বাংলাদেশ-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)। এ উপলক্ষে বুধবার কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সম্মানীয় অতিথি এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
‘কানাডা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ: আ জার্নি অফ ফিফটি ইয়ারস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথিরা আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতা আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশকে প্রথম দিকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোর মধ্যে কানাডা অন্যতম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন, কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাবা তখন সেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার গভীর বন্ধুত্ব ছিল।
‘সেই ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায় চলমান বন্ধুত্ব অটুট থাকবে, সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে।’
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় কানাডার ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য আমি দেশটিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ-কানাডার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, পারস্পরিক সহযোগিতা দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভেবে রেখেছিলেন বলেও জানান সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, তিনি যে কাজটি করতে যান, দেখতে পান সেটিই ভেবে রেখেছেন জাতির পিতা। জাতির পিতার সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি তা বাস্তবায়ন করছেন।’
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ২১ বছর দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো পরিসংখ্যান তুলে ধরতে চাই না। নতুন প্রজন্মকে বলব, আপনাদের সামনে তথ্য আছে। আপনারা সেই ২১ বছরের সঙ্গে গত ১৩ বছরকে তুলনা করুন। তাহলে দেখবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কতটা অভাবনীয় উন্নতি করেছে।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই। আর সরকারের ধারাবাহিকতা ছিল বলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। ক্ষমতায় যিনি থাকবেন, তাকেও মানুষের কল্যাণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হয়। আর সে কারণেই আজকে আমাদের এই অর্জন।’
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের মতো বাংলাদেশকেও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। সালমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সরকারের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। পররাষ্ট্রনীতিতে বঙ্গবন্ধুর এই দর্শন নিয়ে দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন যথেষ্ট না, বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি যথেষ্ট না। শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজের দক্ষতা তৈরি করতে হবে। দক্ষতাকে বহুমুখী করতে হবে। একাধিক ভাষা শিখতে হবে। তাহলে বিশ্ববাজারে লড়াই করে সফল হওয়া যাবে।’
দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়ার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিগরি বা হাতেকলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে না। সেদিকে নজর না দিলে বিশ্ব বাজারের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয় ‘
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উৎকর্ষ বাড়াতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেশাদার ও সফল ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানাতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র কানাডা এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে, বিশেষ করে দক্ষতা বাড়ানো সম্পর্কিত শিক্ষার ক্ষেত্রে। কারণ, আমরা তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে শিক্ষা নিতে পারি। আমি জেনেছি, কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নেয়ার আগে শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা নিতে হয়, যা তাদের দক্ষ করে তোলে।’
সিইউবি আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস।
গত ৫০ বছরের বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন তিনি।
লিলি নিকলস বলেন, ‘১৯৮০ সালে বিশ্বে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ। বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ ছিলেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। আর এখন সেটা ৯ শতাংশ।
‘যদি বাংলাদেশের কথা বলি, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ। আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে তা হয়েছে ৯ শতাংশ। এটি একটি অসাধারণ অর্জন।’
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের উন্নীত হওয়ার বিষয়টি সামনে এনে লিলি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ থেকে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে। ৮০ বিলিয়ন ডলারের দেশটির অর্থনীতি এখন ৩২৪ বিলিয়ন ডলার। এটাকেও অনন্য অর্জন বলতে হবে।’
তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এই সময়ের তরুণদের ‘সোনালি প্রজন্ম’ আখ্যা দিয়ে ঢাকায় কানাডার দূত বলেন, ‘যত সমস্যা থাকুক না কেন, আমি বিশ্বাস করি, ইতিহাসে আপনারা সবচেয়ে ওয়েল ইক্যুইপড জেনারেশন। যারা শান্তিপূর্ণভাবে আজকের এবং আগামী দিনের সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’
কানাডা এবং বাংলাদেশের গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীর ঐক্যবদ্ধ পথ চলাতেও আমরা পাশে থাকব।’
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পার করেছে কানাডা-বাংলাদেশ। আমরা এটিকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। গত এক দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্যিক সম্পর্কেরও অনেক অগ্রগতি হয়েছে। যা আর্থিক হিসাবে কানাডিয়ান ডলারে ২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কানাডা সব সময় বাংলাদেশকে সক্ষমতা বাড়ানো, টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে আসছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও দৃঢ় হবে।’
চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের জন্য কানাডার হাইকমিশন প্রথম দিন থেকে দিকনির্দেশনা এবং সহায়তার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। তাদের সহায়তায় আমরা একটি বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’
ঢাকায় খুব শিগগিরই একটি কানাডিয়ান স্কুল এবং কানাডিয়ান কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি তৈরির ক্ষেত্রে কানাডিয়ান হাইকমিশন তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল ও নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য তিন শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
বাণিজ্য অনুষদের শাকিলা মজুমদার, প্রকৌশল অনুষদের মো. জহিরুল ইসলাম, কলা অনুষদের নওশীন মাইশা এই স্বীকৃতি পেয়েছেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের পক্ষে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
বাংলাদেশ-কানডার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উদযাপনে অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কাটেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আবদুল মোনেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দীন মোনেম, পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কমকর্তা তারেক রিয়াজ খান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হকসহ সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন:
রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায় গরমের দাপট কমছে না। সকালে কিছুটা শীতল বাতাসে স্বস্তি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে অস্বস্তি ফের বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজও তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দিনের বেলায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ২৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১ মিনিটে।
অন্যদিকে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে আজ চট্টগ্রাম বিভাগের দু–একটি স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই চবিতে ঈদের উৎসব বিরাজমান। শিক্ষার্থীরা দলে দলে শাটলে ও বাসে এসে সবুজের রাজ্য খ্যাত চবি ক্যাম্পাসে নামছেন। সকাল নয়টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে এখনো চলমান রয়েছে। ভোট প্রদানের পর শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন হাতে ছবি, ভিডিও নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেছেন। তবে এসব আনন্দের অংশ হতে পারেনি ২৪২ জন ভোটার।
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন এবং হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের কারণে বুধবার সকাল থেকেই চবি ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শাটল ট্রেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে দলে দলে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ দুপুর পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে চলতে থাকে। ভোট প্রদান শেষে শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ভাগাভাগি করেন।
তবে এই আনন্দের অংশ হতে পারেননি ২৪২ জন শিক্ষার্থী, যারা বৈধ ছাত্র হয়েও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন ভোটার রয়েছে পিএইচডি ও এমফিল গবেষক শিক্ষার্থী। যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গেও তারা যুক্ত আছেন। এতে নৈতিকতার দিক থেকে ভোট প্রদান করতে পারবেন না তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন পিএইচডি ও এমফিল পর্যায়ের শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী তারাও এবার ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ফলে এসব শিক্ষকদেরও ভোটার হিসেবে ধরা হয়েছে, যেহেতু তারা এখনো শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত।
তবে আমি নিজেও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা, হোস্টেল, হল ও প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন। তাই আমি মনে করি, ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও আমাদের ভোট প্রদান করা নৈতিক হবে না। এ কারণেই সংশ্লিষ্ট সবাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।”
২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।
অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন। ছবি: ফেসবুক
বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’
রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।
নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।
তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।
এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।
এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
মন্তব্য