গরিব মানুষকে বিনা পয়সায় দাঁতের চিকিৎসা দেয়া আহমেদ মাহী বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করার পর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলের পাশের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান কয়েকজন। সেখানে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, এই চিকিৎসককে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয় মিরপুরের বেগম রোকেয়া সরণির আল হেলাল স্পেশালাইজড নামে সেই হাসপাতাল। যদিও হাসপাতাল বলছে, সেখানে নেয়ার আগেই মৃত্যু হয় বুলবুলের। আর পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে পাঠানো হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। অবশ্য স্বজনদের বর্ণনা ও পুলিশের বক্তব্য অনেকটা একই রকম।
বুলবুল ছিলেন দন্ত চিকিৎসক। পাশাপাশি করতেন ঠিকাদারির কাজ। পথশিশুদের সেবায়ও তিনি ছিলেন অন্তপ্রাণ। গড়ে তুলেছিলেন একটি সংগঠন। এসব কাজে প্রায়ই এখানে-সেখানে দৌড়াদৌড়ি করতে হতো তাকে।
রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় দুই সন্তানের জনক বুলবুল তার বাসা শ্যাওড়াপাড়া থেকে বের হন নোয়াখালী যাবেন বলে। অন্য একজন প্রকৌশলীও সঙ্গে যাবেন এমন কথা ছিল। কিন্তু আর কোথাও যাওয়া হয়নি বুলবুলের। জীবনের চাকা থেমে গেল ছুরির আঘাতে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, কাজীপাড়াতেই তিনজন সন্দেহভাজন ছিনতাইকারী ঘিরে ধরে বুলবুলকে। করে ছুরিকাঘাত।
সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, বুলবুলের ডান পায়ের ঊরুতে আনুমানিক এক ইঞ্চি জখম। তাছাড়া শরীরের অন্যান্য অংশে কোনো আঘাত নেই।
ঊরুর এই একটি আঘাতেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসক পরিবারটিকে জানিয়েছেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কথা।
চাচাতো ভাইয়ের বর্ণনা
বুলবুলের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, মিরপুরের কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের ২৭৮ নম্বর পিলারের পশ্চিম পাশে মূল রাস্তায় বুলবুলকে ঘিরে ধরে কয়েকজন ছিনতাইকারী। সেখানে টাকা নিয়ে টানাটানির একপর্যায়ে ঊরুতে ছুরিকাঘাত করে তারা।
পুলিশ জানায়, আসামিরা বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করে পূর্ব কাজীপাড়ার দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বুলবুল অটোরিকশায় করে বাসা থেকে কাজীপাড়ার দিকে যায়। তাকে তিনজন ফলো করে। ঘটনাস্থলে গেলে তার কাছ থেকে টাকা নেয়ার জন্য আটকায়। টাকা নিয়ে টানাটানির একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে।’
সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে একটি বাস ও অটোরিকশা। বাসের চালক ও সহকারী এবং অটোর চালক ছুটে আসতেই টাকা-পয়সা না নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীর দল।
জাহাঙ্গীর জানান, তিনজনে মিলে ধরাধরি করে বুলবুলকে পাশের আল হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই অবস্থাতেও হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয় বুলবুলকে।
নিহত চিকিৎসকের ভাই বলেন, ‘বুলবুল মরেছে আল হেলাল হাসপাতালের গাফিলতির কারণে। তাকে তারা ভর্তি করে নাই। আল হেলালে নিয়ে যাওয়ার সময় বুলবুলের জ্ঞান ছিল, শ্বাস নিচ্ছিল। হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে তাকে ভর্তি করলে ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে সে মরত না। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে নেয়ার পথেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর জন্য আল হেলাল হাসপাতালও দায়ী।’
বুলবুলের কাছে ১২ হাজারের মতো টাকা ও তার ফোন নিতে পারেনি দুর্বৃত্তরা। পুলিশ এই ফোন দিয়েই এই চিকিৎসকের পরিবারকে সংবাদ দেয়।
স্বীকার করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
মরণাপন্ন রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে হাসপাতালের ওয়েবসাইটে থাকা ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলিয়ে দেন হাসপাতাল পরিচালক আবু শামীমের সঙ্গে, যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক এবং অধ্যাপকও।
বুলবুলের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুরোটাই অস্বীকার করে উল্টো বর্ণনা দেন আল হেলাল পরিচালক। তিনি বলেন, ‘ওরা যখন নিয়ে আসে, আমি পুরা দেখলাম, আমার পুরা টিম ওখানে চলে গেছে। ডাক্তার ও নার্স তাকে এক্সামিন (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) করে দেখে, অনেক আগে মারা গেছে। মিনিমাম হাফ এন আওয়ার আগে।
‘পরে পুলিশ এসেছে, পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসতাপালে পাঠিয়ে দিই।’
অধ্যাপক শামীমের দাবি, পুরো ঘটনা সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা আছে, সেটি পরীক্ষা করলেই পরিবারের বক্তব্য সঠিক কি না তা জানা যাবে।
এই ফুটেজ পাওয়া যাবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি তো আগামীকাল থাকব না। আমার টেকনিশিয়ান আছে। তারা পারবে কি না…।’
স্বজনদের অভিযোগের সঙ্গে মেলে পুলিশের বর্ণনা
জাহাঙ্গীর জানান, যে তিনজন বুলবুলকে আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন।
আল হেলাল হাসপাতাল কাফরুল থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানে প্রথমে যায় কাফরুল থানা পুলিশ।
কাফরুল থানার উপপরিদর্শক শ্যামল কুমার হালদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ডা. বুলবুলকে প্রথমে পেয়েছি আল হেলাল হাসপাতালের সামনে। সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন ছিলেন। তারা বুলবুলকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে আসেন। আল হেলালের কর্তৃপক্ষ নাকি তাদের বলেছে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে।
‘সেখান থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তাৎক্ষণিকভাবে কাফরুল থানা থেকে পুলিশ এলেও ঘটনাস্থল পড়েছে মিরপুর মডেল থানার অধীনে। পরে বিষয়টির ভার নেয় এই থানা।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, ‘ডা. বুলবুলকে প্রথম চিকিৎসা দেয় নাই। ৮টায় পুলিশ জানতে পারে। প্রথমে কাফরুল থানার পুলিশ হাসপাতালে নিয়েছে। পরে আমরা গেছি।’
জড়িত তিনজন
বুলবুলকে ছুরিকাঘাতে তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ছিনতাইকারী মনে হচ্ছে।’
একই বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘একজন ডাক্তার এভাবে মারা গেছেন, এটা খুবই মর্মান্তিক। আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আশা করি শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’
১০ বছরের সংসারে দুই সন্তান
এক দশক আগে বুলবুল বিয়ে করেন শাম্মী আহমেদকে। তিনি ‘ভূমি’ নামে একটি এনজিও দেখাশোনা করেন।
এই দম্পতির দুটি সন্তান আছে। বড় মেয়ে আওনের বয়স বয়স ৬, ছেলে সামির জন্ম বছর দেড়েক আগে হয়েছে।
বুলবুলের শ্বশুর ইয়াকুব আলী জানান, সোমবার সকাল ১০টায় রংপুরে গ্রামের বাড়িতে বুলবলকে সমাহিত করা হবে।
আরও পড়ুন:বেশ কয়েক দিন পর বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থানে রদবদল হয়েছে। আজ রবিবার সকালে চিরচেনা লাহোর, দিল্লির কোনো শহরই শীর্ষ দশের ধারেকাছে নেই। তবে এই তালিকায় আজ চলে এসেছে ব্রাজিলের সাও পাউলোর নাম।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ১২৩ একিউআই স্কোর নিয়ে অষ্টম শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহর হয়ে ওঠে সাও পাউলো। আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী যার মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
তবে এই সময়ে ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাতাম শহরের বাসিন্দারা। ১৬৩ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে তার পরেই ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কঙ্গোর কিনশাসার অবস্থান।
আর দিল্লির বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ৯৫। লাহোরের বাতাসে দূষণের মান তখন আরও কম, ৮৪। অর্থাৎ প্রতিবেশী দুই দেশের শহরদুটির বাতাসের মান ছিল ‘মাঝারি’।
ঠিক সেই সময়ে তালিকার উপরের দিকে খুঁজেও ঢাকার নাম পাওয়া যায়নি। যাবে কীভাবে? ঢাকার অবস্থান তখন তলানির দিকে, বিশ্বের স্বাস্থ্যকর বায়ুর শহরগুলো মধ্যে। ৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে সেই সময় স্বাস্থ্যকর বাতাস গ্রহণ করছে ঢাকাবাসী। তালিকার ৬৮তম স্থানে ছিল ঢাকার নাম।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।
শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য