১২ মার্চ, বেলা ১টা। ঘটনাস্থল কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী।
তাদের এতক্ষণ অপেক্ষা করার কথা ছিল না। কারণ, দাঁড়িয়ে থাকার সময় বিআরটিসির দুটি বাস সেখানে যায়। কিন্তু কাউন্টার থেকে দুটিকেই পাঠিয়ে দেয়া হয় পাশের ডিপোতে।
যাত্রীরা একপর্যায়ে কাউন্টারে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। পরে কাউন্টার থেকে গাড়ির খোঁজে বের হন টিকিট বিক্রেতা। তিনি গিয়ে দেখেন ট্রান্সসিলভা পরিবহনের একটি বাসের চালক ও সহকারী খাচ্ছেন। পরে তাদের ডেকে এনে বাস ছাড়ে।
ঢাকার বাস চলাচল পাল্টে দিয়ে যাত্রীবান্ধব ও আরামদায়ক করার ঘোষণা দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চলা ঢাকা নগর পরিবহনে তিন মাস যেতে না যেতেই এই চিত্র দেখা দিয়েছে।
কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে চিটাগাং রুটের কাঁচপুর পর্যন্ত এই রুট চালু হয়েছে গত ২৬ ডিসেম্বর। শুরুর দিন জানানো হয়েছিল, ৫০টি বাস আপাতত দেয়া হচ্ছে, পরে বাস বাড়বে। কিন্তু বাস বাড়েনি, উল্টো এই রুটে চলা বিভিন্ন বেসরকারি পরিবহনের বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে আরও বেশি।
এর মধ্যে আরও তিনটি রুটে নগর পরিবহন চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের পেছনে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের দৃষ্টিতে পরীক্ষামূলকভাবে চলা এই নগর পরিবহন পুরোপুরি সফল।
কিন্তু যাত্রীরা কী ভাবছেন? ঘাটারচরে সেদিন বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত যাত্রী সোহেল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরপর বাস ছাড়ে। এখন এক ঘণ্টা হয়ে গেল বাস পাই না। এভাবে সেবার নামে হয়রানি করার কী দরকার?’
যাত্রীরা জানালেন, সন্ধ্যার পর এই রুটে সেভাবে বাস পাওয়া যায় না। রাত ৮টার আগে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
বন্যা রায় নামে এক যাত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাউন্টারে এসে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। এদিকে শাহবাগ কাউন্টারে বসার জন্য যাত্রীছাউনি নাই। তারা সেবার নামে হয়রানি শুরু করেছে। বাস কম হওয়ায় গাদাগাদি করে চলতে হয়।’
গত ২৬ ডিসেম্বর ৫০টি বাস নিয়ে একটি রুটে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির ৩০টি আর বেসরকারি বাস কোম্পানি ট্রান্সসিলভার ছিল ২০টি।
নগরীতে ওয়েবিলের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ আদায়ের মধ্যে এই বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় হওয়ায় মানুষের খরচ কমে।
শুরুতেই এই সেবা যাত্রীদের স্বস্তির কারণ হয়েছিল। তবে মাস গড়াতে থাকলে সেবার মানে দেখা দেয় ঘাটতি। কমে গেছে বাস, বাহনে উঠতেই এখন কষ্ট হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রা শুরুর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছিলেন, ৬০ কর্মদিবসে আরও ৫০টি বাস দেয়া হবে।
কিন্তু ঘটনা ঘটেছে ঘোষণার উল্টো। বাসের সংখ্যা বাড়ার বদলে গেছে কমে। আর এ কারণে দীর্ঘ সময় কাউন্টারে অপেক্ষা করে যাত্রীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।
বিআরটিসির বাস এখন দিনে ৩০টার জায়গায় চলে গড়ে ১৪ থেকে ১৮টা। আর ট্রান্সসিলভাও ২০টি বাস না চালিয়ে ১৩ থেকে ১৮টা চালায়।
৫০ দিনে কত বাস চলেছে
ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন যথাক্রমে বাস চলেছে ৩৮, ৩৭, ৪৩, ৩৬, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৩, ৪৩, ৪৬, ৪২, ২৯, ৪৪, ৩৯, ৩৯, ৩৬, ৩৬, ২৪, ২৪, ২৪, ২৪, ৩৩, ২৭, ২৭, ২৪, ২৭, ৩৫, ৩৫। ফেব্রুয়ারি মাসে মোট বাস চলেছে এক হাজার ২৫টি। গড়ে দিনে বাস চলেছে ৩৬.৬০টি।
চলতি মাসে ১ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন বাস চলার সংখ্যা পর্যায়ক্রমে ৩৫, ৩৬, ৩৫, ২৭, ৩৪, ৩৫, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৩৬, ২৯, ৩৩, ৩৫, ৩৩, ৩৩, ৩১, ৩১, ২৭, ১৬, ৩২। মার্চের ১ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত মোট বাস চলেছে ৬৪৬টি। গড়ে দিনে বাস চলেছে ৩২.৩টি।
চলতি মাসের ২২ তারিখে বাস রুট রেশনালাইজেশনের ২২তম সভার দিন ৪৭টি ও আগের দিন বাস চলেছে ৪৫টি।
বাস থেকেও চলে না
ঢাকা নগর পরিবহন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘাটারচর থেকে গাড়ি ছাড়ে।
গত ১২ মার্চ মোহাম্মদপুর ডিপোর বিআরটিসির বাস চলেছে ৯টা। নারায়ণগঞ্জ ডিপোর বিআরটিসির বাস চলেছে ৯টা।
এর মধ্যে মোহাম্মদপুর ডিপোর ৯টি বাসের মধ্যে তিনটি বাস দুটি করে মোট ছয় ট্রিপ দেয়। বাকি ছয়টি বাস ট্রিপ দেয় একটি করে।
নারায়ণগঞ্জ ডিপোর ৯টা বাসের মধ্যে তিনটা বাস দুই ট্রিপ করে আর ছয়টি বাস একটি করে ট্রিপ দেয়।
একই দিনে ট্রান্সসিলভা পরিবহনের ১৫ বাস চলে। এই বাসগুলোর মধ্যে ৯টা বাস দুটি করে ১৮টি আর ছয়টি বাস একটি করে মোট ২৪টা ট্রিপ দেয়।
অর্থাৎ সেদিন ট্রান্সসিলভা ও বিআরটিসি মিলিয়ে ট্রিপ দেয় ৪৮টি।
১৪ ঘণ্টায় ৪৮ বাস ট্রিপ দিলে হিসাবে ১৮ মিনিট পরপর গাড়ি ছাড়ার কথা। তবে মেয়রের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৫০ বাস যদি দুই ট্রিপ করে দেয়, তাহলে আট মিনিট পরপর বাস পাওয়ার কথা।
সেদিন দুপুরে ঘাটারচর গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১টা ৫ মিনিটে বাস ছেড়ে যাওয়ার পর কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এক ঘণ্টা ৪ মিনিট পরে বেলা ২টা ৯ মিনিটে ছাড়ে পরের বাস।
এত দেরিতে ছাড়ার কারণ হিসেবে কাউন্টার থেকে বলা হয়, ‘বাস নাই’।
তবে এই সময়ে বিআরটিসির দুটি দ্বিতল বাস কাউন্টারে আসে। দুটিকেই রাস্তায় না নামিয়ে পাশের ডিপোতে চলে যেতে বলা হয়।
নগর পরিবহনের একজন কর্মী বলেন, ‘গাড়ি ছিল, কিন্তু ছাড়ে নাই। যাত্রীদের আস্থা হারাচ্ছে। গাড়ি রানিং থাকলে যাত্রীরা নগর পরিবহনে চলে শান্তি পেতেন।’
‘লিখিত অভিযোগ দেন, ব্যবস্থা নেব’
এই বাস পরিচালনার দায়িত্ব পালন করা ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক ও বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটির সদস্য সচিব নীলিমা আখতার বাস কম চলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ আমাদের কাছেও রিপোর্ট আছে। তাদেরকে চার্জও করা হয়েছে। তারা যে কেন এটা করছে তারাই (ট্রান্সসিলভা, বিআরটিসি) ভালো বলতে পারবে।
‘বিআরটিসি ও ট্রান্সসিলভা আইডেন্টিফাই করে মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম প্রথমে বাস কমের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাস আমরা কখনই কমাইনি। যাত্রীর চাহিদার ভিত্তিতে সর্বোচ্চসংখ্যক বাস দেয়ার নির্দেশ আছে আমার।’
বিআরটিসির বাস চলার কথা ৩০টি, কিন্তু চলে ১৪ থেকে ১৮টি- এই তথ্য তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আগে আমার নলেজে আসে নাই। আমি ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন এনেছি। আমার অপারেশন বিভাগই পরিবর্তন করেছি। সেখানে (ঢাকা নগর পরিবহন) আমাদের লোকেরা ঠিকমতো ডিল করতে পারে নাই। নগর পরিবহন আমার কাছে এক নম্বর প্রাধান্য। আমি চেষ্টা করি যাতে এই সেবা টিকে থাকে।’
ট্রান্সসিলভাকে নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে চান না বিআরটিসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘তাদের এখানে অনেক ঝামেলা আছে। তারা সব সময় চেষ্টা করে কীভাবে এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া যায়। তারা শুক্রবারে ট্রিপ বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলছে। আমি বলেছি ওকে। কিন্তু তারা ট্রিপ বাড়ায় নাই। তাদেরকে বলেছি আপনাদের যেভাবে সুবিধা হয়, ট্রিপ বাড়িয়ে দেন।’
মেয়র বলছেন, যাত্রীরা সন্তুষ্ট
মঙ্গলবার বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের ২২তম সভায় কিছু বিষয় দুই সিটির মেয়রের সামনে তুলে ধরলে দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করি। এটা আমাদের পরীক্ষামূলক রুট। প্রথম যখন আমরা শুরু করলাম, অনেকে অনেক কথা বলেছেন। এই বাস চলবে নাকি? যাত্রীরা উঠছে না, অন্য বাসে চলছে ইত্যাদি। এখন দেখেন যাত্রীরা অন্য বাস থাকার পরেও উঠতে চায় না। যাত্রীরা আমাদের বাসেই উঠতে চায়। তার মানে আমার যাত্রীসেবা সন্তোষজনক।’
লভ্যাংশে খুশি না ট্রান্সসিলভা
২০ বাস চলার কথা থাকলেও কেন ১৩ থেকে ১৮ বাস চালাচ্ছে ট্রান্সসিলভা?
পরিবহন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, তাদেরকে যে হারে লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে, সেটিতে পোষায় না।
তিনি বলেন, ‘বিআরটিসির কাছে আগে জিজ্ঞাসা করেন তারা কেন এত দিন বাস কম চালিয়েছে? তারপর আমার কাছে জিজ্ঞাসা করেন। তারা সরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর মডেল বাস্তবায়নে তাদের তো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।’
এগুলো নিয়ে নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করলেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।
সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
বেশ কয়েক দিন পর বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থানে রদবদল হয়েছে। আজ রবিবার সকালে চিরচেনা লাহোর, দিল্লির কোনো শহরই শীর্ষ দশের ধারেকাছে নেই। তবে এই তালিকায় আজ চলে এসেছে ব্রাজিলের সাও পাউলোর নাম।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ১২৩ একিউআই স্কোর নিয়ে অষ্টম শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহর হয়ে ওঠে সাও পাউলো। আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী যার মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
তবে এই সময়ে ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাতাম শহরের বাসিন্দারা। ১৬৩ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে তার পরেই ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কঙ্গোর কিনশাসার অবস্থান।
আর দিল্লির বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ৯৫। লাহোরের বাতাসে দূষণের মান তখন আরও কম, ৮৪। অর্থাৎ প্রতিবেশী দুই দেশের শহরদুটির বাতাসের মান ছিল ‘মাঝারি’।
ঠিক সেই সময়ে তালিকার উপরের দিকে খুঁজেও ঢাকার নাম পাওয়া যায়নি। যাবে কীভাবে? ঢাকার অবস্থান তখন তলানির দিকে, বিশ্বের স্বাস্থ্যকর বায়ুর শহরগুলো মধ্যে। ৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে সেই সময় স্বাস্থ্যকর বাতাস গ্রহণ করছে ঢাকাবাসী। তালিকার ৬৮তম স্থানে ছিল ঢাকার নাম।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।
শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
মন্তব্য