ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে সাবিত্রী বাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা।
স্বাধীনতা দিবসে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বিকেল পাঁচটায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের পরিচালক বিজয় খারে, আইসিসিআর, পুনের পরিচালক নিশি বালা ও সাবেক পরিচালক অনুজা চক্রবর্তী।
পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বৃত্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম বারের মত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছর বৃত্তি দিয়ে থাকে। পুনেতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যারা আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে এসেছে তাদের একটি সংগঠন রয়েছে, যেটি বাংলাদেশ স্টুডেন্ট কাউন্সিল পুনে নামে পরিচিত। এই সংগঠন থেকেই ২৬ মার্চ পালনের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ২৬ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা তুলে ধরে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের পরিচালক বিজয় খারে। তিনি বলেন, ‘তিনি যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন, সেইভাবেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধু ও ভাইয়ের মতো। বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপি ভারত থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। তোমাদের সরকার তোমাদের শিক্ষার হার বাড়ানোর জন্য অনেক ব্যয় করে। তোমরা দেশের সম্পদ। তোমরা দেশে গিয়ে দেশ উন্নত করবা।’
দুই দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন সুসম্পর্ক থাকে সে বিষয়েও গুরুত্ব দেন বিজয় খারে। বলেন, ‘আমরা এখানে যেমন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সব সমস্যা ও ভালো জিনিসগুলো দেখাশোনা করি, তেমনি বাংলাদেশেও যেন একই রকমভাবে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো দেখা হয় সেই আশা করি।’
বিজয় খারে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধু ও ভাইয়ের মত। বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপি ভারত থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের কথা ভাবলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা প্রথমে মাথায় আসে।’
তিনি বলেন, ‘তোমরা দেশের সম্পদ, তোমরা দেশে গিয়ে দেশ উন্নত করবা। তোমাদের সরকার তোমাদের শিক্ষার হার বাড়ানোর জন্য অনেক ব্যয় করে।’
আইসিসিআর পুনে এর বর্তমান পরিচালক নিশি বালা এমন আয়োজনের জন্য বাংলাদশি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।
সাবেক পরিচালক অনুজা চক্রবর্তী নিজে বাঙালি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে তার আশা বেশি। ছাত্ররা যেন দেশে গিয়ে দেশকে সেবা করে ও দেশের মর্যাদা রক্ষা করে- এই আশা করেন তিনি।
আলোচনা শেষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দেশের সংস্কৃতি ও যুদ্ধের ইতিহাস বিভিন্ন গান ও নাচের মাধ্যমে তুলে ধরে।
পুনেতে আইসিসিআর এর স্কলারশিপে প্রায় ৫৫ শিক্ষার্থী পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে অধ্যায়ণরত।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
শিক্ষার্থীরা সবাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হৈমন্তী দত্ত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি আগেও দেশের বাইরে পারফর্ম করেছি। তবে এবার আমার কাছে এটি ভিন্ন ছিল। স্বাধীনতা দিবসে নিজের দেশকে অন্য ভূমিতে তুলে ধরার মধ্যে দিয়ে অনেক বেশি গর্ব কাজ করছে।’
সংগঠনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী অনুপম দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি খুব বেশি আনন্দিত এমন একটি আয়োজনে অংশ নিয়ে। গত কয়েকদিন অনেক বেশি পরিশ্রম করেছি আমরা।’
দেশের বাইরে থাকলেও দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে জানিয়ে অনুপম বলেন, ‘এখানে যারা আছেন সবাই দেশকে ভালোবাসে। খুব অল্পদিনের সিদ্ধান্তে আমরা এমন একটি আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। আশা করব, ভবিষ্যতে এমন ধারা অব্যাহত থাকবে।’
প্রতিনিধিত্বকারী আপন গুহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখানে যারা বাংলাদেশি আছি তারা সবাই দেশের সবকিছুকে অনেক বেশি মিস করি। বিশেষ করে জাতীয় দিবসগুলোতে দেশের হয়ে অন্য জায়গায় এভাবে তুলে ধরার মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ কাজ করছে।’
*প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আইচুক ত্রিপুরা ও জুয়েল পাংখোয়া
আরও পড়ুন:৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সকাল ৬টা ১১ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ওই সময় তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। ওই সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
পরে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এ ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএম শাহাবুদ্দিন।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা থেকে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫’ তুলে দিয়েছেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক এ পুরস্কার প্রদান করেন তিনি।
এবার স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। তিনি পুরস্কার বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ তুলে দেবেন।
ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরুস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
আরও পড়ুন:ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান রবিবার যে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন, তাতে বলা হয়, ‘সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল। ছুটিকালীন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
‘তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।’
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতা-বহির্ভূত থাকবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
‘জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে সবার আগে পরিবার থেকে নারীকে সাহস দিতে হবে। যেকোনো সংকটে নারীর পাশে ঢাল হয়ে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবার পাশে না থাকলে রাষ্ট্রের পক্ষে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবার নারীকে সাহস দিলে রাষ্ট্রও নারীর পাশে থেকে সাহস জোগাতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীর প্রতিবন্ধকতা কখনও শেষ হয় না। সমাজে একটা গোষ্ঠী আছে, যারা নারীকে ক্ষমতায়িত করতে চায় না। দুর্বল নারীকে যত পছন্দ করে, সবলচিত্তের নারীকে তারা পছন্দ করে না। এটাই বাস্তবতা।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে (৮ মার্চ) সামনে রেখে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন নারীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা হলে সে দেশের কাজে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও পরিবারের পাশাপাশি সমাজেরও দায় রয়েছে। নারীর চলার পথ পুরুষের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন ও নির্ভরতার হতে হবে।’
তিনি বলেন, “নারী এখন যে অবস্থানে রয়েছে, সে অবস্থানে থেকে নারী বলে বিতর্কিত নয়, কাজে সে বিতর্কিত হোক, অদক্ষ বলে বিতর্কিত হোক, শুধু নারী বলেই ভূল, নারী বলেই অদক্ষ, এ কথাটা বলা যাবে না। আমি বলব ‘স্কাই ইজ দ্য লিমিট।
“তাই তার চিন্তার গন্ডিটাকে তার পারিপার্শ্বিকতার নেতিবাচক মনোভাবে আটকে না রেখে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তাদের পাশে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অভিভাবককে বুঝতে হবে, ছেলে ও মেয়ে দুজনই পরিবারের সম্পদ। পরিবারের উচিত নারীকে ক্ষমতায়িত করা।”
আরও পড়ুন:চলতি বছর ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এ বছর কারা ও কতজন এ পুরস্কার পাচ্ছেন, তা জানাননি উপদেষ্টা।
সচিবালয়ে রবিবার স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি উল্লিখিত বক্তব্য দেন।
উপদেষ্টা বলেন, কমিটি কিছু নাম সুপারিশ করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নামের তালিকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো হবে।
দেশের জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ব্যতিক্রমী কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ওই সময়ে উপস্থিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, এর আগে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে দলগত ও গোষ্ঠীগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। র্যাবের মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকেও দেশের সর্বোচ্চ এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
এ বছর ১০ জনের কম ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য