মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কয়েকটি কেন্দ্র থেকে নতুন করে বিদ্যুৎ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়ার পর দিনভর টানাটানি শেষে সূচক বেড়ে লেনদেন শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে।
যেসব কোম্পানির কারণে সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি ছিল এই ধরনের কোম্পানি।
বৃহস্পতিবার শুরু থেকেই বাজারে সূচকের উত্থান-পতন দেখা যায়। দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত সূচক আগের দিনের প্রায় সমান অবস্থানে থাকলেও এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা পতন হয়। কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টায় ক্রয়ের চাপে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় বাজার।
লেনদেন শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেশি ছিল সূচক। তবে শেষ সময়ের সমন্বয়ে ২.৪৭ পয়েন্ট যোগ হয়ে শেষ হয় লেনদেন।
আগের দিন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কেপিসিএলের দুটি, সামিটের একটি, ওরিয়ন ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের একটিসহ মোট পাঁচটি কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনা হবে।
পরের দিন পুঁজিবাজারে কেপিসিএল, সামিট পাওয়ার ও ওরিয়ন ফার্মা- এই তিন কোম্পানি মিলে যোগ করেছে ৫.৪১ পয়েন্ট।
সূচকে এই সামান্য পয়েন্ট যোগ হলেও সেটি বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে।
এক দিনে শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থেকে আবার ১০ শতাংশ করা হচ্ছে- একটি জাতীয় দৈনিকে সুনির্দিষ্ট কারও বক্তব্য ছাড়া এমন একটি সংবাদ প্রকাশের পর গত রবি ও সোমবার পুঁজিবাজারে দেখা দেয় আতঙ্ক।
এর মধ্যে রোববার ঢালাও দরপতনের পর সোমবারও একই পথে ছিল পুঁজিবাজার। তবে শেষ ঘণ্টায় দেখা দেয় ক্রয়চাপ। এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়ার পর পরের দিন দেখা যায় উত্থান।
এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে নিশ্চিত করা হয়, এ ধরনের পরিকল্পনা আপাতত নেই। এতে মঙ্গলবার বাজার ঘুরে দাঁড়ালেও বুধবার আবার দরপতনে চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয় বিনিয়োগকারীদের কপালে।
লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। সূচকের মতো লেনদেনের এই সিংহভাগই হয়েছে একেবারে শেষ বেলায়। দুপুর সোয়া ১টার দিকেও লেনদেন চার শ কোটি টাকার কম ছিল।
দিন শেষে বেড়েছে ১৪৩টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১৭১টির। দর ধরে রাখতে পেরেছে ৬৫টি কোম্পানি।
খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি চাঙা ছিল সিমেন্ট, কাগজ ও প্রকাশনা এবং বিমা। এসব খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি, খাদ্য ও প্রকৌশল এবং ব্যাংক খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। বাকি প্রায় সব খাতের বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
সূচক বাড়াল যেসব কোম্পানি
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ১৩.৮৫ পয়েন্ট।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২.৬১ পয়েন্ট যোগ করেছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড বা কেপিসিএল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৮৯ পয়েন্ট যোগ করেছে ওরিয়ন ফার্মা।
এছাড়া লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ১.৭২ পয়েন্ট, ফরচুন সুজ ১.৫৯ পয়েন্ট, গ্রামীণ ফোন ১.৪৩ পয়েন্ট, বসুন্ধরা পেপার মিলস ১.০৩ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টস ১ পয়েন্ট যোগ করেছে।
এছাড়া সামিট পাওয়ার ০.৯১ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার ০.৮৬ পয়েন্ট এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি যোগ করেছে ০.৮১ পয়েন্ট।
এর বিপরীতে সূচক ২০.০২ পয়েন্ট কমিয়েছে ১০টি কোম্পানি। এর মধ্যে রবির শেয়ারের ১.১৭ শতাংশ দরপতনে সূচক থেকে কমেছে সবচেয়ে বেশি ৪.৪৪ পয়েন্ট কমেছে।
বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির শেয়ারের ০.৫১ শতাংশ দরপতনে সূচক থেকে কমেছে ৩.৪৩ পয়েন্ট।
এছাড়া রেনাটার দরপতনে ৩.৩৪ পয়েন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনে ২.৯৭ পয়েন্ট, আইসিবির দরপতনে ১.৮৮ পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংকের দরপতনে ০.৮৭ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাসের দরপতনে ০.৮৪ পয়েন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মার দরপতনে ০.৭৬ পয়েন্ট করে এবং সোনালী পেপারের দরপতনে ০.৭৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
কেপিসিএলে মাতোয়ারা
গত বছরের মে মাসে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রড়ুলো যে আইনের অধীনে অনুমোদন দেয়া হয়, গত সেপ্টেম্বরে সেই আইনের মেয়াদ বাড়ানোর পরও কেন্দ্রগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আটকে ছিল।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঁচটি কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এসব কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেপিসিএলের। এই দুটি কেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদনক্ষমতা ১১৫ মেগাওয়াট।
এই তথ্যে এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত। আগের দিন শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা। এক দিনে বাড়ার সুযোগ ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। বেড়েছেও ততটাই। ৩৫ টাকা সর্বোচ্চ দরেও যত ক্রেতা ছিল, তত বিক্রেতাও ছিল না।
কেপিসিএলের মতো সামিট পাওয়ারের দর অতটা বাড়েনি। এই কোম্পানিটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ১০২ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র থেকে আবার বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। তবে কোম্পানিটির আরও অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে।
কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪০ পয়সা বা ১.০৩ শতাংশ বেড়েছে।
সরকারের বিদ্যুৎ কেনার সুবিধাভোগী আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মার দর বেড়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা বা ৩.৭০ শতাংশ। এই কোম্পানির সহযোগী কোম্পানি ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনাঘাট কেন্দ্রটি ১০০ মেগাওয়াটের।
তবে সর্বাধিক দর বৃদ্ধির তালিকায় এই তিনটির মধ্যে কেবল কেপিসিএল ছিল।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওয়াইমেক্স ও মেঘনা সিমেন্টের দর ৮ শতাংশের বেশি, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭ শতাংশের বেশি, দুই দিন ৬ শতাংশের বেশি, তিনটির দর ৫ শতাংশের বেশি, এবং একটির দর প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে।
সর্বোচ্চ পতন ২০টির বেশি কোম্পানি
সর্বোচ্চ ২ শতাংশ বা তার আশেপাশে দর হারিয়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। এর মধ্যে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে ২০টির বেশি কোম্পানি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৯৮ শতাংশ দর হারিয়েছে ভিএসএফ থ্রেড। প্রায় সমপরিমাণ দর হারিয়েছে বিডিওয়েল্ডিং, জুন স্পিনার্স, এটলাস বাংলাদেশ, আইপিডিসি, এনভয় টেক্সটাইল, দুলামিয়া কটন, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও একমি পেস্ট্রিসাইডসের দর।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য