শেয়ারের দর ১৭ টাকা ৪০ পয়সা, লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে সাড়ে ২২ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর দিন শেয়ারের দর পড়ল ৪০ পয়সা।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের লভ্যাংশসংক্রান্ত ঘোষণার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারদরে কোনো মূল্যসীমা না থাকার দিন শতকরা হিসেবে দর কমল ২.২৯ শতাংশ। তবে এমনিতে ২ শতাংশের বেশি কমার সুযোগ ছিল না।
একই দিন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ারের দর কমল ৯.৩১ শতাংশ। এটি হয়েছে কোম্পানিটির লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে। কোম্পানিটি এবার লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে সাড়ে ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে বোনাস শেয়ার হিসেবে দেয়া হবে ১০ শতাংশ। বাকি সাড়ে ১৭ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা দেয়া হবে নগদে।
রেকর্ড ডেট সোমবার শেয়ারদর ছিল ৭৬ টাকা ২০ পয়সা। ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার যুক্ত হলে শেয়ারদর সমন্বয় হয়েছে ৬৯ টাকা ৩০ পয়সা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ ২০ পয়সা কমেছে সেখান থেকে।
১০ মাস পর জ্বালানি খাতের কোম্পানি কেপিসিএলের উৎপাদন শুরুর পর দুই দিনে শেয়ারের ক্রেতা নেই। তবে দুই বছরের জন্য আবার কোম্পানিটির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ৩৫ টাকায় বিক্রেতা ছিল না। সোমবার ৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় ক্রেতা ছিল না।
দেশের পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক না, সেটি এই তিনটি উদাহরণে বোঝানো যায়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন চলতি বছরের শুরুতে কাটার ইঙ্গিত দিয়েও আবার মন্দাভাবে ফিরে যায় জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়েই। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শুরু হওয়া ধস ঠেকানো হয়েছে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ করে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তে এক দিনে হয়তো সূচকের বড় দরপতন হচ্ছে না, তবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ২ শতাংশ বা কাছাকাছি কমে গিয়ে আর ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। বিপুলসংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা না থাকার কারণে লেনদেনেও দেখা যাচ্ছে মন্দাভাব।
গত ৯ ও ১০ মার্চ ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির প্রতিনিধিরা বিএসইসিতে বৈঠক করে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পরেও লেনদেন সেভাবে বাড়ছে না। ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও বিনিয়োগে না গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট, বেড়েছে ১৭৮টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৫০টির। অপরিবর্তিত থাকে বাকি ৫২টির দর।
তবে যেগুলোর দর কমেছে দুই শতাংশ বা কাছাকাছি দর কমে ক্রেতাশূন্য হয়ে গেছে ৫০টির মতো কোম্পানি। অর্ধাৎ বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন শেয়ারদর আরও কমবে, এই ভাবনায় তারা বিনিয়োগে যেতে রাজি হচ্ছেন না।
লেনদেন হয়েছে গত ১৫ মার্চের পর সর্বোচ্চ ৯৮১ কোটি ৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ নিয়ে টানা তিন দিন বাড়ল লেনদেন। আগের দুই দিন হাতবদল হয় যথাক্রমে ৯২৪ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার টাকা ও ৮৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
পুঁজিবাজারে মন্দাভাবের মধ্যে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বুধবার। নানা সময় এই ধরনের বৈঠককে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দেয়। তবে গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এই বৈঠক শেষে ফলপ্রসূ তেমন কোনো ঘোষণা আসে না। আর ঘোষণা এলেও বাজারে প্রভাব পড়ে না। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা এখনও অনেকটাই সতর্ক।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের চিত্র
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে, এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে কোনো একক খাতের প্রাধান্য দেখা যায়নি। তবে এই ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি ছিল স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি, যেগুলোর সহসা ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণ নেই।
সবচেয়ে বেশি ৮.৭৫ শতাংশ দর বেড়েলে নর্দার্ন জুটের। ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই একটি কোম্পানির শেয়ারদরই দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁতে দেখা গেছে। কোম্পানিটি আর্থিক হিসাব বিবরণীই প্রকাশ করছে না। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিতে শেয়ার প্রতি ৬ টাকা লোকসান দেয়ার কথা জানানোর পর এর আয় ব্যয়ের কী চিত্র, সেটি বিনিয়োগকারীরা জানতে পারছে না।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে লোকসানি আর যে দুটি কোম্পানি ছিল, তার মধ্যে অষ্টম স্থানে ছিল স্টাইলক্রাফট, যার দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি আর দশম স্থানে ছিল জুন স্পিনার্স, যার দর বেড়েছে ৪.৯১ শতাংশ।
এর মধ্যে স্টাইলক্রাফট গত কয়েক বছর ধরে সংকটে পড়েছে। ২০২১ সালে লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দেয়নি, চলতি বছর অর্ধবার্ষিক হিসাব অনুযায়ী শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা।
আর জুন স্পিনার্স তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনও লভ্যাংশ দিয়েছে, এমন তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে নেই। চলতি বছর অর্ধবার্ষিকে শেয়ার প্রতি ২১ টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, আরও ৬টির বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি দর পতনের শেয়ারের ক্রেতা নেই
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণের পর থেকে যে চিত্রটি একেবারেই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে, সেটি হলো, নিম্নসীমায় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর ক্রেতা থাকে না। একই চিত্র দেখা গেল আবার।
সবচেয়ে বেশি দরপতন দেখালেও ডাচ্- বাংলা ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন আসলে হয়েছে ২০ পয়সা। আর ১ টাকা ৭৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ধরলেও বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫৫ পয়সা মুনাফা হয়েছে।
এমনিতে সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৯৮ শতাংশ দর কমেছে মনোস্পুল পেপারের।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, এটলাস, এমবি ফার্মা, রংপুর ফাউন্ড্রি, জেমিনি সি ফুড, পেপার প্রসেসিং, এপেক্স ফুড ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ ছিল দরপতনের শীর্ষ তালিকায় যেগুলোর বেশিরভাগ আগের দিন ছিল সব বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায়।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য