× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Drug resistant tuberculosis treatment crisis
google_news print-icon

ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা চিকিৎসায় সংকট

ওষুধ-প্রতিরোধী-যক্ষ্মা-চিকিৎসায়-সংকট
ওষুধ প্রতিরোধী (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট-এমডিআর) যক্ষ্মায় আক্রান্ত ব্যাক্তি ওষুধের ডোজ পুরো না করে ছেড়ে দিলে এটি আবার ফিরে আসে। ফাইল ছবি
সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও আজ বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’। এ উপলক্ষে সকালে রাজধানী ঢাকাসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মাদারীপুরের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী লেখাপড়া শেষে চাকরি না করে ব্যবসাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। নিজের জমিতে একটি মুদি ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা তার এই উদ্যোগে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চার বছর আগে ইয়াকুবের শরীরে যক্ষ্মার জীবাণু ধরা পড়ে। স্থানীয়ভাবে দুই মাস ওষুধ খান। একটু সুস্থ হতেই ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। সেই ওষুধে পুরোপুরি যক্ষ্মা ভালো হয় না। কিছুদিন পর শারীরিক অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে পড়ে।

শেষ পর্যন্ত ঢাকায় এসে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি হন ইয়াকুব। প্রথমবার দুই মাস সেবা নিয়ে একটু সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়েন। কিন্তু ৯ মাস পর আবার সমস্যা দেখা দেয়। আবারও জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। দ্বিতীয় দফা দুই মাস হাসপাতালে অবস্থান করে একটু সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও যক্ষ্মা তার পিছু ছাড়ে না। তৃতীয় দফায় দুই মাস ধরে তিনি একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায়, ওষুধ প্রতিরোধী (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট-এমডিআর) যক্ষ্মায় আক্রান্ত তিনি। ওষুধের ডোজ পুরো না করে ছেড়ে দিলে এটি আবার ফিরে আসে।

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ না দেয়া, মাঝপথে চিকিৎসা ছেড়ে দেয়া এবং প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত না হওয়ায় ইয়াকুবের নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। অনিয়মিত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তিনি এমন পরিস্থিতির শিকার।

ইয়াকুব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাদারীপুরে যথাযথ চিকিৎসাসেবা না থাকায় আমারর মতো অনেক রোগীকেই প্রতি মাসে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে আসতে হয়। এতে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য বলছে, ‘সারা দেশে যক্ষ্মা শনাক্তকরণে ৪৯০টি জিন এক্সপার্ট যন্ত্র, ১ হাজার ১১৮টি অণুবীক্ষণ যন্ত্র এবং ১৮৭টি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র রোগ পরীক্ষা ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ওষুধ প্রতিরোধী (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট-এমডিআর) যক্ষ্মায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দেশের ৮টি বিভাগে দেয়া হচ্ছে। জনসংখ্যার বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকায় দুই জায়গায় এই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। একটি শ্যামলীর ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল, অন্যদিকে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে।

সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে যক্ষ্মা রোগের ভালো চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। জেলা ও উপজেলা শহরে চিকিৎসা এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলে রোগীদের এতটা ভোগান্তি পোহাতে হতো না।

জেলা পর্যায়ে শুধু প্রাথমিক কফ পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এমডিআর পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। এ কারণে এমডিআর যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যক্ষ্মা জটিল পর্যায়ে গেলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। গ্রামের মানুষ এতটা সচেতন নয়। যে কারণে নিয়মিত ওষুধও খায় না।

‘রোগীদের প্রথম ছয় মাসের চিকিৎসায় কেউ অনিয়মিত ওষুধ সেবন করলে অথবা চিকিৎসা পদ্ধতিতে ভুল হলে এমডিআর যক্ষ্মা হয়। এমডিআর রোগীর ছোঁয়ায় আরেকজনের এ রোগ হতে পারে। এ রোগ ধরা পড়লে টানা ২৪ মাস চিকিৎসাধীন থাকতে হয়।’

ডা. খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘বিশেষত গ্রামাঞ্চলে কাশীর মতো উপসর্গ দেখা দিলে রোগীরা সাধারণত স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তারা ভুল চিকিৎসার শিকার হয়। এমন হতে হতে রোগটা জটিল পর্যায়ে চলে যায়। তখন ফুসফুসে ফাইব্রোসিস বা আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

‘তবে আমাদের নেট‌ওয়ার্ক অনেক বিস্তৃত। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত শনাক্ত ও পুরোপরি চিকিৎসা দেয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত হলে দ্রুত সুস্থ করা সম্ভব। তাতে করে অন্য কারও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও কমে আসে।’

৯৬ শতাংশ শিশু যক্ষ্মা রোগীই শনাক্তের বাইরে

দেশে মোট শিশুর ৪ দশমিক ৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত। তবে এসব শিশুর ৯৬ শতাংশই শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত বা কার্যকর ব্যবস্থাপনা না থাকা, ডায়াগনস্টিক সুবিধার অপ্রতুলতা, শিশু চিকিৎসক সংকট, শুরুতে কোনো উপসর্গ না থাকা, উপজেলা পর্যায়ে শিশুদের যক্ষ্মা রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসাব্যবস্থা না থাকাই এ ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ। করোনার আগে বছরে শনাক্তের ১২ শতাংশ শিশু পাওয়া গেলেও করোনার মধ্যে এই কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা চিকিৎসায় সংকট
দেশে মোট শিশুর ৪ দশমিক ৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত। তবে এসব শিশুর ৯৬ শতাংশই শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফাইল ছবি

নিজেদের সীমাবদ্ধতা কথা শিকার করেন যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বড়দের দুই সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে আমরা তাদের কফ পরীক্ষা করে শনাক্তের ব্যবস্থা করি। অন্যদিকে শিশু রোগীদের যক্ষ্মা শনাক্ত করাটা সাধারণ মাঠকর্মীদের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। এ জন্য শিশু বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হয়।

‘যক্ষ্মার সংক্রমণ রোধে করণীয় সম্পর্কে মাঠকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া আছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে থাকা শিশুদের পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। যেমন একজন মা যক্ষ্মা আক্রান্ত হলে তার সন্তান যদি বুকের দুধ পান করে তবে তাকেও পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে।’

লক্ষমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে যক্ষ্মা শনাক্ত

২০২১ সালে সারা দেশে ৩ লাখ ৩২ হাজার রোগী শনাক্তের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বছর শেষে ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৪৪ জন রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে যারা শনাক্ত হয়েছে তাদের চিকিৎসা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শনাক্ত ৯৭ শতাংশ রোগী‌ই সুস্থ্ হয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ ভালো।

তবে বছরে কতজন মারা গেছে, সেই তথ্য জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, দেশে যক্ষ্মায় দিনে ১৮৫ জন মারা যাচ্ছে। আর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছে ৯৭ শতাংশ রোগী।

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ

এই পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে বিশ্বনেতারা বেশকিছু বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০৩৫ সালের মধ্যে সেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করার কথা। অন্যান্য বছরের মতো এবারও জাতীয়ভাবে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানী ঢাকায় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন রয়েছে।

করোনার বাধা কাটিয়ে উঠছে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। শুরুর দিকে এই মহামারি জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করে। একদিকে মানুষ সেবা নিতে কম আগ্রহ দেখায়, অন্যদিকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও সেবাকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকে।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মূল্যায়ন বলছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সব ধরনের প্রশিক্ষণ স্থগিত হয়ে যায়। স্থানীয় অঘোষিত ‘লকডাউন’ ও যানবাহন স্বল্পতায় কিছু কর্মী কর্মস্থলে উপস্থিত হতে পারেননি। কফ সংগ্রহ বা রোগ শনাক্তকরণও স্থগিত হয়ে যায়। একই কারণে জেলা পর্যায়ের সব পাক্ষিক সভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বাধা কাটিয়ে উঠেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা চিকিৎসায় সংকট

অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে দেশে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয় ৭১ হাজার। তবে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মার্চ থেকে পরের তিন মাসে শনাক্ত সংখ্যা অর্ধেকেরও কমে নেমে আসে। এপ্রিল, মে ও জুন- এই তিন মাসে রোগী শনাক্ত হয় মাত্র ২৮ হাজার ২৪৬ জন। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এলে পুরোদমে কাজে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনার বাধা কাটিয়ে উঠে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়।

আরও পড়ুন:
যক্ষ্মায় বছরে ১৫ লাখ মৃত্যু
যক্ষ্মায় মৃত্যু কমে অর্ধেক
করোনার চেয়ে পাঁচ গুণ মৃত্যু যক্ষ্মায়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In the last 24 hours the death of dengue is 5 deaths this week

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৯৪, চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৩

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৯৪, চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৩

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯৪ জন। আর চলতি সপ্তাহের এই কয়েকদিনে রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটে। এ সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে আক্রান্ত হয় সর্বোচ্চ ১৫৭ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯৪ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০২ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ৫৪৪ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Barisal Dengue the death of a hundred year old woman is 120

বরিশালে ডেঙ্গুতে শতবর্ষী নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১২৬

বরিশালে ডেঙ্গুতে শতবর্ষী নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১২৬

বরিশাল বিভাগের বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধা রাবেয়া (১০০) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোরে তিনি বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরগুনার বাসিন্দাই রয়েছে ৬ জন। এদিকে গত রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১২৯ জন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার ভোরে মৃত্যু হওয়া শতবর্ষী রাবেয়া বেগম বরগুনা সদরের বাসিন্দা। তাকে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য বিভাগে তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে ৮ জন।

পটুয়াখালী জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৭ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, ভোলা সদর হাসপাতালে ৫ জন ভর্তি হয়েছে। পিরোজপুরে ১৬ জন ও বরগুনায় ৭৩। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠিতে কেউ আক্রান্ত হয়নি।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশংকাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরুতে হবে। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশে-পাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ
Two more deaths are admitted to the hospital in the ups and more of the dengue victim

ডেঙ্গু আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯২

ডেঙ্গু আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯২

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে ঊর্ধ্বগতির আক্রান্তের হারের মধ্যে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯২ জন।

সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন ও বরিশাল বিভাগে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর আক্রান্তের হারে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০৬ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ১৫০ জন। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Corona 3 more deaths across the country are new to identify

করোনা: সারাদেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

করোনা: সারাদেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

রবিবার (২২ জুন) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫১৫ জনে এবং মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৮ জনে।

২৪ ঘণ্টায় ৬২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সে অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষায় সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Memorandum of EB students demanding promoting health and transport services

স্বাস্থ্য ও পরিবহন সেবা উন্নীতকরণের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

স্বাস্থ্য ও পরিবহন সেবা উন্নীতকরণের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবহন ব্যবস্থা উন্নীতকরণের লক্ষ্যে চার দফা দাবি উপস্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইবি শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ মন্ডলের প্রতিনিধিত্বে এই দাবিসমূহ জানানো হয়েছে।

২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতি রয়ে গেছে। একটি উন্নত, মানবিক ও কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবহন ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অপরিহার্য। উপস্থাপিত চার দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের স্থায়ী সংস্কারের লক্ষ্যে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সভার আয়োজন করা, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসাসেবা উন্নতিকরণ এবং কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট সিট সার্বক্ষণিক সংরক্ষণের ব্যবস্থা, পরিবহন পুল থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন অপসারণ এবং চালক ও সহকারীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা এবং পরিবহন সংকট নিরসনে জরুরিভিত্তিতে নতুন যানবাহন সংযোজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর মন্ডল জানান, ‘স্মারকলিপি দিয়েছি। উল্লেখ করা দাবি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা আরও নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাজীবন উপভোগ করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনাগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ উপস্থাপন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আশ্বস্ত করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা খুবই যৌক্তিক কিছু দাবি উত্থাপন করেছে৷ কয়েকদিন আগেও আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী বাস-ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এর আগেও এমন দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Another one who died in dengue is 12

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৫২

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৫২

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৫২ জন।

শনিবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর আক্রান্তের হারে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৫২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৯০ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ হাজার ৪২৯ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The common man is in danger of 6 months off the supply of drugs

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ৮ মাস বিপাকে সাধারণ মানুষ

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ৮ মাস বিপাকে সাধারণ মানুষ

সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না থাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। প্রায় সাত-আট মাস কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এতে তৃণমুলে বসবাসকারী অবহেলিত মানুষগুলো স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। এমনটিই আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও একটি প্রশাসনিক থানা এলাকায় ৪০টি ইউনিয়ন পরিবারকেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিভিল সার্জন কর্তৃক সাতটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র পরিচালিত হয় । বাকিগুলো পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে।

সিভিল সার্জন কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় তিনটি, লোহাগড়া উপজেলায় তিনটি এবং কালিয়া উপজেলায় একটি। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসাসেবার ওপর গ্রামাঞ্চলের নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষগুলো সুস্থ ও সবলভাবে বেচে থাকার জন্য অনেকটিই নির্ভর করে। এসব কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ । কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সংকটের কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ।

গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার জেলার কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গ্রামের অনেক মহিলা চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাদের মুখখানা ছিল মলিন । আবার অনেক কেন্দ্র ছিল ফাকা। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার একটি কক্ষে বসে গল্পে মেতে আছেন বন্ধুদের সঙ্গে। গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো.আলাউদ্দীন কেন্দ্রের একটি কক্ষে চুপচাপ বসে আছেন । জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আমাদের এখানে ২৫ রকমের ওষুধ বরাদ্দ ছিল। তখন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশু-নারী ও পুরুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে জড়ো হতেন। গত সাত-আট মাস হলো কোনো ওষুধ সরবরাহ নেই । ফলে কেন্দ্রে রোগীদের তেমন ভিড়ও নেই। শুধু পরিবার পরিকল্পনা কিছু সামগ্রী আছে তাই দিয়ে সেবা চলছে। তিনি বলেন, এখানে যেসব রোগী আসে তার বেশিরভাগ হচ্ছে শিশু ও নারী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি হয় না।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হলে তৃণমুলে সাধারণ মানুষ বিপদে এবং স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.রবিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। না হলে গ্রামের কৃষক শ্রেণির মানুষের জীবনের ছন্দ পতন ঘটবে। গতকাল বুধবার দুপুরে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কুমড়ি গ্রাম থেকে ছোট শিশুকে কোলে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসেছেন সালমা আক্তার । তার কোলের শিশুর সর্দি-কাশি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে এহেনে ডাক্তার দেহালি ওষুধ দেতো। এহোনে দেচ্ছে না । কাগজে লেহে দিলি আমাগে বাজারের দুয়ানতে কিনে নিতি হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ। অত টায়া পয়সা নাই আমাগে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকাররে কচ্ছি আগের মতো আমাগে মাগনা (বিনা টাকায়) ওষুধ দিতি হবে।’

কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের মুলশ্রী গ্রামের দীপ্তি রানী মণ্ডল বুকে ব্যথা অনুভব করলে নিজের ওষুধ নিতে এসেছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘এহেনের ডাক্তার সাদা কাগজে কী যেন লেহে দেলো। আর কলো এই কাগজ নিয়ে বাজারের দুয়ানেরতে অসুদ কিনতি হবে । কিরাম কতা হলো কওদিন বাপু । আমাগে যদি দুয়ানেরতে অসুদ কিনতি হবে তালি তুমরা এহানে বসে রইছো ক্যান ? আগেতো এমন কতা শুনিনি।’

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আলিফ নূর বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় সাত থেকে আট মাস। যে কারণে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তিনি দাবি করেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধের মধ্যেও খোলা ছিল । ওষুধ না পেলেও চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল না । যারা গর্ভবতী মা তারা চেকআপের জন্য কেন্দ্রে আসছেন । তাদের প্রয়োজনীয় সেবাও দেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সংকট মোচন হবে ।

মন্তব্য

p
উপরে