× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
CUB hopes to further strengthen Bangladesh Canada relations
google_news print-icon

বাংলাদেশ-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন সিইউবিতে

সিইউবি
সেমিনারে বক্তব্য দেন ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস। ছবি: নিউজবাংলা
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস ৫০ বছরের বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ থেকে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে। ৮০ বিলিয়ন ডলারের দেশটির অর্থনীতি এখন ৩২৪ বিলিয়ন ডলার। এটাকেও অনন্য অর্জন বলতে হবে।’

বাংলাদেশ-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)। এ উপলক্ষে বুধবার কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সম্মানীয় অতিথি এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

‘কানাডা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ: আ জার্নি অফ ফিফটি ইয়ারস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথিরা আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতা আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে।

বাংলাদেশ-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন সিইউবিতে
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশকে প্রথম দিকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোর মধ্যে কানাডা অন্যতম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন, কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাবা তখন সেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার গভীর বন্ধুত্ব ছিল।

‘সেই ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায় চলমান বন্ধুত্ব অটুট থাকবে, সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় কানাডার ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য আমি দেশটিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ-কানাডার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, পারস্পরিক সহযোগিতা দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভেবে রেখেছিলেন বলেও জানান সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, তিনি যে কাজটি করতে যান, দেখতে পান সেটিই ভেবে রেখেছেন জাতির পিতা। জাতির পিতার সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি তা বাস্তবায়ন করছেন।’

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ২১ বছর দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো পরিসংখ্যান তুলে ধরতে চাই না। নতুন প্রজন্মকে বলব, আপনাদের সামনে তথ্য আছে। আপনারা সেই ২১ বছরের সঙ্গে গত ১৩ বছরকে তুলনা করুন। তাহলে দেখবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কতটা অভাবনীয় উন্নতি করেছে।’

বাংলাদেশ-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন সিইউবিতে
সিইউবির অনুষ্ঠানে অতিথিরা

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই। আর সরকারের ধারাবাহিকতা ছিল বলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। ক্ষমতায় যিনি থাকবেন, তাকেও মানুষের কল্যাণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হয়। আর সে কারণেই আজকে আমাদের এই অর্জন।’

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের মতো বাংলাদেশকেও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। সালমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সরকারের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। পররাষ্ট্রনীতিতে বঙ্গবন্ধুর এই দর্শন নিয়ে দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’

বাংলাদেশ-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন সিইউবিতে
সেমিনারে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

আলোচনায় অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন যথেষ্ট না, বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি যথেষ্ট না। শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজের দক্ষতা তৈরি করতে হবে। দক্ষতাকে বহুমুখী করতে হবে। একাধিক ভাষা শিখতে হবে। তাহলে বিশ্ববাজারে লড়াই করে সফল হওয়া যাবে।’

দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়ার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিগরি বা হাতেকলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে না। সেদিকে নজর না দিলে বিশ্ব বাজারের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয় ‘

বাংলাদেশ-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন সিইউবিতে
সিইউবির অনুষ্ঠানে অতিথিরা

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উৎকর্ষ বাড়াতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেশাদার ও সফল ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানাতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।

উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র কানাডা এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে, বিশেষ করে দক্ষতা বাড়ানো সম্পর্কিত শিক্ষার ক্ষেত্রে। কারণ, আমরা তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে শিক্ষা নিতে পারি। আমি জেনেছি, কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নেয়ার আগে শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা নিতে হয়, যা তাদের দক্ষ করে তোলে।’

বাংলাদেশ-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন সিইউবিতে
সিইউবির অনুষ্ঠানে অতিথিরা

সিইউবি আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস।

গত ৫০ বছরের বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন তিনি।

লিলি নিকলস বলেন, ‘১৯৮০ সালে বিশ্বে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ। বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ ছিলেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। আর এখন সেটা ৯ শতাংশ।

‘যদি বাংলাদেশের কথা বলি, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ। আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে তা হয়েছে ৯ শতাংশ। এটি একটি অসাধারণ অর্জন।’

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের উন্নীত হওয়ার বিষয়টি সামনে এনে লিলি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ থেকে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে। ৮০ বিলিয়ন ডলারের দেশটির অর্থনীতি এখন ৩২৪ বিলিয়ন ডলার। এটাকেও অনন্য অর্জন বলতে হবে।’

তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এই সময়ের তরুণদের ‘সোনালি প্রজন্ম’ আখ্যা দিয়ে ঢাকায় কানাডার দূত বলেন, ‘যত সমস্যা থাকুক না কেন, আমি বিশ্বাস করি, ইতিহাসে আপনারা সবচেয়ে ওয়েল ইক্যুইপড জেনারেশন। যারা শান্তিপূর্ণভাবে আজকের এবং আগামী দিনের সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’

কানাডা এবং বাংলাদেশের গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীর ঐক্যবদ্ধ পথ চলাতেও আমরা পাশে থাকব।’

বাংলাদেশ-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন সিইউবিতে
সিইউবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পার করেছে কানাডা-বাংলাদেশ। আমরা এটিকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। গত এক দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্যিক সম্পর্কেরও অনেক অগ্রগতি হয়েছে। যা আর্থিক হিসাবে কানাডিয়ান ডলারে ২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কানাডা সব সময় বাংলাদেশকে সক্ষমতা বাড়ানো, টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে আসছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও দৃঢ় হবে।’

চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের জন্য কানাডার হাইকমিশন প্রথম দিন থেকে দিকনির্দেশনা এবং সহায়তার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। তাদের সহায়তায় আমরা একটি বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’

ঢাকায় খুব শিগগিরই একটি কানাডিয়ান স্কুল এবং কানাডিয়ান কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানান তিনি।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি তৈরির ক্ষেত্রে কানাডিয়ান হাইকমিশন তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

বাংলাদেশ-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন সিইউবিতে

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল ও নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য তিন শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

বাণিজ্য অনুষদের শাকিলা মজুমদার, প্রকৌশল অনুষদের মো. জহিরুল ইসলাম, কলা অনুষদের নওশীন মাইশা এই স্বীকৃতি পেয়েছেন।

আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের পক্ষে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

বাংলাদেশ-কানডার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উদযাপনে অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কাটেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আবদুল মোনেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দীন মোনেম, পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কমকর্তা তারেক রিয়াজ খান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হকসহ সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:
‘মুক্তিদাতা শেখ মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা
বাংলাদেশ-আমেরিকা বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন সিইউবির
বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন
সিইউবি ও এমএএস মেরিন অ্যাকাডেমির সমঝোতা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Not only the recognition but also the quality of the product should be looked at
১৪টি জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী

শুধু স্বীকৃতি নয়, পণ্যের মানের দিকেও নজর দিতে হবে

শুধু স্বীকৃতি নয়, পণ্যের মানের দিকেও নজর দিতে হবে বাংলাদেশ ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মাল্টিপারপাস হলে বৃহস্পতিবার ডিপিডিটি আয়োজিত ১৪টি জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ছবি: নিউজবাংলা
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দুহাত ভরে তার বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলাসহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

শুধু স্বীকৃতি নয়, পণ্যের মানের দিকেও নজর দিতে হবে

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।’

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, শুধু প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।’

জ্যেষ্ঠ শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একই সঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি (বিজ্ঞাপন), ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।’

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়।

সেগুলো হলো যথাক্রমে- গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা।

এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

আরও পড়ুন:
‘আমি বরই দিয়ে ইফতার করব, আর তুই খেজুর-আঙুর খাবি?’
‘টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদেরই থাকবে’
গোপালগঞ্জের রসগোল্লা পেল জিআই পণ্যের স্বীকৃতি
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মুক্তাগাছার মণ্ডা
টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য ঘোষণা করেছে সরকার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Democracy established on January 7 will fail if upazila elections fail CEC

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’

সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নৌকা ২২২ লাঙ্গল ১১ স্বতন্ত্র পেল ৬২ আসন
ভোট ৪০ শতাংশের মতো, আরও বাড়তে পারে: সিইসি
বেশির ভাগ জায়গায় নৌকা ছাড়া অন্য এজেন্ট পেলাম না: সিইসি
ভোট দিলেন সিইসি
জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human chain in front of FDC to protest the attack on journalists

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবিতে বুধবার এফডিসির সামনে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত
মানববন্ধনে বক্তারা এফডিসিতে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ এতে জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।

টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।

তদন্ত কমিটি

এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Relatives of Minister MPs do not simplify the system from the upazila elections Kader

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে  নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।’

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।

‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’

চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’

বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।

‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ ৫ জুন
উপজেলা ভোটে প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
ভোটের মাঠে উপজেলা প্রতি থাকছে ২-৪ প্লাটুন বিজিবি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There will be no gas in Shanirakhra Jurain from noon

শনির আখড়া-জুরাইনে দুপুর থেকে গ্যাস থাকবে না

শনির আখড়া-জুরাইনে দুপুর থেকে গ্যাস থাকবে না ফাইল ছবি
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।

এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।

আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fire at launch in Shyambazar

শ্যামবাজারের লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে

শ্যামবাজারের লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে শ্যামবাজার ঘাটে আগুনে পুড়ল লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।

রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।

ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।

তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Emir of Qatar at the Prime Ministers Office

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার  দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের

তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।

পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।

সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে