২৫ মার্চ পাকিস্তানের গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতির জন্য কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। বলেন, ‘আমাদের জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালন করা উচিত।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শুক্রবার সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘৭১-এর গণহত্যা ও পাকিস্তানের বর্বরতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল মন্ত্রীর বক্তব্য সাংবাদিকদের সামনে আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। বলেন, ‘এখানে বক্তব্য খুব পরিষ্কার। একটি আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস আছে ৯ ডিসেম্বর। ২০১৭ সাল থেকে গণহত্যা দিবসকে আমাদের জাতীয় সংসদে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আমাদের ওপর যে গণহত্যা হয়েছে, তার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই।’
স্বপ্নীল বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারকে দায়ী করেছে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য। আর্মেনিয়ার গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকলেও বাংলাদেশের গণহত্যার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। ভয়েস চেঞ্জ করতে হবে, আমাদের ওপর যে গণহত্যা হয়েছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য।’
মুক্তিযুদ্ধের স্টোরি টেলিংয়ের প্রস্তাব
আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য গণমাধ্যমের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আমি মন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুনকে বলছি, একটা প্রোগ্রাম নেন স্যার, আমাদের সবার সঙ্গে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্টোরি টেলিং শুরু করেন।
‘স্টোরি টেলিংয়ের কারণ প্রত্যেকটি ঘর মুক্তিযুদ্ধের ঘর। সে সময় প্রতিটি মা, কৃষক ও মানুষ যদি সহায়তা না করত তাহলে পাকিস্তানের বর্বরদের হাতে আমরা কম্বোডিয়ার মতো নিঃশেষ হয়ে যেতাম। এ জন্য আপনি প্রতিটি ঘরে যান সেখানে একটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প আছে। আমরা সেটা জানিই না। এ কারণে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চের মতো গণহত্যা পাকিস্তানিরাই করতে পারে। কারণ তারা একটি বর্বর জাতি। তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে মেরেছে। একটাই কারণ যে বাঙালিকে আমরা উঠতে দেব না।’
অ্যারোমা দত্তের বক্তব্যের সমর্থন করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প জানাতে হবে। এটা আমাদের যেমন পাঠ্যক্রমে থাকবে, তেমনি যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সফলতা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন তারা করবেন।
‘যারা এ বিষয়টা নিয়ে আগাবেন, আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা নিয়ে ভিডিও, সিনেমা অনেক কিছু নির্মাণ করা যেতে পারে। এগুলো আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি।’
গণহত্যার বিচার দাবি
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক ম্যাসাকার দেখেছি, যার আন্তর্জাতিক বিচার হয়েছে। যারা জীবিত আছে কিংবা মৃত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে তাদেরও বিচার করা হোক।’
পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে ক্ষমার আহ্বান
মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অনেক বিকৃত ইতিহাস রয়েছে। যেমন- গোলমালের বছর, গন্ডগোলের বছর এসব বলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ইতিহাসটা বাইপাস করে যেত। এই বিষয়গুলো আমাদের স্পেসিফিক্যালি বলতে হবে এবং এই গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির (অব.), কর্নেল তৌফিকুর রহমান (অব.), সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকে।
আরও পড়ুন:বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ তার জনগণের কথায় চলুক, সেটি চায় না ভারত।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-আগরতলা লংমার্চ শুরুর আগে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘ভারত নিজেরা গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু তারা চায় না বাংলাদেশ এর জনগণের কথায় চলুক। বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব, এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি। এই স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দেব? আমরা পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। দিল্লির কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করব?’
ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারত সীমান্ত অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ‘লংমার্চ’ উদ্বোধন করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ লংমার্চ করছে তিন সংগঠন।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল সাতটার পর থেকে বিএনপির তিন সংগঠনের নেতা-কর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।
সংগঠন তিনটির নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিএনপির তিন সংগঠনের আয়োজনে এই লংমার্চ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
আরও পড়ুন:রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার বায়ুমান বর্তমান সময়ে মাঝে মাঝেই অস্বাস্থ্যকর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরের বাইরে গেলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সংবেদনশীল ব্যক্তিকে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বায়ুমানের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। জনগণকে এ তথ্য দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
ইটভাটা, শিল্প-কারখানার মালিক ও সাধারণ মানুষকে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে- কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দু’বার পানি ছিটানো, পুরনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করা।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬৯ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৪ জন রোগী।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯৭ হাজার ১৫৯ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামী ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ওই সিদ্ধান্তের আলোকে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্বাচন অনুষ্ঠান ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে গত ১৫ বছরে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়ে। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চাকরি প্রার্থীর চৌদ্দ গোষ্ঠীর রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে দেখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে তাদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ প্রার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না গো হোম (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
ডিএমপির এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে, তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহারা দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।’
ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুলসংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। তবে ট্রাফিকে শৃঙ্খলা ফেরাতে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। বিগত সরকার অটোরিকশার অনুমতি দেয়ার কারণেই বাড়ছে অটোর সংখ্যা। অচিরেই এটি কমানো না গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে নগরবাসীকে। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছি।’
রাজধানীতে ইদানীং ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নগরবাসীর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের অনেক অভিযোগ আসছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে যাতে রোধ করা সম্ভব হয়।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৮ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯৫ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯৬ হাজার ৭০৬ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
‘আজকের আমলাই ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদ বা ব্যবসায়ী। তারা এখন নানা পরিচয়ে মানুষের সামনে হাজির হন, যা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সোমবার নাগরিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
‘সুশাসনের জন্য জনকেন্দ্রিক সংস্কার: সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৮ ও ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), বাংলাদেশ এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) সহযোগিতায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে দেবপ্রিয় বলেন, ‘আজকে যিনি আমলা, কাল তিনি রাজনীতিবিদ, পরের দিন তিনি ব্যবসায়ী। এটাই তো সমস্যা হয়ে গেছে। ওনারা বহুরূপে এখন আমাদের সামনে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে এই তিনটি একই হয়ে গেছে।’
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কে বেশি ক্ষমতাধর- আমলা, রাজনীতিবিদ নাকি ব্যবসায়ী?’
এই প্রশ্নের জবাবে অংশগ্রহণকারীরা সমন্বরে বলেন- আমলারা।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা সারা বাংলাদেশ ঘুরে আলোচনা করেছি। সেসব আলোচনায় আমলাদের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হিসেবে বলা হয়েছে। কিন্তু সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায়। অনেক ক্ষেত্রে এই তিন পরিচয় একই ব্যক্তির হয়ে গেছে।’
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, স্বাধীন স্থানীয় সরকার কমিশন হলে সাধারণ অজুহাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্তের সংস্কৃতি রোধ করা যায় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাজেট বরাদ্দ দেয়া যায়।
সিপিডির এই সম্মানিত ফেলো রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি প্রতীক ব্যবহারের বিধান প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন।
সিপিডির সম্মানীত ফেলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির আরেক সম্মানীত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দয়ারত্নে প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য