে হয় রাজনীতি করলে, আমি নিজেই তো ১২-১৪টা মামলার আসামি ছিলাম, কোর্টে যেতে হয়েছে। কাজেই সবাই যদি ভালো ও ঠান্ডা মাথায় কাজকর্ম করেন তাহলে ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ হয়। আমরা সে ব্যবস্থাও করব। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সর্বস্তরের মানুষ যেন ন্যায়বিচারটা পায়। আটটা বিভাগে সঠিক আদালত গড়ে তুলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীকে সৌদি বাদশাহর ১০ কেজির স্বর্ণের গিলাফ উপহার
ভোট চুরি করলে জনগণ বিএনপির আন্দোলনে সাড়া দিত: প্রধানমন্ত্রী
একটি গোষ্ঠী দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে পয়সা জোগাড় করে: প্রধানমন্ত্রী
ইউক্রেনের পক্ষে ভোট শান্তি ও মানবাধিকার প্রশ্নে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
There is no alternative to open reservoirs to resolve the domestic fish crisis Fisheries and Livestock Advisor

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোন বিকল্প নাই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।

উপদেষ্টা আজ সকালে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,নারী কৃষক এবং স্হানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানি দূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মাছ কারণে দিনদিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পীড বোটের ব্যবহার করা হবে।

চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।

খামারিদের উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
New Member of the Press Council Matiur Rahman Chowdhury

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।

এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meeting the Religion Advisor with the Prime Minister of Pakistan

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।

এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Decision to form an independent investigation service of the police

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’

সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে