প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সময় সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠী বাছাই ও তার তালিকা তৈরি দেশে নতুন নয়। কিন্তু প্রায়ই এ কাজে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং নানা ধরনের অসংগতি দেখা দেয়। এতে এসব পদক্ষেপের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনও অনেক সময় সম্ভব হয় না।
রমজান সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মতো ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের উদ্যোগে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে। এ কার্যক্রমের আওতায় রাজধানীসহ সারা দেশে এখন একযোগে ১ কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপকারভোগীরা বাজারের চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কম দামে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) নিয়োজিত ডিলার থেকে তেল, ছোলা, চিনি, খেজুর ও মসুর ডাল কিনছেন। এতে সরকারের প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি খরচ হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর মানবিক এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একদিকে দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য ক্রয়ে সক্ষম হবে, অপরদিকে, এসব পণ্যের চাহিদা স্থানীয় বাজারে কমবে। ফলে বাজারেও এর দাম স্থিতিশীল থাকবে।
ইতিমধ্যে গত ৮ মার্চ থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোয় পণ্য প্রেরণ শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি জেলায় টিসিবির পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পৌঁছে গেছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি জেলায় খাদ্য অধিদপ্তর, বিএডিসি ও নির্ধারিত গুদামে টিসিবির পণ্য গ্রহণ, প্যাকিং চলছে। ২০ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রির যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ফ্যামিলি কার্ড তৈরিতে দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তালিকা তৈরির কাজটি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে। ফলে এখানে কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কারও আধিপত্যের সুযোগ ছিল না। এ কারণে তালিকাটি নির্ভুল হয়েছে।
উপকারভোগী বাছাইয়ে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তিন স্তরের আলাদা কমিটি কাজ করেছে। গ্রামপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রাথমিকভাবে উপকারভোগী বাছাইয়ের কাজটি করেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি স্থানীয় নির্বাচন অফিস থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে সুপারিশকৃতদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করেছে। আর চূড়ান্ত বাছাই হয়েছে জেলা পর্যায়ে। এখানে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন কমিটির সন্তুষ্টিতে তা অনুমোদন পেয়েছে।
এ যাচাই প্রক্রিয়ার কারণে সুবিধাভোগী বাছাইয়ের কাজে কোনো অসংগতি থাকার সুযোগ নেই বলে দাবি করছেন কর্মকর্তারা।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুবিধাভোগী বাছাইয়ের কাজটি স্বচ্ছভাবে করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন যৌথভাবে সমন্বয় করে বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সুবিধাভোগীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের পুরো তালিকা (ছবিযুক্ত নাম-পরিচয় ও পেশাসংবলিত) জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।’
কারা সুবিধাভোগী?
রংপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা সুবিধাভোগীর তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বেশির ভাগই কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, গৃহিণী ও স্বল্প আয়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এদের বাইরে সুনির্দিষ্ট পেশা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দর্জি, নাপিত, মুচি, জেলে, মাঝি, ধোপা, অটোচালক, দোকান কর্মচারী, বেসরকারি কর্মচারী, ট্রাকচালক, রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, মোটরশ্রমিক, নৌশ্রমিক, ইটভাটা শ্রমিক, রাইস মিল শ্রমিক, গ্রাম পুলিশ, ঝাড়ুদার, আনছার সদস্য, মুয়াজ্জিন, খতিব, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষক, শিক্ষিকা, ইলেকট্রিশিয়ান, টিভি মেকার, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, পল্লি চিকিৎসক, স্টোর লেবার, বুট মেকার ও ছাত্র-ছাত্রী। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম ও ওয়ার্ডপর্যায়ে তালিকাভুক্ত এসব ব্যক্তির ছবিযুক্ত নাম, পরিচয়, বয়স, পেশা ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
একই নমুনা দেখা গেছে কুষ্টিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, জামালপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায়। তবে জেলার ভৌগোলিক অবস্থানভেদে বিভিন্ন পেশার মানুষ টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। যেমন প্রায় সব এলাকায় কৃষকের আধিক্য থাকলেও শিল্পাঞ্চল ও সিটি করপোরেশন এলাকায় শ্রমিকের কার্ডের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, ‘জেলার ভেতরে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ফ্যামিলি কার্ড সুবিধা পেয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার এবং জেলা পর্যায়ে ৮৬ হাজার। এ সুবিধাভোগীদের আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় নির্বাচন করেছি। ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে তিন স্তরের কমিটি কাজ করেছে। আমরা টার্গেট পিপলদেরই নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি।’
একই চিত্র পাওয়া যায় আরও কয়েকটি জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকেও।
যেভাবে সুবিধাভোগী বাছাই করা হয়
উপকারভোগী নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনসংখ্যা এবং দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিসিবি কার্যক্রম দেখভালে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১ কোটি পরিবারের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম বিবেচনায় নেয়া হয়েছে করোনাকালীন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে নগদ সহায়তা প্রদানের যে ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হয়, সেই ডাটাবেজকে। ওই তালিকায় ৩০ লাখ পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল, যাদের সরাসরি টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় নেয়া হয়েছে। ১ কোটি পরিবারের বাকি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সুবিধাভোগী বাছাইয়ের বড় কাজটি করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন। এ তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে সারা দেশে স্থানীয় ৫৭ লাখ ১০ হাজার উপকারভোগী পরিবার, যাদেরকে ইতিমধ্যে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর বাইরে ঢাকা সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার উপকারভোগী রয়েছে। টিসিবি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে এদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি করা হবে।’
কেন এই উদ্যোগ
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির দীর্ঘসূত্রতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। জ্বালানিসহ ভোজ্যতেল, চাল, গমের দাম স্মরণকালের রেকর্ড ভেঙেছে। বিশ্বের দেশে দেশে তার অভিঘাত আছড়ে পড়ছে।
এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। নিত্যপণ্যসহ বিভিন্ন ভোগ্য ও ব্যবহার্য পণ্যের দামের উল্লম্ফনে স্বল্প আয়ের মানুষের দিশেহারা অবস্থা। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা ধরনের পদক্ষেপও যেন কাজ করছে না।
বাড়তি দামের এই উত্তাপ থেকে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে স্বস্তি দিতে টিসিবির নিয়মিত পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এর মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে এই সুবিধায় তালিকাভুক্ত করার নির্দেশনা দেন। এর পরই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সহায়তায় উপকারভোগী বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
যেভাবে পণ্য পাচ্ছেন উপকারভোগীরা
ভর্তুকি দামে টিসিবির পণ্য কিনতে সুবিধাভোগীদের প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, উপকারভোগীরা ফ্যামিলি কার্ড দেখিয়ে নিজ নিজ এলাকায় টিসিবি নিয়োজিত ডিলারের কাছ থেকে রমজাননির্ভর পাঁচটি পণ্য কিনতে পারবেন বাজার-দামের প্রায় অর্ধেক দামে।
ইতিমধ্যে গত ৬ মার্চ থেকে রাজধানীতে ১৫০টি ট্রাকে করে শুরু হয়েছে পণ্য বিক্রি। এর বাইরে রাজধানীসহ দেশের সব মহানগরী, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে উপকারভোগী পরিবারের কাছে ভর্তুকির পণ্য পৌঁছে দিতে ২০ মার্চ থেকে একযোগে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তবে উপকারভোগীর কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে দুই ভাগে। প্রথম দফায় ১ কোটি পরিবার ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি চিনি ও ৬৫ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবে, যা চলবে রমজানের আগে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে ৩ এপ্রিল থেকে। শেষ দফায় অভিন্ন দাম ও পরিমাণে আগের তিনটি পণের পাশাপাশি নতুন করে যুক্ত হবে ২ কেজি ছোলা।
এসব পণ্য সুশৃঙ্খলভাবে বিক্রি করতে ৯টি তদারক দল, একটি উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় দল আছে। এ ছাড়া একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিকারসংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক। এর প্রভাব দুইভাবে পড়বে। এতে ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। অন্যদিকে ১ কোটি পরিবার মানে ৫ কোটি লোক এর সুফল ভোগ করবে। ফলে রমজানে চাহিদাযোগ্য এসব পণ্যের বাজারে একটি স্থিতিশীলতা রক্ষা নিশ্চিত করবে।’
আরও পড়ুন:'শিক্ষককে সময়মতো ক্লাসে আসতে বলায় ৩৩ শিক্ষার্থীকে পেটালেন সহকারী শিক্ষক' শিরোনামে গত ২৬ আগস্ট দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলা২৪. কম অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪.কম এর জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি রাব্বিউল হাসান রমিকে গত বুধবার রাতে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন সহকারী শিক্ষক নাফসি তালুকদার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক কালাই থানায় সাধারণ ডায়েরি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাফসি তালুকদার নবম শ্রেণির ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করার ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশকারী কয়েকজন সাংবাদিককে ফোন করে এবং লোক পাঠিয়ে হুমকি দেন।
সাংবাদিক মহল বলছে, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও অন্যায় কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দিতে গিয়ে এখন সংবাদকর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ছড়িয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হুমকি পাওয়া নাগরিক টেলিভিশন ও দৈনিক শিক্ষাডটকমের জেলা প্রতিনিধি মাহফুজার রহমান বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত শিক্ষক নাফসি তালুকদার আমাকেও ফোন দিয়ে হুমকি দিয়েছে। সত্য সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে এ ধরনের হুমকি মুক্ত সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জানান, শিক্ষক নাফসি তালুকদারের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান বলেন, সাংবাদিক রাব্বিউল হাসান রমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তার আগের অভিযোগগুলোর সঙ্গে এটিও আমলে নিয়েছি।
কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, সাংবাদিক রাব্বিউল হাসান রমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করার অভিযোগে ওই শিক্ষককে শোকজ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে দলীয় অফিস খোলা, সহকর্মী শিক্ষক ও ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।
শিশুদের টাইফয়েড প্রতিরোধে “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫” সফল বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে অ্যাডভোকেসী সভা আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় নগরভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম উপর্যুক্ত সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দেশব্যাপী ৯ মাস হতে ১৫ বছর কম বয়সী সকল শিশুদের এক ডোজ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিবি) টিকা প্রদানের অংশ হিসেবে ডিএসসিসি এলাকায় ১২ অক্টোবর থেকে এই টিকা প্রদান শুরু হবে।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামী ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের দেওয়া এ সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) আজ জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও নিহাদ কবির। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। আর আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর, ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
তবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সাংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।
২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এই রায়ে হাইকোর্টের দেয়া আট দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো:-
১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।
৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।
এক পর্যায়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরবর্তীতে রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা পক্ষভুক্ত হয়।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৩২টি প্রাতিষ্ঠানিক পুকুরে ২৫০ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে রুই জাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) পোনা বিতরণ করা হয়।
চলতি অর্থ বছরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পোনা মাছ বিতরণ ও অবমুক্তকরণে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো.আতিক উল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জাফরিন জাহেদ জিতি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.রুমন তালুকদার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাঈম হাসানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা শহর নওগাঁ। প্রতিদিন সকাল শুরু হয় শহরবাসীর যাটজটের মধ্য দিয়ে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তীব্র যানজটে নাকাল শহরবাসী ও পথচারীরা। এযেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে শহরবাসীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, অব্যবস্থাপনার কারনে শহরের প্রাণকেন্দ্রেই যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। দিন দিন লম্বা হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোজট। এ ছাড়া সড়কে বড় যানবাহন রেখে মালামাল খালাস অন্যতম কারণ। এর ফলে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জরুরি সেবার গাড়িগুলোও।
নওগাঁ পৌরসভার তথ্যমতে, নওগাঁ শহরের মোট আয়তন ৩৮ দশমিক ৪২ বর্গকিলোমিটার। ২০১০ সাল থেকে শহরে চলাচলে ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে পৌরসভা। ২০১৬ সালের পর থেকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রেখেছে। ছোট এই শহরে পৌরসভার লাইসেন্সধারী ইজিবাইক রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। এর বাইরে লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক আছে আরো প্রায় ১০ হাজারের মত। সিএনজি, রিক্সা,ভ্যান, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে আরও প্রায় দশ হাজার। অন্যদিকে পৌর কৃর্তপক্ষ ও সড়ক বিভাগ বলছে, যানজট নিরসনে চারলেনের রাস্তা নির্মানসহ নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নওগাঁ শহরের মেইন রোডের কাঁঠালতলী থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, তাজের মোড়, ব্রীজের বাটার মোড়, সরিষাহাটির মোড়, মুক্তির মোড়, কাজীর মোড়, রুবির মোড়, দয়ালের মোড় হয়ে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৪কিলোমিটার পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগে থাকে। এছাড়া শহরের মধ্যে রাস্তার দুই পাশে স্থায়ী দোকান থাকার পর দোকানের সামনে ফুটপাত দখল করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান পরিচালনা করেন। স্থায়ী দোকানীরা তাদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে মালামাল রাখে। এতে করে রাস্তায় ভ্যান, রিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও ছোট যান চলাচল করায় পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশ দোকানীদের দখলে থাকায় পথচারীরা রাস্তার দুই পাশ দিয়ে যেতে পারেননা ঠিকমত।
আপেল মাহমুদ নামের পথচারী বলেন, শহর অনেক ছোট কিন্তু তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তার পাশে দিয়ে হেটে যাওয়ার মত অবস্থা নাই। দিন দিন যানজট বেড়েই চলেছে। কবে আমরা পরিত্রান পাবো জানা নেই।
আবুল কালাম আজাদ নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, শুনছি লেনের রাস্তা হবে। কবে হবে বাস্তবায়ন হবে জানিনা। গত প্রায় ৮-১০বছর থেকে শহরে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে শহর পরিকল্পনা ব্যবস্থা উন্নত করা না গেলে সামনে যানজট আরও ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮পর্যন্ত শহরের ভিতরে কোন ভাড়ি যানবাহন চলাচলের নিয়ম নাই। কিন্তু অনেক সময় ভারি যাববাহন চলাচল করতে দেখা যায়। সার্বিকভাবে পৌর কৃর্তপক্ষ ও প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে মনে করছি।
শহরের কাপড়পট্টির সুধির চন্দ্র, অখিল চন্দ্র, রুবেল হোসেনসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এ শহর এখন জানযটের শহর। সকাল শুর হয় জ্যামের মাধ্যামে আমাদের। মটরসাইলকেল ভ্যান, ইজিবাইক ও অটোরিকশাগুলো যেখানে -সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখে। অনেক সময় আমাদের দোকানগুলোর সামনেও দাঁড় করায়। এগুলোর কারনেও যানজট বেড়ে যায়। এত যানবাহনের চাপ, সে তুলনায় রাস্তা ছোট। আর শহরে কোন গোল চত্বরও নেই। চরম ভোগান্তি হচ্ছে আমাদের।
সোহেল রানা ও নাজমুল হোসেন নামের দুই চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান, নওগাঁ শহরে ইজিবাইকের কোনো বৈধ স্ট্যান্ড নেই। তাহলে আমরা কোথায় দাঁড় করাবো। যার কারনে অস্থায়ী ভাবে শহরের বেশ কয়েকটি মোড় থেকে আমরা যাত্রী উঠা-নামানো করে থাকি। এছাড়্া অনেক অবৈধ ইজিবাইক চলাচল করছে শহরের ভিতরে। সেগুলোকে কৃর্তপক্ষের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নওগাঁ শহরের প্রধান সড়ক ফোর-লেনে উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পের স্টেক হোল্ডার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখিত প্রকল্পের আওতায় সান্তাহার মোড় থেকে চৌমাসিয়া চত্বর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক ফোরলেনে উন্নীত করণ এবং বেশ কিছু অবকাঠামো নির্মান পরিকল্প তুলে ধরা হয়েছে। এর সম্ভাব্য ব্যায় ধরা হয়েছে ১২’শ কোটি টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শহরের যানযটের ভোগান্তি লাঘোবসহ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে।
নওগাঁ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, নওগাঁ শহরের যানজট নিরসনে চার লেনের সড়ক তৈরির প্রকল্পের উদ্যোগ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমবে যাবে। চার লেনের ১৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রাস্তা শুরু হবে শহরের ঢাকা মোড় থেকে শুরু শহরের ব্রিটিশ আমলে তৈরি লিটন ব্রিজ হয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের চৌমাশিয়া পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে।
তিনি আরো বলেন, এই মেগা প্রকল্পে থাকবে ৭ফুটওভার ব্রিজ, ২০টি মিনি বাসস্টপ, ১৩টি কালভার্ট, ৪টি ব্রিজ, সড়কবাতি, ফুটপাত ও উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ আধুনিক সব সড়ক কাঠামো ব্যবস্থা। বর্তমান যে রাস্তা আছে তা প্রশস্ত করে ৮০ ফুট করা হবে। আমরা করছি খুব দ্রতই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, নওগাঁ শহরের প্রধান সড়কটি দ্রুত চার লেনে উন্নীত করা হলে যানজট কমবে, শহর হবে আধুনিক। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মেহেরপুরে সাপে কেটে মৃত্যু হয়েছে ফারিয়া আক্তার নামের ৮ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে সাপে কামড় দেয়।
রাত দেড়টার দিকেই পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে , জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের ওলিনগর গ্রামের বাবুল আক্তারের মেয়ে ফারিয়া আক্তার প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতে তার দাদীর সাথে ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিল। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ ফারিয়া কান্না শুরু করে।
পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত ফারিয়ার কাছে ছুটে আসে। পরে পরিবারের সদস্যরা ফারিয়ার পায়ে সাপে কাটার চিহ্ন দেখতে পেয়ে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
ফারিয়ার বাবা বাবুল আক্তার জানান, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কখন তাকে সাপে কেটেছে তারা টের পাইনি। যখন তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়েছে তখন সে কান্না শুরু করে। কান্না শুনে পাশের ঘর থেকে গিয়ে দেখি মেয়ের মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছে। পায়ে খেয়াল করে দেখি সাপে কাটা দাগ। তার অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল পারভেজ বলেন, এবছর মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়াই খাল- বিল, মাঠ, ঘাট পানিতে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় বিষধর সাপ গুলো সব শুকনো জায়গাই এসে আশ্রয় নিচ্ছে। বতর্মানে আমার এলাকার বিভিন্ন বাড়িতেই সাপের দেখা মিলছে। তাই আমার সকলকেই একটু সতর্ক হতে হবে।
কর্ণফুলী টানেলের মেইনটেন্যান্স কাজের জন্য ট্রাফিক ডাইভারসনের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্ণফুলী টানেলের রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ (জেট ফ্যান পরিষ্কার/ রক্ষণাবেক্ষণ ও রোড মার্কিং) কাজের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) থেকে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দিবাগত রাত ১১টা হতে ভোর ৫টা পর্যন্ত ‘পতেঙ্গা হতে আনোয়ারা’ টিউব ট্রাফিক ডাইভারসন করে ‘আনোয়ারা হতে পতেংগা’ টিউবের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে যানচলাচল অব্যাহত রাখা হবে।
এ সময় বিদ্যমান ট্রাফিকের পরিমাণ অনুযায়ী সর্বনিম্ন পাঁচ হতে সর্বোচ্চ দশ মিনিট টানেলের উভয়মুখে যাত্রীদের অপেক্ষমাণ থাকার প্রয়োজন হতে পারে।
কর্ণফুলী টানেলের নিরাপদ ও কার্যকর রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য