× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Naogaons slaughterhouse in neglect
google_news print-icon

অবহেলা-অযত্নে নওগাঁর ৬৭ বধ্যভূমি

অবহেলা-অযত্নে-নওগাঁর-৬৭-বধ্যভূমি
নওগাঁয় প্রায় ৬৭টি বধ্যভূমি চিহ্নিত করেছে একুশে পরিষদ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁর সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনাটি ঘটে মান্দা উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২৮ আগস্ট সকালে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসর রাজাকার আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে পাকুরিয়া গ্রাম ঘেরাও করে। তারা ওই গ্রামের বাসিন্দাদের পাকুরিয়া স্কুল মাঠে এনে জড়ো করে বেপরোয়া গুলি চালায়। এতে ১২৮ জন শহীদ হন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশের মতো নওগাঁতেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বর্বরতম হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, নারী নির্যাতন ও গণহত্যার মতো বিভীষিকার সাক্ষী রেখে গেছে।

ওই সময়ে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরতার চিহ্ন নওগাঁর বিভিন্ন বধ্যভূমিতে রয়েছে। এসব স্থানে গণহত্যা চালিয়ে লাশগুলো গাদাগাদি করে পুঁতে রাখা হত।

দীর্ঘদিন এসব বধ্যভূমি আবিষ্কার করে যথাযথ সংরক্ষণ করে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি এসব বধ্যভূমির তালিকা তৈরি এবং কিছু কিছু বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলেও অধিকাংশই আজও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

স্মৃতিফলক ও সীমানাপ্রাচীর না থাকায় সারা বছরই এসব বধ্যভূমি ও গণকবর ঝোপঝাড়ে ভরে থাকে। অনেক সময় বধ্যভূমিতে গরু-ছাগল চরান স্থানীয়রা।

কিছু বধ্যভূমিতে ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও স্থানীয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদের পক্ষ থেকে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। আবার যেগুলোতে স্মৃতিফলক রয়েছে সেগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ নেই।

একুশে পরিষদ, নওগাঁ নামের একটি সামাজিক সংগঠন জেলার ১১টি উপজেলায় অনুসন্ধান চালিয়ে এ ধরনের ৬৭টি বধ্যভূমির তথ্য সংগ্রহ করেছে।

এগুলোর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৫টি, মহাদেবপুর উপজেলায় পাঁচটি, বদলগাছি উপজেলায় ছয়টি, মান্দা উপজেলায় চারটি, পত্মীতলা উপজেলায় সাতটি, আত্রাই উপজেলায় ১৩টি, রাণীনগর উপজেলায় তিনটি, ধামইরহাট উপজেলায় তিনটি, নিয়ামতপুর উপজেলায় দুটি, সাপাহার উপজেলায় আটটি এবং পোরশা উপজেলায় একটি বধ্যভূমি রয়েছে।

নওগাঁর সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনাটি ঘটে মান্দা উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২৮ আগস্ট সকালে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে পাকুরিয়া গ্রাম ঘেরাও করে। তারা ওই গ্রামের বাসিন্দাদের পাকুরিয়া স্কুল মাঠে এনে জড়ো করে বেপরোয়া গুলি চালায়। এতে ১২৮ জন শহীদ হন।

পাকুরিয়ার গণহত্যায় নিহত ৭৩ জনের নাম পাওয়া গেছে। পাকিস্তানি বাহিনী সেখান থেকে চলে গেলে গ্রামবাসী লাশগুলোকে একই কবরে পুঁতে রাখেন। এটি পাকুরিয়া বধ্যভূমি নামে পরিচিতি লাভ করে।

এই উপজেলায় অপর তিনটি বধ্যভূমির মধ্যে ১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর ভাঁরশো ইউনিয়নের কবুলপুর গ্রামে গুপ্তির পুকুর পাড়ে পাকিস্তানি বাহিনী চারজনকে গুলি করে হত্যা করে। তারা মরদেহগুলো একই কবরে পুঁতে রাখে। এটি কবুলপুর গণহত্যা নামে পরিচিত।

জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম গণহত্যা সংঘটিত হয় রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল সকাল ৮টায় এই গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে ৫২ জন মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল আতাইকুলা গ্রামের সবুজ চত্বর। পরে একটি গর্তে লাশগুলো পুঁতে রাখা হয়। এটি আতাইকুলা গণহত্যা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।

রাণীনগর উপজেলায় বড়বড়িয়া গ্রামে ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান টের পেয়ে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে পাঁচজন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সাতজনকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এটি বড়বড়িয়া গণহত্যা নামে পরিচিত।

এই উপজেলার অপর গণহত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল হরিপুর রাণীভবানী জঙ্গলে। পাকিস্তানি বাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় শিশুসহ ১০ জনেরও বেশি মানুষকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।

১৯৭১ সালের ২৫এপ্রিল নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামের একটি পুকুরে দোগাছি, কিদিরপুর, পিরোজপুর ও শিমুলিয়া ইত্যাদি গ্রাম থেকে ধরে এনে মোট ৫৫ ব্যক্তিকে গুলি করে এবং রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।

মহাদেবপুর উপজেলার দেবীপুর গ্রামে ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় নয় জনকে এবং একই দিনে উপজেলার মহিষবাতান গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে মোট ৩০ জনকে হত্যা করে। এদের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও ১২ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের একই স্থানে মাটিচাপা দেয়া হয়।

বদলগাছী উপজেলায় ৮ নভেম্বর পাক হানাদারদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে কমপক্ষে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

৭ অক্টোবর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর এলাকায় দুইজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিসহ মোট সাতজনকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

বদলগাছি উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় নয়জন মুক্তিযোদ্ধা গন্তব্যে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি বাহিনী তাদের আটক করে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে। এসময় এদের মধ্যে ছয়জন শহীদ হন। নিহতদের সেখানে গণকবর দেয়া হয়।

অবহেলা-অযত্নে নওগাঁর ৬৭ বধ্যভূমি
নওগাঁর একটি বধ্যভূমিতে শহীদদের নামফলক। ছবি: নিউজবাংলা

পত্মীতলা উপজেলার নির্মইল ইউনিয়নের হালিমনগরে ৩০ নভেম্বর সকাল ১০টায় রাজাকারদের সহায়তায় ১৮ জন মানুষকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে তাদের সেখানে মাটিচাপা দেয়া হয়।

এছাড়া এই উপজেলার মধইল গ্রামে দুই জনকে, আমন্তপুর গ্রামে পাঁচজনকে, গগণপুরে চারজনকে এবং দুর্গাপুর জঙ্গলপাড়ায় কমপক্ষে সাতজনকে হত্যা করা হয়।

আত্রাই উপজেলায় তারাটিয়া গ্রামে গণহত্যায় ১০ জনকে, মহাদিঘী গণহত্যায় সাতজনকে, জালুপোঁওয়াতা কচুয়ার গণহত্যায় ১২ জনকে, পাইকড়া গণহত্যায় সাতজনকে গুলি করে ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সিংসাড়া গ্রামে ২৫ মে রাতে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৮ জনকে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়। মিরাপুর গ্রামে ১১ জুলাই সকাল ১০টায় পাকিস্তানি সেনারা আক্রমণ করে ২৫ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। তাদের সেখানে একটি গণকবরে মাটিচাপা দেয়া হয়।

অবহেলা-অযত্নে নওগাঁর ৬৭ বধ্যভূমি
অবহেলায় পড়ে আছে নওগাঁর একটি বধ্যভূমি। ছবি: নিউজবাংলা

ধামইরহাট উপজেলার দুটি বধ্যভূমি রয়েছে। এসবের মধ্যে ১৯৭১ সালের ১৪ আগস্ট কুলফতপুর গ্রামে মাঠে কৃষি কাজ করার সময় ১৮ জনকে এবং পরে কুলফতপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ১৪ জনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়।

অপরদিকে উপজেলার পাগলা দেওয়ান গ্রামে প্রাপ্ত একটি গণকবরে অসংখ্য মানুষের মাথার খুলিসহ হাড় পাওয়া গেছে।

নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা গ্রামে ১৯৭১ সালের ১ মে ১০-১১টায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ২৯ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টায় একই উপজেলার কাড়ালিপাড়া সোনারপাড়া গ্রামে ছয় ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়।

সাপাহার উপজেলায় সাপাহারমুক্ত করার সম্মুখযুদ্ধে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অপরদিকে জেলার পোরশা উপজেলার শিষা গণপতিপুর গ্রামে ২৪ এপ্রিল ৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

একুশে পরিষদ নওগাঁর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এম রাসেল বলেন, ‘আমরা ৬৭টির মতো স্থান চিহ্নিত করেছি। সেই জায়গাগুলো ক্রমশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। সেখানে বাড়ি-ঘর, দালানকোঠা নির্মিত হচ্ছে।’

যেখানে স্মৃতিফলক নাই, সেখানে স্মৃতিফলক নির্মাণ ও শহীদদের স্বীকৃতি প্রদান এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যার দিবসগুলো পালনের দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘অনেক বধ্যভূমির ওপরে মানুষ অবাধে চলাচল করে। সেখানে স্থানীয়রা গরু-ছাগল বিচরণ করায়। এ কারণে বধ্যভূমির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং শহীদদের প্রতি মারাত্মক অসম্মান করা হচ্ছে। বধ্যভূমিগুলোকে সরকারিভাবে দেখভালের দায়িত্ব নেয়া উচিত।’

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নওগাঁ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার হারুন-আল-রশিদ বলেন, ‘এই স্তম্ভগুলো যদি তৈরি করা যায়, তাহলে তাদের অস্তিত্বে প্রমাণ হবে যে বাংলাদেশে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ হয়েছিল। তারা না থাকলেও প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানতে পারবে যুদ্ধে এই মানুষগুলো এখানে আত্মাহুতি দিয়েছে। জেলার যেখানে বধ্যভূমি আছে সেগুলোতে আমরা প্রাচীর ও স্মৃতিফলক করার জন্য চেষ্টায় আছি।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার স্মারক হিসেবে গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের দাবি জেলার ইতিহাস সচেতন মানুষের। তবে সরকার যদি দ্রুত সহায়তা করত, তাহলে কাজগুলো আরও দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিপাটি করে সম্পন্ন করা যেত।’

আরও পড়ুন:
ইছামতীর ভাঙনে বধ্যভূমি
ঢাবিতে ‘১৯৭১: অজানা গণহত্যা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্রের
শত শত ইহুদির খুনিকে পাওয়া গেল যেভাবে
সন্ধান মেলেনি অনেক গণকবরের, চিহ্নিতগুলোও অরক্ষিত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
6 arrested along with two BNP leaders while robbing smuggled sugar in Sylhet

সিলেটে চোরাচালানের চিনি ছিনতাইকালে বিএনপির দুই নেতাসহ আটক ৬

সিলেটে চোরাচালানের চিনি ছিনতাইকালে বিএনপির দুই নেতাসহ আটক ৬ ছিনতাইকালে আটক দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সিলেট সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে আনা ভারতীয় চিনির ট্রাকটি সিলেট থেকে পিছু ধাওয়া করেন বিএনপির দুই নেতাসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। শেরপুর এলাকায় পৌছার পর তারা ট্রাকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

সিলেটের ওসমানীনগরে চোরাই পথে আসা ট্রাকভর্তি ভারতীয় চিনি ছিনতাই করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির দুই নেতা। একইসঙ্গে চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত আরও চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার মধ্যরাতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সাদিপুর সেতু এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। তারা হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোলেমান হোসেন সুমন ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান।

এছাড়া চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেট সদর উপজেলার বটেশ্বরের মলাইটিলার মনির আহমদ, জৈন্তাপুরের বাঘেরখালের তোফায়েল আহমদ ও শাহীন আহমদ এবং গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর তৃতীয়খণ্ডের নজরুল ইসলাম।

এদিকে আটক হওয়া দুই বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সোমবার মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দলীয় শৃঙখলা বিরোধী কাজের অভিযোগে তাদের বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সিলেট সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে আনা ভারতীয় চিনির ট্রাকটি সিলেট থেকে পিছু ধাওয়া করেন আটক বিএনপির দুই নেতাসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। শেরপুর এলাকায় পৌছার পর তারা ট্রাকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা বুঝতে পেরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তখন আটক দু’জন নিজেদের বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দেন।

ওসমানীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত জাহান চৌধুরী জানান, সাদিপুর সেতুর সামনে থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ভারতীয় চিনিভর্তি একটি ট্রাক, দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটর সাইকেল। এদের মধ্যে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত চারজন এবং চিনির চালান ছিনতাইয়ের চেষ্টার দায়ে দুজনকে আটক করা হয়।

আটকদের দেয়া তথ্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জৈন্তাপুর থেকে ট্রাকে করে ২৫০ বস্তা চিনি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাদের পেছনে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে (বক্সি) ট্রাকটি অনুসরণ করছিলেন চারজন চোরাকারবারি।

‘পথিমধ্যে চিনির চালান লুটের চেষ্টা করে একদল ছিনতাইকারী। তারা একটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে চিনিভর্তি ট্রাকটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাদিপুর সেতুর সামনে থেকে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় পুলিশ চিনিভর্তি ট্রাক, দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেল আটক করে। এ সময় ছয়জনকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হলেও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়।’

আরাফাত জাহান চৌধুরী জানান, আটক ছয়জনের মধ্যে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং অপর চারজনের বিরুদ্ধে চোরাচালান দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:
তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপ এলাকায় ছিনতাই: তিনজন আটক
টেকনাফে সাগরপথে অনুপ্রবেশকালে ৩৭ রোহিঙ্গা আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Import export started after five consecutive days with Benapole

বেনাপোল দিয়ে টানা পাঁচদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু

বেনাপোল দিয়ে টানা পাঁচদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে পণ্যবাহী ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে আবারও এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর এলাকায়।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখেন বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা।

সোমবার সকালে বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান আমদানি-রপ্তানি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে আবারও এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

‘ভারতের বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার কারণে পণ্য বোঝাই হাজার হাজার ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে। এতে করে বেনাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।’

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাঁচ দিন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বেনাপোল দিয়ে আট দিনে ভারতে গেল ৪৩৪ টন ইলিশ
বেনাপোল দিয়ে এলো দু’লাখ ৩১ হাজার পিস ডিম
দুর্গাপূজায় বেনাপোলে ৯-১২ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারত থেকে এলো আমদানির ১৪ হাজার কেজি ডিম
বেনাপোল দিয়ে কমেছে আমদানি বেড়েছে রপ্তানি বাণিজ্য

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The slogan of the release of the former MP in the court is the peoples chase

আদালতে সাবেক এমপির মুক্তির স্লোগান, জনতার ধাওয়া

আদালতে সাবেক এমপির মুক্তির স্লোগান, জনতার ধাওয়া আদালতে শুনানি শেষে সাবেক এমপিকে কারাগারে নেয়ার সময় ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে তার শাস্তির দাবি করে একাধিক ডিম নিক্ষেপ করে উত্তেজিত জনতা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রত্যক্ষদর্শী কবির বকুল বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও আদালত চত্বরে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনকে যখন প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে তোলার জন্য আনা হয়, তখন প্রস্তুতি নিয়ে থাকা একদল মানুষ তার মুক্তির দাবি তুলে স্লোগান দেয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলারও চেষ্টা করে তারা। পরে উপস্থিত লোকজন তাদের ধাওয়া দিয়ে আদালত থেকে বের করে দেয় এবং সাবেক এমপিকে যখন আদালত থেকে বের করে কারাগারে নেয়া হয়, তখন উত্তেজিত জনগণ তাকে বেশ কয়েকটা ডিম নিক্ষেপ করেন।’

হত্যা মামলায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মাজহারুল ইসলাম সুজনের মুক্তির দাবি তুলে সোমবার স্লোগান দেয়া একদল মানুষকে ধাওয়া দিয়েছেন উপস্থিত লোকজন।

ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

আদালতে শুনানি শেষে সাবেক এমপিকে কারাগারে নেয়ার সময় ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে তার শাস্তির দাবি করে একাধিক ডিম নিক্ষেপ করে উত্তেজিত জনতা।

অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রমেশ কুমার ডাগারের আদালতে আজ ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপিকে জামিন ও রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য তোলা হয়। বিচারক জামিন ও রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কবির বকুল বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও আদালত চত্বরে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনকে যখন প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে তোলার জন্য আনা হয়, তখন প্রস্তুতি নিয়ে থাকা একদল মানুষ তার মুক্তির দাবি তুলে স্লোগান দেয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলারও চেষ্টা করে তারা।

‘পরে উপস্থিত লোকজন তাদের ধাওয়া দিয়ে আদালত থেকে বের করে দেয় এবং সাবেক এমপিকে যখন আদালত থেকে বের করে কারাগারে নেয়া হয়, তখন উত্তেজিত জনগণ তাকে বেশ কয়েকটা ডিম নিক্ষেপ করেন।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহরাব হোসেন প্রধান বলেন, ‘সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের আজকে একটি মামলায় জামিন ও রিমান্ড শুনানির তারিখ ছিল। তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত রিমান্ড ও জামিন দুটোই নামঞ্জুর করেন।’

সাবেক এ এমপির বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও জমি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রস্তুত ইজতেমার মাঠ, বৃহস্পতিবার শুরু আনুষ্ঠানিকতা
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল নাসের চৌধুরী গ্রেপ্তার
জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নজরদারিতে রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফ জওয়ান আটক
সাবেক এমপির ছেলের শ্বশুরালয় থেকে কোটি টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Child missing after speedboat capsizes en route to Saint Martin

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে শিশু নিখোঁজ

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে শিশু নিখোঁজ সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী একটি স্পিডবোট। ছবি: সংগৃহীত
স্পিডবোট ডোবার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী জানান, বেলা ১১টার দিকে সেন্টমার্টিন নৌপথের গোলার চরে ৯ যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্পিডবোট ডুবে যায়। এ ঘটনায় আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারের কাজ চলমান।

কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের গোলারচর এলাকায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্পিডবোটটি ডুবে যায়।

নিখোঁজ শিশুটির নাম স্মৃতি নুর আলাইশা (৮)। সে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেনের সন্তান।

স্পিডবোট ডোবার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী জানান, বেলা ১১টার দিকে সেন্টমার্টিন নৌপথের গোলার চরে ৯ যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্পিডবোট ডুবে যায়। এ ঘটনায় আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারের কাজ চলমান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্পিডবোট ডোবার ঘটনায় ৯ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তাদের ভাষ্য, স্পিডবোটগুলো ইচ্ছামতো যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন আসা-যাওয়া করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের যথাযথ তদারকি নেই।

আরও পড়ুন:
সেন্টমার্টিনে অনুপ্রবেশ ৩১ রোহিঙ্গা দুই বিজিপির
সেন্টমার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: আইএসপিআর
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের ঈদের আনন্দ ম্লান
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তৎপর থাকার নির্দেশ বিজিবি প্রধানের
সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচলে সংকটের নেপথ্যে দুটি ডুবোচর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Womans video goes viral Gazipur district Chhatra Dal president acquitted

নারীর ভিডিও ভাইরাল: গাজীপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতিকে অব্যাহতি

নারীর ভিডিও ভাইরাল: গাজীপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতিকে অব্যাহতি গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন শিশির। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’ 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে এক নারীর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে রোববার তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত একটি পত্রে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ওই পত্রে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির রোববার এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।’

ইমরান হোসেন শিশিরের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া সদরের সাফাইশ্রী এলাকায়। তার এক প্রতিবেশী নারীর তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও রোববার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ওই নারী ইমরান হোসেন শিশিরের সঙ্গে প্রায় ছয় বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন।

দুজন ভারতে ৯ দিন এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে একসঙ্গে আবাসিক হোটেলে একই কক্ষে রাত্রিযাপন করেছেন বলেও দাবি করেন ওই নারী।

শিশিরের চাপে একাধিকবার গর্ভপাত করতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তার অভিযোগ, এতদিন পর্যন্ত তাকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে শিশির তার সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করে নানা রকমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এদিকে ওই নারী শ্রীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় সংবাদ সম্মলন করে তার বক্তব্য সংবলিত ভিডিও সুপার এডিট করে বানানো হয়েছে বলে দাবি করেন। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারও দাবি করেন তিনি।

যদিও স্থানীয় কেউ কেউ বলছেন, শিশিরের চাপে পড়ে ওই নারী সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার পেতে ছাত্রদলের ‘সেল’
ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়
শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল ছাত্রদলের, কক্ষে তালা
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে ছাত্রদল
শাহবাগে ছাত্র আন্দোলন ও শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
22500 kg of Indian apples seized at Sunamganj border

সুনামগঞ্জ সীমান্তে সাড়ে ২২ হাজার কেজি ভারতীয় আপেল জব্দ

সুনামগঞ্জ সীমান্তে সাড়ে ২২ হাজার কেজি ভারতীয় আপেল জব্দ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্তে রোববার অভিযান চালিয়ে ভারতীয় আপেল জব্দ করে বিজিবি। ছবি: বিজিবি 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিজিবির সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে ১ কোটি ৩৬ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২২ হাজার ৫৪০ কেজি ভারতীয় আপেলসহ দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।’

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্তে রোববার অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার ৫৪০ কেজি ভারতীয় আপেল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বাহিনীটির সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিজিবির সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে ১ কোটি ৩৬ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২২ হাজার ৫৪০ কেজি ভারতীয় আপেলসহ দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

‘অদ্য ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ ১৫৩০ ঘটিকায় বিজিবির সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (২৮ বিজিবি) অধীনস্থ চিনাকান্দি বিওপির (সীমান্ত চৌকি) কমান্ডার জেসিও সুবেদার ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দায়িত্বপূর্ণ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাধীন ধনপুর ইউনিয়নের ঝিগাতলা নামক স্থানে চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ২২ হাজার ৫৪০ কেজি ভারতীয় আপেলসহ দুটি বড় ট্রাক জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

‘জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক সিজার মূল্য ১ কোটি ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। জব্দকৃত আপেল ও ট্রাক সুনামগঞ্জ কাস্টমস অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি রতন টাটার প্রয়াণ
ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ৫ জেলেকে ফেরত আরাকান আর্মির
আখাউড়া সীমান্তে দুই ভারতীয় আটক
ভারতে সচিবালয়ের তিনতলা থেকে স্পিকার ও তিন এমপির লাফ
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ঢাকা-দিল্লি-কাঠমাণ্ডু চুক্তি সই

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sagar Rooneys murder involved influential people of the fallen government

সাগর-রুনি হত্যায় পতিত সরকারের প্রভাবশালী লোক জড়িত

সাগর-রুনি হত্যায় পতিত সরকারের প্রভাবশালী লোক জড়িত সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতি। ফাইল ছবি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘সাগর-রুনির মরদেহে দুই ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। শুধু সরকারের দায়িত্বে ছিলেন তা নয়, সরকারের পাশে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম এসেছে।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে পতিত সরকারের প্রভাবশালী লোক জড়িত ছিল মর্মে প্রাথমিক তদন্তে নাম এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

রোববার সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরনো বাস স্টেশনের একটি হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় বাদীপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সাগর-রুনি হত্যায় পতিত সরকারের প্রভাবশালী লোক জড়িত
রোববার সুনামগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ছবি: নিউজবাংলা

শিশির মনির বলেন, ‘ঘটনার ১২ বছর পর টাস্কফোর্স গঠন করে এটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট প্রদানের জন্য সরকারকে ছয় মাস সময় দেয়া হয়েছে। এতে গণমাধ্যম, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম এসেছে। বেশকিছু সংবেদনশীল মানুষ এর সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া গেছে।

‘তদন্তটি এখন প্রপার ডাইমেনশনে আছে। মামলাটি যে জায়গায় গেছে এখন সরকার আর কোনো বাধা দিচ্ছে না। আপাতত কোনো বাধা নেই, উদ্দেশ্যের কোনো সংকট নেই, সরকারের আগ্রহের কোনো ঘাটতি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাগর-রুনির মরদেহে দুই ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। এখন এদের খোঁজা হচ্ছে। আশা করছি এই দুই ব্যক্তির তথ্যও আপনারা জানতে পারবেন।

‘শুধু সরকারের দায়িত্বে ছিলেন তা নয়, সরকারের পাশে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম এসেছে। আপাতত তদন্ত চলা অবস্থায় সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম বলায় আইনগত বাধা আছে, তাই বলছি না। তবে ইন্ডিকেশন আছে, ইশারাই যথেষ্ট আমার মনে হয়।’

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আরও বলেন, ‘বেশ কয়েকটি রিপোর্ট আছে। সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামীকাল মিটিং আছে। সেই মিটিংয়ে হয়তো আরেকটু ক্লিয়ার হওয়া যাবে।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামস উদ্দিন, জেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ তোফায়েল আহমদ, সুনামগঞ্জের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। তাদের একমাত্র ছেলে পাঁচ বছর বয়সী মাহির সরওয়ার মেঘ সেই সময় বাসায় ছিল।

সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১১ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।

আরও পড়ুন:
তদন্তের দায়িত্ব থেকে র‍্যাব বাদ, টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন পেছানোর কারণ জানাল র‌্যাব
১০০ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা: ৯৭ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা: ৯৬ বার পেছাল প্রতিবেদন

মন্তব্য

p
উপরে