শেয়ারের দর ১৭ টাকা ৪০ পয়সা, লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে সাড়ে ২২ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর দিন শেয়ারের দর পড়ল ৪০ পয়সা।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের লভ্যাংশসংক্রান্ত ঘোষণার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারদরে কোনো মূল্যসীমা না থাকার দিন শতকরা হিসেবে দর কমল ২.২৯ শতাংশ। তবে এমনিতে ২ শতাংশের বেশি কমার সুযোগ ছিল না।
একই দিন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ারের দর কমল ৯.৩১ শতাংশ। এটি হয়েছে কোম্পানিটির লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে। কোম্পানিটি এবার লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে সাড়ে ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে বোনাস শেয়ার হিসেবে দেয়া হবে ১০ শতাংশ। বাকি সাড়ে ১৭ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা দেয়া হবে নগদে।
রেকর্ড ডেট সোমবার শেয়ারদর ছিল ৭৬ টাকা ২০ পয়সা। ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার যুক্ত হলে শেয়ারদর সমন্বয় হয়েছে ৬৯ টাকা ৩০ পয়সা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ ২০ পয়সা কমেছে সেখান থেকে।
১০ মাস পর জ্বালানি খাতের কোম্পানি কেপিসিএলের উৎপাদন শুরুর পর দুই দিনে শেয়ারের ক্রেতা নেই। তবে দুই বছরের জন্য আবার কোম্পানিটির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ৩৫ টাকায় বিক্রেতা ছিল না। সোমবার ৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় ক্রেতা ছিল না।
দেশের পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক না, সেটি এই তিনটি উদাহরণে বোঝানো যায়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন চলতি বছরের শুরুতে কাটার ইঙ্গিত দিয়েও আবার মন্দাভাবে ফিরে যায় জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়েই। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শুরু হওয়া ধস ঠেকানো হয়েছে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ করে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তে এক দিনে হয়তো সূচকের বড় দরপতন হচ্ছে না, তবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ২ শতাংশ বা কাছাকাছি কমে গিয়ে আর ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। বিপুলসংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা না থাকার কারণে লেনদেনেও দেখা যাচ্ছে মন্দাভাব।
গত ৯ ও ১০ মার্চ ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির প্রতিনিধিরা বিএসইসিতে বৈঠক করে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পরেও লেনদেন সেভাবে বাড়ছে না। ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও বিনিয়োগে না গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট, বেড়েছে ১৭৮টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৫০টির। অপরিবর্তিত থাকে বাকি ৫২টির দর।
তবে যেগুলোর দর কমেছে দুই শতাংশ বা কাছাকাছি দর কমে ক্রেতাশূন্য হয়ে গেছে ৫০টির মতো কোম্পানি। অর্ধাৎ বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন শেয়ারদর আরও কমবে, এই ভাবনায় তারা বিনিয়োগে যেতে রাজি হচ্ছেন না।
লেনদেন হয়েছে গত ১৫ মার্চের পর সর্বোচ্চ ৯৮১ কোটি ৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ নিয়ে টানা তিন দিন বাড়ল লেনদেন। আগের দুই দিন হাতবদল হয় যথাক্রমে ৯২৪ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার টাকা ও ৮৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
পুঁজিবাজারে মন্দাভাবের মধ্যে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বুধবার। নানা সময় এই ধরনের বৈঠককে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দেয়। তবে গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এই বৈঠক শেষে ফলপ্রসূ তেমন কোনো ঘোষণা আসে না। আর ঘোষণা এলেও বাজারে প্রভাব পড়ে না। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা এখনও অনেকটাই সতর্ক।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের চিত্র
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে, এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে কোনো একক খাতের প্রাধান্য দেখা যায়নি। তবে এই ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি ছিল স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি, যেগুলোর সহসা ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণ নেই।
সবচেয়ে বেশি ৮.৭৫ শতাংশ দর বেড়েলে নর্দার্ন জুটের। ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই একটি কোম্পানির শেয়ারদরই দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁতে দেখা গেছে। কোম্পানিটি আর্থিক হিসাব বিবরণীই প্রকাশ করছে না। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিতে শেয়ার প্রতি ৬ টাকা লোকসান দেয়ার কথা জানানোর পর এর আয় ব্যয়ের কী চিত্র, সেটি বিনিয়োগকারীরা জানতে পারছে না।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে লোকসানি আর যে দুটি কোম্পানি ছিল, তার মধ্যে অষ্টম স্থানে ছিল স্টাইলক্রাফট, যার দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি আর দশম স্থানে ছিল জুন স্পিনার্স, যার দর বেড়েছে ৪.৯১ শতাংশ।
এর মধ্যে স্টাইলক্রাফট গত কয়েক বছর ধরে সংকটে পড়েছে। ২০২১ সালে লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দেয়নি, চলতি বছর অর্ধবার্ষিক হিসাব অনুযায়ী শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা।
আর জুন স্পিনার্স তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনও লভ্যাংশ দিয়েছে, এমন তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে নেই। চলতি বছর অর্ধবার্ষিকে শেয়ার প্রতি ২১ টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, আরও ৬টির বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি দর পতনের শেয়ারের ক্রেতা নেই
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণের পর থেকে যে চিত্রটি একেবারেই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে, সেটি হলো, নিম্নসীমায় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর ক্রেতা থাকে না। একই চিত্র দেখা গেল আবার।
সবচেয়ে বেশি দরপতন দেখালেও ডাচ্- বাংলা ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন আসলে হয়েছে ২০ পয়সা। আর ১ টাকা ৭৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ধরলেও বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫৫ পয়সা মুনাফা হয়েছে।
এমনিতে সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৯৮ শতাংশ দর কমেছে মনোস্পুল পেপারের।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, এটলাস, এমবি ফার্মা, রংপুর ফাউন্ড্রি, জেমিনি সি ফুড, পেপার প্রসেসিং, এপেক্স ফুড ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ ছিল দরপতনের শীর্ষ তালিকায় যেগুলোর বেশিরভাগ আগের দিন ছিল সব বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায়।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য