মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কয়েকটি কেন্দ্র থেকে নতুন করে বিদ্যুৎ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়ার পর দিনভর টানাটানি শেষে সূচক বেড়ে লেনদেন শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে।
যেসব কোম্পানির কারণে সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি ছিল এই ধরনের কোম্পানি।
বৃহস্পতিবার শুরু থেকেই বাজারে সূচকের উত্থান-পতন দেখা যায়। দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত সূচক আগের দিনের প্রায় সমান অবস্থানে থাকলেও এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা পতন হয়। কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টায় ক্রয়ের চাপে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় বাজার।
লেনদেন শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেশি ছিল সূচক। তবে শেষ সময়ের সমন্বয়ে ২.৪৭ পয়েন্ট যোগ হয়ে শেষ হয় লেনদেন।
আগের দিন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কেপিসিএলের দুটি, সামিটের একটি, ওরিয়ন ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের একটিসহ মোট পাঁচটি কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনা হবে।
পরের দিন পুঁজিবাজারে কেপিসিএল, সামিট পাওয়ার ও ওরিয়ন ফার্মা- এই তিন কোম্পানি মিলে যোগ করেছে ৫.৪১ পয়েন্ট।
সূচকে এই সামান্য পয়েন্ট যোগ হলেও সেটি বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে।
এক দিনে শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থেকে আবার ১০ শতাংশ করা হচ্ছে- একটি জাতীয় দৈনিকে সুনির্দিষ্ট কারও বক্তব্য ছাড়া এমন একটি সংবাদ প্রকাশের পর গত রবি ও সোমবার পুঁজিবাজারে দেখা দেয় আতঙ্ক।
এর মধ্যে রোববার ঢালাও দরপতনের পর সোমবারও একই পথে ছিল পুঁজিবাজার। তবে শেষ ঘণ্টায় দেখা দেয় ক্রয়চাপ। এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়ার পর পরের দিন দেখা যায় উত্থান।
এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে নিশ্চিত করা হয়, এ ধরনের পরিকল্পনা আপাতত নেই। এতে মঙ্গলবার বাজার ঘুরে দাঁড়ালেও বুধবার আবার দরপতনে চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয় বিনিয়োগকারীদের কপালে।
লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। সূচকের মতো লেনদেনের এই সিংহভাগই হয়েছে একেবারে শেষ বেলায়। দুপুর সোয়া ১টার দিকেও লেনদেন চার শ কোটি টাকার কম ছিল।
দিন শেষে বেড়েছে ১৪৩টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১৭১টির। দর ধরে রাখতে পেরেছে ৬৫টি কোম্পানি।
খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি চাঙা ছিল সিমেন্ট, কাগজ ও প্রকাশনা এবং বিমা। এসব খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি, খাদ্য ও প্রকৌশল এবং ব্যাংক খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। বাকি প্রায় সব খাতের বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
সূচক বাড়াল যেসব কোম্পানি
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ১৩.৮৫ পয়েন্ট।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২.৬১ পয়েন্ট যোগ করেছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড বা কেপিসিএল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৮৯ পয়েন্ট যোগ করেছে ওরিয়ন ফার্মা।
এছাড়া লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ১.৭২ পয়েন্ট, ফরচুন সুজ ১.৫৯ পয়েন্ট, গ্রামীণ ফোন ১.৪৩ পয়েন্ট, বসুন্ধরা পেপার মিলস ১.০৩ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টস ১ পয়েন্ট যোগ করেছে।
এছাড়া সামিট পাওয়ার ০.৯১ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার ০.৮৬ পয়েন্ট এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি যোগ করেছে ০.৮১ পয়েন্ট।
এর বিপরীতে সূচক ২০.০২ পয়েন্ট কমিয়েছে ১০টি কোম্পানি। এর মধ্যে রবির শেয়ারের ১.১৭ শতাংশ দরপতনে সূচক থেকে কমেছে সবচেয়ে বেশি ৪.৪৪ পয়েন্ট কমেছে।
বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির শেয়ারের ০.৫১ শতাংশ দরপতনে সূচক থেকে কমেছে ৩.৪৩ পয়েন্ট।
এছাড়া রেনাটার দরপতনে ৩.৩৪ পয়েন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনে ২.৯৭ পয়েন্ট, আইসিবির দরপতনে ১.৮৮ পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংকের দরপতনে ০.৮৭ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাসের দরপতনে ০.৮৪ পয়েন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মার দরপতনে ০.৭৬ পয়েন্ট করে এবং সোনালী পেপারের দরপতনে ০.৭৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
কেপিসিএলে মাতোয়ারা
গত বছরের মে মাসে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রড়ুলো যে আইনের অধীনে অনুমোদন দেয়া হয়, গত সেপ্টেম্বরে সেই আইনের মেয়াদ বাড়ানোর পরও কেন্দ্রগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আটকে ছিল।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঁচটি কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এসব কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেপিসিএলের। এই দুটি কেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদনক্ষমতা ১১৫ মেগাওয়াট।
এই তথ্যে এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত। আগের দিন শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা। এক দিনে বাড়ার সুযোগ ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। বেড়েছেও ততটাই। ৩৫ টাকা সর্বোচ্চ দরেও যত ক্রেতা ছিল, তত বিক্রেতাও ছিল না।
কেপিসিএলের মতো সামিট পাওয়ারের দর অতটা বাড়েনি। এই কোম্পানিটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ১০২ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র থেকে আবার বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। তবে কোম্পানিটির আরও অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে।
কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪০ পয়সা বা ১.০৩ শতাংশ বেড়েছে।
সরকারের বিদ্যুৎ কেনার সুবিধাভোগী আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মার দর বেড়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা বা ৩.৭০ শতাংশ। এই কোম্পানির সহযোগী কোম্পানি ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনাঘাট কেন্দ্রটি ১০০ মেগাওয়াটের।
তবে সর্বাধিক দর বৃদ্ধির তালিকায় এই তিনটির মধ্যে কেবল কেপিসিএল ছিল।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওয়াইমেক্স ও মেঘনা সিমেন্টের দর ৮ শতাংশের বেশি, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭ শতাংশের বেশি, দুই দিন ৬ শতাংশের বেশি, তিনটির দর ৫ শতাংশের বেশি, এবং একটির দর প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে।
সর্বোচ্চ পতন ২০টির বেশি কোম্পানি
সর্বোচ্চ ২ শতাংশ বা তার আশেপাশে দর হারিয়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। এর মধ্যে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে ২০টির বেশি কোম্পানি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৯৮ শতাংশ দর হারিয়েছে ভিএসএফ থ্রেড। প্রায় সমপরিমাণ দর হারিয়েছে বিডিওয়েল্ডিং, জুন স্পিনার্স, এটলাস বাংলাদেশ, আইপিডিসি, এনভয় টেক্সটাইল, দুলামিয়া কটন, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও একমি পেস্ট্রিসাইডসের দর।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য